কালবৈশাখীর তান্ডব বজ্রপাত ও গাছচাপা পড়ে নিহত ৮, বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর ও গাছের নিচে চাপা পড়ে ও বজ্রপাতে আটজন নিহত এবং কমপক্ষে ৩৮ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে লালমনিরহাটে বজ্রপাতে চারজন নিহত এবং গুরুতর আহত হয়েছে তিনজন। নীলফামারীতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়। এ ছাড়া ঘরের নিচে চাপা পড়ে দুই ভাইবোন আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজশাহীতে গাছচাপা পড়ে একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়। চট্টগ্রামে বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। কুষ্টিয়ায় ঝড়ে দেড় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ের কারণে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে শতাধিক বাড়ি ভস্মীভূত হয়। এতে দেড় কোটি টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতিসহ ২০টি গবাদি পশু মারা যায়। বৃহস্পতিবার রাতে খুলনায় মৌসুমের বৃষ্টিপাত হয়েছে। একটানা ৮০ দিন খরার পর সামান্য বৃষ্টি হলেও তাতেই জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসে। নাটোরে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি, ভেঙ্গে পড়েছে কয়েক শ’ গাছপালা। গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় অনেক এলাকায় বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ভোলায় ঝড়ে ২০ বাড়ি বিধ্বস্ত ও বহু গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। ঝড়ের কবলেপড়ে ধানবোঝাই একটি ট্রলার ডুবে যায়। মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ঝড়ের কারণে চারটি ফেরি ডুবোচরে আটকা পড়ে। পরে তিনটি ফেরি উদ্ধার করা হলেও একটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মাওয়ায় দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। এতে দুই শতাধিক ট্রাক আটকে পড়েছে।
No comments:
Post a Comment