খুলনায় ভারি বর্ষণে গ্রামে স্বস্তি, শহরে দুর্ভোগ
পানিবন্দী হয়ে পড়ে শহরবাসী ॥ গ্রামে খরায় চৌচির মাঠে পানির পরশ
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ শনিবার দেড় ঘণ্টার ভারি বর্ষণে খুলনা মহানগরীর অধিকাংশ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। বহু বাড়ি-ঘরের নিচতলা ও দোকানে পানি ঢুকে পড়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জীবনযাত্রা। ব্যাহত হয় সকল প্রকারের যানবাহন চলাচল। রাস্তায় হাঁটুর ওপরে পানি জমে যাওয়ায় পথচারীর সকলেই বিপাকে পড়েন। পানিবন্দী হয়ে পড়ে নিচু এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। এদিকে মৌসুমের প্রথম এই ভারি বর্ষণে গ্রামাঞ্চলে স্বস্তি ফিরে এসেছে। খরায় চৌচির হয়ে যাওয়া গ্রামের মাঠ পানির পরশ পেয়েছে। খাল-বিল, পুকুর ও মৎস্য ঘেরগুলো পানিতে ভরে উঠেছে। এতে নতুন উদ্যমে চাষাবাদ শুরু করার সুযোগ পাবে কৃষকরা।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে ভারি বর্ষণ হয়েছে একটানা দেড় ঘণ্টা। এদিকে অবিরাম বর্ষণের কারণে নগরীর রয়্যাল মোড়, শান্তিধাম মোড়, ডাকবাংলা, পিটিআই মোড়, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, ইসলামপুর রোড, শাসুর রহমান রোডসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যায়। এতে স্কুল-কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাজারে যেতে সকলস্তরের মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকে হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট কিংবা পরিধেয় অন্য কাপড় গুটিয়ে জুতা বা স্যান্ডেল হাতে নিয়ে রাস্তায় ড্রেন থেকে উপচে পড়া নোংরা পানিতে ভিজে গন্তব্যে পৌঁছান। আর যারা যাতায়াতের জন্য রিক্সা, অটোরিক্সা বা অন্য কোন যান ব্যবহার করছেন তাদের কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হয়।
জানা গেছে, মৌসুমের প্রথম একটানা ভারি বর্ষণে নগরীর মতিয়াখালী, লবণচরা, তালতলা, মিস্ত্রিপাড়া, নবীনগর, মিয়াপাড়া, বাগমারা, নিরালাসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানিতে বাড়িঘরও তলিয়ে গেছে। নিচু এলাকাসমূহে সৃষ্টি হয়েছে জলবদ্ধতা। শহরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ছাপিয়ে পানি আশপাশের দোকান ও বাড়ির নিচ তলায় প্রবেশ করে। এতে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ভিজে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হন। বহু বসতঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের স্বাভাবিক চলাফেরা, কাজকর্ম, রান্নাবান্না সবই বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরের পর থেকে শহরের উঁচু এলাকাসমূহের পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলেও নিচু এলাকার বিপুল জনগোষ্ঠীকে পানিবন্দী হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এদিকে দীর্ঘদিন খুলনায় বৃষ্টি না হওয়ায় গ্রামাঞ্চলের মাঠ ঘাট শুকিয়ে যায়। মাঠে থাকা সবজি ক্ষেত রোদে পুড়ে মারা যেতে থাকে। মৎস্য ঘেরগুলো পানি শূন্য হয়ে মরে যেতে থাকে চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ। তীব্র গরমে চরম অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় কয়েকদিন আগে থেকে মাঝে মধ্যে ছিটোফোঁটা বৃষ্টি হলেও তা কৃষি কাজে ও মৎস্য চাষীদের তেমন উপকারে আসেনি। শনিবার মৌসুমের প্রথম এই ভারি বৃষ্টিতে কৃষি খাতে ব্যাপক উপকার হবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সবজি ও আউশ ধানের ব্যাপক উপকার বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে ভারি বর্ষণ হয়েছে একটানা দেড় ঘণ্টা। এদিকে অবিরাম বর্ষণের কারণে নগরীর রয়্যাল মোড়, শান্তিধাম মোড়, ডাকবাংলা, পিটিআই মোড়, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, ইসলামপুর রোড, শাসুর রহমান রোডসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যায়। এতে স্কুল-কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাজারে যেতে সকলস্তরের মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকে হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট কিংবা পরিধেয় অন্য কাপড় গুটিয়ে জুতা বা স্যান্ডেল হাতে নিয়ে রাস্তায় ড্রেন থেকে উপচে পড়া নোংরা পানিতে ভিজে গন্তব্যে পৌঁছান। আর যারা যাতায়াতের জন্য রিক্সা, অটোরিক্সা বা অন্য কোন যান ব্যবহার করছেন তাদের কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হয়।
জানা গেছে, মৌসুমের প্রথম একটানা ভারি বর্ষণে নগরীর মতিয়াখালী, লবণচরা, তালতলা, মিস্ত্রিপাড়া, নবীনগর, মিয়াপাড়া, বাগমারা, নিরালাসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানিতে বাড়িঘরও তলিয়ে গেছে। নিচু এলাকাসমূহে সৃষ্টি হয়েছে জলবদ্ধতা। শহরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ছাপিয়ে পানি আশপাশের দোকান ও বাড়ির নিচ তলায় প্রবেশ করে। এতে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ভিজে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হন। বহু বসতঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের স্বাভাবিক চলাফেরা, কাজকর্ম, রান্নাবান্না সবই বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরের পর থেকে শহরের উঁচু এলাকাসমূহের পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলেও নিচু এলাকার বিপুল জনগোষ্ঠীকে পানিবন্দী হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এদিকে দীর্ঘদিন খুলনায় বৃষ্টি না হওয়ায় গ্রামাঞ্চলের মাঠ ঘাট শুকিয়ে যায়। মাঠে থাকা সবজি ক্ষেত রোদে পুড়ে মারা যেতে থাকে। মৎস্য ঘেরগুলো পানি শূন্য হয়ে মরে যেতে থাকে চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ। তীব্র গরমে চরম অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় কয়েকদিন আগে থেকে মাঝে মধ্যে ছিটোফোঁটা বৃষ্টি হলেও তা কৃষি কাজে ও মৎস্য চাষীদের তেমন উপকারে আসেনি। শনিবার মৌসুমের প্রথম এই ভারি বৃষ্টিতে কৃষি খাতে ব্যাপক উপকার হবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সবজি ও আউশ ধানের ব্যাপক উপকার বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html
No comments:
Post a Comment