বামপন্থীদের প্রচারে সামিল পাশ থেকে সরে যাওয়া বুদ্ধিজীবীরাও
এই সময়: নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনার পরে বামফ্রন্ট সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে পাশ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন৷ বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের সেই অংশ এ রাজ্যে এখন 'ফ্যাসিবাদবিরোধী সমাবেশ'কে সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচনে বাম প্রার্থীদের সমর্থনেই পথে নামছেন৷ আর এই কর্মসূচির প্রচারপত্রে বলা হয়েছে, 'ঘুষ ও ঘুসির ঘায়ে মাথা বিক্রি করতে যাঁরা ঘৃণা বোধ করেন, তাঁরা সব্বাই আসুন৷' সংস্কৃতি সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে এই প্রচার-অনুষ্ঠান হবে দুষ্কৃতীর হাতে খুন হওয়া নাট্যব্যক্তিত্ব সফদার হাশমির জন্মদিনের আগের দিন ১১ এপ্রিল৷ অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে৷ তার আমন্ত্রণলিপিতে লেখা হয়েছে, 'লোভ, সন্ত্রাস, বশ্যতার বিরুদ্ধে সফদার হাশমিকে যাঁরা মনে রাখেন, তাঁরা আসুন৷'
বরাবর বামপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত সংস্কৃতি জগতের একাংশ৷ কিন্ত্ত তাঁরা বাম সরকার ও বামপন্থাকে সমার্থক মনে করেন না৷ সেই কারণেই তাঁরা নন্দীগ্রামের ঘটনার প্রতিবাদে সেই সময় বিভিন্ন সরকারি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন৷ এই অংশকে নিয়ে তৈরি হয় সংস্কৃতি সমন্বয় কমিটি৷ এর সভাপতি ও সম্পাদক, দুই নাট্য ব্যক্তিত্ব-- অশোক মুখোপাধ্যায় এবং চন্দন সেন৷ চন্দনবাবুর কথায়, 'আমাদের সমর্থন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পার্টিকে নয়৷ আমরা বামপন্থী সংস্কৃতিকে সমর্থন করি৷ তাই বাম সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছি৷ বামফ্রন্ট সরকার ও বামপন্থাকে এক বলা মানে বিভ্রান্তি তৈরি করা৷'
তা হলে এখন কেন বাম প্রার্থীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাঁর? চন্দনবাবুর জবাব, 'এখন রাজ্যে ফ্যাসিবাদ একনায়কতন্ত্রের চেহারা নিয়েছে৷ তারা সংস্কৃতি জগতকে কেনার চেষ্টা করছে৷ তাই এখন বামপন্থী প্রার্থীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই নয়৷ এ বার সংস্কৃতিকে বাঁচানোর লড়াই৷' তবে একদা বামপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে চিহ্নিত কবি সুবোধ সরকার ও অভিনেতা অরিন্দম শীল সদ্য তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোয় বামপন্থার কোনও ক্ষতি হবে না বলে দাবি নাট্যকার চন্দনবাবুর৷ পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, 'অতীতে নাট্যমেলা বা সঙ্গীতমেলা করার সময় বুদ্ধদেববাবু বা বাম মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ করেননি৷'
বরাবর বামপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত সংস্কৃতি জগতের একাংশ৷ কিন্ত্ত তাঁরা বাম সরকার ও বামপন্থাকে সমার্থক মনে করেন না৷ সেই কারণেই তাঁরা নন্দীগ্রামের ঘটনার প্রতিবাদে সেই সময় বিভিন্ন সরকারি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন৷ এই অংশকে নিয়ে তৈরি হয় সংস্কৃতি সমন্বয় কমিটি৷ এর সভাপতি ও সম্পাদক, দুই নাট্য ব্যক্তিত্ব-- অশোক মুখোপাধ্যায় এবং চন্দন সেন৷ চন্দনবাবুর কথায়, 'আমাদের সমর্থন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পার্টিকে নয়৷ আমরা বামপন্থী সংস্কৃতিকে সমর্থন করি৷ তাই বাম সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছি৷ বামফ্রন্ট সরকার ও বামপন্থাকে এক বলা মানে বিভ্রান্তি তৈরি করা৷'
তা হলে এখন কেন বাম প্রার্থীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাঁর? চন্দনবাবুর জবাব, 'এখন রাজ্যে ফ্যাসিবাদ একনায়কতন্ত্রের চেহারা নিয়েছে৷ তারা সংস্কৃতি জগতকে কেনার চেষ্টা করছে৷ তাই এখন বামপন্থী প্রার্থীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই নয়৷ এ বার সংস্কৃতিকে বাঁচানোর লড়াই৷' তবে একদা বামপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে চিহ্নিত কবি সুবোধ সরকার ও অভিনেতা অরিন্দম শীল সদ্য তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোয় বামপন্থার কোনও ক্ষতি হবে না বলে দাবি নাট্যকার চন্দনবাবুর৷ পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, 'অতীতে নাট্যমেলা বা সঙ্গীতমেলা করার সময় বুদ্ধদেববাবু বা বাম মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ করেননি৷'
No comments:
Post a Comment