অক্ষয় তৃতীয়ায় পড়ল সোনার দাম
এই সময়: অক্ষয় তৃতীয়ায় ভাগ্য খুলল না সোনার৷ ব্র্যান্ডেড শো-রুম থেকে বউবাজারের সোনা পট্টি৷ কলকাতা, মুম্বই কিংবা দিল্লি-শুক্রবার সর্বত্রই সোনার বাজার নিম্নমুখী ছিল৷ বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে শুক্রবার সোনার দাম পড়ে যায়৷ সেই কারণে দেশের বাজারেও সোনার দর পড়ে যায়৷ কলকাতায় ২৪ ক্যারাট পাকা সোনা এবং ২২ ক্যারাট গয়না সোনার দাম এ দিন ১০০ টাকা মতো পড়ে যায়৷ দিল্লিতে সোনার দাম পড়েছে ২০০ টাকা৷
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দেশের বাজারে সোনার দাম এতটা পড়ে যাওয়ার আরেকটা কারণ, সোনার অলঙ্কারের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় না হওয়া৷ গত কয়েক বছরে তেমনটাই দেখা গিয়েছিল৷ কিন্ত্ত, বেশিরভাগ বিক্রেতাই শুক্রবার জানিয়েছেন, অন্যান্য বারের চেয়ে সোনার বিক্রি এদিন ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কম ছিল৷
তবে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বিক্রি কম দেখা গেলেও পশ্চিমবঙ্গে স্বর্ণবিক্রেতাদের বিক্রি মোটামুটি একই ছিল বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়ার জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশনের তরফে ডিরেক্টর বাচ্ছারাজ বামালওয়া৷ আগের বছরের তুলনায় খুব বাড়েওনি বা কমেওনি৷ সেনকো গোল্ড-পি সি চন্দ্র বা অঞ্জলি জুয়েলার্সের মতো শহরের সোনার দোকানগুলি সকাল থেকেই বিক্রি নিয়ে আশাবাদী ছিল৷ সেনকো গোল্ডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেন জানান, 'গত তিন-চার বছর ধরে অক্ষয় তৃতীয়ার বিক্রি ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে৷ ধনতেরাসের মতো উন্মাদনা না থাকলেও, এদিন মানুষ সোনা কিনতে আসেনই৷ বিয়ের মরসুম কাছাকাছি থাকায় অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেও অনেকে বিয়ের গয়না কিনতে চান৷' পি সি চন্দ্রের জয়েন্ট এমডি শুভ্র চন্দ্র বলেন, 'সম্প্রতি অক্ষয় তৃতীয়ার পণ্যায়ন বেশি হওয়ার জন্য ডিসকাউন্ট-ছাড়-গিফট প্রভৃতির হাতছানিতে দোকানে ভিড় হচ্ছে৷' ভিড় নিয়ে সহমত অঞ্জলি জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অনর্ঘ্য চৌধুরী বলেন, 'আগামী দিনে সোনার দাম আরও একটু কমবে৷ তখন সোনা কেনার চাহিদা আরও একটু বাড়বে৷'
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সব সোনার দোকানেই পুজো, ফুলের সাজ এবং সামনে সারি দেওয়া চেয়ার দেখা গেলেও গ্রাহকদের আনাগোনা তেমন ছিল না৷ দোকান মালিকদের অবশ্য দাবি, 'এই গরমে সকালে বা দুপুরে তেমন লোক আসছেন না৷ ভিড় হবে বিকেলে৷' কিন্ত্ত সন্ধ্যা নামলেও সেই ভিড় যে খুব আশা দেখাতে পেরেছে এমন নয়৷
শেয়ার বাজারে এ দিন সন্ধে সাড়ে সাতটা অবধি গোল্ড ইটিএফ কেনা-বেচার সুযোগ থাকলেও, মোট কেনাবেচা হয়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক কম৷ শুক্রবার মোট ৬২ কোটি টাকার গোল্ড ইটিএফ কেনাবেচা হয় মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জে৷ গত বছর ওই পরিমাণ ছিল ৬৯১ কোটি টাকা৷
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং শেয়ার বিনিয়োগে বেশি রিটার্ন পাওয়ার কারণেই এ বছর সোনা কেনায় মানুষের আগ্রহ কম ছিল৷ গত এক বছরে সেনসেক্স ১৭ শতাংশের কাছাকাছি রিটার্ন দিয়েছে৷ সেখানে সোনায় রিটার্ন পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৯.৭ শতাংশ৷
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দেশের বাজারে সোনার দাম এতটা পড়ে যাওয়ার আরেকটা কারণ, সোনার অলঙ্কারের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় না হওয়া৷ গত কয়েক বছরে তেমনটাই দেখা গিয়েছিল৷ কিন্ত্ত, বেশিরভাগ বিক্রেতাই শুক্রবার জানিয়েছেন, অন্যান্য বারের চেয়ে সোনার বিক্রি এদিন ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কম ছিল৷
তবে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বিক্রি কম দেখা গেলেও পশ্চিমবঙ্গে স্বর্ণবিক্রেতাদের বিক্রি মোটামুটি একই ছিল বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়ার জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশনের তরফে ডিরেক্টর বাচ্ছারাজ বামালওয়া৷ আগের বছরের তুলনায় খুব বাড়েওনি বা কমেওনি৷ সেনকো গোল্ড-পি সি চন্দ্র বা অঞ্জলি জুয়েলার্সের মতো শহরের সোনার দোকানগুলি সকাল থেকেই বিক্রি নিয়ে আশাবাদী ছিল৷ সেনকো গোল্ডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেন জানান, 'গত তিন-চার বছর ধরে অক্ষয় তৃতীয়ার বিক্রি ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে৷ ধনতেরাসের মতো উন্মাদনা না থাকলেও, এদিন মানুষ সোনা কিনতে আসেনই৷ বিয়ের মরসুম কাছাকাছি থাকায় অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেও অনেকে বিয়ের গয়না কিনতে চান৷' পি সি চন্দ্রের জয়েন্ট এমডি শুভ্র চন্দ্র বলেন, 'সম্প্রতি অক্ষয় তৃতীয়ার পণ্যায়ন বেশি হওয়ার জন্য ডিসকাউন্ট-ছাড়-গিফট প্রভৃতির হাতছানিতে দোকানে ভিড় হচ্ছে৷' ভিড় নিয়ে সহমত অঞ্জলি জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অনর্ঘ্য চৌধুরী বলেন, 'আগামী দিনে সোনার দাম আরও একটু কমবে৷ তখন সোনা কেনার চাহিদা আরও একটু বাড়বে৷'
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সব সোনার দোকানেই পুজো, ফুলের সাজ এবং সামনে সারি দেওয়া চেয়ার দেখা গেলেও গ্রাহকদের আনাগোনা তেমন ছিল না৷ দোকান মালিকদের অবশ্য দাবি, 'এই গরমে সকালে বা দুপুরে তেমন লোক আসছেন না৷ ভিড় হবে বিকেলে৷' কিন্ত্ত সন্ধ্যা নামলেও সেই ভিড় যে খুব আশা দেখাতে পেরেছে এমন নয়৷
শেয়ার বাজারে এ দিন সন্ধে সাড়ে সাতটা অবধি গোল্ড ইটিএফ কেনা-বেচার সুযোগ থাকলেও, মোট কেনাবেচা হয়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক কম৷ শুক্রবার মোট ৬২ কোটি টাকার গোল্ড ইটিএফ কেনাবেচা হয় মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জে৷ গত বছর ওই পরিমাণ ছিল ৬৯১ কোটি টাকা৷
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং শেয়ার বিনিয়োগে বেশি রিটার্ন পাওয়ার কারণেই এ বছর সোনা কেনায় মানুষের আগ্রহ কম ছিল৷ গত এক বছরে সেনসেক্স ১৭ শতাংশের কাছাকাছি রিটার্ন দিয়েছে৷ সেখানে সোনায় রিটার্ন পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৯.৭ শতাংশ৷
No comments:
Post a Comment