Friday, May 30, 2014

ভাটির কুমার নদে ড্রেজিং ॥ ৬৬ বছর পর মরা গাঙে বান ডেকেছে ০ টেকেরহাট-মুকসুদপুর নৌচলাচল শুরু ০ মাদারীপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত নৌচলাচল এখন সময়ের ব্যাপার

ভাটির কুমার নদে ড্রেজিং ॥ ৬৬ বছর পর মরা গাঙে বান ডেকেছে
০ টেকেরহাট-মুকসুদপুর নৌচলাচল শুরু
০ মাদারীপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত নৌচলাচল এখন সময়ের ব্যাপার
সুবল বিশ্বাস, মাদারীপুর ॥ চৌহদ্দীর প্রফুল্ল বৈরাগী খালই হাতে (মাছ রাখার পাত্রের স্থানীয় নাম) বাবার পেছন পেছন হাঁটত। বাবা জাল ফেলতেন ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ উঠত। সে কি আনন্দ। সেও বছর চল্লিশ আগের কথা। তখন কুমার মরতে শুরু করেছে। সময়ের সঙ্গে জল আর জালেই প্রফুল্লও জড়িয়ে পড়লেন। কিন্তু জীবনের শুরুতেই বড় ধাক্কা। চোখের সামনে ধীরে ধীরে মরে গেল কুমার। মরা গাঙের দিকে তাকাতে বুকের মধ্যে হু হু করে উঠত। কিন্তু সেই প্রফুল্লর চোখে মুখে আজ খুশির ঝিলিক। মরা গাঙে বান ডেকেছে। মরা নদটি খনন করে জীবন ফিরিয়ে দেয়ায় প্রফুল্লর মতো হাজারো মানুষের জীবনে এসেছে সুদিন। শুধু প্রফুল্ল কেন উজান-ভাটির কুমারের দু’পাশের মানুষের যেন খুশির অন্ত নেই।
পেয়ারপুরের লিটন মিয়া বললেন, কোনদিন চিন্তাও করিনি এই নদীতে আবার জোয়ার আসবে। পানির কষ্টে আমরা জর্জরিত ছিলাম। কিন্তু এখন সেই কষ্ট ঘুচেছে। পশ্চিম আপাশির রিনা বেগম বলেন, আমরা খুব খুশি। এখন আর আমাদের পানির কোন কষ্ট নাই। পেয়ারপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ইমাম মোস্তফা কামাল বলেন, নদী খননের মাধ্যমে যারা এই পানির কষ্ট নিরসন করেছেন আল্লাহ যেন তাদের সুখে রাখেন। বদরপাশা গ্রামের শামিম আরা বলেন, আমরা কল্পনাও করতে পারিনি এই নদীর পানিতে আবার সংসারের কাজ করতে পারব। নয়ানগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, লাখ লাখ মানুষের চাহিদা পূরণ করেছে ভাটির কুমার খনন করে।
মৃতপ্রায় উজানের কুমার নদের ২২ কিলোমিটার পুনর্খনন করায় মাদারীপুরের টেকেরহাট থেকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পর্যন্ত নতুন করে শুরু হয়েছে নৌ-চলাচল। শুধু সাধারণ নৌযান নয়, সেখানে ৮ ফুট ড্রাফটের নৌযানও নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারছে। সঙ্গে হয়েছে ১৮ কিলোমিটার ভাটির কুমার নদ। ফলে ৬৬ বছর বন্ধ হয়ে থাকা কুমার ফিরে পেয়েছে তার হারানো ঐতিহ্য। একই সঙ্গে মাদারীপুর-টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-মুকসুদপুর হয়ে সরাসরি খুলনার সঙ্গে নৌ চলাচল শুরু এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। আগামী বছর জুন মাসের মধ্যে এর খনন কাজ শেষ হলে, কুমার নদের সোনালি দিন ফিরে আসবে। এখনই ১৮ কিমি ভাটির কুমার খনন কাজ সম্পন্ন হওয়ায় উজানে-ভাটিতে কুমার নদের সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। শুরু হয়েছে নৌ চলাচল। গৃহস্থালির কাজে নদের পানির চাহিদা মিটিয়ে কৃষি জমিতে সেচের সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে। চালু হয়েছে নৌ পরিবহন ব্যবস্থা। নির্বিঘেœ মাদারীপুর থেকে টেকেরহাট শংকরদির পাড় হয়ে বড় বড় ট্রলার, নৌকা, কার্গো চলাচল করছে। নদী খননের ফলে দুই পাড়ের মানুষ জীবিকা নির্বাহে নদীকে কাজে লাগিয়ে আহরণ করছে মাছ। উভয়পাড়ে চলছে শাক-সবজির চাষ। নিজেদের চাহিদা পূরণ ছাড়াও এদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত হচ্ছে।
টেকেরহাট হতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পর্যন্ত নৌযান নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারায় নৌপথে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সাশ্রয়ী হয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। রাজৈর ও টেকেরহাট উপজেলার মোস্তফাপুর, আপাসী, কবিরাজপুর, হরিদাসদী, শাখারপাড়, হাসানকান্দি, টেকেরহাট, বোলতলী, কংসুর গঙ্গারামপুর, কলিগ্রাম জলিলপাড়, মানিকদাহসহ প্রায় ২২ গ্রামের প্রায় এক কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে মাদারীপুর-চরমুগরিয়া-টেকেরহাট-গোপালগঞ্জে নৌপথ ছিল। ছিল নৌ-সার্ভিস। কালের বিবর্তনে উজানে পলি জমে ভরাট হয়ে যায় কুমার নদ। হারিয়ে ফেলে নাব্য। ফলে এ অঞ্চলের একসময়ের পাট শিল্প ও পাট বাণিজিক কেন্দ্র হিসেবে ঐতিহ্যবাহী চরমুগরিয়া বন্দর হারিয়ে ফেলে সুখ্যাতিও। আবার সেই ঐতিহ্য ফিরে পাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
২০১১ সালে ১৪৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদারীপুর-চরমুগরিয়া, টেকেরহাট ও গোপালগঞ্জ ২০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ৬০ দশমিক ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
সরকার ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে মাদারীপুর-চরমুগরিয়া, টেকেরহাট ও গোপালগঞ্জ নৌপথের আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদ খনন কাজ শুরু করে। বিআইডব্লিটিএ নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে নৌযান চলাচল করে দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে বলে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা।
দরপত্র অনুযায়ী, নদী খননের মাটি দিয়ে নদীর দুই তীরে রাস্তায় তিন লেভেলে বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। যা থেকে আগামী ১০ বছরে খননের সমস্ত ব্যয় উঠে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান। ১০ প্যাকেজের মাধ্যমে ৬০ দশমিক ৫০ ভাগ কাজ হয়েছে। ২০১৫ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
এ ব্যাপারে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান জনকণ্ঠকে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে নৌ-বিপ্লব ঘটেছে। ৮৭০ কিলোমিটার নৌপথ আমরা খনন করেছি। ৬৬ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ভাটির কুমার এখন সচল হয়েছে। একসময় এখানে অজুর পানিও থাকত না। নদীর বুকে ধান চাষ হতো। বর্তমানে সেই নদীতে এখন নৌ-চলাচল শুরু করেছে।’
বিআইডব্লিউটিএ প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) আব্দুল মতিন জনকণ্ঠকে বলেন, ‘এ দেশের পরিবহন সেক্টরে নৌপরিবহন ব্যবস্থা একটি সাশ্রয়ী, আরামদায়ক ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ মাধ্যম। কিন্তু নাব্য সঙ্কটের কারণে ধীরে ধীরে এই ঐতিহ্যবাহী নৌপথ আমরা হারাতে বসেছি। নৌপথের নাব্য ফিরিয়ে এনে দেশের আবহমান ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারসহ সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই বিআইডব্লিউটিএ ড্র্রেজিংয়ের মাধ্যমে মাদারীপুর-চরমুগরিয়া-টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ নৌপথের নাব্য ফিরিয়ে এনে এ অঞ্চলের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
প্রকল্প পরিচালক ছাইদুর রহমান বলেন, ‘মাদারীপুর-চরমুগুরিয়া-টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ নৌপথ খনন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের মাদারীপুর হতে মোস্তফাপুর পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার, চরমুগুরিয়া থেকে ওআইসি পলি পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার, ভাটির কুমার নদের মোস্তফাপুর হতে টেকেরহাট প্রায় ১৮ কিলোমিটার এবং মধুমতি নদীর টেকেরহাট হতে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কিলোমিটার অর্থাৎ প্রায় ৬৫ কিলোমিটার নৌপথের ড্রেজিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এসব প্রকল্পের আওতায় মাদারীপুরের রাস্তি ইউনিয়নের রূপরাইয়া এলাকায় নদী খননের পলি মাটি লক্ষ্মীগঞ্জ, রূপরাইয়া নামক বাঁওড়ে ফেলার ফলে বাঁওড়ের প্রায় ৭৫-৮০ একর অনাবাদী জমি আবাদী জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা বেলাল হোসেন বলেন, ড্রেজিংয়ের মাটি শাখারপাড়া প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে নিচু জায়গায় ফেলার ফলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা খেলাধুলা করতে পারছে। এ বিদ্যা প্রতিষ্ঠান দুটোর কোন খেলার মাঠ ছিল না। সরকারের এই প্রকল্প গ্রহণের কারণে নিচু জায়গা ভরাট করে পূর্ণাঙ্গ খেলাধুলার মাঠ করা হয়েছে।
হরিদাসদী ও মহেন্দ্রদী গ্রাম ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম বেপারি বলেন, নদী ড্রেজিং করা মাটি হরিদাসদী ও মহেন্দ্রদী গ্রামের নিচু ও ডোবা এলাকায় ফেলার ফলে এ দু’টো গ্রামের পরিবেশ উন্নত হয়েছে। স্থায়ীয় জমির মূল্য বেড়েছে। ড্রেজিংয়ের মাটি দিয়ে গ্রাম দুটির মধ্য দিয়ে রাস্তা করা হয়েছে। রাস্তাটি সরকারীভাবে করতে গেলে সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হতো।
হাসানকান্দি ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র শিকদার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে কোন খেলার মাঠ ছিল না। এমনকি নামাজ পড়ার জায়গা থাকলেও নামাজ পড়ার মতো কোন ব্যবস্থাও ছিল না। প্রায় তিন একর নিচু জায়গায় ড্রেজিংয়ের মাটি ফেলার ফলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত খেলাধুলা করার মতো সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের নৌপরিবহনমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়ের নিচু প্রায় ৩ একর জায়গায় মাটি ফেলা সম্ভব হয়েছে। প্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব উদ্যোগে নিচু জায়গা ভরাট করতে হলে কম করে হলেও কোটি টাকা ব্যয় হতো। সরকারের ড্রেজিং প্রকল্প হাতে নেয়ায় একদিকে যেমন নদীতে নৌযান চলাচল করতে পারছে। অন্যদিকে এলাকারও উন্নয়ন হয়েছে।
মাহেন্দ্রদী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফ বলেন, মৃত ভাটির কুমার নদ খননের ফলে নদীতে প্রয়োজনীয় গভীরতায় সারা বছর পানি থাকায় মাছের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মৎসজীবীরা সারা বছর মাছ শিকার করে তাদের সচ্ছলতা বৃদ্ধি করতে পেরেছেন এবং নদীর গভীরতা থাকায় বর্ষাকালে পানি নদীর দুই পাড় উপচে প্রবাহিত না হওয়াতে বন্যার প্রকোপ হ্রাস পেয়েছে। ফলে এ অঞ্চলে ফসল, আবাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান।
এছাড়া নদীর ড্রেজিং করা বালু পাঠককান্দি হিন্দুদের তীর্থস্থান, মাদারীপুর পৌরসভার কবরস্থান (এআর হাওলাদার জুট মিলের মধ্যে), সরকারী ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নিচু জায়গা, শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্সের নিচু জায়গা, সরকারী নাজিমউদ্দিন কলেজ মাঠ, পাবলিক স্কুল মাঠ, মোস্তফাপুরের মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান কলেজ মাঠ, মোস্তফাপুর কৃষি মার্কেট, ঘটকচর বাজার এলাকা, কুকরাইল মসজিদ ও মাদ্রাসার নিচু জায়গা, চরমুগরিয়ায় গরুর হাট, চরমুগরিয়ায় ঈদগাহ মাঠ, বালিকা বিদ্যালয় মাঠ, নয়ারচর গুচ্ছগ্রামের নিচু জায়গা, চরমুগরিয়ায় শিপ পার্সোনেল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের নিচু জায়গা, গাছবাড়িয়ায় ৩টি ও নয়ারচরের ১টি মসজিদের নিচু জায়গা, গাছবাড়িয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পতিত প্রায় ২০ একর নিচু জায়গা, চোকদার ব্রিজ এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা ও প্রাইমারী স্কুলের মাঠ ভরাট করে ভূমি উন্নয়ন করা হয়েছে।
অপরদিকে মধুমতি নদী খনন করা ড্রেজিংয়ের বালু গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গঙ্গারামপুর প্রাইমারী স্কুলের মাঠ, কলিগ্রাম গির্জার নিচু জায়গার প্রায় ১০ একর অনাবাদী জমি আবাদী জমিতে রূপান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কলিগ্রাম খ্রীস্টান কবরস্থান, তালবাড়িয়া হিন্দুদের মন্দিরের নিচু জায়গা, কলিগ্রাম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বসতি স্থানের পাশ দিয়ে নিচু জায়গাসমূহ ও গঙ্গারামপুর, কংসুর, সাতপাড় এলাকায় পাউবোর প্রায় ২৭ একর রাস্তার পাশে নিচু জায়গা, কনপাড়া পূর্ব নিদ্রা গ্রাম খেলার মাঠ, আশ্রয়কেন্দ্র, বৌলতলী বাজারসংলগ্ন ৮২ পরিবারের নিচু জায়গা ভরাট করে ভূমি উন্নয়ন করা হয়।
উজান কুমার নদ খনন করা ড্রেজিংয়ের বালু শাখারপাড় হাইস্কুল, প্রাইমারী স্কুল, মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠ, রাস্তার দুই পাশে নিচু, শাখারপাড় ভাঙ্গনরোধে মাটি ফেলা হয়েছে। হরিদাসদী মাতবর বাড়ী কবরস্থান, মহেন্দ্রদী উচ্চ বিদ্যালয়, পশ্চিম মহেন্দ্রদী মুন্সিবাড়ী কবরস্থান, হরিদাসদী গ্রামের রাস্তার দুই পাশে নিচু জায়গা, ভাটিয়াকান্দি গ্রামের রাস্তার দুই পাশে নিচু জায়গা, পশ্চিম মহেন্দ্রদী রাস্তার দুই পাশে নিচু জায়গা, হরিদাসদী, ভাটিয়াকান্দি, পশ্চিম মহেন্দ্রদী গ্রামের ডোবা, নালা, নিচু জায়গা ভরাট করে ভূমি উন্নয়ন করা হয়েছে।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2014-05-31&ni=174503

No comments:

Post a Comment