রবীন্দ্রনাথের সব গান গাইতে চাই ॥ স্বপন দত্ত
রবীন্দ্রসঙ্গীতে নিবেদিত শিল্পী স্বপন দত্ত। এ শিল্পীর কণ্ঠে ধারণকৃত তিনটি অডিও সিডির প্রকাশনানুষ্ঠান আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। এ্যালবাম ও সঙ্গীত সম্পর্কে কথা হয় গুণী এই শিল্পীর সঙ্গে।
আপনার এ্যালবাম সম্পর্কে বলুন..
স্বপন দত্ত : সাংস্কৃতিক সংগঠন আনন্দধারা এর আগে আমার দুটি এ্যালবাম প্রযোজনাসহ প্রকাশনার দায়িত্ব নিয়েছিল। এবার আমার দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ও একটি হারানো দিনের গানের অডিও সিডি প্রযোজনাসহ প্রকাশনার দায়িত্ব নিয়েছে আনন্দধারা। একই সঙ্গে আজ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে শিল্পী ফারহাদ হোসেনের কণ্ঠে ধারণকৃত দুটি একক রবীন্দ্রসঙ্গীতের এ্যালবাম। ‘দুই ধারার রবির গান’ শীর্ষক আমার গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতের এ্যালবাম দুটির মধ্যে একটির শিরোনাম ‘চিরসখা’। এর ১০টি গানই বৈতালিক। ‘চিরসখা ছেড়ো না মোরে’, ‘অন্ধজনে দেহ আলো’, ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’ সহ বেশ কিছু গান রয়েছে যেগুলো অল্পশ্রুত। ‘আনন্দলোকে’ শিরোনামের এ্যালবামেও রয়েছে ১০টি গান। ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’, ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে’, ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’সহ কয়েকটি তাল সম্বলিত গান। এ্যালবাম দুটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন সুরকার ও শিল্পী সুজেয় শ্যাম। ‘আজো সেই গান’ শিরোনামে আমার গাওয়া হারানো দিনের গানের এ্যালবামে রয়েছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, তালাত মাহ্মুদ, মৃণাল চক্রবর্তী, অখিল বন্ধু ঘোষ, জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, লতা মুঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বেশ কিছু শিল্পীর গাওয়া ১৬টি গান। এর বহহু যন্ত্রানুষঙ্গ তত্ত্বাবধায়ক করেছেন বদরুল আলম বকুল।
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হয়েও হারানো দিনের গানে উৎসাহী হলেন কেন?
স্বপন দত্ত : ১৯৮৪ সালে আমি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হই। সেই থেকে নামের শেষে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী এই তকমাটা জুড়ে গেল। শুরু হলো রবীন্দ্রনাথকে আপন করে নেয়া ও তাঁর গানকে আত্মস্থ করার নিরন্তর সাধনা। কেউ জানে না শৈশব-কৈশোরের সেই হারিয়ে যাওয়া প্রেম ও সুরের কথা। আমারও জানতে ইচ্ছে করে আমি রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও হারানো দিনের সেই হারিয়ে যাওয়া গানগুলো গাইতে পারি। যে গান শৈশবে আমার জীবন আকাশকে রাঙিয়ে তুলেছিল, আজ জীবনের শেষভাগে এসেও সেই একই সুর, একই গান আবার নতুনভাবে জীবনকে রাঙিয়ে তুলেছে। এ যেন শৈশব-কৈশোরের প্রথম প্রেম।
কার কাছ থেকে আপনি সঙ্গীতে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন?
স্বপন দত্ত : সঙ্গীতের প্রতি ভালবাসা-ভাললাগা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই অনেকের কাছ থেকে প্রভাবিত হয়েছি। ১৯৭৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথমভাগে যিনি প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীতের ঝর্ণাধারায় স্নাত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুব্রত মজুমদার। এ ক্ষেত্রে অসমাপ্ত হলেও ছায়ানটের শিক্ষা আমাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে।
আমাদের দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রেক্ষাপট নিয়ে বলুন...
স্বপন দত্ত : আমি মনে করি ওপার বাংলার চেয়ে আমাদের দেশে শুদ্ধভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা হচ্ছে। এমনটি ভারতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্যারোডিও হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা হচ্ছে না।
রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে সামনের পরিকল্পনা কি?
স্বপন দত্ত : আমি রবীন্দ্রনাথের সব গান গাইতে চাই। যতদিন গান গাওয়ার ক্ষমতা থাকবে ততদিন শুদ্ধভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা করে যাব। যখন দেখব আমি আর গাইতে পারছি না তখন গান গাওয়া থেকে অবসর নেব।
-গৌতম পাণ্ডে
আপনার এ্যালবাম সম্পর্কে বলুন..
স্বপন দত্ত : সাংস্কৃতিক সংগঠন আনন্দধারা এর আগে আমার দুটি এ্যালবাম প্রযোজনাসহ প্রকাশনার দায়িত্ব নিয়েছিল। এবার আমার দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ও একটি হারানো দিনের গানের অডিও সিডি প্রযোজনাসহ প্রকাশনার দায়িত্ব নিয়েছে আনন্দধারা। একই সঙ্গে আজ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে শিল্পী ফারহাদ হোসেনের কণ্ঠে ধারণকৃত দুটি একক রবীন্দ্রসঙ্গীতের এ্যালবাম। ‘দুই ধারার রবির গান’ শীর্ষক আমার গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতের এ্যালবাম দুটির মধ্যে একটির শিরোনাম ‘চিরসখা’। এর ১০টি গানই বৈতালিক। ‘চিরসখা ছেড়ো না মোরে’, ‘অন্ধজনে দেহ আলো’, ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’ সহ বেশ কিছু গান রয়েছে যেগুলো অল্পশ্রুত। ‘আনন্দলোকে’ শিরোনামের এ্যালবামেও রয়েছে ১০টি গান। ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’, ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে’, ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’সহ কয়েকটি তাল সম্বলিত গান। এ্যালবাম দুটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন সুরকার ও শিল্পী সুজেয় শ্যাম। ‘আজো সেই গান’ শিরোনামে আমার গাওয়া হারানো দিনের গানের এ্যালবামে রয়েছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, তালাত মাহ্মুদ, মৃণাল চক্রবর্তী, অখিল বন্ধু ঘোষ, জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, লতা মুঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বেশ কিছু শিল্পীর গাওয়া ১৬টি গান। এর বহহু যন্ত্রানুষঙ্গ তত্ত্বাবধায়ক করেছেন বদরুল আলম বকুল।
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হয়েও হারানো দিনের গানে উৎসাহী হলেন কেন?
স্বপন দত্ত : ১৯৮৪ সালে আমি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হই। সেই থেকে নামের শেষে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী এই তকমাটা জুড়ে গেল। শুরু হলো রবীন্দ্রনাথকে আপন করে নেয়া ও তাঁর গানকে আত্মস্থ করার নিরন্তর সাধনা। কেউ জানে না শৈশব-কৈশোরের সেই হারিয়ে যাওয়া প্রেম ও সুরের কথা। আমারও জানতে ইচ্ছে করে আমি রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও হারানো দিনের সেই হারিয়ে যাওয়া গানগুলো গাইতে পারি। যে গান শৈশবে আমার জীবন আকাশকে রাঙিয়ে তুলেছিল, আজ জীবনের শেষভাগে এসেও সেই একই সুর, একই গান আবার নতুনভাবে জীবনকে রাঙিয়ে তুলেছে। এ যেন শৈশব-কৈশোরের প্রথম প্রেম।
কার কাছ থেকে আপনি সঙ্গীতে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন?
স্বপন দত্ত : সঙ্গীতের প্রতি ভালবাসা-ভাললাগা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই অনেকের কাছ থেকে প্রভাবিত হয়েছি। ১৯৭৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথমভাগে যিনি প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীতের ঝর্ণাধারায় স্নাত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুব্রত মজুমদার। এ ক্ষেত্রে অসমাপ্ত হলেও ছায়ানটের শিক্ষা আমাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে।
আমাদের দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রেক্ষাপট নিয়ে বলুন...
স্বপন দত্ত : আমি মনে করি ওপার বাংলার চেয়ে আমাদের দেশে শুদ্ধভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা হচ্ছে। এমনটি ভারতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্যারোডিও হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা হচ্ছে না।
রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে সামনের পরিকল্পনা কি?
স্বপন দত্ত : আমি রবীন্দ্রনাথের সব গান গাইতে চাই। যতদিন গান গাওয়ার ক্ষমতা থাকবে ততদিন শুদ্ধভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা করে যাব। যখন দেখব আমি আর গাইতে পারছি না তখন গান গাওয়া থেকে অবসর নেব।
-গৌতম পাণ্ডে
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=42&dd=2014-05-31&ni=174535
No comments:
Post a Comment