সুমন বটব্যাল ও অরূপকুমার পাল
কেশিয়াড়ি ও গড়বেতা: দেবেই মোহিত মেদিনীপুর৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়েও তৃণমূলের সভায় সোমবার তিনিই যেন প্রধান আকর্ষণ ছিলেন৷ তাঁর নামেই উসখুস করা জনতাকে বারবার বসিয়ে রেখেছেন তৃণমূল নেতারা৷ হেলিকপ্টার বিভ্রাটে এ দিন সড়কপথেই আসতে হয় বলে পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি সভাতেই অনেক দেরিতে পৌঁছন মমতা৷ রোদের প্রখর তাপে বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল বলে বেলা ২টোতেই গড়বেতায় মঞ্চের সামনে থেকে উঠে পড়তে থাকেন মহিলারা৷ বেগতিক বুঝে তৃণমূলের কিষান খেতমজুর সংগঠনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দুলাল মণ্ডল মাইক্রোফোন ধরে বলতে শুরু করেন,'মা-বোনেদের বিনীতভাবে অনুরোধ করছি কেউ যাবেন না৷ দিদি রাস্তায় আসছেন৷'
লোকজন আটকে রাখতে মোট ১৪ জন নেতা ভাষণ দিলেও তখনও মুখ্যমন্ত্রীর দেখা নেই৷ বেলা ৩টেয় মহিলারা আবার সভা থেকে উঠতে শুরু করলে এ বার দুলালবাবুর মোক্ষম ঘোষণা, 'দিদির আগে দেব আসছেন৷' ব্যস, দেব-ম্যাজিকের শুরু৷ হাততালিতে ফেটে পে.ড গোটা জনসভা৷ ৩-৪০ নাগাদ ফের মানুষের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটতে দেখে দুলালবাবু আবার মাইক ধরলেন, 'দেব আসছেন৷ সন্ধ্যা রায় আসছেন৷ দিদি আসছেন৷'
দুলালবাবুর কাছ থেকে মাইক্রোফোন টেনে জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ বলতে শুরু করলেন,'নায়ক, চিত্রতারকা, অভিনেতা, ঘাটালের প্রার্থী দেব আছেন দিদির সঙ্গে৷ ৪টা ৫৯ -এ মমতার গাি.ড থেকে দেবকেও নামতে দেখে মানুষের হাততালি আর থামেই না৷ থেকেই বোঝা যাচ্ছিল৷ বিচক্ষণ মমতা মঞ্চে আগে এগিয়ে দিলেন দেবকে৷ উঠেই দেব বলেন,'দেরি করে আসার জন্য৷ কান ধরে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি৷'
সন্ধে সাতটা নাগাদ কেশপুরে পৌঁছে তিনি একেবারে হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইলেন জনতার কাছে৷ বললেন, 'আমি আপনাদের কষ্ট দিতে চাইনি৷ প্লিজ, আমাকে ক্ষমা করে দেবেন৷' গলার স্বরের আন্তরিকতায় মুগ্ধ জনতা৷ এরপর যখন গড়বেতায় তিনি জিজ্ঞাসা করেন, 'আপনাদের এখানে উমা সোরেনকে আর্শীবাদ করবেন তো? দায়িত্ব দেবেন তো?' 'হঁ্যা' চিত্কার যেন থামতেই চায় না৷ মানুষের গর্জন শুনে দেব আবার বলেন,'আমি চাই বাঙালিরা পার্লামেন্টে রাজ করুক৷'
ক্ষমা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চাইলেন বটে, কিন্ত্ত তিনটি সভাতেই হেলিকপ্টার বিভ্রাটের পিছনে চক্রান্তের আভাস দিলেন৷ এ দিন তাঁর হেলিকপ্টারেই প্রথমে খড়গপুরের কেশিয়ারি, পরে গড়বেতা ও কেশপুরে সভা ছিল তাঁর৷ সড়কপথে আসার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, 'হেলিকপ্টার সত্যিই খারাপ হয়েছিল কি না, নাকি এর পিছনে চক্রান্ত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে৷' চক্রান্তের পিছনে কারা, নির্দিষ্ট ভাবে না বললেও তাঁর ইঙ্গিত ছিল, সভা বানচাল করতে চক্রান্ত হয়েছেই৷
তারপরেই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ফুঁসে ওঠেন তৃণমূল নেত্রী৷ বলেন, 'আমি মচকাই, কিন্ত্ত ভাঙি না৷ অনেকে ভেবেছিল, কপ্টার খারাপ হলে আমি আসতে পারব না৷ কিন্ত্ত এলাম তো৷ কোনও চক্রান্তই টিকবে না৷ কারণ আপনারা আমার সঙ্গে আছেন৷' সেই সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতিই জনতার কাছ থেকে আদায় করলেন দেব৷ 'আপনারা ভালো আছেন তো?' কুশল জিজ্ঞাসার পাশাপাশি তিনি বলেন, 'দেশ গড়ার সময় এসেছে৷ আমি দিদিকে বেছে নিয়েছি৷ আপনারাও দিদিকে বেছে নিন৷ সন্ধ্যাদিকে ভোট দিয়ে জেতান৷ আমাকে প্রচুর আর্শীবাদ করুন৷'
পাশেই ওডিশা সীমানা৷ জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের আঁতুরঘর৷ তাদের নাম না করেই দেব বলেন, 'যাঁরা ভোটে বিশ্বাস করেন না, তাঁদের পার্সোনালি রিকোয়েস্ট করব, প্লিজ তৃণমূলকে ভোট দিন৷' তারপরেই তাঁর চিত্কার, 'দেবেন তো?' মানুষ সেই চিত্কার শতগুণে ফিরিয়ে দিয়ে তাঁর কথায় ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন৷' আর মমতা বলেন,'দেবের সাথে আমি একমত৷ বাংলাই দিল্লিকে পাল্টাবে৷ আগামি দিনে বাংলাই দিল্লিকে জয় করবে৷ বাংলা দিল্লির কাছে যাবে না, দিল্লিই বাংলার কাছে আসবে৷' ১৯৯৮-এর পর এই প্রথম কেশপুর, গড়বেতায় এলেন তৃণমূল নেত্রী৷ সেই প্রসঙ্গের ইঙ্গিত করে মমতা বলেন, 'কেউ কেউ ভেবেছিল আমি গ.ডবেতা, কেশপুরে আসতে পারব না৷ কিন্ত্ত মনে রাখবেন, আমাকে এখানে মাটিতে পুঁতবেন তো আমি প্যারিসে বেরিয়ে যাব৷'
কেশিয়াড়ি ও গড়বেতা: দেবেই মোহিত মেদিনীপুর৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়েও তৃণমূলের সভায় সোমবার তিনিই যেন প্রধান আকর্ষণ ছিলেন৷ তাঁর নামেই উসখুস করা জনতাকে বারবার বসিয়ে রেখেছেন তৃণমূল নেতারা৷ হেলিকপ্টার বিভ্রাটে এ দিন সড়কপথেই আসতে হয় বলে পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি সভাতেই অনেক দেরিতে পৌঁছন মমতা৷ রোদের প্রখর তাপে বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল বলে বেলা ২টোতেই গড়বেতায় মঞ্চের সামনে থেকে উঠে পড়তে থাকেন মহিলারা৷ বেগতিক বুঝে তৃণমূলের কিষান খেতমজুর সংগঠনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দুলাল মণ্ডল মাইক্রোফোন ধরে বলতে শুরু করেন,'মা-বোনেদের বিনীতভাবে অনুরোধ করছি কেউ যাবেন না৷ দিদি রাস্তায় আসছেন৷'
লোকজন আটকে রাখতে মোট ১৪ জন নেতা ভাষণ দিলেও তখনও মুখ্যমন্ত্রীর দেখা নেই৷ বেলা ৩টেয় মহিলারা আবার সভা থেকে উঠতে শুরু করলে এ বার দুলালবাবুর মোক্ষম ঘোষণা, 'দিদির আগে দেব আসছেন৷' ব্যস, দেব-ম্যাজিকের শুরু৷ হাততালিতে ফেটে পে.ড গোটা জনসভা৷ ৩-৪০ নাগাদ ফের মানুষের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটতে দেখে দুলালবাবু আবার মাইক ধরলেন, 'দেব আসছেন৷ সন্ধ্যা রায় আসছেন৷ দিদি আসছেন৷'
দুলালবাবুর কাছ থেকে মাইক্রোফোন টেনে জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ বলতে শুরু করলেন,'নায়ক, চিত্রতারকা, অভিনেতা, ঘাটালের প্রার্থী দেব আছেন দিদির সঙ্গে৷ ৪টা ৫৯ -এ মমতার গাি.ড থেকে দেবকেও নামতে দেখে মানুষের হাততালি আর থামেই না৷ থেকেই বোঝা যাচ্ছিল৷ বিচক্ষণ মমতা মঞ্চে আগে এগিয়ে দিলেন দেবকে৷ উঠেই দেব বলেন,'দেরি করে আসার জন্য৷ কান ধরে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি৷'
সন্ধে সাতটা নাগাদ কেশপুরে পৌঁছে তিনি একেবারে হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইলেন জনতার কাছে৷ বললেন, 'আমি আপনাদের কষ্ট দিতে চাইনি৷ প্লিজ, আমাকে ক্ষমা করে দেবেন৷' গলার স্বরের আন্তরিকতায় মুগ্ধ জনতা৷ এরপর যখন গড়বেতায় তিনি জিজ্ঞাসা করেন, 'আপনাদের এখানে উমা সোরেনকে আর্শীবাদ করবেন তো? দায়িত্ব দেবেন তো?' 'হঁ্যা' চিত্কার যেন থামতেই চায় না৷ মানুষের গর্জন শুনে দেব আবার বলেন,'আমি চাই বাঙালিরা পার্লামেন্টে রাজ করুক৷'
ক্ষমা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চাইলেন বটে, কিন্ত্ত তিনটি সভাতেই হেলিকপ্টার বিভ্রাটের পিছনে চক্রান্তের আভাস দিলেন৷ এ দিন তাঁর হেলিকপ্টারেই প্রথমে খড়গপুরের কেশিয়ারি, পরে গড়বেতা ও কেশপুরে সভা ছিল তাঁর৷ সড়কপথে আসার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, 'হেলিকপ্টার সত্যিই খারাপ হয়েছিল কি না, নাকি এর পিছনে চক্রান্ত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে৷' চক্রান্তের পিছনে কারা, নির্দিষ্ট ভাবে না বললেও তাঁর ইঙ্গিত ছিল, সভা বানচাল করতে চক্রান্ত হয়েছেই৷
তারপরেই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ফুঁসে ওঠেন তৃণমূল নেত্রী৷ বলেন, 'আমি মচকাই, কিন্ত্ত ভাঙি না৷ অনেকে ভেবেছিল, কপ্টার খারাপ হলে আমি আসতে পারব না৷ কিন্ত্ত এলাম তো৷ কোনও চক্রান্তই টিকবে না৷ কারণ আপনারা আমার সঙ্গে আছেন৷' সেই সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতিই জনতার কাছ থেকে আদায় করলেন দেব৷ 'আপনারা ভালো আছেন তো?' কুশল জিজ্ঞাসার পাশাপাশি তিনি বলেন, 'দেশ গড়ার সময় এসেছে৷ আমি দিদিকে বেছে নিয়েছি৷ আপনারাও দিদিকে বেছে নিন৷ সন্ধ্যাদিকে ভোট দিয়ে জেতান৷ আমাকে প্রচুর আর্শীবাদ করুন৷'
পাশেই ওডিশা সীমানা৷ জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের আঁতুরঘর৷ তাদের নাম না করেই দেব বলেন, 'যাঁরা ভোটে বিশ্বাস করেন না, তাঁদের পার্সোনালি রিকোয়েস্ট করব, প্লিজ তৃণমূলকে ভোট দিন৷' তারপরেই তাঁর চিত্কার, 'দেবেন তো?' মানুষ সেই চিত্কার শতগুণে ফিরিয়ে দিয়ে তাঁর কথায় ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন৷' আর মমতা বলেন,'দেবের সাথে আমি একমত৷ বাংলাই দিল্লিকে পাল্টাবে৷ আগামি দিনে বাংলাই দিল্লিকে জয় করবে৷ বাংলা দিল্লির কাছে যাবে না, দিল্লিই বাংলার কাছে আসবে৷' ১৯৯৮-এর পর এই প্রথম কেশপুর, গড়বেতায় এলেন তৃণমূল নেত্রী৷ সেই প্রসঙ্গের ইঙ্গিত করে মমতা বলেন, 'কেউ কেউ ভেবেছিল আমি গ.ডবেতা, কেশপুরে আসতে পারব না৷ কিন্ত্ত মনে রাখবেন, আমাকে এখানে মাটিতে পুঁতবেন তো আমি প্যারিসে বেরিয়ে যাব৷'
http://eisamay.indiatimes.com/election-news/dev-and-mamata/articleshow/33061834.cms?
No comments:
Post a Comment