প্রতিরক্ষায় শতভাগ বিদেশী লগ্নির প্রস্তাব মোদি সরকারের
ক্ষমতায় যাওয়ার পর দেশেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উৎপাদনে প্রত্যক্ষ বিদেশী লগ্নির সীমা ২৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি ‘নোট’ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলে নিঃসন্দেহে তা হবে দেশটির আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে একটা বড় সিদ্ধান্ত। খবর ওয়েবসাইটের।
২০০১ সালের মে মাসেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে বিদেশী লগ্নির ছাড়পত্র দেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্পর্শকাতর এই ক্ষেত্রে এর সর্বোচ্চ সীমা ২৬ শতাংশেই বেঁধে দেয়া হয়। তবে মোদি সরকারের আমলে তা শুধু বাড়িয়ে দেয়াই নয়, ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতে খরচের হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় প্রথমসারিতে রয়েছে ভারত। কিন্তু প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের একটা বড় অংশ দেশটিকে অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ পরিস্থিতি বদলে দিয়ে উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করতেই সরকার নতুন পথে হাঁটতে চলছে বলে সরকার পক্ষ যুক্তি দেখাচ্ছে। বলা হচ্ছে, এর ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ব্যয় অনেক কমে যেতে পারে। যদিও নতুন সরকারের তরফে এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের কর্মচারীদের ৩টি সংগঠনই আপত্তি জানাবে বলে দাবি করেছেন শ্রমিক সংগঠন সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন। তাঁর মতে, গোটা বিষয়টি যেহেতু দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত, তাই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মাধ্যমেই প্রতিরক্ষা উৎপাদন বাড়ানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে সঙ্ঘ পরিবারের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘও এ ধরনের প্রস্তাবের বিরোধিতায় তাঁদের পাশেই রয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তবে এ বিতর্কের ভেতরেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে আরএসএস। নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল বলেন, যুদ্ধবিমান থেকে সাবমেরিন যাই হোক না কেন, বিদেশ থেকে আমদানির জন্য দেশকে নির্ভর করে থাকতে হবে কেন? এ সব তো আমরা দেশেই উৎপাদন করতে পারি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর প্রস্তাবের সমর্থনে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী সমিতির সদস্য থাকার সুযোগ হয়েছে আমার।
সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ১০০ শতাংশ আমদানি করার থেকে দেশে এর উৎপাদনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করাটাই উত্তম। এর ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। এ ধরনের যুক্তি ও পাল্টা বক্তব্য স্পষ্ট করে দিচ্ছে, নতুন সরকারের এ উদ্যোগ আগামী দিনগুলোতে বড় ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে। এর ভেতরেই মোদি সরকার রেল ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও বিদেশী লগ্নির দরজা খুলে দিতে চলছে বলে সরকারী সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মোদি সরকারের প্রথম সাধারণ বাজেট ও রেল বাজেটে এ সংক্রান্ত ঘোষণা থাকতে পারে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
২০০১ সালের মে মাসেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে বিদেশী লগ্নির ছাড়পত্র দেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্পর্শকাতর এই ক্ষেত্রে এর সর্বোচ্চ সীমা ২৬ শতাংশেই বেঁধে দেয়া হয়। তবে মোদি সরকারের আমলে তা শুধু বাড়িয়ে দেয়াই নয়, ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতে খরচের হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় প্রথমসারিতে রয়েছে ভারত। কিন্তু প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের একটা বড় অংশ দেশটিকে অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ পরিস্থিতি বদলে দিয়ে উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করতেই সরকার নতুন পথে হাঁটতে চলছে বলে সরকার পক্ষ যুক্তি দেখাচ্ছে। বলা হচ্ছে, এর ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ব্যয় অনেক কমে যেতে পারে। যদিও নতুন সরকারের তরফে এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের কর্মচারীদের ৩টি সংগঠনই আপত্তি জানাবে বলে দাবি করেছেন শ্রমিক সংগঠন সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন। তাঁর মতে, গোটা বিষয়টি যেহেতু দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত, তাই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মাধ্যমেই প্রতিরক্ষা উৎপাদন বাড়ানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে সঙ্ঘ পরিবারের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘও এ ধরনের প্রস্তাবের বিরোধিতায় তাঁদের পাশেই রয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তবে এ বিতর্কের ভেতরেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে আরএসএস। নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল বলেন, যুদ্ধবিমান থেকে সাবমেরিন যাই হোক না কেন, বিদেশ থেকে আমদানির জন্য দেশকে নির্ভর করে থাকতে হবে কেন? এ সব তো আমরা দেশেই উৎপাদন করতে পারি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর প্রস্তাবের সমর্থনে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী সমিতির সদস্য থাকার সুযোগ হয়েছে আমার।
সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ১০০ শতাংশ আমদানি করার থেকে দেশে এর উৎপাদনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করাটাই উত্তম। এর ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। এ ধরনের যুক্তি ও পাল্টা বক্তব্য স্পষ্ট করে দিচ্ছে, নতুন সরকারের এ উদ্যোগ আগামী দিনগুলোতে বড় ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে। এর ভেতরেই মোদি সরকার রেল ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও বিদেশী লগ্নির দরজা খুলে দিতে চলছে বলে সরকারী সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মোদি সরকারের প্রথম সাধারণ বাজেট ও রেল বাজেটে এ সংক্রান্ত ঘোষণা থাকতে পারে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment