ক্ষমতাবানদের শেয়ারবাজার লুট
মহাজোট সরকারের আরেক আলোচিত বিষয় শেয়ারবাজার লুটপাট। ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় লুটেরারা শেয়ারবাজারে কারসাজি করে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা দিনে-দুপুরে সবাইকে দেখিয়ে লুট করে নিয়ে গেছে। এই টাকার বেশিরভাগই পাচার হয়ে গেছে বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারের ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তাদের হাহাকারে সারাদেশ স্তম্ভিত, শুধুমাত্র ক্ষমতাসীনরা ছাড়া। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার ঠিক দুই বছরের মাথায় শেয়ারবাজারে লুটপাটের এ ঘটনা ঘটে। লুটপাটের সঙ্গে সরকারের ঘনিষ্ঠজনরা জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে দু’বার কেলেঙ্কারি আর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আর দুটি ঘটনাই ঘটেছে আওয়ামী লীগের শাসনামালে। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তারা লুটপাটের কলঙ্কের দাগ মোছনের কোনোই চেষ্টা করেনি, বরং ১৯৯৬ সালের চেয়ে আরও বড় ধরনের কেলেঙ্কারি আর লুটপাটের রেকর্ড গড়েছে। ১৯৯৬ সালের মতো এবারও লুটপাটকারীদের কোনো ধরনের শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি। তারা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। দেশের শেয়ারবাজারে এতো বড় লুটপাট ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটলেও আজ্ঞাবাহী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
মহাজোট সরকারের আরেক আলোচিত বিষয় শেয়ারবাজার লুটপাট। ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় লুটেরারা শেয়ারবাজারে কারসাজি করে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা দিনে-দুপুরে সবাইকে দেখিয়ে লুট করে নিয়ে গেছে। এই টাকার বেশিরভাগই পাচার হয়ে গেছে বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারের ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তাদের হাহাকারে সারাদেশ স্তম্ভিত, শুধুমাত্র ক্ষমতাসীনরা ছাড়া। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার ঠিক দুই বছরের মাথায় শেয়ারবাজারে লুটপাটের এ ঘটনা ঘটে। লুটপাটের সঙ্গে সরকারের ঘনিষ্ঠজনরা জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে দু’বার কেলেঙ্কারি আর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আর দুটি ঘটনাই ঘটেছে আওয়ামী লীগের শাসনামালে। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তারা লুটপাটের কলঙ্কের দাগ মোছনের কোনোই চেষ্টা করেনি, বরং ১৯৯৬ সালের চেয়ে আরও বড় ধরনের কেলেঙ্কারি আর লুটপাটের রেকর্ড গড়েছে। ১৯৯৬ সালের মতো এবারও লুটপাটকারীদের কোনো ধরনের শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি। তারা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। দেশের শেয়ারবাজারে এতো বড় লুটপাট ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটলেও আজ্ঞাবাহী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
শেয়ারবাজারে লুটপাটের সঙ্গে জড়িতরা
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পরিকল্পিতভাবে শেয়ারবাজারে সাধারণ মানুষকে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করা হয়। সাধারণ মানুষ না বুঝেই এ পাতা ফাঁদে পা দেয়। শেষ পর্যন্ত লুটপাটকারীরা নানা উপায়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পুঁজির সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৯৬ সালে যারা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিল, এবারও তারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। এবার নতুন করে আরও অনেকে যুক্ত হয়েছেন। তবে লুটপাটের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিলেন তারা ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। লুটপাটের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি অনেক নেতাও স্বীকার করেছেন।
২০১১ সালের ২৩ মে সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ সেলিম বলেন,আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগ নামধারী কিছু লোক এ কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে। দু’-একজনের জন্য সরকার বা আওয়ামী লীগ তার দায় নেবে না।’ তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নামধারী কিছু লোক শেয়ারবাজারের এ অবস্থা করেছে। ১৯৯৬ সালেও এমন হয়েছিল। তখনও ব্যবস্থা নেবো-নিচ্ছি করতে করতে পুরো দায় আওয়ামী লীগের ওপর পড়েছিল।’ আওয়ামী লীগের আরেক সংদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একই আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘শেয়ারবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে হলে অর্থমন্ত্রীকে সর্ষের মধ্যেই ভূত খুঁজতে হবে। শেয়ারবাজার ঘটনায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সর্ষ দিয়ে ভূত তাড়ানো যাবে না। কারণ, ‘ভূত সর্ষেতেই আছে। তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজার কারসাজির ঘটনায় কোথায় দরবেশ, কোথায় ইমাম, কোথায় মোয়াজ্জেম আছে খুঁজে বের করুন।’
কয়েকটি কোম্পানির দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র
বেশ কয়েকজন নেতার কোম্পানি নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া তো দূরেই থাকুক,বরং নানা আইনি ফাঁকফোকর দিয়ে সেসব অনিয়মগুলোকে বৈধতা দিয়েছে। প্রভাবশালীরা নানা অনিয়ম আর কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
‘সরাসরি তালিকাভুক্তি’র মাধ্যমে বেসরকারি কোম্পানির পরিচালকরা শেয়ারবাজার থেকে অর্থ তুলে নিজেদের পকেট ভারি করে থাকেন বিধায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বিএসইসি এ পদ্ধতিটি বাতিল করে দেয়। কিন্তু এরপরও নিয়ম বহির্ভূতভাবে একজন প্রভাবশালী তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি তালিকা ভুক্তির সুযোগ দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিএসইসিকে সুপারিশ করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশক্রমে কোনো ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই কোম্পানি দুটিকে সরাসরি তালিকাভূক্তির অনুমোদন দেয় বিএসইসি। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। একটি শুধু একটি ঘটনা নয়। ঋণকে শেয়ারে রূপান্তর করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নেয় আরেক প্রভাবশালী। হিসাব জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে আরেকজন। দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে থাকা এ কোম্পানিটিকে হঠাৎ করেই ২০০৯ সালে লাভজনক কোম্পানি হিসেবে দেখানো হয়। এভাবে লুটপাট চালানো হয় শেয়ারবাজারে। আর তাদের পুঁজি ক্ষমতার আসল খুটির সাথে শক্ত যোগাযোগ।
এছাড়া কোনো নিয়মনীতি না থাকা সত্ত্বেও বিএসইসি ২০১০ সালে ৮টি কোম্পানিকে অগ্রাধিকার শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দেয়। এসব কোম্পানি অগ্রাধিকার শেয়ারের মাধ্যমেও হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নেয়। অগ্রাধিকার শেয়ার ছেড়ে অর্থ সংগ্রহকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে। আর এভাবেই এই সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে নানাভাবে সংশ্লিষ্টরা শেয়ারবাজার থেকে নানা উপায়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এসব অপকর্মের হোতারা রয়ে গেছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
লুটপাটের নানা উপায়
শেয়ারবাজারকে পরিকল্পিতভাবে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলার পর নানা উপায়ে শেয়ারবাজারে লুটপাটের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। শেয়ারের প্রচুর চাহিদা থাকার কারণে মাত্রাতিরিক্ত প্রিমিয়ামের মাধ্যমে কোম্পানির আইপিও, রাইট শেয়ারের অনুমোদন, কোনো ধরনের নিয়মনীতি ছাড়াই অগ্রাধিকার শেয়ার, মূলধন বাড়ানোর নামে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ারের বাণিজ্য গড়ে ওঠে। প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির শক্তিশালী কয়েকটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়। সিন্ডিকেট চক্রগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জড়িয়ে পড়েন। সারাদেশে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির কার্ব মার্কেট গড়ে ওঠে। নাম সর্বস্ব অনেক কোম্পানির শেয়ারও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করে একটি এয়ার লাইন্স সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা নিয়ে সটকে পড়েছে। এভাবে আরও অনেক কোম্পানি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু যারা এভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে তাদের কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
সাধারণ বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বেড়ে যাওয়ায় শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তবে শেয়ারবাজারে তারল্য বৃদ্ধিতে ব্যাংকগুলোর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। নিয়ম অনুযায়ী,ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে তার আমানতের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। কিন্তু ব্যাংকগুলো সে নিয়মের তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে। নির্ধারিত সীমার দুই থেকে ৩ গুণ বেশি অর্থও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে। এমনকি কলমানি মার্কেটের টাকাও শেয়ারবাজারে খাটাতে থাকে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগের বিষয়টি জানা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নিলে শেয়ারবাজারে এত তারল্য প্রবাহ তৈরি হতো না এবং বাজারেও ধস নামতো না। শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ কারসাজির একটি অংশ বলে অনেকে ধারণা করছেন।
শুধু বাণিজ্যিক ব্যাংকই নয়, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো শেয়ার ক্রয়ে আগ্রাসী অর্থায়ন শুরু করে। একই সঙ্গে একের পর এক মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন দিয়ে বাজারে তারল্যের জোয়ার বইয়ে দেয়ার বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও(বিএসইসি) বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে শিল্প বিনিয়োগে স্থবিরতার কারণে শিল্পোদ্যোক্তারাও পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ শুরু করে। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে শিল্পঋণ, এসএমই ঋণের একটি বড় অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেন তারা। ফলে শেয়ারবাজারে তারল্যের স্রোত বয়ে যায়।
শেয়ারবাজারে লুটপাটে নিঃস্ব বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজারে লুটপাটে নিঃস্ব হয়ে গেছে শেয়ারবাজারের ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারী। ১৯৯৬ সালের পুনরাবৃত্তি হবে না, এমন আশ্বাস দিয়ে সাধারণ মানুষকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে অবশেষে তার চেয়ে আরও বড় কেলেঙ্কারির মাধ্যমে তাদের সব পুঁজি লুটে নিয়েছে ক্ষমতাশালী গোষ্ঠী। লাভের আশায় সাধারণ মানুষ সঞ্চিত অর্থের পাশাপাশি, বিভিন্ন উৎস্য থেকে ধার করে,জায়গা জমি বিক্রি কিংবা লিজ দিয়ে, স্ত্রীর অলঙ্কার বিক্রি করে, ব্যবসার মূলধন ভাঙিয়ে শেয়ারাবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু লাভ তো দূরেই থাকুক পুঁজিটুকুও তারা ফিরে পাননি। আর পুঁজি হারিয়ে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন রনি জামান, হাবিবুর রহমান যুবরাজ, দিলদার হোসেন নামে কয়েকজন বিনিয়োগকারী। হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন মিল্লাত হোসেন, রতন চৌধুরীসহ নামা না জানা আরও কয়েকজন বিনিয়োগকারী। শেয়ারবাজারে সর্বস্ব খুইয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন অনেক বিনিয়োগকারী। অনাস্থা বিরাজ করছে এখনো।।
No comments:
Post a Comment