Saturday, May 31, 2014

হুলিগান ঠেকাতে বিশেষ নিরাপত্তা

হুলিগান ঠেকাতে বিশেষ নিরাপত্তা
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ নিয়ে ব্রাজিলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমনিতেই বেশ নাজুক। প্রায় প্রতিদিনই আইনরক্ষাকারী বাহিনীকে সামলাতে হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের। বিশ্বকাপ শুরু হলে এর সঙ্গে আরেকটি বড় ঝামেলা ঠেকাতে হবে ব্রাজিলকে। বিভিন্ন দেশের সমর্থকগোষ্ঠী কিংবা গ্রুপও আসবে ব্রাজিলে নিজ দলকে সমর্থন দিতে। এসব হুলিগানদের দিকেও রাখতে হবে বিশেষ নজর। নয়ত উটকো ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। সব মিলিয়ে তাই ব্রাজিল সরকার বিশ্বকাপ চলার সময় প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করবে। বিশ্বকাপবিরোধী বড় রকমের বিক্ষোভ তো আছেই প্রতিনিয়ত। এ ছাড়াও আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছে তা বিশ্বকাপের সময়ও চালিয়ে যাওয়ার। দিনকে দিন তীব্রতা বাড়ছে এ বিক্ষোভের, বাড়ছে সাধারণ মানুষের সংশ্লিষ্টতাও। এ ছাড়াও ভক্ত- সমর্থকদের ভয়ঙ্কর সহিংসতা বিভিন্ন বড় আসরের একটি বড় অংশ। অতীত ইতিহাসটাও উচ্ছৃঙ্খল দর্শকদের নানা ঘটনার সাক্ষী। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা সীমান্তের অন্তঃপ্রাণ সমর্থকরা, ইংল্যান্ড থেকে উড়ে আসা সমর্থক গ্রুপ এবং অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে আসা বিপুল পরিমাণ সমর্থকগোষ্ঠী বিশেষ গুরুত্ব সৃষ্টি করেছে জরুরী কিছু চিন্তা করার। এ কারণে প্রতিটি ভেন্যুতে আলাদাভাবে ১৮শ’ জন করে বেসরকারী নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। আরও ৭০০ ফেডারেশন এজেন্টকে মোতায়েন করা হবে যদি প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া স্থানীয় আয়োজকরা সিকিউরিটি ক্যামেরা, এক্স-রে মেশিন এবং মেটাল ডিটেক্টর স্থাপন করা হয়েছে। আকারে বড় ঢোল ‘কেইক্সিরোলা’ ইতোমধ্যেই স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় আয়োজকরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় আরেকটি বাঁশি বেশ শব্দদূষণ তৈরি করেছিল। সেটাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ব্রাজিল বিশ্বকাপে। এ ছাড়া অনেকেই বিভিন্ন সময়ে খেলা চলাকালীন কেইক্সিরোলা মাঠে ছুড়ে ফেলেছেন। এটিকে তাই মারাত্মক অস্ত্র হিসেবেই মনে করছেন আয়োজকরা। ব্রাজিলের সীমান্তসমূহেও ব্রাজিলের নিরাপত্তারক্ষীরা বিশেষভাবে মহড়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই কূটনৈতিক পর্যায়ে আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে গোয়েন্দাবাহিনীও আনার বিষয়ে কথা বলেছে ব্রাজিল সরকার। বিশেষ করে সেসব দেশের দাগী হুলিগানদের শনাক্ত করার সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেছে ব্রাজিলের গোয়েন্দা সংস্থা। এ বিষয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রোউসেফ বলেন, ‘আমরা ফিফার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় এসেছি। মূল উদ্দেশ্য সহিংসতা করে এমন ভক্ত-সমর্থকদের ক্ষতি থেকে বিশ্বকাপকে বাঁচানো। তাঁরা যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে সে জন্য নজর রাখা হবে, আর যদি কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আলামত পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে স্টেডিয়ামেই ঢুকতে দেয়া হবে না চিহ্নিতদের।’ অন্তত হাজার দশেক আর্জেন্টাইন ভক্ত-সমর্থক ব্রাজিল সীমান্ত পেরোবে এবার বিশ্বকাপে নিজ দেশকে সমর্থন দিতে।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html

No comments:

Post a Comment