Thursday, May 29, 2014

মিসরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী আল সিসি

মিসরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী আল সিসি
সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হচ্ছেন বলে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। এ পর্যন্ত বেশির ভাগ কেন্দ্রের ভোট গণনায় তিনি পেয়েছেন ৯৬ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। পুরো ভোট গণনার পর তাঁর প্রাপ্তি ভোটের হার আরও বাড়বে। খবর এএফপির।
টেলিভিশন জানায়, কমপক্ষে ২ কোটি ১০ লাখ বা ৯৬ দশমিক ২ শতাংশ ভোটার এ অবসরপ্রাপ্ত ফিল্ড মার্শালকে বেছে নিলেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে।
প্রধান ইসলামপন্থী বিরোধীদের নির্মূলের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিসির বিজয়ের ব্যাপারে কোন সন্দেহ দেখা দেয়নি। সিসির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী হামদীন সাব্বাহি পেয়েছেন এ পর্যন্ত গণনায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। মিসরে কয়েক বছর ধরে চলে আসা অস্থিতিশীল অবস্থার পর এ সম্ভাব্য লৌহমানব দেশে শান্তিপ্রতিষ্ঠা করতে পারবেন জনগণের এ বিশ্বাসকেই কাজে লাগিয়েছেন সিসি। শত শত সমর্থক রাস্তায় নেমে পতাকা দোলায়। আতশবাজি পোড়ায় এবং তাদের গাড়ির হর্ন বাজায়। গণবিক্ষোভের কেন্দ্র তাহরির স্কয়ারে উল্লাসমুখর জনতার একজন তাহরা খালেদ বলেন, এ বিজয় স্থিতিশীলতার বিজয়। এ স্কয়ারেই বিক্ষোভে ২০১১ সালে পতন ঘটেছিল লৌহমানব হোসনি মোবারকের। ভোট শেষ হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্তে ভোট বুধবারও অনুষ্ঠিত হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান বামপন্থী রাজনীতিবিদ সাব্বাহি। তিনি ২০১২ সালের নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। এ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন ইসলামপন্থী মুরসি। সরকারী আল আহরাম পত্রিকার ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, নির্বাচন কমিটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা ২ কোটি ৫০ লাখ বা ৪৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি ৪০ লাখ। ক্ষমতাচ্যুত মুরসির মুসলিম ব্রাদারহুড ও ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী গ্রুপবর্জিত নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্যতা দেয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আবেদন জানিয়েছিলেন সিসি। প্রথম ভোটের দিন সোমবার ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা কম হওয়ায় সিসির সমর্থকরা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন, তাঁরা যেন ঘর থেকে বাইরে এসে ভোট দেন। এএফপির সাংবাদিকরা বুধবার কায়রোয় কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণে গিয়ে দেখেছেন, যেগুলো কার্যত ফাঁকা।
চলচ্চিত্র পরিচালক আলী হাগার অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচনী কর্মকর্তারা পর্যাপ্তসংখ্যক ভোটার পাননি। তাই ভোট তৃতীয় দিনেও গড়িয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তৃতীয় দিনে ভোটগ্রহণের বিষয়টি ভোটের বিশ্বাসযোগ্যতায় সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।

No comments:

Post a Comment