মোদীর সরকারে অংশ নেবেন না, সভাপতিত্বেই খুশি রাজনাথ
নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদীর সরকারে যোগ দেবেন না, বরং দলীয় সভাপতির গুরুদায়িত্বই মন দিয়ে সামলাতে চান, জানালেন রাজনাথ সিং৷ শুক্রবার আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের মন্তব্য করেছিলেন, মোদীকে সামনে রেখে তলে তলে নিজেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন রাজনাথ৷ সেই বিতর্কে জল ঢালতেই এ কথা বলেছেন বিজেপি সভাপতি৷
এ দিন লালু অভিযোগ করেন, 'রাজপুতদের মধ্যে রাজনাথ এমন একটা প্রচার করার চেষ্টা করছেন যে নরেন্দ্র মোদী নয়, আসলে তিনিই বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী৷ এই ভাবে বিজেপির দিকে তাঁদের ভোট টানতে চান তিনি৷ কিন্ত্ত বিহারের মানুষকে বোকা বানানো অত সহজ নয়৷' এর পরেই রাজনাথ স্পষ্ট করে দেন, দলের ভিতরে প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার একজনই, তিনি নরেন্দ্র মোদী৷ রাজনাথের কথায়, 'যা খুশি হয়ে যাক, যেমন পরিস্থিতিই আসুক, মোদীই হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী৷ আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে আমি শুধুমাত্র দলের সভাপতি৷'
তবে শুধু প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, মোদী সরকারেই কোনও ভূমিকা নিতে অস্বীকার করেছেন রাজনাথ৷ একটি সাক্ষাত্কারে এ দিন তিনি বলেন, 'আমাকে দলীয় সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অনেক আগে থেকেই৷ যখন আমি সভাপতি ছিলাম না, তখন সরকারে ছিলাম৷ আর তাছাড়া আমার মনে হয়, বিজেপিতে আমার এমন বহু যোগ্য সহকর্মী আছেন যাঁদের সরকার গঠনে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত৷'
তবে রাজনাথ যা-ই বলুন, নরেন্দ্র মোদী ছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে অন্য কোনও মুখ খোঁজার আশু প্রয়োজন হতে পারে বিজেপি নেতৃত্বের৷ এই নির্বাচনে ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ২০০টির কম আসন পেলে বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে অন্য দলের সাহায্য নিতেই হবে৷ সে ক্ষেত্রে মোদীর সাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি বিজেপির পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে৷ সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার আশঙ্কায় সে অবস্থায় মোদী তথা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃত হবে বহু আঞ্চলিক দলই৷ এর পাশাপাশিই থাকছে রাজনাথকে ঘিরে ইদানীং কালে নানান জল্পনা৷ বিরোধীদের বক্তব্য, মোদীর তুলনায় নিজের 'স্বচ্ছ' ভাবমূর্তি তুলে ধরে অটল বিহারী বাজপেয়ীর সুশাসনের স্বপ্ন ফেরি করতে চাইছেন রাজনাথ৷ বর্তমান নির্বাচনে লখনৌ কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন রাজনাথ৷ এই কেন্দ্র থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পর পর পাঁচ বার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন বাজপেয়ী৷
গত মাসে রাজনাথের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন স্থানীয় মুসলিম নেতারা৷ সেখানে রাজনাথ ফেজ টুপি পরা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল৷ সেই বৈঠকের পর পরই মৌলানা কাবে জাওয়াদ বলেন, 'মোদীকে আমরা ভয় পাই, কিন্ত্ত রাজনাথ সিং বাজপেয়ীর মতোই গ্রহণযোগ্য৷' এখান থেকেই দানা বাঁধছিল বিজেপির প্ল্যান বি-এর জল্পনা৷ সে সম্ভাবনাই এ দিন ওড়ালেন রাজনাথ৷
এ দিন লালু অভিযোগ করেন, 'রাজপুতদের মধ্যে রাজনাথ এমন একটা প্রচার করার চেষ্টা করছেন যে নরেন্দ্র মোদী নয়, আসলে তিনিই বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী৷ এই ভাবে বিজেপির দিকে তাঁদের ভোট টানতে চান তিনি৷ কিন্ত্ত বিহারের মানুষকে বোকা বানানো অত সহজ নয়৷' এর পরেই রাজনাথ স্পষ্ট করে দেন, দলের ভিতরে প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার একজনই, তিনি নরেন্দ্র মোদী৷ রাজনাথের কথায়, 'যা খুশি হয়ে যাক, যেমন পরিস্থিতিই আসুক, মোদীই হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী৷ আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে আমি শুধুমাত্র দলের সভাপতি৷'
তবে শুধু প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, মোদী সরকারেই কোনও ভূমিকা নিতে অস্বীকার করেছেন রাজনাথ৷ একটি সাক্ষাত্কারে এ দিন তিনি বলেন, 'আমাকে দলীয় সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অনেক আগে থেকেই৷ যখন আমি সভাপতি ছিলাম না, তখন সরকারে ছিলাম৷ আর তাছাড়া আমার মনে হয়, বিজেপিতে আমার এমন বহু যোগ্য সহকর্মী আছেন যাঁদের সরকার গঠনে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত৷'
তবে রাজনাথ যা-ই বলুন, নরেন্দ্র মোদী ছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে অন্য কোনও মুখ খোঁজার আশু প্রয়োজন হতে পারে বিজেপি নেতৃত্বের৷ এই নির্বাচনে ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ২০০টির কম আসন পেলে বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে অন্য দলের সাহায্য নিতেই হবে৷ সে ক্ষেত্রে মোদীর সাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি বিজেপির পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে৷ সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার আশঙ্কায় সে অবস্থায় মোদী তথা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃত হবে বহু আঞ্চলিক দলই৷ এর পাশাপাশিই থাকছে রাজনাথকে ঘিরে ইদানীং কালে নানান জল্পনা৷ বিরোধীদের বক্তব্য, মোদীর তুলনায় নিজের 'স্বচ্ছ' ভাবমূর্তি তুলে ধরে অটল বিহারী বাজপেয়ীর সুশাসনের স্বপ্ন ফেরি করতে চাইছেন রাজনাথ৷ বর্তমান নির্বাচনে লখনৌ কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন রাজনাথ৷ এই কেন্দ্র থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পর পর পাঁচ বার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন বাজপেয়ী৷
গত মাসে রাজনাথের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন স্থানীয় মুসলিম নেতারা৷ সেখানে রাজনাথ ফেজ টুপি পরা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল৷ সেই বৈঠকের পর পরই মৌলানা কাবে জাওয়াদ বলেন, 'মোদীকে আমরা ভয় পাই, কিন্ত্ত রাজনাথ সিং বাজপেয়ীর মতোই গ্রহণযোগ্য৷' এখান থেকেই দানা বাঁধছিল বিজেপির প্ল্যান বি-এর জল্পনা৷ সে সম্ভাবনাই এ দিন ওড়ালেন রাজনাথ৷
No comments:
Post a Comment