Thursday, May 29, 2014

আজও ভালবাসা

আজও ভালবাসা



a
ইকরামুল কবীর টিপু’র একগুচ্ছ কবিতা
আজও ভালবাসা
‘ভালবাসা’ রঙ, বর্ণ, গন্ধ আর অস্তিত্তহীন শব্ধ
ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, দেখাও যায়না-
বিশ্বাসের ভিতটা কেঁপে ওঠে, বুকের ভিতর
বিছানার নীচে, ভাঁজ করা কাগজে লেখা ছিল,
স্মৃতির পাতায় কচি মুখটা ভেসে ওঠে,
কতদিন দেখা হয়না, সম্ভাবনার দীর্ঘ পথে
এখন আমার বয়স কত?
বর্ষায়-বৃষ্টিতে, হাত ধরে দু’জন
টুনটুনি পাখির আঁশযুক্ত ঘর ভাঙ্গার উৎসব-
বিয়ে বিয়ে খেলা, বাঁজ পড়ার শব্দে চমকে ওঠা,
মনে পড়ে সবই- শুধু পাজড়টা নেই-
ওপাসের আয়নায় আগন্তকের ছবি চিরস্থায়ী,
কিন্তু এখনো স্বজত্নে লালিত, কৈশোরের ছোঁয়া
কাগজটা দুইযুগ এমনই আছে, আজও ‘ভালবাসা’।
জোনাকীদের হরতাল
তোমার বুকের দুই পাহারে
দশ পর্বতারোহীর বিচরণ,
তলদেশের উর্বরা জমিতে
পরিশ্রমি কৃষকের লাঙ্গল।
ভরা চৈত্রের প্রতিফোটা ঘামে
ভালবাসা বনাম ভাললাগা,
সুন্দর অসুন্ধরের সমরেখায়
কোথায় মাটি ছুঁয়েছে আকাশ?
কাঁশ বনে তোমার পতাকা উড়িয়ে
জাতির পরিচয় বিভ্রাট,
আগুন লাগা ঘরে দিয়াশলাইয়ের খোঁজ
প্রজন্ম কি ফতোয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ ?
যৌবনের প্রথম হাল খাতায়
হিসেবের গড়মিল- তৃষ্ণার্ত হাসন,
এখন অন্ধকার, ঝিঁ ঝিঁ পোকারা বিক্ষুব্ধ,
জোনাকীরাও কি ডেকেছে হরতাল ?
ঋতু বিভ্রাট
দৃষ্টিতে বিদ্যুৎ চমকালো হঠাৎ
কেন? কাকে দেখে? এখন কোন ঋতু?
অবেলায় কোকিলের সুরেলা কণ্ঠ
খাঁচার ভিতরের পেণ্ডুলাম বেজে ওঠে
ঢং-ঢং-ঢং, এখন সময় কত ?
ছাপড়াটা কি নড়ে উঠলো?
ঝড়ে বিদ্ধস্ত খুটিগুলোর ফাঁকে
‘ধণ্য ধন্য বলি তারে,’ লালন কি হাসে?
হবে হয়তো পূর্ণিমা আজ,
সময়েরও আদব কায়দার বালাই নেই-
হৃদয় কি শো-পিস এখনো?
বেয়ারা চোখ, মানে না শাসন,
কি খোঁজে? কিছু কি পেলো? অভ্রে আবীরে?
স্মৃতিটা কেপে উঠলো, বার কয়েক-
এখনতো লোড শেডিং চলছে,
ওইতো কাশবন ।
কথপোকথন
সবুরন সমিরন আর সফুরন
ঝলমলে সকাল চায়,
চুনকাম করা চোখ মুখে- কৃষকের খোঁজ
‘মাগিদের জোস আছে’ হবে আজ বিপ্লব,
পানের চিপটি পড়ে ‘মাসি’র চিবুকের নর্দমায়
‘নে-ধর, বনি কর’ তাগড়া ষাড়,
‘মোড় ছেইলার বয়স, ক্ষোভে ধরা গলা-
জাত কিরে তোর ?
‘বেশ্যার ছাওয়াল’
পেয়ারা খাবি, লেবু রসের সরবত,
এখন ভরা চৈত্র, গোছলের সময় যায়,
মরলেতো কবর নাই-মাটি চাপা আর শ্মশানে পোড়া-
বুড়া বাপ মায়েরে শাড়ি-লুঙ্গি পাঠা
‘নডি’ জন্মের পুরষ্কার,
ঝড় ওঠে- বিদ্যুৎ চমকায়, বাজ পড়ে
কামড়ে ধরে বলদ,
ছাড় গোলাম, এইহানে কি?
বেমাড় আছে- ধার নিবি, সিলমারা ভদ্রলোক?
প্রশ্ন এবং তুমি
হ্যাঁ- তোমাকেই বলছি,
দৃষ্টিতে কি ছিল তোমার
সামনে দাড়ালে যেদিন ?
বৃষ্টির ফোটায়তো ছন্দ ছিলনা,
বাগানের ফুলে ছিল নর্দমার গন্ধ-
পাখির কলতানে শুনেছি বিসাদের সুর
অভ্র-আবীরে দেখেছি আগুনের ফুলকি
ঠোট ছিল তোমার চৈত্রের চিড়
স্বপ্নটা তারপরও ছিল ভালবাসার, সামনে প্রাচীর,
তোমার দীর্ঘশ্বাসের অতীত চিড়ে
সামনে এগুলে দু’কম, আমার বুক ঘেসে,
একটু কি কেঁপে উঠেছিলে, আমার নিঃশ্বাসে?
Dhaka Protidin

No comments:

Post a Comment