বিদায়বেলায় অভিমানী মালবিকা
এই সময়: নির্ধারিত সময়ের পরও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে তাঁর থাকা ও মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে বারবার বিতর্ক হয়েছে৷ বাম-ডান নির্বিশেষে শিক্ষাবিদরা উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সেই কাজের তীব্র সমালোচনায় একজোট হয়েছিলেন৷ কখনও রাজ্যপাল তথা আচার্য এম কে নারায়ণন অথবা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন৷ কিন্ত্ত কার্যকালের শেষ দিন প্রেসিডেন্সির শেষ অস্থায়ী উপাচার্য মালবিকা সরকার তাঁর 'অসম্মানজনক' বিদায়ের জন্য আচার্য ও রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুললেন৷
শুক্রবার প্রেসিডেন্সির প্রথম স্থায়ী উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে পাশে বসিয়ে মালবিকাদেবী বলেন, 'সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই আমি উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব হস্তান্তরের খবর জেনেছি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ কাজের দিন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও সরকারি চিঠি পাইনি৷ তবে আজ শুনছি, রেজিষ্ট্রারকে উদ্দেশ্য করে একটা চিঠি এসেছে৷ তার শেষ দু'লাইনে লেখা আছে, আজ আমাকে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে৷ এর আগে আমার নিয়োগপত্র ও মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে আচার্যের থেকে চিঠি এসেছে৷ যদিও যাওয়ার সময় আচার্য বা উচ্চশিক্ষা দপ্তরের থেকে কোনও চিঠি পাইনি৷ কোথাও (আচার্য ও উচ্চশিক্ষা দপ্তর) থেকে একটা চিঠি এলে ভালো লাগত৷ এই জিনিসটা আমার মনে অনেক প্রশ্ন তুলে দিল৷ বলা হচ্ছে, উচ্চশিক্ষাকে বিশ্বমানের করব৷ অথচ হার্ভার্ড বা কেমব্রিজে উপাচার্যের এ রকম বিদায় ভাবা যায় না৷ আশা করব, ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্সি-সহ রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও যখন দায়িত্ব ছেড়ে যাবেন, তাঁদের বিদায়টা সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হবে৷ কারণ সবারই সম্মান আছে৷'
যদিও রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আচার্যের এ বিষয়ে কিছু করার নেই৷ উচ্চশিক্ষা দপ্তরই আচার্যের অফিস৷ তারাই এ ব্যাপারে উত্তর দিতে পারবে৷ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'মালবিকাদেবীর কার্যকাল বাড়ানোর চিঠিতেই বলা হয়েছিল, তাঁর মেয়াদ ১৫ মে অথবা নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ পর্যন্ত৷ যেটা আগে হবে, তখনই তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিতে হবে৷ উচ্চশিক্ষা সচিবও তাঁকে ফোন করে নতুন উপাচার্যর দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অপর এক শীর্ষ আধিকারিকও রেজিস্ট্রারকে চিঠি পাঠিয়ে উপাচার্যের হাত বদলের কথা জানিয়েছেন৷ কোথাও হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে৷ তবে মালবিকাদেবীর প্রতি আমার আস্থা আছে৷ উনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন৷'
বিকাশ ভবনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, বুধবারই প্রেসিডেন্সির রেজিস্ট্রার প্রবীর দাশগুপ্তকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্সির প্রথম স্থায়ী উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া ২ মে দায়িত্ব নেবেন৷ আর মালবিকাদেবী ওইদিন দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন৷ সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে৷ ওই চিঠির কপি একইসঙ্গে অনুরাধাদেবী ও বিদায়ী উপাচার্যকে পাঠানো হয়েছে৷ এটাই প্রচলিত প্রথা৷ যদিও পালাবদলের পর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে অস্থায়ী উপাচার্য তথা সর্বোচ্চ ফরাসি নাগরিক সম্মান পাওয়া চিন্ময় গুহ সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রথম পছন্দের স্থায়ী উপাচার্য মনোনীত হলেও তাঁকে ফোন করেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে বলা হয়েছিল৷
প্রেসিডেন্সির বিদায়ী উপাচার্য ১৩ মে অবসর নিতে চেয়েছিলেন৷ কিন্ত্ত বর্তমান উপাচার্য পূর্ব নির্ধারিত কাজের জন্য ৬ থেকে ২৬ মে বিদেশে থাকবেন৷ সেজন্য ২ মে তাঁকেই দায়িত্ব নিতে আর্জি জানায় উচ্চশিক্ষা দপ্তর৷ সাংবাদিক সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে মালবিকাদেবী অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, 'রাজারহাটে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের শিলান্যাসের দিন উনি যেভাবে আমাকে সমর্থন করেছিলেন ও সুন্দর পরামর্শ দিয়েছিলেন, তাতে আমি অভিভূত হয়েছিলাম৷'
এই সময়: নির্ধারিত সময়ের পরও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে তাঁর থাকা ও মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে বারবার বিতর্ক হয়েছে৷ বাম-ডান নির্বিশেষে শিক্ষাবিদরা উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সেই কাজের তীব্র সমালোচনায় একজোট হয়েছিলেন৷ কখনও রাজ্যপাল তথা আচার্য এম কে নারায়ণন অথবা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন৷ কিন্ত্ত কার্যকালের শেষ দিন প্রেসিডেন্সির শেষ অস্থায়ী উপাচার্য মালবিকা সরকার তাঁর 'অসম্মানজনক' বিদায়ের জন্য আচার্য ও রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুললেন৷
শুক্রবার প্রেসিডেন্সির প্রথম স্থায়ী উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে পাশে বসিয়ে মালবিকাদেবী বলেন, 'সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই আমি উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব হস্তান্তরের খবর জেনেছি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ কাজের দিন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও সরকারি চিঠি পাইনি৷ তবে আজ শুনছি, রেজিষ্ট্রারকে উদ্দেশ্য করে একটা চিঠি এসেছে৷ তার শেষ দু'লাইনে লেখা আছে, আজ আমাকে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে৷ এর আগে আমার নিয়োগপত্র ও মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে আচার্যের থেকে চিঠি এসেছে৷ যদিও যাওয়ার সময় আচার্য বা উচ্চশিক্ষা দপ্তরের থেকে কোনও চিঠি পাইনি৷ কোথাও (আচার্য ও উচ্চশিক্ষা দপ্তর) থেকে একটা চিঠি এলে ভালো লাগত৷ এই জিনিসটা আমার মনে অনেক প্রশ্ন তুলে দিল৷ বলা হচ্ছে, উচ্চশিক্ষাকে বিশ্বমানের করব৷ অথচ হার্ভার্ড বা কেমব্রিজে উপাচার্যের এ রকম বিদায় ভাবা যায় না৷ আশা করব, ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্সি-সহ রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও যখন দায়িত্ব ছেড়ে যাবেন, তাঁদের বিদায়টা সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হবে৷ কারণ সবারই সম্মান আছে৷'
যদিও রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আচার্যের এ বিষয়ে কিছু করার নেই৷ উচ্চশিক্ষা দপ্তরই আচার্যের অফিস৷ তারাই এ ব্যাপারে উত্তর দিতে পারবে৷ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'মালবিকাদেবীর কার্যকাল বাড়ানোর চিঠিতেই বলা হয়েছিল, তাঁর মেয়াদ ১৫ মে অথবা নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ পর্যন্ত৷ যেটা আগে হবে, তখনই তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিতে হবে৷ উচ্চশিক্ষা সচিবও তাঁকে ফোন করে নতুন উপাচার্যর দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অপর এক শীর্ষ আধিকারিকও রেজিস্ট্রারকে চিঠি পাঠিয়ে উপাচার্যের হাত বদলের কথা জানিয়েছেন৷ কোথাও হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে৷ তবে মালবিকাদেবীর প্রতি আমার আস্থা আছে৷ উনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন৷'
বিকাশ ভবনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, বুধবারই প্রেসিডেন্সির রেজিস্ট্রার প্রবীর দাশগুপ্তকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্সির প্রথম স্থায়ী উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া ২ মে দায়িত্ব নেবেন৷ আর মালবিকাদেবী ওইদিন দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন৷ সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে৷ ওই চিঠির কপি একইসঙ্গে অনুরাধাদেবী ও বিদায়ী উপাচার্যকে পাঠানো হয়েছে৷ এটাই প্রচলিত প্রথা৷ যদিও পালাবদলের পর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে অস্থায়ী উপাচার্য তথা সর্বোচ্চ ফরাসি নাগরিক সম্মান পাওয়া চিন্ময় গুহ সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রথম পছন্দের স্থায়ী উপাচার্য মনোনীত হলেও তাঁকে ফোন করেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে বলা হয়েছিল৷
প্রেসিডেন্সির বিদায়ী উপাচার্য ১৩ মে অবসর নিতে চেয়েছিলেন৷ কিন্ত্ত বর্তমান উপাচার্য পূর্ব নির্ধারিত কাজের জন্য ৬ থেকে ২৬ মে বিদেশে থাকবেন৷ সেজন্য ২ মে তাঁকেই দায়িত্ব নিতে আর্জি জানায় উচ্চশিক্ষা দপ্তর৷ সাংবাদিক সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে মালবিকাদেবী অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, 'রাজারহাটে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের শিলান্যাসের দিন উনি যেভাবে আমাকে সমর্থন করেছিলেন ও সুন্দর পরামর্শ দিয়েছিলেন, তাতে আমি অভিভূত হয়েছিলাম৷'
No comments:
Post a Comment