পটিয়ার মুজাফরাবাদ গণহত্যা দিবস আজ
নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, চট্টগ্রাম, ২ মে ॥ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মুজাফরাবাদ গ্রামের বধ্যভূমিটি স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও সংরক্ষণ হয়নি। ’৭১ এর ৩ মে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুজাফরাবাদ গ্রামের ৩ শতাধিক দেশপ্রেমিককে এক দিনে পাকবাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। ওইদিন গ্রামের পথে, ঘাটে, খালে, বিলে, মন্দিরে, উপাসনালয়ে শুধু লাশ আর লাশ। পোড়া, বীভৎস মরা লাশের গন্ধ। পাকবাহিনী আগুন ধরিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল পটিয়ার মুজাফরাবাদ গ্রামটি। শনিবার ৩ মে সেই মুজাফরাবাদ গণহত্যা দিবস। এই উপলক্ষে মুজাফরাবাদ গ্রামের ‘সমন্বয়’ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, আলোচনাসভা, মুক্তিযোদ্ধার সংবর্ধনা ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। মুজাফরাবাদ সরকারী শহীদ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া থেকে ১০ মিনিট পরই চোখে পড়ে মুজাফরাবাদ গ্রামটি।
সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তিযোদ্ধা কান্তিময় ঘোষ বলেন, ’৭১-এর ৩ মে সকাল ৮টায় ৩-৪ ট্রাকযোগে পাক সৈন্যরা গ্রামের তিনটি রাস্তা দিয়ে ঢুকে বন্ধ করে দেয় সব প্রবেশ পথ। তাদের সঙ্গে এক দল আলবদর (বাংলাদেশী দালাল)। চারদিকে রব উঠে ‘এঁই পাঞ্জাবী আইস্যি পাঞ্জাবী আইস্যি।’ (এই পাকিস্তানী সৈন্যরা আসছে, পাকিস্তানী সৈন্যরা আসছে) স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বার বার তিনি পাক হায়েনাদের নির্মমতার কথা ভেবে শিউরে উঠছিলেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার লাকী দাশ বলেন, পাকিস্তানী সৈন্যরা আসছে শুনে যুবতীসহ অনেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল পার্শ্ববর্তী মুসলিম গ্রামগুলোতে। ঝোপ-ঝাড়, পুকুরপাড়, খাল, বিল, ঘরের ছাদ, উপসনালয়, ঘরের সুরঙ্গে লুকিয়ে ছিল তারা। কিন্তু রাজাকার আলবদরদের সহযোগিতায় তাদের খুঁজে বের করে আনে। নরপশুরা হিন্দুদের বলতে বলে ‘কালেমা বাতাও।’ কেউ বলতে না পারলে তার ওপর চলে পৈশাচিক বর্বরতায় হত্যা। কসাইয়ের মতো জবাই করা হয় অনেককে। যারা ঘরে খিল এঁটে লুকিয়ে ছিল তাদের আগুন দিয়ে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়। সুন্দরী তরুণী, যুবতী নারীদের ধরে নিয়ে যায় তারা, যাদের খোঁজ আর পাওয়া যায়নি।
বাবার সামনে কন্যা, মাকে; স্বামীর সামনে স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। ৮ ঘণ্টা ধরে চলে নির্মম এ হত্যাযজ্ঞ। গ্রামের শংকর সেন, যাত্রামোহন চৌধুরী, নির্মল সেন, শিক্ষক রায় মোহন বিশ্বাস, বারেন রায় চৌধুরীসহ ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে নির্বিচারে হত্যা করে। পাকবাহিনী চলে যাওয়ার পরে গ্রামবাসী মৃতদেহগুলো মাটি খুঁড়ে একটি গণকবরে সমাহিত করে। কিন্তু দীর্ঘ ৪৩ বছর ধরে অযতেœ অবহেলায় পড়ে রয়েছে সেই বধ্যভূমিটি।
সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তিযোদ্ধা কান্তিময় ঘোষ বলেন, ’৭১-এর ৩ মে সকাল ৮টায় ৩-৪ ট্রাকযোগে পাক সৈন্যরা গ্রামের তিনটি রাস্তা দিয়ে ঢুকে বন্ধ করে দেয় সব প্রবেশ পথ। তাদের সঙ্গে এক দল আলবদর (বাংলাদেশী দালাল)। চারদিকে রব উঠে ‘এঁই পাঞ্জাবী আইস্যি পাঞ্জাবী আইস্যি।’ (এই পাকিস্তানী সৈন্যরা আসছে, পাকিস্তানী সৈন্যরা আসছে) স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বার বার তিনি পাক হায়েনাদের নির্মমতার কথা ভেবে শিউরে উঠছিলেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার লাকী দাশ বলেন, পাকিস্তানী সৈন্যরা আসছে শুনে যুবতীসহ অনেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল পার্শ্ববর্তী মুসলিম গ্রামগুলোতে। ঝোপ-ঝাড়, পুকুরপাড়, খাল, বিল, ঘরের ছাদ, উপসনালয়, ঘরের সুরঙ্গে লুকিয়ে ছিল তারা। কিন্তু রাজাকার আলবদরদের সহযোগিতায় তাদের খুঁজে বের করে আনে। নরপশুরা হিন্দুদের বলতে বলে ‘কালেমা বাতাও।’ কেউ বলতে না পারলে তার ওপর চলে পৈশাচিক বর্বরতায় হত্যা। কসাইয়ের মতো জবাই করা হয় অনেককে। যারা ঘরে খিল এঁটে লুকিয়ে ছিল তাদের আগুন দিয়ে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়। সুন্দরী তরুণী, যুবতী নারীদের ধরে নিয়ে যায় তারা, যাদের খোঁজ আর পাওয়া যায়নি।
বাবার সামনে কন্যা, মাকে; স্বামীর সামনে স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। ৮ ঘণ্টা ধরে চলে নির্মম এ হত্যাযজ্ঞ। গ্রামের শংকর সেন, যাত্রামোহন চৌধুরী, নির্মল সেন, শিক্ষক রায় মোহন বিশ্বাস, বারেন রায় চৌধুরীসহ ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে নির্বিচারে হত্যা করে। পাকবাহিনী চলে যাওয়ার পরে গ্রামবাসী মৃতদেহগুলো মাটি খুঁড়ে একটি গণকবরে সমাহিত করে। কিন্তু দীর্ঘ ৪৩ বছর ধরে অযতেœ অবহেলায় পড়ে রয়েছে সেই বধ্যভূমিটি।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html
No comments:
Post a Comment