Saturday, May 31, 2014

জলরঙে আঁকা নিসর্গ কাব্যিক অভিব্যক্তি আঙ্গিক নিরীক্ষা সৈয়দ জাহাঙ্গীরের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

জলরঙে আঁকা নিসর্গ কাব্যিক অভিব্যক্তি আঙ্গিক নিরীক্ষা
সৈয়দ জাহাঙ্গীরের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী
মোরসালিন মিজান ॥ সেই পঞ্চাশের দশকে শুরু। সৌভাগ্যবান ছাত্র শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে। মহান শিল্পীর কাছে শিখেছেন তিনি। নিজের উন্নত চেতনা বোধ বুদ্ধি ছিল। সৃজনশীলতা ছিল। তেমনি ছিল চেষ্টাটা। সব মিলিয়ে আজকের সৈয়দ জাহাঙ্গীর। জলরংয়ের বিখ্যাত শিল্পী। নিসর্গের প্রতি প্রেম তাঁর। প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য। বাংলার নদী, জল, নৌকা, কৃষক, মাঝি, মেঠোপথ তাঁকে সেই প্রথম জীবন থেকেই আকৃষ্ট করে রেখেছে। প্রেমটির কথা তিনি বলছেন তাঁর আঁকা ছবিতে। ড্রইংয়ে। একদমই গতানুগতিক নন শিল্পী। বরং আঙ্গিকগত নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। এভাবে খুব দেখা চারপাশ নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপিত হয়েছে। উদাহরণ- শিল্পীর ৪১তম একক চিত্রকলা প্রদর্শনী।
গুলশানের বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জে শনিবার শুরু হওয়া প্রদর্শনীর শিরোনাম- অফ ম্যান এ্যান্ড আর্থ। সন্ধ্যায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন শামসুল ওয়ারেস। এ সময় বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী পরিচালক নওশিন খায়ের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, সৈয়দ জাহাঙ্গীর অত্যন্ত গুণী শিল্পী। প্রচন্ড প্রেম নিয়ে ছবি আঁকেন তিনি। আজকের যে প্রদর্শনী সেটি তাঁর দীর্ঘ শিল্পী জীবনের ধারাবাহিকতা। শিল্পীর উৎকর্ষ আর সক্ষমতার কথা নতুন করে জানিয়ে দিচ্ছে এ প্রদর্শনী। তাঁর চিত্রকল্পে আমরা খুঁজে পাই প্রকৃতির প্রতি অনুরাগ, কাব্যিক অভিব্যক্তি এবং সংবেদনশীলতা। ছবি আঁকার পাশাপাশি শিল্পটিকে সমৃদ্ধ করতে সৈয়দ জাহাঙ্গীরের যে অবদান সেটিও স্বীকার করেন বক্তারা। শিল্পী শেষ দিন পর্যন্ত এভাবেই এঁকে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তাঁরা। আলোচনা ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন অতিথিরা। দেয়াল জুড়ে শিল্পকর্ম। সৈয়দ জাহাঙ্গীর যেন লোকায়ত জীবনের দৈনন্দিন নিযুক্তির আবেগজড়িত ল্যান্ডস্কেপ উপস্থাপন করেছেন। নিজস্ব শিল্পভাষা নির্মাণ করেছেন। কিছু কাজ বাস্তবধর্মী। অথচ প্রকাশভঙ্গির দিক থেকে প্রায়ই বিমূর্ত। নতুন নতুন ভাবনা, নতুন নতুন আঙ্গিক। বিষয়বস্তুকে নতুন ধারায় প্রকাশের চেষ্টাটি এখানেও লক্ষণীয়। এই শিল্পভাষা সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য।
তিন সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী ২১ জুন পর্যন্ত চলবে।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html

No comments:

Post a Comment