মোদি সরকার ভারতের জন্য সর্বোত্তম হবে না ॥ অমর্ত্য সেন
এনডিটিভির সঙ্গে সাক্ষাতকার
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কোন সরকার ‘ভারতের জন্য সর্বোত্তম’ হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। তবে তিনি এ কথাও বলেন, তিনি শুরুতেই মোদির নিন্দা করবেন না। খবর এনডিটিভির।
৮০ বছর বয়স্ক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এ অর্থনীতিবিদ ভোট দিতে এক কষ্টকর পথ পাড়ি দেন। তিনি বিমানে নিউইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লী যান এবং সেখান থেকে কলকাতা যান। তারপর তিনি ট্যাক্সিযোগে পশ্চিমবঙ্গের তাঁর নিজ শহর বোলপুর গিয়ে ভোট দেন। নয়াদিল্লীতে ড. সেন এনডিটিভিকে বলেন, তিনি ১৩ বছর পর ভোট দিচ্ছেন। তিনি বলেন, যদিও আমার বয়স ৮০ বছর আমি এখনও পড়াই কিন্তু এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক নির্বাচন।
ড. সেন প্রধানমন্ত্রী পদে বিজেপির প্রার্থী মোদির কড়া সমালোচক। মোদির নেতৃত্বাধীন কোন সরকারকে তিনি কোন্ দৃষ্টিতে দেখেন, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ভারতের জন্য সর্বোত্তম নয়, কিন্তু আমাদের একেবারেই সর্বনাশ হয়ে গেছে কিনা, তা আমি জানি না। আমি শুরুতেই মোদির শাসনের নিন্দা করব না।
তিনি বলেন, মোদির সরকার ক্ষমতায় এলে কেউ কেউ দেশত্যাগ করবেন বলে যেরূপ কথাবার্তা বলছেন, তিনি তাকে ‘নির্বুদ্ধিতা’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সঠিক সরকার গঠিত হয়নি বলে আপনি দেশত্যাগ করতে পারেন না, আপনি ভোটের মাধ্যমে এটিকে সরিয়ে দিন। বিশ্ববি শ্রুত অর্থনীতিবিদ আরও আভাস দেন যে, মোদি ছাড়া অন্য কারও নেতৃত্বে বিজেপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেই তিনি ভাল মনে করতেন।
তিনি বলেন, বিজেপির অন্যান্য নেতার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে, যদিও বিজেপি কখনও আমার দল হবে না। কিন্তু তিনি এ কথাও জোর দিয়ে বলেন যে, আমি কংগ্রেসপন্থী নই। কংগ্রেসের রেকর্ড খুব ভাল নয়।
প্রধানমন্ত্রীকে ‘আমার বন্ধু মনমোহন সিং’ বলে অভিহিত করে ড. সেন বলেন, তিনি আরও অনেক কিছু করতে চেয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু পার্লামেন্ট তেমন কার্যকর না থাকায় তাঁর ভূমিকা ছিল সীমিত।
ড. সেন বলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী খুবই বুদ্ধিমতী এবং তিনি ভাল বক্তৃতা দেন। কিন্তু আমি মনে করি, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার মধ্যে তুলনা করা ঠিক নয়। কারণ প্রিয়াঙ্কা দুটি নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন, আর রাহুল সর্বত্র প্রচারে লিপ্ত রয়েছেন।
৮০ বছর বয়স্ক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এ অর্থনীতিবিদ ভোট দিতে এক কষ্টকর পথ পাড়ি দেন। তিনি বিমানে নিউইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লী যান এবং সেখান থেকে কলকাতা যান। তারপর তিনি ট্যাক্সিযোগে পশ্চিমবঙ্গের তাঁর নিজ শহর বোলপুর গিয়ে ভোট দেন। নয়াদিল্লীতে ড. সেন এনডিটিভিকে বলেন, তিনি ১৩ বছর পর ভোট দিচ্ছেন। তিনি বলেন, যদিও আমার বয়স ৮০ বছর আমি এখনও পড়াই কিন্তু এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক নির্বাচন।
ড. সেন প্রধানমন্ত্রী পদে বিজেপির প্রার্থী মোদির কড়া সমালোচক। মোদির নেতৃত্বাধীন কোন সরকারকে তিনি কোন্ দৃষ্টিতে দেখেন, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ভারতের জন্য সর্বোত্তম নয়, কিন্তু আমাদের একেবারেই সর্বনাশ হয়ে গেছে কিনা, তা আমি জানি না। আমি শুরুতেই মোদির শাসনের নিন্দা করব না।
তিনি বলেন, মোদির সরকার ক্ষমতায় এলে কেউ কেউ দেশত্যাগ করবেন বলে যেরূপ কথাবার্তা বলছেন, তিনি তাকে ‘নির্বুদ্ধিতা’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সঠিক সরকার গঠিত হয়নি বলে আপনি দেশত্যাগ করতে পারেন না, আপনি ভোটের মাধ্যমে এটিকে সরিয়ে দিন। বিশ্ববি শ্রুত অর্থনীতিবিদ আরও আভাস দেন যে, মোদি ছাড়া অন্য কারও নেতৃত্বে বিজেপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেই তিনি ভাল মনে করতেন।
তিনি বলেন, বিজেপির অন্যান্য নেতার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে, যদিও বিজেপি কখনও আমার দল হবে না। কিন্তু তিনি এ কথাও জোর দিয়ে বলেন যে, আমি কংগ্রেসপন্থী নই। কংগ্রেসের রেকর্ড খুব ভাল নয়।
প্রধানমন্ত্রীকে ‘আমার বন্ধু মনমোহন সিং’ বলে অভিহিত করে ড. সেন বলেন, তিনি আরও অনেক কিছু করতে চেয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু পার্লামেন্ট তেমন কার্যকর না থাকায় তাঁর ভূমিকা ছিল সীমিত।
ড. সেন বলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী খুবই বুদ্ধিমতী এবং তিনি ভাল বক্তৃতা দেন। কিন্তু আমি মনে করি, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার মধ্যে তুলনা করা ঠিক নয়। কারণ প্রিয়াঙ্কা দুটি নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন, আর রাহুল সর্বত্র প্রচারে লিপ্ত রয়েছেন।
No comments:
Post a Comment