আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১০০
কাবুল: প্রথমে প্রবল বৃষ্টি এবং তারপরই ভয়াবহ ধস নেমে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের একটি গোটা গ্রাম৷ পার্বত্য বদকশান প্রদেশের হোবো বারিক নামের ওই গ্রামে পাথরের তলায় চাপা পড়ে গিয়েছে অন্তত ৩০০ বাড়ি৷ গ্রামেরর বাসিন্দাদের মধ্যে অন্তত ২,০০০ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ধস নামার সাত ঘণ্টা পর পর্যন্ত৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে, পাহাড় ভেঙে পড়ায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷
বদকশান প্রদেশের প্রশাসনিক প্রধান শাহ ওয়ালিউল্লাহ আদিব জানিয়েছেন, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে উদ্ধার কাজ শুরুই করা যায়নি৷ উদ্ধারকারীদের হাতে দেওয়ার মতো উপযুক্ত যন্ত্রাপাতি সেই প্রশাসনের ভাঁড়ারে৷ বিশাল পাথরের স্তুপ সরিয়ে উদ্ধার শুরু করার জন্য নিছক শাবল বা কোদালই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বুলডোজার ও ক্রেনের মতো ভারি যন্ত্রপাতিও৷ কিন্ত্ত তেমন যন্ত্রেরও অভাব রয়েছে আফগান প্রশাসনের৷ প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান ফজিলুদ্দিন হায়ার জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর একটা নাগাদ এই এলাকায় ধস নামে৷ এই ধসে হোবো বারিক গ্রামের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বাড়িই পাহাড় ভেঙে পড়া পাথরের তলায় চাপা পড়েছে বলে জানিয়েছেন হায়ার৷
বিপর্যস্ত এলাকা রাজধানী থেকে বহু দূরে থাকার কারণে দুর্ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরেও সরকারি ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো সম্ভব হয়নি৷ পুলিশ কর্তা ফজলুদ্দিন হায়ার জানিয়েছেন, তাঁর কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী অন্তত ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের সংখ্যা হাজারেরও বেশি৷ যদিও কোনও বক্তব্যের সমর্থনেই নিশ্চিত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ বদকশান পুলিশের এক পদস্থ কর্তা আবদুল কাদের সায়েদ আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এই সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে৷ তবে, স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে সাত জনকে পাথরের স্তুপের মধ্যে থেকে খুঁজে বের করা গিয়েছে বলে খবর৷
পার্বত্য ওই এলাকায় ফের ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে পুরোমাত্রায়৷ তাই হোবো বারিক গ্রামের বাকি বাসিন্দাদের পাহাড়ি এলাকা থেকে বেশ কিছুটা দূরে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ বদকশান প্রদেশের ওই এলাকা অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার জন্য ওই অঞ্চলে ঠিকমতো উদ্ধারকাজ চালানো প্রায় অসম্ভব এমন কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রাদেশিক প্রশাসনিক প্রধান৷ হিন্দুকুশ পর্বত ও পামির উপত্যকার সংযোগস্থলের বদকশান প্রদেশ আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত প্রদেশগুলির অন্যতম৷ তাজিকস্তান ও পাকস্তান ও চিন দ্বারা পরিবেষ্টত পার্বত্য এই এলাকায় ধস নামার ঘটনা নতুন নয়৷ ২০১০ সালে এই অঞ্চলের ১২ ,৭০০ ফুট উচ্চতায় সালাং পাসে ধস নামলে ১৭০ জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছিল৷ --- সংবাদসংস্থা৷
বদকশান প্রদেশের প্রশাসনিক প্রধান শাহ ওয়ালিউল্লাহ আদিব জানিয়েছেন, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে উদ্ধার কাজ শুরুই করা যায়নি৷ উদ্ধারকারীদের হাতে দেওয়ার মতো উপযুক্ত যন্ত্রাপাতি সেই প্রশাসনের ভাঁড়ারে৷ বিশাল পাথরের স্তুপ সরিয়ে উদ্ধার শুরু করার জন্য নিছক শাবল বা কোদালই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বুলডোজার ও ক্রেনের মতো ভারি যন্ত্রপাতিও৷ কিন্ত্ত তেমন যন্ত্রেরও অভাব রয়েছে আফগান প্রশাসনের৷ প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান ফজিলুদ্দিন হায়ার জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর একটা নাগাদ এই এলাকায় ধস নামে৷ এই ধসে হোবো বারিক গ্রামের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বাড়িই পাহাড় ভেঙে পড়া পাথরের তলায় চাপা পড়েছে বলে জানিয়েছেন হায়ার৷
বিপর্যস্ত এলাকা রাজধানী থেকে বহু দূরে থাকার কারণে দুর্ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরেও সরকারি ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো সম্ভব হয়নি৷ পুলিশ কর্তা ফজলুদ্দিন হায়ার জানিয়েছেন, তাঁর কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী অন্তত ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের সংখ্যা হাজারেরও বেশি৷ যদিও কোনও বক্তব্যের সমর্থনেই নিশ্চিত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ বদকশান পুলিশের এক পদস্থ কর্তা আবদুল কাদের সায়েদ আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এই সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে৷ তবে, স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে সাত জনকে পাথরের স্তুপের মধ্যে থেকে খুঁজে বের করা গিয়েছে বলে খবর৷
পার্বত্য ওই এলাকায় ফের ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে পুরোমাত্রায়৷ তাই হোবো বারিক গ্রামের বাকি বাসিন্দাদের পাহাড়ি এলাকা থেকে বেশ কিছুটা দূরে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ বদকশান প্রদেশের ওই এলাকা অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার জন্য ওই অঞ্চলে ঠিকমতো উদ্ধারকাজ চালানো প্রায় অসম্ভব এমন কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রাদেশিক প্রশাসনিক প্রধান৷ হিন্দুকুশ পর্বত ও পামির উপত্যকার সংযোগস্থলের বদকশান প্রদেশ আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত প্রদেশগুলির অন্যতম৷ তাজিকস্তান ও পাকস্তান ও চিন দ্বারা পরিবেষ্টত পার্বত্য এই এলাকায় ধস নামার ঘটনা নতুন নয়৷ ২০১০ সালে এই অঞ্চলের ১২ ,৭০০ ফুট উচ্চতায় সালাং পাসে ধস নামলে ১৭০ জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছিল৷ --- সংবাদসংস্থা৷
No comments:
Post a Comment