সোহ্ রাওয়ার্দী উদ্যানে মে দিবসের সমাবেশে হাতাহাতি
গুম খুন ও অপহরণ প্রতিরোধে খালেদা জিয়ার রেড এ্যালার্ট
স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুম, খুন ও অপহরণ প্রতিরোধে সারাদেশে রেড এ্যালার্ট (সর্বোচ্চ সতর্কতা) জারি করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। গুম, খুন ও অপহরণ থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাদেশে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশ রক্ষায় আমি সারাদেশে সাংগঠনিক রেড এ্যালার্ট জারি করছি। গুম, খুন, অপহরণ রুখে দাঁড়াবেন। যেই গুম, খুন ও অপহরণ করতে কাউকে ধরতে আসবে, তাকে ঘেরাও করে আটকে রাখবেন। পুলিশ, র্যাব যেই হোক, কাউকেই ছাড় দেবেন না। তাদের কাছ থেকে নিরাপদে লোকদের ছাড়িয়ে আনবেন এবং গুম-খুন-অপহরণকারীদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সোহ্ রাওয়ার্দী উদ্যানে মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এ সব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সমাবেশস্থলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের দলে কিছু বেইমান ঢুকেছে। এদের চিহ্নিত করে চ্যাপ্টা করতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, আইনের বাইরে র্যাব-পুলিশ যে-ই আসবে, তাকেই আটকাতে হবে। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ ঢাকা থেকে বেশি দূরে নয়। প্যানেল মেয়রসহ সাতজন নিখোঁজ হলো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা অবস্থায়ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর কিছুই করতে পারলেন না। এর দায় নিতে হবে শেখ হাসিনাকে। কারণ তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ সরকার ঘরেও নিরাপত্তা দিতে পারে না, বাইরেও পারে না। তাই জনগণের নিরাপত্তার জন্য গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রয়োজনে আমি নিজেই রাস্তায় নামব। কিন্তু আমি নামতে চাইলে আমার বাড়ি বালুর ট্রাক দিয়ে আটকে দেয়। তবু দেশের স্বার্থে আমিই আবার নামব। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলছি। ১৯ দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলছি। সারাদেশে রেড এ্যালার্ট জারি করলাম। কেউ কাউকে ধরতে এলে চ্যাপ্টা বানিয়ে দেবেন।
খালেদা জিয়া বলেন, এখন প্রতিদিন মানুষ গুম হচ্ছে। শুধু লাশ আর লাশ পাওয়া যাচ্ছে। নদীতে লাশ, জমিতে লাশ, জঙ্গলে লাশ মিলছে। এই সরকারের কাছে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। আওয়ামী লীগ যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, তখন থেকেই রক্তপিপাসুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। প্রথম ঘটনায় বিডিআরের ৫৭ সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের কথা প্রধানমন্ত্রী জানতেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে হেফাজতের ঘটনা। তারা ছিল নিরীহ। কেন তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে? এই সরকার চোর এবং খুনী। তারা সাদা বিড়াল, কালো বিড়াল, রক্তপিপাসু ও ড্রাকুলা সরকার।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে খালেদা জিয়া বলেন, আমি জানতে চাই, চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলীসহ যারা গুম হয়েছেন, তারা কোথায়? সরকারের লোকেরাই এ সব গুম, খুন ও অপহরণ করছে এটা পরিষ্কার। জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আর কতকাল মা-বোনের চোখের পানি দেখবেন? গর্জে উঠবেন না? আপনাদের গর্জে উঠতে হবে। এ সরকারের কাছে প্রতিকার চেয়ে লাভ নেই। এদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমি আপনাদের নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় নামব। আপনারা আমার সঙ্গে নামবেন তো?
খালেদা জিয়া বলেন, সাগর-রুনির খুনের পর আওয়ামী লীগ সরকার বলেছিল, এরা কারও বেডরুমের নিরাপত্তা দিতে পারবে না। এখন তো এরা রাস্তায়ও মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না। কাজেই এদের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে লাভ নেই। এখন দরকার গণপ্রতিরোধ। তাই এ সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে গণপ্রতিরোধ করতে হবে। সমাবেশে খালেদা জিয়া তার সরকারের আমলে শ্রমিকদের কল্যাণে নেয়া কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় গেলে দেশে শ্রমিক স্বার্থ অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের জন্য আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। তিনি বলেন, দেশের উন্নতির জন্য আওয়ামী লীগকে বিদায় করতে হবে। এ জন্য সবাইকে রাজপথে নামতে হবে। না হলে দেশের কোন উন্নতি হবে না।
দেশের তাঁত শ্রমিকদের বেহাল দশার কথা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, গত পাঁচ বছরে দুই লাখ তাঁত কল বন্ধ হয়েছে। পুঁজি হারিয়ে শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সরকার একদিকে মানুষ খুন করছে আরেকদিকে মানুষকে বেকার করছে। গার্মেন্টস শিল্পে বিএনপির সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গার্মেন্টস শিল্প আমরা শুরু করেছিলাম। এখন চরম সঙ্কটে পোশাক শিল্প।
দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, আইনের বাইরে র্যাব-পুলিশ যে-ই আসবে, তাকেই আটকাতে হবে। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ ঢাকা থেকে বেশি দূরে নয়। প্যানেল মেয়রসহ সাতজন নিখোঁজ হলো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা অবস্থায়ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর কিছুই করতে পারলেন না। এর দায় নিতে হবে শেখ হাসিনাকে। কারণ তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ সরকার ঘরেও নিরাপত্তা দিতে পারে না, বাইরেও পারে না। তাই জনগণের নিরাপত্তার জন্য গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রয়োজনে আমি নিজেই রাস্তায় নামব। কিন্তু আমি নামতে চাইলে আমার বাড়ি বালুর ট্রাক দিয়ে আটকে দেয়। তবু দেশের স্বার্থে আমিই আবার নামব। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলছি। ১৯ দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলছি। সারাদেশে রেড এ্যালার্ট জারি করলাম। কেউ কাউকে ধরতে এলে চ্যাপ্টা বানিয়ে দেবেন।
খালেদা জিয়া বলেন, এখন প্রতিদিন মানুষ গুম হচ্ছে। শুধু লাশ আর লাশ পাওয়া যাচ্ছে। নদীতে লাশ, জমিতে লাশ, জঙ্গলে লাশ মিলছে। এই সরকারের কাছে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। আওয়ামী লীগ যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, তখন থেকেই রক্তপিপাসুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। প্রথম ঘটনায় বিডিআরের ৫৭ সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের কথা প্রধানমন্ত্রী জানতেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে হেফাজতের ঘটনা। তারা ছিল নিরীহ। কেন তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে? এই সরকার চোর এবং খুনী। তারা সাদা বিড়াল, কালো বিড়াল, রক্তপিপাসু ও ড্রাকুলা সরকার।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে খালেদা জিয়া বলেন, আমি জানতে চাই, চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলীসহ যারা গুম হয়েছেন, তারা কোথায়? সরকারের লোকেরাই এ সব গুম, খুন ও অপহরণ করছে এটা পরিষ্কার। জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আর কতকাল মা-বোনের চোখের পানি দেখবেন? গর্জে উঠবেন না? আপনাদের গর্জে উঠতে হবে। এ সরকারের কাছে প্রতিকার চেয়ে লাভ নেই। এদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমি আপনাদের নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় নামব। আপনারা আমার সঙ্গে নামবেন তো?
খালেদা জিয়া বলেন, সাগর-রুনির খুনের পর আওয়ামী লীগ সরকার বলেছিল, এরা কারও বেডরুমের নিরাপত্তা দিতে পারবে না। এখন তো এরা রাস্তায়ও মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না। কাজেই এদের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে লাভ নেই। এখন দরকার গণপ্রতিরোধ। তাই এ সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে গণপ্রতিরোধ করতে হবে। সমাবেশে খালেদা জিয়া তার সরকারের আমলে শ্রমিকদের কল্যাণে নেয়া কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় গেলে দেশে শ্রমিক স্বার্থ অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের জন্য আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। তিনি বলেন, দেশের উন্নতির জন্য আওয়ামী লীগকে বিদায় করতে হবে। এ জন্য সবাইকে রাজপথে নামতে হবে। না হলে দেশের কোন উন্নতি হবে না।
দেশের তাঁত শ্রমিকদের বেহাল দশার কথা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, গত পাঁচ বছরে দুই লাখ তাঁত কল বন্ধ হয়েছে। পুঁজি হারিয়ে শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সরকার একদিকে মানুষ খুন করছে আরেকদিকে মানুষকে বেকার করছে। গার্মেন্টস শিল্পে বিএনপির সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গার্মেন্টস শিল্প আমরা শুরু করেছিলাম। এখন চরম সঙ্কটে পোশাক শিল্প।
No comments:
Post a Comment