দু’টাকার চাল প্রকল্প নিয়ে মোদীর দ্বারস্থ হচ্ছে মমতার সরকার
কৌশিক সরকার
বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক নির্বাচনী তরজা যাই হোক না কেন, তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়া-না যাওয়া নিয়ে যে বিতর্কই উঠুক না কেন, কেন্দ্র-রাজ্যের সম্পর্কের স্বাভাবিক পথেই হাঁটছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷
২ টাকা দেজি দরে গরিবদের চাল দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের সাহায্য চাইবে রাজ্যের খাদ্য দপ্তর৷ বছরে অতিরিক্ত ৫ লক্ষ টন চাল এবং ৩ লক্ষ টন গম বরাদ্দের আবেদন করবে কেন্দ্রকে৷ কারণ, রাজ্য চাইছে ওই প্রকল্পের আর্থিক দায় পুরোটাই মোদী সরকার বহন করুক, আগের মনমোহন সরকারকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও যা কানে তোলেনি৷
রাজ্যের ৩ কোটি ৩১ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের আওতায়৷ তার মধ্যে ১ কোটি ৩০ লাখ হল দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী৷ এঁদের পরিবারকে সদস্যপিছু সপ্তাহে ২ কেজি চাল ও ৭৫০ গ্রাম আটা দেওয়া হয়৷ যার পুরো খরচই কেন্দ্রের৷ তাছাড়া জঙ্গলমহল এলাকাতেও কোনও আর্থিক মানদণ্ড ছাড়াই কেন্দ্রর চাল-গম পান সকলে৷ কিন্ত্ত বাকি যে ২ কোটি মানুষ এই খাদ্য পান, তাঁদের খরচ রাজ্য সরকারের৷ কারণ কেন্দ্রীয় যে প্রকল্প তাতে এই সুবিধা কেবলমাত্র দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারীরাই পাবেন বলে নির্ধারিত রয়েছে৷ ২০১১ সালে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, গরিবদের তিনি ২ টাকা কিলোয় চাল দেবেন৷ ক্ষমতায় আসার পর তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রেখে গরিবদের সেই আওতায় আনেন, তাবে তাঁরা দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী নন৷ সিঙ্গুরের জমিহারা পরিবারও রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় আছে৷
এই অতিরিক্ত ২ কোটি মানুষকে চাল-গম দিতে রাজ্যের খরচ হয় মাসে ৯০ কোটি টাকা, বছরে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা৷ কারণ, রাজ্যের এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রর থেকে কোনও অতিরিক্ত বরাদ্দ মেলে না৷
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বৃহস্পতিবার বলেন, 'রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের নয়া সরকারের কাছে অচিরেই দাবি জানানো হবে, বছরে ৫ লক্ষ টন চাল এবং ৩ লক্ষ টন গম অতিরিক্ত বরাদ্দ করুক কেন্দ্র৷ এই বিষয়ে আলোচনা করতে জুনের প্রথম সপ্তাহেই দিল্লি যাবেন রাজ্যের খাদ্য কমিশনার৷' খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'আগের সরকারকে আমরা বারে বারেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলাম৷ আমরা মনে করি, এই থেকে বড় খাদ্য সুরক্ষার প্রকল্প দেশে দ্বিতীয়টি নেই৷ এ বার দেখতে চাই নতুন সরকার কোন পথে হাঁটে৷'
বুধবারই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রীদের বলে দিয়েছেন, রাজ্যগুলির উত্থাপিত বিষয়গুলি যেন সরাসরি তাঁর দপ্তরের গোচরে আনা হয়৷ ওয়াকিবহালমহল মনে করছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতোই রাজ্যগুলির সঙ্গে সু-সম্পর্ক মেনে চলতে আগ্রহী৷ সেই কারণেই গোড়াতেই রাজ্যের বিষয়গুলি তাঁর গোচরে আনার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী৷
সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাভাবিক চাহিদা মেটাতে কেন্দ্র বছরে প্রায় ১৫ লাখ টন চাল বরাদ্দ করে থাকে৷ দু-টাকা কিলো চালের প্রকল্পের জন্য বছরে দরকার হয় অতিরিক্ত ৪.৫ লাখ টন৷ কেন্দ্রের বিগত সরকার এই অতিরিক্ত চাল বরাদ্দ না করায় রাজ্যকে খোলা বাজার থেকে তা কিনতে হয়৷
এই প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে গরিবদের কাছে জনপ্রিয় করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তাই যে সামাজিক প্রকল্প রাজনীতিতেও লাভজনক, আর্থিক সঙ্কট সত্ত্বেও রাজ্য সরকার সেখান থেকে সরবে না বলেই মনে করছে তারা৷ ফলে 'আচ্ছে দিন' দেখার আশায় এ বার মোদীর কাছেই দরবার৷
বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক নির্বাচনী তরজা যাই হোক না কেন, তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়া-না যাওয়া নিয়ে যে বিতর্কই উঠুক না কেন, কেন্দ্র-রাজ্যের সম্পর্কের স্বাভাবিক পথেই হাঁটছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷
২ টাকা দেজি দরে গরিবদের চাল দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের সাহায্য চাইবে রাজ্যের খাদ্য দপ্তর৷ বছরে অতিরিক্ত ৫ লক্ষ টন চাল এবং ৩ লক্ষ টন গম বরাদ্দের আবেদন করবে কেন্দ্রকে৷ কারণ, রাজ্য চাইছে ওই প্রকল্পের আর্থিক দায় পুরোটাই মোদী সরকার বহন করুক, আগের মনমোহন সরকারকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও যা কানে তোলেনি৷
রাজ্যের ৩ কোটি ৩১ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের আওতায়৷ তার মধ্যে ১ কোটি ৩০ লাখ হল দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী৷ এঁদের পরিবারকে সদস্যপিছু সপ্তাহে ২ কেজি চাল ও ৭৫০ গ্রাম আটা দেওয়া হয়৷ যার পুরো খরচই কেন্দ্রের৷ তাছাড়া জঙ্গলমহল এলাকাতেও কোনও আর্থিক মানদণ্ড ছাড়াই কেন্দ্রর চাল-গম পান সকলে৷ কিন্ত্ত বাকি যে ২ কোটি মানুষ এই খাদ্য পান, তাঁদের খরচ রাজ্য সরকারের৷ কারণ কেন্দ্রীয় যে প্রকল্প তাতে এই সুবিধা কেবলমাত্র দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারীরাই পাবেন বলে নির্ধারিত রয়েছে৷ ২০১১ সালে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, গরিবদের তিনি ২ টাকা কিলোয় চাল দেবেন৷ ক্ষমতায় আসার পর তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রেখে গরিবদের সেই আওতায় আনেন, তাবে তাঁরা দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী নন৷ সিঙ্গুরের জমিহারা পরিবারও রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় আছে৷
এই অতিরিক্ত ২ কোটি মানুষকে চাল-গম দিতে রাজ্যের খরচ হয় মাসে ৯০ কোটি টাকা, বছরে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা৷ কারণ, রাজ্যের এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রর থেকে কোনও অতিরিক্ত বরাদ্দ মেলে না৷
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বৃহস্পতিবার বলেন, 'রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের নয়া সরকারের কাছে অচিরেই দাবি জানানো হবে, বছরে ৫ লক্ষ টন চাল এবং ৩ লক্ষ টন গম অতিরিক্ত বরাদ্দ করুক কেন্দ্র৷ এই বিষয়ে আলোচনা করতে জুনের প্রথম সপ্তাহেই দিল্লি যাবেন রাজ্যের খাদ্য কমিশনার৷' খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'আগের সরকারকে আমরা বারে বারেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলাম৷ আমরা মনে করি, এই থেকে বড় খাদ্য সুরক্ষার প্রকল্প দেশে দ্বিতীয়টি নেই৷ এ বার দেখতে চাই নতুন সরকার কোন পথে হাঁটে৷'
বুধবারই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রীদের বলে দিয়েছেন, রাজ্যগুলির উত্থাপিত বিষয়গুলি যেন সরাসরি তাঁর দপ্তরের গোচরে আনা হয়৷ ওয়াকিবহালমহল মনে করছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতোই রাজ্যগুলির সঙ্গে সু-সম্পর্ক মেনে চলতে আগ্রহী৷ সেই কারণেই গোড়াতেই রাজ্যের বিষয়গুলি তাঁর গোচরে আনার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী৷
সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাভাবিক চাহিদা মেটাতে কেন্দ্র বছরে প্রায় ১৫ লাখ টন চাল বরাদ্দ করে থাকে৷ দু-টাকা কিলো চালের প্রকল্পের জন্য বছরে দরকার হয় অতিরিক্ত ৪.৫ লাখ টন৷ কেন্দ্রের বিগত সরকার এই অতিরিক্ত চাল বরাদ্দ না করায় রাজ্যকে খোলা বাজার থেকে তা কিনতে হয়৷
এই প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে গরিবদের কাছে জনপ্রিয় করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তাই যে সামাজিক প্রকল্প রাজনীতিতেও লাভজনক, আর্থিক সঙ্কট সত্ত্বেও রাজ্য সরকার সেখান থেকে সরবে না বলেই মনে করছে তারা৷ ফলে 'আচ্ছে দিন' দেখার আশায় এ বার মোদীর কাছেই দরবার৷
http://eisamay.indiatimes.com/city/kolkata/mamata-govt-seeks-centres-help-to-provide-2-rupee/kg-rice-prjoect/articleshow/35736798.cms?
No comments:
Post a Comment