বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার দাবিতে মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশ রক্ষায় রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনসহ (পবা)সহ কয়েকটি সংগঠন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে লালবাগ শহীদ নগর বেড়িবাঁধে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনোয়ার হোসেন, আসলাম খান, গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান, কৃষ্টি পরিষদ সভাপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, নবাবগঞ্জ সমাজকল্যাণ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমুখ। বিভিন্ন বক্তারা বলেন, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদী মহানগরী ঢাকার জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জীববৈচিত্র্যের বিশাল আধার। কিন্তু বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল কামরাঙ্গীরচর ব্যাটারিঘাট, কুড়াঘাট, পূর্বরসুলপুর হয়ে ঝাউলাহাটি, হাজারীবাগ ও গাবতলী দিয়ে বয়ে যাওয়া শাখা নদীর বুক বালু ভরাট, দখল ও দূষণের ফলে এটা ঢাকার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। চ্যানেলটি প্রায় সম্পূর্ণ অবৈধ দখলে চলে গেছে। এমনকি দখলদারদের অত্যাচারে ঢাকা শহররক্ষা বাঁধের প্রায় ১৫ সøুইস গেট বন্ধ হয়ে গেছে। পানি উন্নয়নের এর কোন রক্ষণাবেক্ষণ না করায় সøুইস গেটগুলোর এই করুণ হাল। তাঁরা বলেন, এতে বুড়িগঙ্গা ১৯৬০ সাল হতে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জলাশয় ও নিম্নাঞ্চল যথাক্রমে ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ ও ৫২ দশমিক ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্ন কিছু উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে মাত্র। কিন্তু ঢাকার প্রাণস্বরূপ বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধারে যা কোন কাজে আসেনি বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা। সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও নিম্নাঞ্চল ভরাট করছে অভিযোগ করে তারা আরও বলেন, জলাশয় ও নিম্নাঞ্চল ভরাট ও দখলের ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে নগরবাসী প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন। তাই জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশ রক্ষায় বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল অবিলম্বে পুনরুদ্ধার করা হোক। বুড়িগঙ্গার রক্ষা জন্য তারা ৬টি দাবি উত্থাপন করেন। এগুলো হচ্ছে সিএস রেকর্ড অনুযায়ী বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের সিমানা নির্ধারণ করে স্থায়ী পিলার স্থাপন করা, বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে প্রদত্ত ভূমি বরাদ্দসমূহ সরকার কর্তৃক অনতিবিলম্বে বাতিল করা, ব্যক্তি ও সংস্থার নামে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের রেকর্ডসমূহ আইনবহির্ভূত ঘোষণা করে সেগুলো বাতিল করা, সকল অবৈধ দখল ও স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদ করা, খনন করে আদি চ্যানেলের গতি প্রবাহ পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, নদী দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন, গৃহস্থালি বর্জ্য পানি প্রবাহে ফেলা থেকে বিরত থাকা, ট্যানারিগুলো জরুরী ভিত্তিতে স্থানান্তর এবং বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন ও বর্জ্য পরিশোধন করা, শিল্প কারখানায় বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন এবং নিয়মিত তা পরিচালনা করা, নৌযানের বর্জ্য ও তেল নদীতে ফেলা থেকে বিরত থাকা। এর আগে বুড়িগঙ্গার এই আদি চ্যানেল রক্ষার জন্য গত ২৬ মে র্যাব-১০ এর স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের জন্য নির্ধারিত রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গা পশ্চিমের শাখা নদী বুকে ৭ একর খাস জমির বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্য রক্ষা ও দখলমুক্ত করতে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে পাঁচ মন্ত্রীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে বুড়িগঙ্গা শাখা নদী তীরে ওই জমি র্যাবকে না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সময় টাস্কফোর্স বুড়িগঙ্গা এই আদি চ্যানেল মুক্তি করার জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে নদীর বুকে দখল উচ্ছেদ অভিযান চালাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনোয়ার হোসেন, আসলাম খান, গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান, কৃষ্টি পরিষদ সভাপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, নবাবগঞ্জ সমাজকল্যাণ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমুখ। বিভিন্ন বক্তারা বলেন, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদী মহানগরী ঢাকার জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জীববৈচিত্র্যের বিশাল আধার। কিন্তু বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল কামরাঙ্গীরচর ব্যাটারিঘাট, কুড়াঘাট, পূর্বরসুলপুর হয়ে ঝাউলাহাটি, হাজারীবাগ ও গাবতলী দিয়ে বয়ে যাওয়া শাখা নদীর বুক বালু ভরাট, দখল ও দূষণের ফলে এটা ঢাকার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। চ্যানেলটি প্রায় সম্পূর্ণ অবৈধ দখলে চলে গেছে। এমনকি দখলদারদের অত্যাচারে ঢাকা শহররক্ষা বাঁধের প্রায় ১৫ সøুইস গেট বন্ধ হয়ে গেছে। পানি উন্নয়নের এর কোন রক্ষণাবেক্ষণ না করায় সøুইস গেটগুলোর এই করুণ হাল। তাঁরা বলেন, এতে বুড়িগঙ্গা ১৯৬০ সাল হতে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জলাশয় ও নিম্নাঞ্চল যথাক্রমে ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ ও ৫২ দশমিক ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্ন কিছু উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে মাত্র। কিন্তু ঢাকার প্রাণস্বরূপ বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধারে যা কোন কাজে আসেনি বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা। সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও নিম্নাঞ্চল ভরাট করছে অভিযোগ করে তারা আরও বলেন, জলাশয় ও নিম্নাঞ্চল ভরাট ও দখলের ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে নগরবাসী প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন। তাই জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশ রক্ষায় বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল অবিলম্বে পুনরুদ্ধার করা হোক। বুড়িগঙ্গার রক্ষা জন্য তারা ৬টি দাবি উত্থাপন করেন। এগুলো হচ্ছে সিএস রেকর্ড অনুযায়ী বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের সিমানা নির্ধারণ করে স্থায়ী পিলার স্থাপন করা, বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে প্রদত্ত ভূমি বরাদ্দসমূহ সরকার কর্তৃক অনতিবিলম্বে বাতিল করা, ব্যক্তি ও সংস্থার নামে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের রেকর্ডসমূহ আইনবহির্ভূত ঘোষণা করে সেগুলো বাতিল করা, সকল অবৈধ দখল ও স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদ করা, খনন করে আদি চ্যানেলের গতি প্রবাহ পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, নদী দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন, গৃহস্থালি বর্জ্য পানি প্রবাহে ফেলা থেকে বিরত থাকা, ট্যানারিগুলো জরুরী ভিত্তিতে স্থানান্তর এবং বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন ও বর্জ্য পরিশোধন করা, শিল্প কারখানায় বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন এবং নিয়মিত তা পরিচালনা করা, নৌযানের বর্জ্য ও তেল নদীতে ফেলা থেকে বিরত থাকা। এর আগে বুড়িগঙ্গার এই আদি চ্যানেল রক্ষার জন্য গত ২৬ মে র্যাব-১০ এর স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের জন্য নির্ধারিত রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গা পশ্চিমের শাখা নদী বুকে ৭ একর খাস জমির বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্য রক্ষা ও দখলমুক্ত করতে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে পাঁচ মন্ত্রীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে বুড়িগঙ্গা শাখা নদী তীরে ওই জমি র্যাবকে না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সময় টাস্কফোর্স বুড়িগঙ্গা এই আদি চ্যানেল মুক্তি করার জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে নদীর বুকে দখল উচ্ছেদ অভিযান চালাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=27&dd=2014-05-31&ni=174583
No comments:
Post a Comment