বি’বাড়িয়া ও নওগাঁয় বজ্রপাতে নিহত ৭
জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নওগাঁ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে সাতজন নিহত ও কমপক্ষে ৪৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর ভরাহাটে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বজ্রপাতে পাঁচজন নিহত এবং কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়। এছাড়া সকাল ৬টার দিকে পৃথক বজ্রপাতে পোরশা উপজেলার পাথরডাঙ্গা গ্রামের নূর মোহাম্মদের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩৫) নিহত হয়। আহতদের মধ্যে ২৭ জনকে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, সাতজনকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং ছয়জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন মহাদেবপুরের কিসমত-কসবা গ্রামের ইসমাইলের পুত্র আফজাল হোসেন (৪৫), লহ্মণপুর গ্রামের আজিমদ্দিনের পুত্র তাছির আলী (২৫), নলোবলো গ্রামে মৃত অছিরের পুত্র হবিবর (৩০) উত্তরগ্রাম গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের পুত্র শহিদুল (৪০), চৌমাশিয়া গ্রামের মোজাফ্ফর (৫৫), বাগধ্ন্ গ্রামের বিজন (৩৮), আফাজ (৪০), মনোহরপুর গ্রামের সুমিলনসহ ৪০ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে গ্যাস রেগুলেটরের ওপর বজ্রপাতের পর চারটি রেগুলেটরে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অগ্নিকা- ঘটে এবং ছয়টি ঘর ভস্মীভূত হয়। এছাড়া সদর উপজেলায় শুক্রবার দুপুরে পায়েল (১৬) নামে একজন মারা যায়।
জানা গেছে, শুক্রবার ছিল মহাদেবপুরের সরস্বতীপুর হাটবার। হাটে সকালেই বসে ধানের বাজার। হঠাৎ করে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। লোকজন নিকটস্থ পশুপ্রজনন কেন্দ্রের বারান্দায় আশ্রয় নেয়। এ সময় আকস্মিক বিকট শব্দে ওই প্রজনন কেন্দ্র ঘেঁষে হাটের মাঝখানে বজ্রপাত ঘটে। এতে হাটে আসা ধান ক্রেতা-বিক্রেতা ও প্রজনন কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজন আহত হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন নিহত এবং আরও অন্তত ৪০ জন আহত হয়। নিহতরা হলেন ভেবরি গ্রামের মহির উদ্দীনের পুত্র আফজাল হোসেন (৪২), চৌমাশিয়া গ্রামের ফারাজ উদ্দিনের পুত্র ভ্যানচালক হাফিজুল ইসলাম (৩৮), উত্তরগ্রামের পূর্বপাড়ার আব্দুল গফুরের পুত্র ভটভটি চালক শামসুল আলম (৪০), দাশড়া গ্রামের ইসমাইল আলীর পুত্র ইয়াকুব আলী (৩৪) এবং নওগাঁ সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের কাচুর পুত্র আজিজার রহমান (৪০)।
বজ্রপাতে হতাহতের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সংসদ সদস্য মোঃ ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম ও জেলা প্রশাসক মোঃ এনামুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানোসহ দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। আহতদের মধ্যে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি কৃষ্ণপুর গ্রামের মখর আলীর পুত্র আব্দুস সামাদ, ভবানীপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের পুত্র বেলাল, লহ্মণপুর গ্রামের আজিমের পুত্র আবুল কাশেম, উত্তরগ্রামের মোসলেমের পুত্র সাইদুর ও নওগাঁ সদর হাসপাতালে সরস্বতীপুর বাজারের কারিয়ার স্ত্রী পূর্ণিমা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পাঁচজনের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহতদের ৩৩ জনের চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। অন্য আহতদের শনাক্ত করে পরবর্তীতে তাদেরও সহায়তা দেয়া হবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুর রহমান সাংবাদিকদের জানান।
এদিকে সকাল ৬টার দিকে পোরশা উপজেলার গাঙ্গরিয়া ইউনিয়নের পাথরডাঙ্গা গ্রামে গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিন ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন। অপরদিকে প্রবল ঝড়ে জেলার মান্দা উপজেলার বানডুবি, নিমবাড়িয়া, প্রসাদপুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে, গাছপালা ভেঙ্গে মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বি’বাড়িয়ায় নিহত ১
শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের আটলা গ্রামের পায়েল (১৬) বজ্রপাতে মারা যায়। এ সময় আরও ৩জন আহত হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাসের রেগুলেটরের ওপর বজ্রপাতের পর চারটি রেগুলেটরে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অগ্নিকান্ডে ছয়টি ঘর ভস্মীভূত হয়। রাত প্রায় সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার বাড়ির গ্যাসের রেগুলেটরের ওপর বজ্রপাত হয়। রেগুলেটর বিস্ফোরণের পর পর আশপাশের আরও চারটি রেগুলেটর প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মান্নান মিয়ার ৬টি ঘর পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার ছিল মহাদেবপুরের সরস্বতীপুর হাটবার। হাটে সকালেই বসে ধানের বাজার। হঠাৎ করে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। লোকজন নিকটস্থ পশুপ্রজনন কেন্দ্রের বারান্দায় আশ্রয় নেয়। এ সময় আকস্মিক বিকট শব্দে ওই প্রজনন কেন্দ্র ঘেঁষে হাটের মাঝখানে বজ্রপাত ঘটে। এতে হাটে আসা ধান ক্রেতা-বিক্রেতা ও প্রজনন কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজন আহত হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন নিহত এবং আরও অন্তত ৪০ জন আহত হয়। নিহতরা হলেন ভেবরি গ্রামের মহির উদ্দীনের পুত্র আফজাল হোসেন (৪২), চৌমাশিয়া গ্রামের ফারাজ উদ্দিনের পুত্র ভ্যানচালক হাফিজুল ইসলাম (৩৮), উত্তরগ্রামের পূর্বপাড়ার আব্দুল গফুরের পুত্র ভটভটি চালক শামসুল আলম (৪০), দাশড়া গ্রামের ইসমাইল আলীর পুত্র ইয়াকুব আলী (৩৪) এবং নওগাঁ সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের কাচুর পুত্র আজিজার রহমান (৪০)।
বজ্রপাতে হতাহতের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সংসদ সদস্য মোঃ ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম ও জেলা প্রশাসক মোঃ এনামুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানোসহ দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। আহতদের মধ্যে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি কৃষ্ণপুর গ্রামের মখর আলীর পুত্র আব্দুস সামাদ, ভবানীপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের পুত্র বেলাল, লহ্মণপুর গ্রামের আজিমের পুত্র আবুল কাশেম, উত্তরগ্রামের মোসলেমের পুত্র সাইদুর ও নওগাঁ সদর হাসপাতালে সরস্বতীপুর বাজারের কারিয়ার স্ত্রী পূর্ণিমা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পাঁচজনের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহতদের ৩৩ জনের চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। অন্য আহতদের শনাক্ত করে পরবর্তীতে তাদেরও সহায়তা দেয়া হবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুর রহমান সাংবাদিকদের জানান।
এদিকে সকাল ৬টার দিকে পোরশা উপজেলার গাঙ্গরিয়া ইউনিয়নের পাথরডাঙ্গা গ্রামে গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিন ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন। অপরদিকে প্রবল ঝড়ে জেলার মান্দা উপজেলার বানডুবি, নিমবাড়িয়া, প্রসাদপুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে, গাছপালা ভেঙ্গে মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বি’বাড়িয়ায় নিহত ১
শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের আটলা গ্রামের পায়েল (১৬) বজ্রপাতে মারা যায়। এ সময় আরও ৩জন আহত হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাসের রেগুলেটরের ওপর বজ্রপাতের পর চারটি রেগুলেটরে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অগ্নিকান্ডে ছয়টি ঘর ভস্মীভূত হয়। রাত প্রায় সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার বাড়ির গ্যাসের রেগুলেটরের ওপর বজ্রপাত হয়। রেগুলেটর বিস্ফোরণের পর পর আশপাশের আরও চারটি রেগুলেটর প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মান্নান মিয়ার ৬টি ঘর পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়।
No comments:
Post a Comment