না’গঞ্জে সাত অপহরণ খুন ॥ নেপথ্যে দেশ অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত?
০ মেলেনি ক্লু- মাস্টারমাইন্ড কারা?
০ আইনী ফাঁদ এড়িয়ে অপহরণকারীরা রাজধানীর ওপর দিয়ে অবাধে চলাচল করল কি করে
০ আইনী ফাঁদ এড়িয়ে অপহরণকারীরা রাজধানীর ওপর দিয়ে অবাধে চলাচল করল কি করে
শংকর কুমার দে ॥ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করে খুনের ঘটনার তদন্ত ঘুরছে গোলক ধাঁ-ধাঁয়, হিসাব নিকাশ মিলাতে পারছেন না তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের সামনে অগণিত প্রশ্ন, উত্তর নেই। অপহরণ ও খুনের ঘটনায় খুনীর সংখ্যা, খুনীদের মাইলের পর মাইল অপহৃতদের নিয়ে যাতায়াত, দীর্ঘ সময় ধরে খুন, খুন করার নিরাপদ স্থান, তারপর লাশ নদীতে ফেলা, খুনীরা নিরাপদ থাকা ইত্যাদির জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে মাস্টারমাইন্ড। মাস্টারমাইন্ডরা সাত জনকে অপহরণ ও খুনের ব্যাপারে অত্যন্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, দক্ষ অপহরণকারীদের ব্যবহার করে থাকতে পারে। এ জন্য বড় অঙ্কের কন্ট্রাক্ট হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে এই ধরনের ক্লু খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারী সূত্রে এ খবর জানা গেছে। সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেন ওরফে হোসেন চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন খুন হওয়া কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। বিউটি প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছেন, অপহরণের পর পরই তিনি প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তার স্বামীকে উদ্ধারের জন্য। অপহরণের পর পরই প্রশাসন যদি তৎপর হতো তাহলে অপহরণকারীরা এত দীর্ঘ সময় ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে খুন করার আগেই ধরা পড়ে যেত। অপহৃতরাও উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। রবিবার দুপুরে যখন সাতজনকে অপহরণ করা হয়েছিল তারপর থেকে প্রশাসন অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মামলার সূত্র ধরেই তদন্ত সামনে এগোতেই তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আলামত সংগ্রহ, সাক্ষ্য গ্রহণ, অভিযান পরিচালনা, সোর্স নিয়োগ, ক্লু খুঁজে বের করার জন্য সোর্স নিয়োগ ইত্যাদি নানা কৌশল গ্রহণ করেছে। তদন্তকারীরা নিজেরাই নিজেদেরকে প্রশ্ন করেছেন, মামলার এজাহারভুক্ত বারো আসামির চেয়ে আরও অনেক বেশিসংখ্যক অপহরণকারী না থাকলে সাতজনকে অপহরণ করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মাস্টারমাইন্ডের তৈরি করা মাস্টার প্ল্যানটির সন্ধান পেতে কতগুলো প্রশ্নমালা প্রস্তুত করা হয়েছে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে তদন্তকে সামনে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
সাত সাতজন মানুষ অপহৃত হয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে। লাশ পাওয়া গেল বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শীতলক্ষ্যা নদীতে। অপহৃত নজরুলের গাড়ি পাওয়া গেছে গাজীপুরের শালবনে। আইনজীবী চন্দন সরকারের গাড়ি পাওয়া গেছে গুলশানের নিকেতনে। তাহলে দেখা যাচ্ছে অপহরণের ঘটনাস্থল থেকে শুরু করে লাশ ফেলার ঘটনাস্থল ছাড়াও গাড়ি ফেলে রাখার জন্য রয়েছে আরও দুটি ঘটনাস্থল। এই ঘটনাস্থলগুলো একটির সঙ্গে আরেকটির দূরত্ব ও দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে যানবাহনে যাতায়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেমন পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রতিটি ইউনিটের সদস্যদের সতর্ক দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্তে এসব প্রশ্ন উঠে এসেছে।
প্রশ্ন উঠেছে, দিন-দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ব্যস্ততম রাস্তায় যানবাহন ও পথচারী মানুষজনের দৃষ্টি এড়িয়ে সাতজনকে অপহরণ করেছে কত জনে মিলে? অপহরণকারীর সংখ্যা কত? তারা নিশ্চয়ই সশস্ত্র ছিল? অপহরণের পর সাতজনকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখানে খুন করার জন্য নিরাপদ স্থান আছে? এক সঙ্গে সাতজনকে খুন করার মতো অপহরণের ঘটনাস্থল থেকে লাশ শীতলক্ষ্যায় ফেলা পর্যন্ত এলাকা অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জেই কি তাদের খুন করা হয়েছে? কাউন্সিলর নজরুলের গাড়িটি চালিয়ে গাজীপুরের শালবনে নিয়ে গেল কে বা কারা? আর আইনজীবী চন্দন সরকারের গাড়িটিই বা কে বা কারা গুলশানের নিকেতনে নিয়ে যায়? তাহলে দেখা যাচ্ছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের লিংক রোড থেকে শুরু করে বন্দরের কলাগাছিয়া শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ছাড়াও গাজীপুর, গুলশানে খুনীরা অবাধে যাতায়াত করেছে। অপহৃতদের নিয়ে খুন করে লাশ ফেলার আগ পর্যন্ত নির্ভয়েই রাস্তায় খুনীরা কিভাবে যাতায়াত করেছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সাতজনকে অপহরণের পর কোথায় নিয়ে গিয়ে খুন করা হলো? খুনের পর পেট কেটে প্রতিটি লাশ ব্যাগে ভরে ১৪টি করে ইট বেঁধেছে। এটার জন্য নিরাপদ স্থান ও পর্যাপ্ত সময়ের প্রয়োজন? খুনীরা নিজেদের দীর্ঘ সময় ধরে এত নিরাপদ ভাবল কিভাবে? প্রতিটি লাশের মধ্যে যে ১৪ করে সাতটি লাশের মধ্যে যে ১৬৮ ইট বেঁধেছে তাও আবার ‘এমবিবি’ নামক একই কোম্পানির তৈরি। ইট প্রস্তুতকারী কোম্পানির কারও সঙ্গে কি খুনীদের কোন সম্পর্ক আছে? শুধু তাই নয়, ইট, দড়ি, পলিথিন ব্যাগ, ব্যাগ সেলাইয়ের সুতো ইত্যাদি ব্যবহার হয়েছে খুনের পর লাশ গুম করার চেষ্টাতে। খুন ও খুনের পরবর্তী সময়ে অনেক সময় ব্যয় করে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে খুনীরা।
সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, অপহরণ ও খুনের ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে গাজীপুরের শালবনে কাউন্সিলর নজরুলের গাড়ি এবং আইনজীবী চন্দন সরকারের গাড়িটি গুলশানের নিকেতনে পাওয়া যাওয়ায় খুনীরা যে এসব স্থানে অবাধে যাতায়াত করেছে তার প্রমাণ মেলে। খুনীরা কি সাতজনকে অপহরণ করে এসব স্থানে এনেছিল? যে সাতজনকে অপহরণ ও খুন করা হয়েছে তারা কি সবাই টার্গেট ছিল নাকি পরিস্থিতির শিকার তাও তদন্তে সামনে এসেছে।
নারায়ণগঞ্জ এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্ভবত কাউন্সিলর নজরুলই ছিল প্রধান টার্গেট। তবে নজরুলের সঙ্গে থাকা তিনজন হয়তো বা টার্গেট না হলেও তার সঙ্গে থাকায় অপহরণ ও খুন হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু আইনজীবী চন্দন সরকার তার গাড়ি চালক, নজরুলের গাড়ি চালককে অপহরণ করার পর খুন করা হলো কেন? তারা কি অপহরণকারী খুনীদের চিনে ফেলেছিল? নাকি অপহরণকারী খুনী কারা তা ফাঁস করে দেয়ার ভয়ে তারাও খুন হয়েছেন?
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক উর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অপহরণকারী ও খুনী চক্রের সদস্যদের কেউ কেউ তাদের নজরদারির আওতায় আছে। যে কোন সময়ে চমক দেখানোর মতো খবর পাওয়া যেতে পারে। আর তখনই সেভেন মার্ডার রহস্য উদঘাটন হয়ে যাবে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ডিসি সৈয়দ বজলুল করিম বলেছেন, অপরাধীরা যত গোপনভাবেই অপরাধ করুক না কেন তারা ক্লু রেখে যায়। নির্ভরশীল সোর্স নিয়োগ করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের জন্য ফাঁদ পাতা হলে খুনীরা ধরা পড়বেই। তবে শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, সারাদেশে যেভাবে অপহরণ বাণিজ্য শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে, পর্দার অন্তরালে কোন অদৃশ্য মহল কলকাঠি নাড়াচ্ছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। প্রভাবশালী বিদেশী দেশসমূহ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইতোমধ্যেই যে হৈ চৈ শুরু করেছে তাতে এই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মামলার সূত্র ধরেই তদন্ত সামনে এগোতেই তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আলামত সংগ্রহ, সাক্ষ্য গ্রহণ, অভিযান পরিচালনা, সোর্স নিয়োগ, ক্লু খুঁজে বের করার জন্য সোর্স নিয়োগ ইত্যাদি নানা কৌশল গ্রহণ করেছে। তদন্তকারীরা নিজেরাই নিজেদেরকে প্রশ্ন করেছেন, মামলার এজাহারভুক্ত বারো আসামির চেয়ে আরও অনেক বেশিসংখ্যক অপহরণকারী না থাকলে সাতজনকে অপহরণ করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মাস্টারমাইন্ডের তৈরি করা মাস্টার প্ল্যানটির সন্ধান পেতে কতগুলো প্রশ্নমালা প্রস্তুত করা হয়েছে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে তদন্তকে সামনে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
সাত সাতজন মানুষ অপহৃত হয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে। লাশ পাওয়া গেল বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শীতলক্ষ্যা নদীতে। অপহৃত নজরুলের গাড়ি পাওয়া গেছে গাজীপুরের শালবনে। আইনজীবী চন্দন সরকারের গাড়ি পাওয়া গেছে গুলশানের নিকেতনে। তাহলে দেখা যাচ্ছে অপহরণের ঘটনাস্থল থেকে শুরু করে লাশ ফেলার ঘটনাস্থল ছাড়াও গাড়ি ফেলে রাখার জন্য রয়েছে আরও দুটি ঘটনাস্থল। এই ঘটনাস্থলগুলো একটির সঙ্গে আরেকটির দূরত্ব ও দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে যানবাহনে যাতায়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেমন পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রতিটি ইউনিটের সদস্যদের সতর্ক দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্তে এসব প্রশ্ন উঠে এসেছে।
প্রশ্ন উঠেছে, দিন-দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ব্যস্ততম রাস্তায় যানবাহন ও পথচারী মানুষজনের দৃষ্টি এড়িয়ে সাতজনকে অপহরণ করেছে কত জনে মিলে? অপহরণকারীর সংখ্যা কত? তারা নিশ্চয়ই সশস্ত্র ছিল? অপহরণের পর সাতজনকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখানে খুন করার জন্য নিরাপদ স্থান আছে? এক সঙ্গে সাতজনকে খুন করার মতো অপহরণের ঘটনাস্থল থেকে লাশ শীতলক্ষ্যায় ফেলা পর্যন্ত এলাকা অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জেই কি তাদের খুন করা হয়েছে? কাউন্সিলর নজরুলের গাড়িটি চালিয়ে গাজীপুরের শালবনে নিয়ে গেল কে বা কারা? আর আইনজীবী চন্দন সরকারের গাড়িটিই বা কে বা কারা গুলশানের নিকেতনে নিয়ে যায়? তাহলে দেখা যাচ্ছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের লিংক রোড থেকে শুরু করে বন্দরের কলাগাছিয়া শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ছাড়াও গাজীপুর, গুলশানে খুনীরা অবাধে যাতায়াত করেছে। অপহৃতদের নিয়ে খুন করে লাশ ফেলার আগ পর্যন্ত নির্ভয়েই রাস্তায় খুনীরা কিভাবে যাতায়াত করেছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সাতজনকে অপহরণের পর কোথায় নিয়ে গিয়ে খুন করা হলো? খুনের পর পেট কেটে প্রতিটি লাশ ব্যাগে ভরে ১৪টি করে ইট বেঁধেছে। এটার জন্য নিরাপদ স্থান ও পর্যাপ্ত সময়ের প্রয়োজন? খুনীরা নিজেদের দীর্ঘ সময় ধরে এত নিরাপদ ভাবল কিভাবে? প্রতিটি লাশের মধ্যে যে ১৪ করে সাতটি লাশের মধ্যে যে ১৬৮ ইট বেঁধেছে তাও আবার ‘এমবিবি’ নামক একই কোম্পানির তৈরি। ইট প্রস্তুতকারী কোম্পানির কারও সঙ্গে কি খুনীদের কোন সম্পর্ক আছে? শুধু তাই নয়, ইট, দড়ি, পলিথিন ব্যাগ, ব্যাগ সেলাইয়ের সুতো ইত্যাদি ব্যবহার হয়েছে খুনের পর লাশ গুম করার চেষ্টাতে। খুন ও খুনের পরবর্তী সময়ে অনেক সময় ব্যয় করে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে খুনীরা।
সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, অপহরণ ও খুনের ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে গাজীপুরের শালবনে কাউন্সিলর নজরুলের গাড়ি এবং আইনজীবী চন্দন সরকারের গাড়িটি গুলশানের নিকেতনে পাওয়া যাওয়ায় খুনীরা যে এসব স্থানে অবাধে যাতায়াত করেছে তার প্রমাণ মেলে। খুনীরা কি সাতজনকে অপহরণ করে এসব স্থানে এনেছিল? যে সাতজনকে অপহরণ ও খুন করা হয়েছে তারা কি সবাই টার্গেট ছিল নাকি পরিস্থিতির শিকার তাও তদন্তে সামনে এসেছে।
নারায়ণগঞ্জ এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্ভবত কাউন্সিলর নজরুলই ছিল প্রধান টার্গেট। তবে নজরুলের সঙ্গে থাকা তিনজন হয়তো বা টার্গেট না হলেও তার সঙ্গে থাকায় অপহরণ ও খুন হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু আইনজীবী চন্দন সরকার তার গাড়ি চালক, নজরুলের গাড়ি চালককে অপহরণ করার পর খুন করা হলো কেন? তারা কি অপহরণকারী খুনীদের চিনে ফেলেছিল? নাকি অপহরণকারী খুনী কারা তা ফাঁস করে দেয়ার ভয়ে তারাও খুন হয়েছেন?
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক উর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অপহরণকারী ও খুনী চক্রের সদস্যদের কেউ কেউ তাদের নজরদারির আওতায় আছে। যে কোন সময়ে চমক দেখানোর মতো খবর পাওয়া যেতে পারে। আর তখনই সেভেন মার্ডার রহস্য উদঘাটন হয়ে যাবে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ডিসি সৈয়দ বজলুল করিম বলেছেন, অপরাধীরা যত গোপনভাবেই অপরাধ করুক না কেন তারা ক্লু রেখে যায়। নির্ভরশীল সোর্স নিয়োগ করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের জন্য ফাঁদ পাতা হলে খুনীরা ধরা পড়বেই। তবে শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, সারাদেশে যেভাবে অপহরণ বাণিজ্য শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে, পর্দার অন্তরালে কোন অদৃশ্য মহল কলকাঠি নাড়াচ্ছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। প্রভাবশালী বিদেশী দেশসমূহ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইতোমধ্যেই যে হৈ চৈ শুরু করেছে তাতে এই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html
No comments:
Post a Comment