আর কাব্য নয়, গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো...
রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত স্মরণ উদীচীর
মোরসালিন মিজান ॥ শনিবারের বৃষ্টিভেজা বিকেল। একটা কেমন শীত শীত অনুভব। এমন সময় মনে আপনি গান আসে। প্রিয় কবিতার ঘর করতে ইচ্ছে হয়। আর ঠিক সে সময় উদীচী আয়োজন করে রবীন্দ্র, নজরুল ও সুকান্ত জয়ন্তীর অনুষ্ঠানের দিন-তারিখের কিছু গরমিল ছিল। তাতে কী, আয়োজনটি সুন্দর। যথারীতি ছিল গান-কবিতা। আলোচনা যা, তা-ও অগভীর কিছু নয়। সব মিলিয়ে উপভোগ্য।
অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে। সেখানে প্রবেশের আগেই চোখে পড়ে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও সুকান্তের প্রতিকৃতি। প্রতিকৃতিগুলোর নিচে মেঝেতে ফুলের পাপড়ি বিছানো। পাশে কিছু প্রদীপ জ্বলছে। ভেতরের মঞ্চটি সাদামাটা সুন্দর। শুরুটা করেন ঢাকা মহানগর সংসদের দশ জনের একটি দল। রবীন্দ্রনাথের বিশাল ভাণ্ডার থেকে তাঁরা বেছে নেন প্রয়োজনে একলা চলার গান। সুরে সুরে বলেন- যদি আলো না ধরে, ওরে ওরে ও অভাগা,/ যদি ঝড়-বাদলে আঁধার রাতে দুয়ার দেয় ঘরে-/ তবে বজ্রানলে/ আপন বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে একলা জ্বলো রে...। নজরুল মানেই দ্রোহ। উদীচীর সে দ্রোহটুকু প্রতিবাদটুকু চাই। সেখান থেকে নিয়ে শিল্পীরা গেয়ে যান- নাচে ঐ কাল-বোশেখী, কাটাবি কাল বসে কি?/ দে রে দেখি ভিম করার ঐ ভিত্তি নাড়ি’...। পরের গানটি ঠিক গান নয়। কবিতা। সুকান্তের বিখ্যাত সৃষ্টি। তাতেও বিদ্রোহের সুর। কবি কিশোরের প্রতিবাদ কণ্ঠে ধারণ করে শিল্পীরা গেয়ে যান- হে মহাজীবন, আর কাব্য নয় নয়... গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো...। তিনটি গান উপস্থিত শ্রোতাকে যেন নতুন করে জাগিয়ে তোলে। শীত শীত ভাব দূর হয়ে রক্তে কেমন যেন উষ্ণতা জায়গা করে নেয়।
দ্বিতীয় পর্বটি আলোচনার। উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কামাল লোহানী, ড. মনিরুজ্জামান, ড. তাহা ইয়াসিন ও ড. রতন সিদ্দিকী। কামাল লোহানী বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে, সব ধরনের মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম এবং সুকান্ত ভট্টাচার্য্য আলোকবর্তিকা হয়ে আমাদের পথ দেখিয়ে চলেছেন। ‘সঙ্গীত ও রবীন্দ্রনাথ’ বিষয়ে নিজের লেখা প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন ড. মনিরুজ্জামান। বিশ্বকবির সঙ্গীত ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তিনি। ‘দেশকালের প্রেক্ষাপটে নজরুলের জীবন’ বিষয়ে আলোচনা করেন ড. তাহা ইয়াসিন। বর্তমানের অস্থির সময়ে কাজী নজরুল ইসলামের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করেন তিনি। সুকান্ত ভট্টাচার্য্যরে রাজনৈতিক আদর্শ এবং চিন্তাচেতনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ড. রতন সিদ্দিকী। আলোচনা পর্বটি সঞ্চালনা করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
আলোচনা শেষে আবারও শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পর্বের শুরুতে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন মাহমুদ সেলিম। আবৃত্তি করেন কাজী মদিনা ও বেলায়েত হোসেন। জামসেদ আনোয়ার তপনের গ্রন্থনায় আলেখ্যানুষ্ঠান ‘হে সাথী আজকে স্বপ্নের দিন গোনা’ পরিবেশন করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের শিল্পীরা। এ পর্ব শেষে একক ও দলীয় পরিবেশনা। মঞ্চে আসেন মিরপুর, উত্তরা, কাফরুল ও সাভার শাখা সংসদের শিল্পীরা। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে। সেখানে প্রবেশের আগেই চোখে পড়ে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও সুকান্তের প্রতিকৃতি। প্রতিকৃতিগুলোর নিচে মেঝেতে ফুলের পাপড়ি বিছানো। পাশে কিছু প্রদীপ জ্বলছে। ভেতরের মঞ্চটি সাদামাটা সুন্দর। শুরুটা করেন ঢাকা মহানগর সংসদের দশ জনের একটি দল। রবীন্দ্রনাথের বিশাল ভাণ্ডার থেকে তাঁরা বেছে নেন প্রয়োজনে একলা চলার গান। সুরে সুরে বলেন- যদি আলো না ধরে, ওরে ওরে ও অভাগা,/ যদি ঝড়-বাদলে আঁধার রাতে দুয়ার দেয় ঘরে-/ তবে বজ্রানলে/ আপন বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে একলা জ্বলো রে...। নজরুল মানেই দ্রোহ। উদীচীর সে দ্রোহটুকু প্রতিবাদটুকু চাই। সেখান থেকে নিয়ে শিল্পীরা গেয়ে যান- নাচে ঐ কাল-বোশেখী, কাটাবি কাল বসে কি?/ দে রে দেখি ভিম করার ঐ ভিত্তি নাড়ি’...। পরের গানটি ঠিক গান নয়। কবিতা। সুকান্তের বিখ্যাত সৃষ্টি। তাতেও বিদ্রোহের সুর। কবি কিশোরের প্রতিবাদ কণ্ঠে ধারণ করে শিল্পীরা গেয়ে যান- হে মহাজীবন, আর কাব্য নয় নয়... গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো...। তিনটি গান উপস্থিত শ্রোতাকে যেন নতুন করে জাগিয়ে তোলে। শীত শীত ভাব দূর হয়ে রক্তে কেমন যেন উষ্ণতা জায়গা করে নেয়।
দ্বিতীয় পর্বটি আলোচনার। উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কামাল লোহানী, ড. মনিরুজ্জামান, ড. তাহা ইয়াসিন ও ড. রতন সিদ্দিকী। কামাল লোহানী বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে, সব ধরনের মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম এবং সুকান্ত ভট্টাচার্য্য আলোকবর্তিকা হয়ে আমাদের পথ দেখিয়ে চলেছেন। ‘সঙ্গীত ও রবীন্দ্রনাথ’ বিষয়ে নিজের লেখা প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন ড. মনিরুজ্জামান। বিশ্বকবির সঙ্গীত ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তিনি। ‘দেশকালের প্রেক্ষাপটে নজরুলের জীবন’ বিষয়ে আলোচনা করেন ড. তাহা ইয়াসিন। বর্তমানের অস্থির সময়ে কাজী নজরুল ইসলামের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করেন তিনি। সুকান্ত ভট্টাচার্য্যরে রাজনৈতিক আদর্শ এবং চিন্তাচেতনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ড. রতন সিদ্দিকী। আলোচনা পর্বটি সঞ্চালনা করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
আলোচনা শেষে আবারও শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পর্বের শুরুতে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন মাহমুদ সেলিম। আবৃত্তি করেন কাজী মদিনা ও বেলায়েত হোসেন। জামসেদ আনোয়ার তপনের গ্রন্থনায় আলেখ্যানুষ্ঠান ‘হে সাথী আজকে স্বপ্নের দিন গোনা’ পরিবেশন করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের শিল্পীরা। এ পর্ব শেষে একক ও দলীয় পরিবেশনা। মঞ্চে আসেন মিরপুর, উত্তরা, কাফরুল ও সাভার শাখা সংসদের শিল্পীরা। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
No comments:
Post a Comment