র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক ও আরিফ ফের রিমান্ডে
না’গঞ্জে সাত খুন
রুমন রেজা, নারায়ণগঞ্জ ॥ সেনাবাহিনী থেকে অবসরে পাঠানো র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও মেজর (অব) আরিফ হোসেনকে নারায়ণগঞ্জের ৭ হত্যা মামলায় তৃতীয় দফায় আবারও ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণের পর হত্যার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট এইচএম শফিকুল ইসলামের আদালতে পাঠানো হলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই মামলায় এর আগে ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুক্রবার কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে র্যাবের ২ কর্মকর্তাকে আগের মতোই মাথায় হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট গায়ে দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলেছেন, তারেক ও আরিফের এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দালিলিক প্রমাণ মিলেছে।
তারেক ও আরিফের জড়িত থাকার দালিলিক প্রমাণ মিলেছে ॥ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ ম-ল আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলেছেন, র্যাব-১১-এর সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত কালে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের সঙ্গে লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও মেজর আরিফ হোসেনের সখ্য গড়ে ওঠে। নূর হোসেন অপহরণ, গুম, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। সে ছিল সিদ্ধিরগঞ্জের গডফাদার। এসব অপরাধে তারাও জড়িয়ে পড়ে। ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। ইতোমধ্যেই ঘটনার দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও পারিপার্শ্বিক দালিলিক প্রমাণ মিলেছে লে. কর্নেল তারেক ও মেজর আরিফ জড়িত থাকার। ৮ দিনের রিমান্ডে থাকার সময় তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাই এসব তথ্য অধিকতর যাচাই-বাছাই করতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এ কারণে তাদের দু’জনকে আরও ৭ দিনের রিমান্ড দেয়ার আবেদন জানান।
ম্যাজিস্ট্রেট এইচএম শফিকুল ইসলামের আদালতে পাঠানো হলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই মামলায় এর আগে ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুক্রবার কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে র্যাবের ২ কর্মকর্তাকে আগের মতোই মাথায় হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট গায়ে দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলেছেন, তারেক ও আরিফের এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দালিলিক প্রমাণ মিলেছে।
তারেক ও আরিফের জড়িত থাকার দালিলিক প্রমাণ মিলেছে ॥ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ ম-ল আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলেছেন, র্যাব-১১-এর সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত কালে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের সঙ্গে লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও মেজর আরিফ হোসেনের সখ্য গড়ে ওঠে। নূর হোসেন অপহরণ, গুম, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। সে ছিল সিদ্ধিরগঞ্জের গডফাদার। এসব অপরাধে তারাও জড়িয়ে পড়ে। ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। ইতোমধ্যেই ঘটনার দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও পারিপার্শ্বিক দালিলিক প্রমাণ মিলেছে লে. কর্নেল তারেক ও মেজর আরিফ জড়িত থাকার। ৮ দিনের রিমান্ডে থাকার সময় তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাই এসব তথ্য অধিকতর যাচাই-বাছাই করতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এ কারণে তাদের দু’জনকে আরও ৭ দিনের রিমান্ড দেয়ার আবেদন জানান।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2014-05-31&ni=174506
No comments:
Post a Comment