তাহলে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন না কেন : প্রশ্ন মখাকে
https://www.youtube.com/watch?
নারায়ণগঞ্জের অপহরণের ঘটনা প্রসঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, ‘যারা এসব অপরাধ সংঘঠিত করেছে প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সেহেতু অপরাধী যারাই হোক না কেন তাদেরকে নিশ্চিতভাবে গ্রেপ্তার করা হবে’।
শুক্রবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির ‘ডেমোক্রেসি’ অনুষ্ঠানে সাবেক এই মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘গুম অপহরণ, রাহাজানি, আতঙ্ক।’
মহীউদ্দীন খানের এমন বক্তব্যে অনেকের মনেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাদের প্রশ্ন, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেই যখন অপরাধীদের ধরা সম্ভব এবং অনাকাক্সিক্ষত অঘটনা এড়ানো সম্ভব তাহলে প্রধানমন্ত্রী কেন সময় মতো এই নির্দেশটুকু দেন না।
অবশ্য আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতার বক্তব্যের কিছুটা সত্যতাও রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম প্রমাণ হচ্ছে পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিক অপহরণের ঘটনা। এই ঘটনায় গোটা দেশে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানা সমালোচনা হতে থাকে।
এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপহৃতকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রত্যক্ষভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর এরপর অপহরণের মাত্র ৩৫ ঘণ্টার অপরাধীরা তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
একইভাবে নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর প্যানেল মেয়রসহ নজরুল ইসলামসহ ৭ জনের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তাল হয়ে ওঠে। অপহরণ, গুম, খুুনের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। জড়িত সন্দেহে কয়েকজনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সারা দেশে যখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সুশীল সমাজসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ উদ্বেগ ও সমালোচনা করতে থাকে। তখন প্রধানমন্ত্রী অপরাধীদের ধরতে আবারো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। তৎপর হয়ে উঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্থানীয় প্রশাসনে কিছুটা রদবদলও করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ পরপরই আবারো সেখানে সৈয়দ সাইফুল ইসলাম নামে আরেক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। অপরণকারীরা তার মুক্তির জন্য মোটা অংকের টাকাও দাবি করে। এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জ। বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকে।
আর এ বিক্ষোভের মধ্যেই শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে থেকে র্যাব র্যাব অপহৃত ব্যবসায়ী সৈয়দ সাইফুল ইসলামকে চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।
সুতরাং এ থেকে বুঝা যায় প্রধানমন্ত্রী যখন নির্দেশ দিয়েছেন তখন অপরাধী গ্রেপ্তার না হলেও যাকে অপহরণ করা হয়েছে তাকে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা গেছে। আবু বকর সিদ্দিক ও সৈয়দ সাইফুল ইসলাম উদ্ধারই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
ওদিকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ না দিলে অপহৃতকে উদ্ধার করা যে সম্ভব হয় না তারও কিন্তু প্রমাণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ও আলোচিত ঘটনা হচ্ছে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনা। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ অপহৃত হন বিএনপির এই নেতা। এ ঘটনার পর বিএনপি নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করলেও প্রধানমন্ত্রী কিন্তু তাকে উদ্ধারে প্রত্যক্ষ কোনো নির্দেশনা দেননি। আর অপহরণের দীর্ঘদিন পরে তাকে খোঁজেও পাওয়া যায়নি।
একইভাবে দেশের সবচেয়ে আলোচিত হত্যাকা- সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকা-ের বিষয়টিও একই রকম। এ ঘটনার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন কথা বললেও প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে তেমন কিছুি বলেননি। অপরাধের গ্রেপ্তার কিংবা হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্পর্কেও কিছু বলেননি প্রধানমন্ত্রী। বরং একবার বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন- কারো বেডরুম পাহাড়া দেয়া সম্ভব নয়। ফলে সাগর-রুনি হত্যার পর দীর্ঘ ২ বছর পেরিয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার তো দূরের কথা এ মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতিও হয়নি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হয় এই সাংবাদিক দম্পতি।
এমতাবস্থায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর যখন টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে বললেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু নির্দেশ দিয়েছেন তখন অপরাধী যেই হোক তাকে অবশ্যই ধরা হবে।
ওদিকে নারায়ণগঞ্জে অপহৃত ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে উদ্ধারের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, মুক্তিপণের জন্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণেই তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। পুলিশের পক্ষ থেকেও বলা হয়, পুলিশের তৎপরতার কারণেই অপহরণকারীরা সাইফুল ইসলামকে ফেলে রেখে যায়।
তাহলে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হলেই যখন অপহরণের পর অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়ানো সম্ভব তাহলে কেন প্রধানমন্ত্রী সব ঘটনার ক্ষেত্রে সময় মতো নির্দেশ দেন না এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ঘটনার ক্ষেত্রে তৎপর হয় না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সঙ্গে আরটিভির ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-নোমান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ও সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাইদ খান।
অনুষ্ঠানে মহীউদ্দীন খান আলমগীর আরো বলেন, যখনই কোনো এলাকায় হত্যাকা- ও অপরহণ সংঘঠিত হয় তখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর দোষ চাপানো হয়। নারায়ণগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি সরকারের জন্যও দুঃখজনক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি কেউ বলেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে তাহলে সেটি হবে অতি সরলীকরণ ও উদ্দেশ্যমূলক।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে তার বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করবে। সেই তদন্তের মাধমে অপরাধী প্রমাণ হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। ঘটনা ঘটা এবং ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকা এক কথা নয়।
http://www.onbangladesh.org/ newsdetail/detail/200/75414
শুক্রবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির ‘ডেমোক্রেসি’ অনুষ্ঠানে সাবেক এই মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘গুম অপহরণ, রাহাজানি, আতঙ্ক।’
মহীউদ্দীন খানের এমন বক্তব্যে অনেকের মনেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাদের প্রশ্ন, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেই যখন অপরাধীদের ধরা সম্ভব এবং অনাকাক্সিক্ষত অঘটনা এড়ানো সম্ভব তাহলে প্রধানমন্ত্রী কেন সময় মতো এই নির্দেশটুকু দেন না।
অবশ্য আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতার বক্তব্যের কিছুটা সত্যতাও রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম প্রমাণ হচ্ছে পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিক অপহরণের ঘটনা। এই ঘটনায় গোটা দেশে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানা সমালোচনা হতে থাকে।
এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপহৃতকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রত্যক্ষভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর এরপর অপহরণের মাত্র ৩৫ ঘণ্টার অপরাধীরা তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
একইভাবে নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর প্যানেল মেয়রসহ নজরুল ইসলামসহ ৭ জনের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তাল হয়ে ওঠে। অপহরণ, গুম, খুুনের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। জড়িত সন্দেহে কয়েকজনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সারা দেশে যখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সুশীল সমাজসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ উদ্বেগ ও সমালোচনা করতে থাকে। তখন প্রধানমন্ত্রী অপরাধীদের ধরতে আবারো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। তৎপর হয়ে উঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্থানীয় প্রশাসনে কিছুটা রদবদলও করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ পরপরই আবারো সেখানে সৈয়দ সাইফুল ইসলাম নামে আরেক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। অপরণকারীরা তার মুক্তির জন্য মোটা অংকের টাকাও দাবি করে। এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জ। বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকে।
আর এ বিক্ষোভের মধ্যেই শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে থেকে র্যাব র্যাব অপহৃত ব্যবসায়ী সৈয়দ সাইফুল ইসলামকে চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।
সুতরাং এ থেকে বুঝা যায় প্রধানমন্ত্রী যখন নির্দেশ দিয়েছেন তখন অপরাধী গ্রেপ্তার না হলেও যাকে অপহরণ করা হয়েছে তাকে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা গেছে। আবু বকর সিদ্দিক ও সৈয়দ সাইফুল ইসলাম উদ্ধারই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
ওদিকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ না দিলে অপহৃতকে উদ্ধার করা যে সম্ভব হয় না তারও কিন্তু প্রমাণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ও আলোচিত ঘটনা হচ্ছে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনা। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ অপহৃত হন বিএনপির এই নেতা। এ ঘটনার পর বিএনপি নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করলেও প্রধানমন্ত্রী কিন্তু তাকে উদ্ধারে প্রত্যক্ষ কোনো নির্দেশনা দেননি। আর অপহরণের দীর্ঘদিন পরে তাকে খোঁজেও পাওয়া যায়নি।
একইভাবে দেশের সবচেয়ে আলোচিত হত্যাকা- সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকা-ের বিষয়টিও একই রকম। এ ঘটনার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন কথা বললেও প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে তেমন কিছুি বলেননি। অপরাধের গ্রেপ্তার কিংবা হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্পর্কেও কিছু বলেননি প্রধানমন্ত্রী। বরং একবার বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন- কারো বেডরুম পাহাড়া দেয়া সম্ভব নয়। ফলে সাগর-রুনি হত্যার পর দীর্ঘ ২ বছর পেরিয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার তো দূরের কথা এ মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতিও হয়নি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হয় এই সাংবাদিক দম্পতি।
এমতাবস্থায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর যখন টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে বললেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু নির্দেশ দিয়েছেন তখন অপরাধী যেই হোক তাকে অবশ্যই ধরা হবে।
ওদিকে নারায়ণগঞ্জে অপহৃত ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে উদ্ধারের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, মুক্তিপণের জন্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণেই তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। পুলিশের পক্ষ থেকেও বলা হয়, পুলিশের তৎপরতার কারণেই অপহরণকারীরা সাইফুল ইসলামকে ফেলে রেখে যায়।
তাহলে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হলেই যখন অপহরণের পর অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়ানো সম্ভব তাহলে কেন প্রধানমন্ত্রী সব ঘটনার ক্ষেত্রে সময় মতো নির্দেশ দেন না এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ঘটনার ক্ষেত্রে তৎপর হয় না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সঙ্গে আরটিভির ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-নোমান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ও সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাইদ খান।
অনুষ্ঠানে মহীউদ্দীন খান আলমগীর আরো বলেন, যখনই কোনো এলাকায় হত্যাকা- ও অপরহণ সংঘঠিত হয় তখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর দোষ চাপানো হয়। নারায়ণগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি সরকারের জন্যও দুঃখজনক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি কেউ বলেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে তাহলে সেটি হবে অতি সরলীকরণ ও উদ্দেশ্যমূলক।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে তার বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করবে। সেই তদন্তের মাধমে অপরাধী প্রমাণ হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। ঘটনা ঘটা এবং ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকা এক কথা নয়।
http://www.onbangladesh.org/
No comments:
Post a Comment