মৃত্যুবার্ষিকীতে জিয়ার মাজারে খালেদা, শ্রদ্ধা নিবেদন
দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে বিএনপি। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টায় দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার মাজারে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এর পর মাজার প্রাঙ্গণে ওলামা দল আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন।
জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, এ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, দলের নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামীমুর রহমান শামীম, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সভাপতি নুরী আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ওলামা দলের সভাপতি এমএ মালেক ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব।
জিয়ার মাজারে খালেদা জিয়ার পুষ্পমাল্য অর্পণের পর পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগর বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, ছাত্রদল, মৎস্যজীবী দল, জাসাস, ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), এ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (এ্যাব), ওলামা দল, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, বাস্তুহারা দল, ভূমিহীন দল, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন অঙ্গ, সহযোগী ও পেশাজীবী সংগঠন পৃথকভাবে জিয়ার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ ছাড়া জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়ার মাজার প্রাঙ্গণে ড্যাব ও জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করে। এ কর্মসূচী উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময়ে ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক ও মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, জিসাস সভাপতি আবুল হাশেম রানাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন খালেদা : জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাজধানীর ২৪টি স্পটে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। মাজার থেকে বের হয়ে প্রথমেই মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে রাজধানী স্কুল মাঠে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন তিনি। এর পর একের পর এক মোহাম্মদপুর টাউন হল, শহীদ পার্ক মাঠ, ধানমন্ডির মেডিনোভা হাসপাতাল, কলাবাগানের কুপার্স প্রাঙ্গণ, নিউমার্কেট ও পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে খাবার বিতরণ করেন। পরে তিনি জুমার নামাজের সময়ে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে জিয়া মঞ্চে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। এ সময় সেখানে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এর পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয়তলায় নিজ কার্যালয়ে গিয়ে বিশ্রাম ও নামাজ আদায় করেন।
বেলা আড়াইটায় খালেদা জিয়া নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে শান্তিনগর বাজার এলাকায় খাবার বিতরণ করেন। এর পর তিনি শাহজাহানপুর মির্জা আব্বাসের বাসভবন প্রাঙ্গণ, মাহবুব আলী মিলনায়তন, মতিঝিল কলোনি কমিউনিটি সেন্টার, কমলাপুরের আইসিডি টার্মিনাল, সেগুনবাগিচা স্কুল, কচিকাঁচা কমিউনিটি সেন্টার ও জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের পর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, গুলিস্তানের কাপ্তান বাজার শপিং কমপ্লেক্স, নবাবপুরের মদনপাল লেন, ধোলাইখালের লিঙ্ক রোড মোড়, ধোলাইখাল মোড়, নয়াবাজার দলীয় কার্যালয় এবং সর্বশেষ বিকেল সাড়ে ৪টায় পুরান ঢাকার বংশালের নর্থ সাউথ রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সম্মুখে খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে প্রথমদিনের মতো দুস্থদের মধ্যে কাবার বিতরণ কার্যক্রম সমাপ্ত করে সরাসরি গুলশানের বাসায় চলে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
একই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর উত্তরার হাউসবিল্ডিং এলাকায় খালেদা জিয়া দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করবেন। রবিবার পর্যন্ত খালেদা জিয়ার এ কর্মসূচী চলবে। জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার দিনভর দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ শেষে মাগরিবের নামাজের পর বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
আন্দোলন বেগবান করাই লক্ষ্য ॥ নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগাম নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন বেগবান করাই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জিয়ার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জুলুমবাজ, ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন বেগবান করার শপথ নিতে হবে।
ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে জিয়ার নেতৃত্ব এদেশের মানুষ যুদ্ধে নেমেছিল। তার পর জিয়াউর রহমানই তলাবিহীন দেশকে পূর্ণ দেশে রূপান্তরিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র বিলুপ্ত। মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। তাই এখন সময় এসেছে জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার।
ফখরুল বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। গুম-অপহরণ-খুন-নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার এক অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। বর্তমান সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। তিনি সারাদেশে গুম, খুন, অপহরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
৬ জুন সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ॥ চিকিৎসার জন্য ৬ জুন রাতে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। চিকিৎসা শেষে ১১ জুন তিনি দেশে ফিরে আসবেন বলে জানা গেছে। এর আগে গত বছর ১০ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানকার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। চিকিৎসা শেষে ১৩ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি।
জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, এ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, দলের নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামীমুর রহমান শামীম, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সভাপতি নুরী আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ওলামা দলের সভাপতি এমএ মালেক ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব।
জিয়ার মাজারে খালেদা জিয়ার পুষ্পমাল্য অর্পণের পর পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগর বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, ছাত্রদল, মৎস্যজীবী দল, জাসাস, ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), এ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (এ্যাব), ওলামা দল, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, বাস্তুহারা দল, ভূমিহীন দল, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন অঙ্গ, সহযোগী ও পেশাজীবী সংগঠন পৃথকভাবে জিয়ার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ ছাড়া জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়ার মাজার প্রাঙ্গণে ড্যাব ও জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করে। এ কর্মসূচী উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময়ে ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক ও মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, জিসাস সভাপতি আবুল হাশেম রানাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন খালেদা : জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাজধানীর ২৪টি স্পটে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। মাজার থেকে বের হয়ে প্রথমেই মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে রাজধানী স্কুল মাঠে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন তিনি। এর পর একের পর এক মোহাম্মদপুর টাউন হল, শহীদ পার্ক মাঠ, ধানমন্ডির মেডিনোভা হাসপাতাল, কলাবাগানের কুপার্স প্রাঙ্গণ, নিউমার্কেট ও পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে খাবার বিতরণ করেন। পরে তিনি জুমার নামাজের সময়ে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে জিয়া মঞ্চে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। এ সময় সেখানে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এর পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয়তলায় নিজ কার্যালয়ে গিয়ে বিশ্রাম ও নামাজ আদায় করেন।
বেলা আড়াইটায় খালেদা জিয়া নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে শান্তিনগর বাজার এলাকায় খাবার বিতরণ করেন। এর পর তিনি শাহজাহানপুর মির্জা আব্বাসের বাসভবন প্রাঙ্গণ, মাহবুব আলী মিলনায়তন, মতিঝিল কলোনি কমিউনিটি সেন্টার, কমলাপুরের আইসিডি টার্মিনাল, সেগুনবাগিচা স্কুল, কচিকাঁচা কমিউনিটি সেন্টার ও জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের পর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, গুলিস্তানের কাপ্তান বাজার শপিং কমপ্লেক্স, নবাবপুরের মদনপাল লেন, ধোলাইখালের লিঙ্ক রোড মোড়, ধোলাইখাল মোড়, নয়াবাজার দলীয় কার্যালয় এবং সর্বশেষ বিকেল সাড়ে ৪টায় পুরান ঢাকার বংশালের নর্থ সাউথ রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সম্মুখে খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে প্রথমদিনের মতো দুস্থদের মধ্যে কাবার বিতরণ কার্যক্রম সমাপ্ত করে সরাসরি গুলশানের বাসায় চলে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
একই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর উত্তরার হাউসবিল্ডিং এলাকায় খালেদা জিয়া দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করবেন। রবিবার পর্যন্ত খালেদা জিয়ার এ কর্মসূচী চলবে। জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার দিনভর দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ শেষে মাগরিবের নামাজের পর বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
আন্দোলন বেগবান করাই লক্ষ্য ॥ নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগাম নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন বেগবান করাই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জিয়ার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জুলুমবাজ, ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন বেগবান করার শপথ নিতে হবে।
ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে জিয়ার নেতৃত্ব এদেশের মানুষ যুদ্ধে নেমেছিল। তার পর জিয়াউর রহমানই তলাবিহীন দেশকে পূর্ণ দেশে রূপান্তরিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র বিলুপ্ত। মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। তাই এখন সময় এসেছে জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার।
ফখরুল বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। গুম-অপহরণ-খুন-নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার এক অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। বর্তমান সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। তিনি সারাদেশে গুম, খুন, অপহরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
৬ জুন সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ॥ চিকিৎসার জন্য ৬ জুন রাতে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। চিকিৎসা শেষে ১১ জুন তিনি দেশে ফিরে আসবেন বলে জানা গেছে। এর আগে গত বছর ১০ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানকার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। চিকিৎসা শেষে ১৩ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=27&dd=2014-05-31&ni=174517
No comments:
Post a Comment