স্ট্যানফোর্ডের কাছে জৌলুশ হারাতে চলেছে হার্ভার্ড
বদলে যাচ্ছে শিক্ষার কেন্দ্র
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি দুনিয়াজুড়ে একটি সুপরিচিত নাম। কেবলমাত্র ব্র্যান্ডভ্যালুর কারণে হার্ভার্ড পৃথিবীর নানাপ্রান্ত থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের যেমন আকর্ষণ করতে পেরেছে তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির তহবিল হয়েছে সমৃদ্ধ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি যেন পাল্টে যাচ্ছে। হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রের যেখানে অবস্থিত সেখান থেকে ২ হাজার ৭শ’ মাইল পশ্চিমে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি এখন সে জায়গা দখল করে নিতে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার কেন্দ্র যেন বদলে যেতে বসেছে। স্ট্যানফোর্ড এখন হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের আইটি স্কুল। এক সময় হার্ভার্ড এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে স্ট্যানফোর্ড হার্ভার্ডকে ছাপিয়ে ওপরে উঠে আসবে। সম্প্র্রতি প্রিন্সটন রিভিউ হাইস্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে একটি জরিপ চালায়। তোমাদের ‘স্বপ্নের কলেজ’ কোনটি? এ প্রশ্নটি তাদের কাছে রাখা হয়েছিল। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর উত্তর ছিল স্ট্যানফোর্ড। ইউনিভার্সিটিটি বিগত বছরগুলোতে প্রচুর অনুদান পেয়েছে। ৩৭৮ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে স্বর্ণমান বজায় রেখেছিল। প্রিন্সটন রিভিউর কলেজ গাইডবুক ও স্টুডেন্ট সুপারভাইজার রবার্ট ফ্র্যানেক বলছেন, ‘স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি যে এখন হার্ভার্ডের জায়গাটি দখল করতে চলেছে তাতে কোন সন্দেহ নাই।’ তিনি আরও বলছেন যে, স্ট্যানফোর্ড যে শিক্ষাক্ষেত্রে গুণেমানে হার্ভার্ডকে ছাড়িয়ে গেছে- তাও পুরোপুরি সঠিক নয়। এখানে সাধারণভাবে জনপ্রিয়তা একটি কারণ হিসেবে কাজ করছে। স্ট্যানফোর্ড কতদিন তাদের এই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারবে সেটা বলা সম্ভব নয়। অন্যদিকে হার্ভার্ডের বর্তমান ছাত্র-শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সবাই স্বীকার করেন যে, তাদের আগের সেই নেতৃস্থানীয় অবস্থান এখন আর নাই তা সত্ত্বেও তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান নিয়ে হতাশ নন। হার্ভার্ডের সাবেক ডিন ও কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক হ্যারি লুইস বলছেন, ‘এ্যাপ্লাইড সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে হার্ভার্ডের সম্পর্ক কোন সময়ই খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না। এ বিষয়গুলোকে ঠিক যেন ভদ্রলোকের কাজ বলে গণ্য করা হতো না। সাধারণত কলেজ ইউনিভার্সিটির র্যাঙ্কিংয়ের দিকে সবার নজর থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রকৃত মান নিয়ে অনেকেই চিন্তাভাবনা করে না। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির শীর্ষে উঠে আসার একটি ভৌগোলিক কারণও রয়েছে। সেটা হলো ইউনিভার্সিটি যেখানে অবস্থিত তার ধারেকাছেই সিলিকন ভ্যালির অবস্থান।
গুগল, ইয়াহু, সিসকোর মতো টেক জায়ান্টের অধিকাংশের অবস্থান এখানে এবং এখান থেকেই এ সব কোম্পানির অনেক নির্বাহী কর্মকর্তা বেরিয়ে এসেছেন। শিক্ষাবিদদের অনেকে মনে করেন, সিলিকন ভ্যালির নৈকট্য শিক্ষার্থীদের কাছে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে, যা প্রকৃত শিক্ষার মানকে নাও তুলে ধরতে পারে। - ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার কেন্দ্র যেন বদলে যেতে বসেছে। স্ট্যানফোর্ড এখন হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের আইটি স্কুল। এক সময় হার্ভার্ড এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে স্ট্যানফোর্ড হার্ভার্ডকে ছাপিয়ে ওপরে উঠে আসবে। সম্প্র্রতি প্রিন্সটন রিভিউ হাইস্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে একটি জরিপ চালায়। তোমাদের ‘স্বপ্নের কলেজ’ কোনটি? এ প্রশ্নটি তাদের কাছে রাখা হয়েছিল। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর উত্তর ছিল স্ট্যানফোর্ড। ইউনিভার্সিটিটি বিগত বছরগুলোতে প্রচুর অনুদান পেয়েছে। ৩৭৮ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে স্বর্ণমান বজায় রেখেছিল। প্রিন্সটন রিভিউর কলেজ গাইডবুক ও স্টুডেন্ট সুপারভাইজার রবার্ট ফ্র্যানেক বলছেন, ‘স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি যে এখন হার্ভার্ডের জায়গাটি দখল করতে চলেছে তাতে কোন সন্দেহ নাই।’ তিনি আরও বলছেন যে, স্ট্যানফোর্ড যে শিক্ষাক্ষেত্রে গুণেমানে হার্ভার্ডকে ছাড়িয়ে গেছে- তাও পুরোপুরি সঠিক নয়। এখানে সাধারণভাবে জনপ্রিয়তা একটি কারণ হিসেবে কাজ করছে। স্ট্যানফোর্ড কতদিন তাদের এই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারবে সেটা বলা সম্ভব নয়। অন্যদিকে হার্ভার্ডের বর্তমান ছাত্র-শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সবাই স্বীকার করেন যে, তাদের আগের সেই নেতৃস্থানীয় অবস্থান এখন আর নাই তা সত্ত্বেও তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান নিয়ে হতাশ নন। হার্ভার্ডের সাবেক ডিন ও কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক হ্যারি লুইস বলছেন, ‘এ্যাপ্লাইড সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে হার্ভার্ডের সম্পর্ক কোন সময়ই খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না। এ বিষয়গুলোকে ঠিক যেন ভদ্রলোকের কাজ বলে গণ্য করা হতো না। সাধারণত কলেজ ইউনিভার্সিটির র্যাঙ্কিংয়ের দিকে সবার নজর থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রকৃত মান নিয়ে অনেকেই চিন্তাভাবনা করে না। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির শীর্ষে উঠে আসার একটি ভৌগোলিক কারণও রয়েছে। সেটা হলো ইউনিভার্সিটি যেখানে অবস্থিত তার ধারেকাছেই সিলিকন ভ্যালির অবস্থান।
গুগল, ইয়াহু, সিসকোর মতো টেক জায়ান্টের অধিকাংশের অবস্থান এখানে এবং এখান থেকেই এ সব কোম্পানির অনেক নির্বাহী কর্মকর্তা বেরিয়ে এসেছেন। শিক্ষাবিদদের অনেকে মনে করেন, সিলিকন ভ্যালির নৈকট্য শিক্ষার্থীদের কাছে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে, যা প্রকৃত শিক্ষার মানকে নাও তুলে ধরতে পারে। - ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস।
No comments:
Post a Comment