মেয়াদ পেরোনো চেকে ফের হয়রানি সারদায় ক্ষতিগ্রস্তদের
এই সময়, আসানসোল ও কলকাতা: শ্যামল সেন কমিশনের দেওয়া ক্ষতিপূরণের চেক নিয়ে এখন বেজায় ফাঁপরে আসানসোল-কুলটি এলাকায় সারদার বহু আমানতকারী৷ মেয়াদ-উত্তীর্ণ চেক স্থানীয় ব্যাঙ্ক জমা না নেওয়ায় টাকা পাওয়া নিয়ে অথৈ জলে ক্ষতিগ্রস্তরা৷ মহকুমাশাসকের অফিসে গিয়ে কর্মীদের অসহযোগিতায় অভিযোগ জানাতে না পেরেও হতাশ তাঁরা৷
অমিত জাজোরিয়া, সাকেতকুমার সিংদের মতো আমানতকারীদের আসানসোলের মহকুমাশাসকের অফিস থেকে গত ২১ মে ক্ষতিপূরণের যে চেক দেওয়া হয়, তা ইস্যু করা হয়েছিল ঢের আগেই, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি৷ তিন মাস পার হয়ে যাওয়ায় ওই চেক আর ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ৷ ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, এর পর আসানসোল এসডিও অফিসে গেলে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে কর্মীরা ওই চেক ছিঁড়ে ফেলতে বলেন৷ এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের বক্তব্য, 'যদি কেউ চেক ছিঁড়ে ফেলতে বলে থাকেন, তিনি অন্যায় করেছেন৷' তাঁর আশ্বাস, 'যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ চেক পেয়েছেন, তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানালে আমরা কমিশনের কাছে তা পাঠিয়ে দেব৷' কী কারণে চেক বিলি করতে মেয়াদ পেরিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখারও আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন৷ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামল সেন বলেন, 'কী করে মেয়াদ-উত্তীর্ণ চেক পেলেন প্রাপকরা, তা বুঝতে পারছি না৷ তবে তাঁদের টাকা পেতে কোনও অসুবিধা হবে না৷ কমিশনের কাছে তাঁদের অভিযোগ এলে বা চেক যদি নিতে না চান, তবে প্রয়োজনে ইসিএস করেও তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে দেওয়া যেতে পারে৷' কমিশন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় পর্যায়ে কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সম্প্রতি ১২০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে৷ এই নিয়ে ক্ষতিপূরণ খাতে মোট ৩০০ কোটি টাকা দিল রাজ্য৷
এরই মধ্যে ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন ও তাঁর ছেলে শুভজিতের৷ বৃহস্পতিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালত দু'জনকেই ১২ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে৷ তবে সারদা-র অন্যতম ডিরেক্টর শুভজিতকে জেলে গিয়ে জেরা এবং বয়ান রেকর্ডের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি সত্ত্বেও জেল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছেন না বলে বিচারকের কাছে অভিযোগ করেন (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) ইডি-র আইনজীবীরা৷ এডিজি-কারা অধীর শর্মার অবশ্য দাবি, 'বয়ান রেকর্ড করার জন্য ইডি বুধবার দুপুরে ফ্যাক্স করে জানিয়েছিল৷ আইন-বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সন্ধ্যাতেই ওদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷' এত দিন পরে কেন শুভজিতের বয়ান রেকর্ডে ইডি-র তত্পরতা, সে নিয়েও অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন কারাকর্তারা৷
এ দিনই আবার ইডি-র অফিসে গিয়ে কলকাতা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় বেহালার একই ঠিকানায় বেআইনি ভাবে সারদার ৪৩টি কোম্পানির ব্যবসার লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরকর্তাদের একাংশের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন৷ অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্ট সারদা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেও রাজ্য পুলিশের 'সিট' রোজ নতুন নতুন মামলায় তাঁকে যুক্ত করে জেলে আটকে রাখছে বলে আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগ তুলেছেন বিদ্রোহী তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ৷ ১২টি মামলায় তিনি ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন৷ আরামবাগের একটি মামলায় আগামী ২ জুন জামিন হয়ে গেলে ফের শ্রীরামপুরের একটি মামলায় কুণালবাবুকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর আইনজীবীদের৷
অমিত জাজোরিয়া, সাকেতকুমার সিংদের মতো আমানতকারীদের আসানসোলের মহকুমাশাসকের অফিস থেকে গত ২১ মে ক্ষতিপূরণের যে চেক দেওয়া হয়, তা ইস্যু করা হয়েছিল ঢের আগেই, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি৷ তিন মাস পার হয়ে যাওয়ায় ওই চেক আর ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ৷ ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, এর পর আসানসোল এসডিও অফিসে গেলে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে কর্মীরা ওই চেক ছিঁড়ে ফেলতে বলেন৷ এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের বক্তব্য, 'যদি কেউ চেক ছিঁড়ে ফেলতে বলে থাকেন, তিনি অন্যায় করেছেন৷' তাঁর আশ্বাস, 'যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ চেক পেয়েছেন, তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানালে আমরা কমিশনের কাছে তা পাঠিয়ে দেব৷' কী কারণে চেক বিলি করতে মেয়াদ পেরিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখারও আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন৷ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামল সেন বলেন, 'কী করে মেয়াদ-উত্তীর্ণ চেক পেলেন প্রাপকরা, তা বুঝতে পারছি না৷ তবে তাঁদের টাকা পেতে কোনও অসুবিধা হবে না৷ কমিশনের কাছে তাঁদের অভিযোগ এলে বা চেক যদি নিতে না চান, তবে প্রয়োজনে ইসিএস করেও তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে দেওয়া যেতে পারে৷' কমিশন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় পর্যায়ে কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সম্প্রতি ১২০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে৷ এই নিয়ে ক্ষতিপূরণ খাতে মোট ৩০০ কোটি টাকা দিল রাজ্য৷
এরই মধ্যে ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন ও তাঁর ছেলে শুভজিতের৷ বৃহস্পতিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালত দু'জনকেই ১২ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে৷ তবে সারদা-র অন্যতম ডিরেক্টর শুভজিতকে জেলে গিয়ে জেরা এবং বয়ান রেকর্ডের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি সত্ত্বেও জেল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছেন না বলে বিচারকের কাছে অভিযোগ করেন (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) ইডি-র আইনজীবীরা৷ এডিজি-কারা অধীর শর্মার অবশ্য দাবি, 'বয়ান রেকর্ড করার জন্য ইডি বুধবার দুপুরে ফ্যাক্স করে জানিয়েছিল৷ আইন-বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সন্ধ্যাতেই ওদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷' এত দিন পরে কেন শুভজিতের বয়ান রেকর্ডে ইডি-র তত্পরতা, সে নিয়েও অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন কারাকর্তারা৷
এ দিনই আবার ইডি-র অফিসে গিয়ে কলকাতা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় বেহালার একই ঠিকানায় বেআইনি ভাবে সারদার ৪৩টি কোম্পানির ব্যবসার লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরকর্তাদের একাংশের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন৷ অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্ট সারদা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেও রাজ্য পুলিশের 'সিট' রোজ নতুন নতুন মামলায় তাঁকে যুক্ত করে জেলে আটকে রাখছে বলে আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগ তুলেছেন বিদ্রোহী তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ৷ ১২টি মামলায় তিনি ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন৷ আরামবাগের একটি মামলায় আগামী ২ জুন জামিন হয়ে গেলে ফের শ্রীরামপুরের একটি মামলায় কুণালবাবুকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর আইনজীবীদের৷
No comments:
Post a Comment