নাইজিরিয়ায় স্কুলছাত্রী অপহরণ
তামান্না হক রীতি
নাইজেরিয়ায় দিনদুপুরে অস্ত্রের মুখে প্রায় দুই শ’ এর অধিক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয় এবং অপহরণের মাসাধিক সময় অতিবাহিত হলেও আজ অবধি তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এসব স্কুলছাত্রীর অপরাধÑ তারা নারী এবং শিক্ষা লাভের জন্য স্কুলে গিয়েছে। ইসলামি জঙ্গীগোষ্ঠী বোকো হারামের সদস্যরা প্রায় ২৭৬ স্কুলজাত্রীকে অপহরণ করে। জানা গেছে, জঙ্গীরা মোটরসাইকেল ও গাড়িতে চড়ে ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চিবুক এলাকার এই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় স্কুলটির পাহারার দায়িত্বে থাকা সেনা ও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে এবং স্কুলটির কয়েকটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের টেনেহেঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়।
বোকো হারামের এ ধরনের কর্মকা- নতুন নয়। মূলত সরকারের সঙ্গে দরকষাকষির অস্ত্র হিসেবে বোকো হারাম স্কুলছাত্রী ও নারীদের অপহরণ করে থাকে। কিন্তু এবারের মতো বড় আকারের ঘটনা আর ঘটেনি। দেশটিতে অনেক ছাত্রী ভয়ে স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। অপহৃত মেয়েদের অধিকাংশই স্কুলের শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত এবং বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।
৩ সপ্তাহ ধরে কোন ধরনের খোঁজ না পাওয়া গেলেও ৫ মে বোকো হারাম ১৭ মিনিটের একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে, যা ফরাসী এক টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। উক্ত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বোকো হারামের নেতা আবুবকর শেকাউ অপহৃত এ ছাত্রীদের বিক্রি করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। সে ভিডিওতে শেকাউ আরও বলে যেÑ মেয়েদের কোনভাবেই স্কুলে যাওয়া উচিত না, তাদের বরং বিয়ে দিয়ে দেয়া উচিত, নয় বছর হচ্ছে মেয়েদের বিয়ের উপযুক্ত সময়। তার মতে, সৃষ্টিকর্তা তাকে এই মেয়েদের বিক্রি করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং যেহেতু এরা সৃষ্টিকর্তার সম্পত্তি, তাই সে সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মেনে এ মেয়েদের বিক্রি করে দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব মেয়ের অধিকাংশকেই পার্শ্ববর্তী দেশ শাদ ও ক্যামেরুনে পাচার করে দেয়া হয়েছে। এদের অনেককে জোরপূর্বক বোকো হারামের সদস্যদের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়েছে, বর্তমানে সমাবিজা জঙ্গলে তাদের রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
১২ মে জঙ্গীগোষ্ঠীটি আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে প্রায় ১৩০ জন অপহৃত ছাত্রীকে দেখা যায়। উক্ত ভিডিওতে জঙ্গীগোষ্ঠীটির নেতা ঘোষণা দেন, অপহৃত স্কুলছাত্রীদের ততক্ষণ আটক রাখা হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না বোকো হারামের সদস্য সব বন্দী জঙ্গী মুক্তি দেয়া হয়। ভিডিওতে এ মেয়েদের হিজাব পরিহিত ও আপাদমস্তক পোশাক দ্বারা আবৃত অবস্থায় দেখা যায়। বলা হচ্ছে, এসব মেয়ের মধ্যে যারা খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী তাদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে। আবুবকর শেকাউয়ের মতে, ধর্মান্তরিত করার মাধ্যমে তারা এ স্কুলছাত্রীদের প্রকৃত মুক্তি দিয়েছে। এর মধ্যে যারা এখনও খ্রীস্টান আছে, তাদের বিনিময়ে বন্দী জঙ্গীদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছে তারা। কিন্তু নাইজিরিয়ার সরকার এ দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, জঙ্গী বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে কোন আলোচনা নয়।
বোকো হারাম মূলত ২০০৯ সাল থেকে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালাচ্ছে। আফ্রিকায় অবস্থানরত আলকায়দা সদস্যরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের মালিতে অভিযানের পর আলকায়দার অনেক সদস্য এদের সঙ্গে মিশে গেছে, যা সহিংসতা ব্যাপকতর করেছে। তাদের হামলায় ২০১৪ সালেই কেবল প্রায় চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ঘটনা হচ্ছে অনেকটা দুমুখো তলোয়ারের মতো। এর মাধ্যমে বোকো হারাম তাদের আকাক্সিক্ষত প্রচারণা পেয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ঘটনায় নিন্দা, ক্ষোভ জানানোর পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারকে সহায়তা করার উদ্যোগ নিচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত ‘হৃদয়বিদারক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অপহৃতদের উদ্ধারে পর্যাপ্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা না নিতে পারায় নাইজিরিয়া সরকার দেশে ও বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়েছে। সরকারপ্রধান ঘটনার পর সর্বপ্রথম জাতির সম্মুখে এ ব্যাপারে কথা বলেন ৪ মে, অপহরণের প্রায় ২০দিন পর। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, অপহরণের চার ঘণ্টা পূর্ব থেকেই নাইজিরিয়ার সামরিক বাহিনী এ খবর জানত। সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খবর জানতে পারলেও ঐ স্থানে এত দ্রুত বাহিনী মোতায়েন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে আন্তর্জার্তিক সম্প্রদায়ও এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে চরম ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ কিংবা ওএইউ এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে পারেনি। উদ্বেগ আর নিন্দা জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ সবার কার্যক্রম।
এ প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞের একটি দল নাইজিরিয়ায় পাঠিয়েছে উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে। গত ১৮ মে প্যারিসে পশ্চিম আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোর নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসেন এবং বোকো হারামের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেন। সাধারণত আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে এ ধরনের ঐক্য খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না। তাই এটি একটি বিরল ঘটনাই বটে। এখন দেখার বিষয় এক্ষেত্রে তারা কতটুকু সফল হন। নাইজিরিয়ার সরকারের জন্য এ মুহূর্তে এ ধরনের সহযোগিতা অতীব প্রয়োজনীয়। কেননা বোকো হারামের ক্রমবর্ধমান আর ক্রমাগত হামলায় তারা বিপর্যস্ত। এদের প্রতিহত করতে সরকারের প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা।
অপহরণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে চলছে ‘ব্রিংব্যাক আওয়ার গার্লস’ নামক হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেন। মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এ ক্যাম্পেনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এ প্রচারণা চলছে।
সৌজন্যে : আইন ও সালিশ কেন্দ্র
বোকো হারামের এ ধরনের কর্মকা- নতুন নয়। মূলত সরকারের সঙ্গে দরকষাকষির অস্ত্র হিসেবে বোকো হারাম স্কুলছাত্রী ও নারীদের অপহরণ করে থাকে। কিন্তু এবারের মতো বড় আকারের ঘটনা আর ঘটেনি। দেশটিতে অনেক ছাত্রী ভয়ে স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। অপহৃত মেয়েদের অধিকাংশই স্কুলের শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত এবং বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।
৩ সপ্তাহ ধরে কোন ধরনের খোঁজ না পাওয়া গেলেও ৫ মে বোকো হারাম ১৭ মিনিটের একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে, যা ফরাসী এক টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। উক্ত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বোকো হারামের নেতা আবুবকর শেকাউ অপহৃত এ ছাত্রীদের বিক্রি করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। সে ভিডিওতে শেকাউ আরও বলে যেÑ মেয়েদের কোনভাবেই স্কুলে যাওয়া উচিত না, তাদের বরং বিয়ে দিয়ে দেয়া উচিত, নয় বছর হচ্ছে মেয়েদের বিয়ের উপযুক্ত সময়। তার মতে, সৃষ্টিকর্তা তাকে এই মেয়েদের বিক্রি করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং যেহেতু এরা সৃষ্টিকর্তার সম্পত্তি, তাই সে সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মেনে এ মেয়েদের বিক্রি করে দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব মেয়ের অধিকাংশকেই পার্শ্ববর্তী দেশ শাদ ও ক্যামেরুনে পাচার করে দেয়া হয়েছে। এদের অনেককে জোরপূর্বক বোকো হারামের সদস্যদের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়েছে, বর্তমানে সমাবিজা জঙ্গলে তাদের রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
১২ মে জঙ্গীগোষ্ঠীটি আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে প্রায় ১৩০ জন অপহৃত ছাত্রীকে দেখা যায়। উক্ত ভিডিওতে জঙ্গীগোষ্ঠীটির নেতা ঘোষণা দেন, অপহৃত স্কুলছাত্রীদের ততক্ষণ আটক রাখা হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না বোকো হারামের সদস্য সব বন্দী জঙ্গী মুক্তি দেয়া হয়। ভিডিওতে এ মেয়েদের হিজাব পরিহিত ও আপাদমস্তক পোশাক দ্বারা আবৃত অবস্থায় দেখা যায়। বলা হচ্ছে, এসব মেয়ের মধ্যে যারা খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী তাদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে। আবুবকর শেকাউয়ের মতে, ধর্মান্তরিত করার মাধ্যমে তারা এ স্কুলছাত্রীদের প্রকৃত মুক্তি দিয়েছে। এর মধ্যে যারা এখনও খ্রীস্টান আছে, তাদের বিনিময়ে বন্দী জঙ্গীদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছে তারা। কিন্তু নাইজিরিয়ার সরকার এ দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, জঙ্গী বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে কোন আলোচনা নয়।
বোকো হারাম মূলত ২০০৯ সাল থেকে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালাচ্ছে। আফ্রিকায় অবস্থানরত আলকায়দা সদস্যরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের মালিতে অভিযানের পর আলকায়দার অনেক সদস্য এদের সঙ্গে মিশে গেছে, যা সহিংসতা ব্যাপকতর করেছে। তাদের হামলায় ২০১৪ সালেই কেবল প্রায় চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ঘটনা হচ্ছে অনেকটা দুমুখো তলোয়ারের মতো। এর মাধ্যমে বোকো হারাম তাদের আকাক্সিক্ষত প্রচারণা পেয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ঘটনায় নিন্দা, ক্ষোভ জানানোর পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারকে সহায়তা করার উদ্যোগ নিচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত ‘হৃদয়বিদারক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অপহৃতদের উদ্ধারে পর্যাপ্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা না নিতে পারায় নাইজিরিয়া সরকার দেশে ও বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়েছে। সরকারপ্রধান ঘটনার পর সর্বপ্রথম জাতির সম্মুখে এ ব্যাপারে কথা বলেন ৪ মে, অপহরণের প্রায় ২০দিন পর। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, অপহরণের চার ঘণ্টা পূর্ব থেকেই নাইজিরিয়ার সামরিক বাহিনী এ খবর জানত। সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খবর জানতে পারলেও ঐ স্থানে এত দ্রুত বাহিনী মোতায়েন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে আন্তর্জার্তিক সম্প্রদায়ও এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে চরম ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ কিংবা ওএইউ এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে পারেনি। উদ্বেগ আর নিন্দা জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ সবার কার্যক্রম।
এ প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞের একটি দল নাইজিরিয়ায় পাঠিয়েছে উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে। গত ১৮ মে প্যারিসে পশ্চিম আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোর নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসেন এবং বোকো হারামের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেন। সাধারণত আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে এ ধরনের ঐক্য খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না। তাই এটি একটি বিরল ঘটনাই বটে। এখন দেখার বিষয় এক্ষেত্রে তারা কতটুকু সফল হন। নাইজিরিয়ার সরকারের জন্য এ মুহূর্তে এ ধরনের সহযোগিতা অতীব প্রয়োজনীয়। কেননা বোকো হারামের ক্রমবর্ধমান আর ক্রমাগত হামলায় তারা বিপর্যস্ত। এদের প্রতিহত করতে সরকারের প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা।
অপহরণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে চলছে ‘ব্রিংব্যাক আওয়ার গার্লস’ নামক হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেন। মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এ ক্যাম্পেনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এ প্রচারণা চলছে।
সৌজন্যে : আইন ও সালিশ কেন্দ্র
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html
No comments:
Post a Comment