আসুন পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করুন। হ্যাঁ আমরাও পারি। বললেন মুখ্যমন্ত্রী-সিঙ্গাপুরে 'ব্র্যান্ড বেঙ্গল' LIVE
----------------------------------------------------------------
বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়--এক নজরে দেখে নেব কী বলছেন তিনি
- আসুন পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করুন
- হ্যাঁ আমরাও পারি
- আমার সিঙ্গাপুর সফর সার্থক
- সিঙ্গাপুরে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পোন্নয়ন নিগমের অফিস খুল। নোডাল অফিস খুলব
- রাজ্যে জমির অভাব নেই
- আমরা পিপিপি মডেল নিয়েছি
- আমাদের হেলকপ্টার পরিষবা আছে
- আমাদের এক জানলা নীতি রয়েছে
- আমাদের রাজ্যের বৃদ্ধি জাতীয় হারের বেশি
- কৃষি ও শিল্প জাতীয় হারের চেয়ে বেশি
- নতুন বস্ত্রনীতি নিয়েছি আমরা।
- আমেরিকা,ইউরোপে আমন্ত্রণ ছিল, কিন্তু সিঙ্গাপুরেই প্রথম এলাম। সময় পেলে ওখানেও যাব
- আপনাদের আতিথিয়তায় আমি মুগ্ধ
-----------------------------------------------------------------
রাজ্যের জমির অভাব নেই, শ্রমিক সস্তায় মেলে।
রাজ্যে বিদ্যুত্ সঙ্কট নেই।
রাজ্যে শ্রম দিবস নষ্ট হয় না।
বিনিয়োগের পরিবেশ খুব ভাল।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে আমরা এগিয়ে।
নতুন বস্ত্রনীতি নিয়েছি।
কলকাতাতেও বাণিজ্য কেন্দ্র খুলব।
''সিঙ্গাপুর খুব সুন্দর''
সিঙ্গাপুরের মানুষ খুব পরিশ্রমী ও ভদ্র, তাই এত উন্নত
সিঙ্গাপুরে এসে মনে হচ্ছে ঘরেই মতই।
পশ্চিমবঙ্গেও পরিস্থিতি বদল হচ্ছে।
পূবে তাকাও নীতি ধরলে কলকাতাই সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে নিকটতম।
সিঙ্গাপুর-কলকাতার সম্পর্ক ঐতিহাসিক।
''আসুন পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করুন''
আপনাদের বলছি পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করুন। শিল্পের জন্য জমি চিহ্নিত রয়েছে।
রাজ্যের প্রায় সর্বত্র রেল যোগাযোগ রয়েছে। রেল মন্ত্রী থাকাকালীন সেটা করেছি।
বাম সরকারের ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে।
দার্জিলিংয়ে পর্যটনে বিনিয়োগ করুন। দার্জিলিং সুইত্জারল্যান্ডের মত সুন্দর
সুন্দরবনে পর্যটনে বিনিয়োগ করুন।
গভীর সমুদ্র বন্দরে বিনিয়োগ করুন
রাজ্যে জমির অভাব নেই। রাজ্যে শ্রমিক সস্তা
সকাল ৮টা- বক্তব্য রাখছেন উদ্যোগপতিরা।
সকাল ৭.৩০- সাংগ্রিলা হোটেলের বল রুমে হল বাণিজ্য সম্মেলন। অংশ নিচ্ছেন দুশোরও বেশি প্রতিনিধি। সারারাত ধরে চলেছে প্রস্তুতি। দায়িত্বে ছিল জেনেসিস নামে কলকাতার একটি সংস্থা।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচদিনের সিঙ্গাপুর সফরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন আজ। আজই সিঙ্গাপুরের বণিকমহলের মুখোমুখি হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই বেশ কয়েকটি মউ স্বাক্ষরিত হতে পারে। লগ্নি টানতে ইন্ডিয়া-সিঙ্গাপুর চেম্বার অফ কমার্সের উদ্যোগে সিঙ্গাপুরের শিল্পমহলের মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে রাজ্যের শিল্পপতিদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সন্তুষ্ট রাজ্যের বণিকমহল।
সাংগ্রিলা হোটেলের বল রুমে হবে বাণিজ্য সম্মেলন। অংশ নেবেন দুশোরও বেশি প্রতিনিধি। আর সেই কারণেই প্রায় আড়াইশোজনের আয়োজন করা হয়েছে। সারারাত ধরে চলেছে প্রস্তুতি। দায়িত্বে ছিল জেনেসিস নামে কলকাতার একটি সংস্থা।
এদিকে, নভেম্বরেই চালু হোক অন্ডালের বিমানবন্দর। এমনটাই চান তিনি। আজ সিঙ্গাপুরে শিল্পপতিদের সঙ্গে নৈশভোজের সময় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্ডালে প্রায় দুহাজার একর জায়গা জুড়ে রয়েছে বিমাননগরী। তার আটান্ন শতাংশই বরাদ্দ রয়েছে বিমানবন্দর ও শিল্পের জন্য। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এরেট্রোপলিসে গড়ে উঠবে বিশ্বমানের শিল্পনগরী। বিমাননগরীতে বত্রিশ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি সংস্থার।
আজ সিঙ্গাপুরের বণিকমহলের মুখোমুখি হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে রাজ্যে শিল্প বিনিয়োগের অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেবেন শিল্পোদ্যোগীরা। দুই পর্বের এই আলোচনায় অংশ নেবেন রাজ্যের শিল্পপতিরা। প্রথমার্থে শক্তি, পর্যটন, নির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হবে। দ্বিতীয়ার্ধে আলোচনা হবে উত্পাদন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, FMCG , রাসায়নিক, সিমেন্ট, বিমানবন্দর, রিয়েল এস্টেট এবং ওয়াগন নির্মাণ নিয়ে। অর্থমন্ত্রীর ভাষণ দিয়েই শুরু হবে আলোচনা।
http://zeenews.india.com/bengali/world/brand-bengal-day3-live-update_119878.html
প্রশ্ন সেই জমি, মমতা বললেন সমস্যা হবে না
জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
সিঙ্গাপুর , ২০ অগস্ট, ২০১৪, ০৩:৪৯:১৯
সিঙ্গাপুরে এসেও জমি প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দেশের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং তাঁর কাছে জানতে চাইলেন, সিঙ্গাপুরের লগ্নিকারীরা পশ্চিমবঙ্গে গেলে শিল্প স্থাপনের জন্য জমি পাওয়া যাবে তো? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে মমতা নিজেই এই খবর জানিয়ে বলেন, “আমি ওঁকে বলেছি, জমি পেতে কোনও সমস্যা হবে না। শিল্পতালুক এবং তথ্যপ্রযুক্তি পার্কগুলিতে হাজার হাজার একর জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে।” রাজ্যের ল্যান্ড ব্যাঙ্ক সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে তিনি অবহিত করেছেন বলে জানান মমতা।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, “সিঙ্গাপুরের কোনও সংস্থা রাজ্যে বিনিয়োগ করতে গেলে জমি কোনও সমস্যা হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে সে কথা তথ্য দিয়ে বোঝানো হয়েছে।” তাঁর দাবি, ২৩টি শিল্পতালুক এবং ১৩টি তথ্যপ্রযুক্তি পার্কে রাজ্যের হাতে ৭ থেকে ১০ হাজার একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে ৪ হাজার একর জমিতে পরিকাঠামোও তৈরি। বাকি অংশে পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে।
রাজ্যের হাতে থাকা জমিতে শিল্পস্থাপনের ডাক অবশ্য এর আগে বহু বারই দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু তাতে সে ভাবে সাড়া মেলেনি। তার মূল কারণ, ভারী শিল্পের জন্য এক লপ্তে যে জমি দরকার, তা এই ল্যান্ড ব্যাঙ্ক বা শিল্পতালুকগুলিতে নেই। আর রাজ্যে ভারী শিল্প নেই বলে, ছোট ও মাঝারি শিল্পও তেমন গড়ে উঠছে না। এ দিন অবশ্য পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে রাজ্যের হাতে থাকা ১০০০ একর জমি প্রয়োজনে সিঙ্গাপুরের লগ্নিকারীদের দেওয়া যাবে বলে এ দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা।
অন্ডালের বিমাননগরীর জমি সমস্যা নিয়েও এ দিন খোঁজখবর নিয়েছেন লি সিয়েন লুং। এই প্রকল্পে সিঙ্গাপুর সরকারি সংস্থা চাঙ্গি ইন্টারন্যাশনাল বিনিয়োগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মমতার কাছে জানতে চান, রানওয়ে তৈরি নিয়ে জটিলতা কাটছে না কেন? মমতার কথায়, “প্রধানমন্ত্রীকে বললাম, আমি নিজে বসে আলোচনার মাধ্যমে রানওয়ের সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছি। তাতে তিনি খুশি হয়েছেন।”
সরকারি সূত্রের খবর, যেখানে ওই রানওয়ে হওয়ার কথা, সেখানে বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি ছিল। সেগুলি সরিয়ে নতুন করে পোঁতার জন্য অল্প জমি দরকার। কিন্তু সেই জমিও নেওয়া যাচ্ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সবার সঙ্গে আলোচনায় বসে বর্ধমান জেলা প্রশাসন নীতিগত ভাবে জমির সমস্যা দূর করেছে। কিন্তু চাঙ্গি সূত্রে বলা হচ্ছে, জমির সমস্যা এখনও মেটেনি। ফলে রানওয়ের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না।
পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে সবিস্তার খোঁজখবর নিয়েই যে প্রধানমন্ত্রী মমতার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন, তা এ দিন বারবার বোঝা গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন বৈঠকে উপস্থিত সরকারি কর্তাদের অনেকে। রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্পের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। জানতে চান শ্রম সমস্যা নিয়েও। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানান, ক্ষুদ্র শিল্পে রাজ্য প্রথম স্থান অর্জন করেছে। আর রাজ্যে কোথাও শ্রম-সমস্যা নেই। তিন বছর আগে বছরে ৭৮ লক্ষ শ্রম-দিবস নষ্ট হতো, এ বছর এক দিনও হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, এটা কী ভাবে সম্ভব হল? মমতার কথায়, “আমি ওঁকে বলেছি, আপনারা যেমন হার্ডওয়ার্ক করে সিঙ্গাপুর বানিয়েছেন, আমরাও সে ভাবে হার্ডওয়ার্ক করে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছি।”
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর এ দিনের বৈঠককে ‘সুপার্ব, পজিটিভ এবং প্লাস-প্লাস-প্লাস’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গাপুর সরকারের সঙ্গে সখ্য গড়তে কূটনৈতিক স্তরে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে, ১৮ মাসের মধ্যে ভারত-সিঙ্গাপুর বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব। মমতা লি সিয়েন লুং-কে বলেছেন, “আপনি রাজ্যে এসে বাণিজ্যকেন্দ্রের সূচনা করে যান।” বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাবা তথা সিঙ্গাপুরের স্রষ্টা ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কোয়ান ইউ-এর নামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চেয়ার তৈরিরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর সফরের প্রথম দু’দিনে রাজ্যের প্রাপ্তি কী? অর্থমন্ত্রী জানান, সিঙ্গাপুরের অন্যতম সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জিআইসি-র সঙ্গে বৈঠক হয়েছে রাজ্যের প্রতিনিধিদের। পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারা ঋণ বা মূলধনী তহবিল জোগাতে আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম তাদের হয়ে মধ্যস্থতা করবে বলে ঠিক হয়েছে। কলকাতায় ন্যাসকমের যে ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি হবে, টিসিএস-সিঙ্গাপুর তাতে সহযোগিতা করতে রাজি। এখানকার সরকারি সংস্থা সিঙ্গাপুর-আরবান (এশিয়া) বা সুরবানা রাজ্যের নগর পরিকল্পনা ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “কাল একটা বড় দিন। শিল্প সম্মেলনে ২০০-র বেশি প্রতিনিধি যোগ দেবেন।” এই সম্মেলন থেকে বড়সড় প্রাপ্তির আশায় রাজ্য সরকারের কর্তারা।
প্রথম বিদেশ সফরের দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুরকে কেন বাছলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, “আসিয়ান দেশগুলির অর্থনৈতিক রাজধানী সিঙ্গাপুর। এখানকার অনেক সংস্থা ইউরোপ, আমেরিকায় লগ্নি করে। ‘লুক ইস্ট’ নীতিকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গে লগ্নির গন্তব্য হিসেবে তাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।” এর পর লগ্নির খোঁজে কোথায় যাবেন? মুখ্যমন্ত্রী জানান, চিন, জাপান, আমেরিকা, ব্রিটেন থেকে তাঁর কাছে আমন্ত্রণ আছে। তবে কোথায় যাবেন, তা এখনও ঠিক করেননি তিনি।
এ দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর আর কোনও কর্মসূচি ছিল না। তাঁর সফরসঙ্গী আমলারা সিঙ্গাপুর বন্দর দেখতে গেলেও মমতা আগ্রহ দেখাননি। মুখ্যমন্ত্রী গত কাল জুরং পাখিরালয় দেখতে গিয়েছিলেন জেনে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, “চিড়িয়াখানাটাও দেখে যান।”
মমতা জানান, এখনও মনস্থির করতে পারেননি তিনি।
http://www.anandabazar.com/state/land-problem-can-be-sorted-mamata-assures-in-singapore-1.61094
সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামে চেয়ার চান মমতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
একটি শিল্প-বাণিজ্য সফরের মধ্যে এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অন্য একটি রাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের নামে চেয়ার প্রফেসর তৈরির কথা ঘোষণা করছেন, এমন ঘটনা খুব প্রচলিত নয় অবশ্য। শিক্ষাজগতের অনেকেই জানাচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চেয়ার প্রফেসর পদ তৈরি এবং নামাঙ্কনের ক্ষেত্রে সাধারণত দু’রকম রীতি দেখা যায়। প্রথমত, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-চিন্তানায়কদের নামে চেয়ার তৈরির চল রয়েছে। কখনও নতুন পদ তৈরি করে বিশিষ্টদের নামে নামকরণ করা হয়, কখনও বা চালু পদেরই একটিকে বেছে নতুন নাম দেওয়া হয়। দ্বিতীয়ত, দুনিয়া জুড়েই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুদানদাতাদের নামে গবেষণা কেন্দ্র, চেয়ার প্রফেসর পদ চালু রয়েছে। দাতারা সবাই যে শিক্ষাজগতের জো্যতিষ্ক, তা নয়। কিন্তু তাঁদের অনুদানের স্মারক হিসেবে তাঁদের বা তাঁদের সংস্থার বা পরিবারের কারও নামে চেয়ার রয়েছে। উন্মুক্ত অর্থনীতির জমানায় এই রীতি জনপ্রিয় হচ্ছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামে চেয়ার হলে তার গুরুত্ব কোথায়? শিক্ষাজগতের মত হলো, বাণিজ্য সম্পর্কের বিস্তার, পারস্পরিক আদানপ্রদান বৃদ্ধির লক্ষ্যে একে দু’দেশের মধ্যে শুভেচ্ছা-বার্তা হিসেবে দেখতে হবে। সাধারণ ভাবে এই জাতীয় চেয়ার-এর জন্য আর্থিক অনুদান জুগিয়ে থাকেন যাঁর নামে চেয়ার সেই দেশের কোনও সরকারি বা অসরকারি সংস্থা। অথবা সেই দেশে বসবাসরত অনাবাসীরাও এ সব ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়ে থাকেন। এই জাতীয় চেয়ার-এর মধ্য দিয়ে তাঁরা নিজেরা দু’দেশের মধ্যে সংযোগ-রক্ষকের কাজ করেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে লি কোয়ান ইউ-এর নামে চেয়ার হলে তার অনুদান কি সিঙ্গাপুরের কোনও সংস্থা বা সিঙ্গাপুরের বাঙালি অনাবাসীরা জোগাবেন? প্রশাসন সূত্রে কিন্তু খবর, রাজ্য সরকার নিজের খরচে লি কোয়ান ইউ-এর নামে চেয়ার গড়বে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছেন। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে বলেন, “দেশে একমাত্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েই ইনস্টিটিউট অব ফরেন পলিসি স্টাডিজ রয়েছে, যেখানে বিদেশ মন্ত্রক অনুদান দেয়। ভারত সরকার চায়, সেখানে গবেষণার ক্ষেত্রে ‘পুবে তাকাও’ নীতিকে যেন গুরুত্ব দেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামে চেয়ার পেলে ওই কেন্দ্রে গবেষণার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।”
http://www.anandabazar.com/state/mamata-want-to-chair-first-prime-minister-name-in-singapore-1.61093
No comments:
Post a Comment