নিধিরাম দপ্তর, সাংসদ তহবিলের কাজ দেখার ব্যবস্থাই নেই রাজ্যে
এই সময়: আগের সাংসদদের তহবিলের অর্থের কাজ এখনও শেষ হয়নি৷ ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে নতুন সাংসদরা নির্বাচিত হয়েছেন৷ কিন্ত্ত সাংসদ তহবিলের অর্থে চলা প্রকল্পগুলির কাজ কেমন চলছে, সরজেমিনে তা খতিয়ে দেখার কোনও ব্যবস্থা বা পরিকাঠামোই নেই রাজ্যের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের৷
সাংসদ তহবিলের অর্থ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের যে নির্দেশিকা রয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ডেপুটি সেক্রেটারি বা তার চেয়ে উচ্চপদস্থ কোনও অফিসাররাই কেবল সাংসদ তহবিলের অর্থে চলা প্রকল্পগুলি পর্যালোচনা করতে পারবেন৷ রাজ্যে এই কাজের দায়িত্ব পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের৷ অথচ, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এই দপ্তরে এখন কোনও ডেপুটি সেক্রেটারিই নেই! নেই স্পেশ্যাল সেক্রেটারিও৷ অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ছিলেন দু'জন৷ কিন্ত্ত তাঁদের মধ্যেও এক জন অবসর নিয়ে ফেলেছেন৷ আর রয়েছেন তিন জন মাত্র জয়েন্ট সেক্রেটারি৷ কিন্ত্ত ডেপুটি সেক্রেটারি বা তার চেয়ে উচ্চপদস্থ কোনও অফিসার না-থাকায় সাংসদ তহবিলের অর্থে চলা প্রকল্পগুলির পর্যালোচনা-কাজ করতেই পারছে না দপ্তর৷
বছরের শুরুতেই অবশ্য উন্নয়নের কাজে প্রশাসনিক রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৈরি হয়েছিল প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার৷ কিন্ত্ত, নিচুস্তরের অফিসাররাই শুধু নন, এক মাস হল সচিবও নেই পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরে৷ ৩০ এপ্রিল অবসর নিয়েছেন সচিব কে সাথিয়াভাসন৷ তার পর থেকে সচিবহীনই চলছে এই দপ্তর৷ দপ্তরের অফিসারদের বক্তব্য, প্রয়োজনে সাময়িক ভাবে মন্ত্রী না-থাকলেও দপ্তরের কাজ চলতে পারে৷ কিন্ত্ত সচিব ছাড়া কোনও দপ্তর চলে! রসিকতা করে কর্মচারীরা তাই এখন এই দপ্তরকে 'ডাম্পিং গ্রাউন্ড' বলছেন৷ দপ্তরে অনুমোদিত পদ ২৫০ হলেও অন্তত শ'খানেক কর্মচারী কম রয়েছেন৷ যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাও বুঝতে পারছেন না, তাঁদের কাজটা ঠিক কী?
'পরিবর্তনের সরকারে'র আমলে পরিসংখ্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন দপ্তর গড়তে গিয়েও অঙ্গহানি হয়েছে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের৷ এই দপ্তর থেকে ব্যুরো অফ অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক্স অ্যান্ড স্যাটিসটিক্সকে সরিয়ে জোড়া হয় নতুন দপ্তরে৷ ফলে ব্যুরো অফ অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক্স অ্যান্ড স্যাটিসটিক্সকের নেটওয়ার্কও এখন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের হাত ছাড়া৷ নেই নিজস্ব কোনও ডিরেক্টরেটও৷ জেলাগুলিতে যে সামান্য পরিকাঠামো অবশিষ্ট রয়েছে, তাতে আর কোনও মতেই কাজ চলছে না বলে জানাচ্ছেন দপ্তরের অফিসার, কর্মচারীরা৷
অথচ, সাংসদ ও বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের অর্থে চলা প্রকল্পগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরেরই৷ এখন বছরে এক জন সাংসদ এই তহবিলে পান ৫ কোটি টাকা৷ সেই হিসাবে পাঁচ বছরে রাজ্যের ৪২ জন লোকসভার সাংসদ মিলেই পান হাজার কোটি টাকারও বেশি৷ এর সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ, বিধায়কদের তহবিলের অর্থ যোগ করলে অঙ্কটা বিপুল৷ কিন্ত্ত, সরেজমিনে কাজ খতিয়ে দেখার পরিস্থিতিই নেই রাজ্যে৷
এই অবস্থায় আপাতত সাংসদ এলাকা উন্নয়নের অর্থে চলা প্রকল্প পর্যালোচনায় তৃতীয় পক্ষের নজরদারি চালু হয়েছে৷ মুম্বইভিত্তিক ইন্ডিয়ান রেজিস্ট্রার অফ শিপিংকে দেওয়া হয়েছে এই দায়িত্ব৷ প্রথম পর্বে জলপাইগুড়ি, হাওড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের পরে এখন রাজ্যের আরও ১০টি জেলাকে--বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে এই নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে৷
এই সময়: আগের সাংসদদের তহবিলের অর্থের কাজ এখনও শেষ হয়নি৷ ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে নতুন সাংসদরা নির্বাচিত হয়েছেন৷ কিন্ত্ত সাংসদ তহবিলের অর্থে চলা প্রকল্পগুলির কাজ কেমন চলছে, সরজেমিনে তা খতিয়ে দেখার কোনও ব্যবস্থা বা পরিকাঠামোই নেই রাজ্যের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের৷
সাংসদ তহবিলের অর্থ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের যে নির্দেশিকা রয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ডেপুটি সেক্রেটারি বা তার চেয়ে উচ্চপদস্থ কোনও অফিসাররাই কেবল সাংসদ তহবিলের অর্থে চলা প্রকল্পগুলি পর্যালোচনা করতে পারবেন৷ রাজ্যে এই কাজের দায়িত্ব পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের৷ অথচ, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এই দপ্তরে এখন কোনও ডেপুটি সেক্রেটারিই নেই! নেই স্পেশ্যাল সেক্রেটারিও৷ অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ছিলেন দু'জন৷ কিন্ত্ত তাঁদের মধ্যেও এক জন অবসর নিয়ে ফেলেছেন৷ আর রয়েছেন তিন জন মাত্র জয়েন্ট সেক্রেটারি৷ কিন্ত্ত ডেপুটি সেক্রেটারি বা তার চেয়ে উচ্চপদস্থ কোনও অফিসার না-থাকায় সাংসদ তহবিলের অর্থে চলা প্রকল্পগুলির পর্যালোচনা-কাজ করতেই পারছে না দপ্তর৷
বছরের শুরুতেই অবশ্য উন্নয়নের কাজে প্রশাসনিক রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৈরি হয়েছিল প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার৷ কিন্ত্ত, নিচুস্তরের অফিসাররাই শুধু নন, এক মাস হল সচিবও নেই পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরে৷ ৩০ এপ্রিল অবসর নিয়েছেন সচিব কে সাথিয়াভাসন৷ তার পর থেকে সচিবহীনই চলছে এই দপ্তর৷ দপ্তরের অফিসারদের বক্তব্য, প্রয়োজনে সাময়িক ভাবে মন্ত্রী না-থাকলেও দপ্তরের কাজ চলতে পারে৷ কিন্ত্ত সচিব ছাড়া কোনও দপ্তর চলে! রসিকতা করে কর্মচারীরা তাই এখন এই দপ্তরকে 'ডাম্পিং গ্রাউন্ড' বলছেন৷ দপ্তরে অনুমোদিত পদ ২৫০ হলেও অন্তত শ'খানেক কর্মচারী কম রয়েছেন৷ যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাও বুঝতে পারছেন না, তাঁদের কাজটা ঠিক কী?
'পরিবর্তনের সরকারে'র আমলে পরিসংখ্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন দপ্তর গড়তে গিয়েও অঙ্গহানি হয়েছে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের৷ এই দপ্তর থেকে ব্যুরো অফ অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক্স অ্যান্ড স্যাটিসটিক্সকে সরিয়ে জোড়া হয় নতুন দপ্তরে৷ ফলে ব্যুরো অফ অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক্স অ্যান্ড স্যাটিসটিক্সকের নেটওয়ার্কও এখন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের হাত ছাড়া৷ নেই নিজস্ব কোনও ডিরেক্টরেটও৷ জেলাগুলিতে যে সামান্য পরিকাঠামো অবশিষ্ট রয়েছে, তাতে আর কোনও মতেই কাজ চলছে না বলে জানাচ্ছেন দপ্তরের অফিসার, কর্মচারীরা৷
অথচ, সাংসদ ও বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের অর্থে চলা প্রকল্পগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরেরই৷ এখন বছরে এক জন সাংসদ এই তহবিলে পান ৫ কোটি টাকা৷ সেই হিসাবে পাঁচ বছরে রাজ্যের ৪২ জন লোকসভার সাংসদ মিলেই পান হাজার কোটি টাকারও বেশি৷ এর সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ, বিধায়কদের তহবিলের অর্থ যোগ করলে অঙ্কটা বিপুল৷ কিন্ত্ত, সরেজমিনে কাজ খতিয়ে দেখার পরিস্থিতিই নেই রাজ্যে৷
এই অবস্থায় আপাতত সাংসদ এলাকা উন্নয়নের অর্থে চলা প্রকল্প পর্যালোচনায় তৃতীয় পক্ষের নজরদারি চালু হয়েছে৷ মুম্বইভিত্তিক ইন্ডিয়ান রেজিস্ট্রার অফ শিপিংকে দেওয়া হয়েছে এই দায়িত্ব৷ প্রথম পর্বে জলপাইগুড়ি, হাওড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের পরে এখন রাজ্যের আরও ১০টি জেলাকে--বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে এই নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে৷
No comments:
Post a Comment