Tuesday, April 1, 2014

বিয়ের পণ নিয়ে দর কষাকষির জেরে ধর্ষণ ও খুনের শিকার তরুণী

বিয়ের পণ নিয়ে দর কষাকষির জেরে ধর্ষণ ও খুনের শিকার তরুণী

এই সময়, কালনা: কুড়ি দিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার রাতে পূর্বস্থলীর যজ্ঞেশ্বরপুরের গঙ্গায় মিলল প্রেমিকার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ৷ মৃতার বাড়ি নদীয়ার ধুবুলিয়া থানা এলাকার শান্তিনগরে৷ তার পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পর খুন করে দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয় গঙ্গায়৷ পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার গলা ও পেটে কাটা দাগ রয়েছে৷ শনিবার রাতে ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক প্রশান্ত মণ্ডল অপরাধ স্বীকার করলে, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ৷ তরুণীর দাদা অমিয় বিশ্বাসের অনুমান, নগদ তিন লক্ষ টাকা পণ নিয়ে দর কষাকষির জেরেই পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হল তাঁর বোনকে৷ 

জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরের ডিএল রায় কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ওই তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল শরত্‍পল্লির বাসিন্দা প্রশান্তর৷ পেশায় স্কুল শিক্ষক প্রশান্ত মণ্ডলের সঙ্গে সম্প্রতি বিয়ের দিনও ঠিক হয়ে গিয়েছিল তার৷ গত ১১ মার্চ স্থানীয় একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় ওই তরুণী৷ দীর্ঘক্ষণ পরও বাড়িতে না ফিরলে প্রশান্তের বাড়ি গিয়ে তরুণীর দাদা অমিয় বিশ্বাস জানাতে পারে, বাড়িতে নেই প্রশান্ত৷ এমনকি, সে কোথায় তা জিজ্ঞাসা করলে পরিবারের তরফে এড়িয়ে যাওয়া৷ এরপর ১৫ মার্চ তরুণীর পরিবারের তরফে একটি নিখোঁজের ডায়রি করা হয়৷ কিন্ত্ত ২২ মার্চ তার পরিবার জানতে পারে, ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে৷ সেই মতো ধুবুলিয়া থানায় অপহরণের একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে, বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেয় প্রশান্তের পরিবারের সকলে৷ 

তরুণীর দাদা অমিয়বাবু জানান, প্রশান্তর পরিবারের তরফে গোটা ঘটনার ছক কষা হয়েছে প্রশান্তের মামাবাড়ি পূর্বস্থলীর মধ্য সাজিয়ারা এলাকাতে৷ মৃত্যুর আগে ওই তরুণীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয় বলেও দাবি করেন তিনি৷ পরিবারের পক্ষে আরও অভিযোগ, দেহ যাতে ভেসে উঠতে না পারে, তার জন্য তার পেট চিরে ভারি জিনিস ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ এ দিন, ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তা স্থানান্তরিত করা হয়৷ কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিত্‍ সরকার বলেন, 'স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়েই মৃতদেহ উদ্ধার করে পূর্বাস্থলী থানার পুলিশ৷' 

No comments:

Post a Comment