আলোচনা ফলশূন্য, গাজায় ফের বিমান হামলা
নিউজ ডেস্ক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2014-08-20 00:21:13.0 BdST Updated: 2014-08-20 00:21:43.0 BdST
মিশরের নেতৃত্বে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা শান্তি আলোচনা থেকে কোনো সমাধান আসেনি।
RELATED STORIES
-
2014-08-19 11:24:54.0
অস্ত্রবিরতি চলার মধ্যে মঙ্গলবারও গাজা থেকে রকেট হামলা হয়েছে জানিয়ে সেখানে পাল্টা বিমান হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েল।
তেল আবিবের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা থেকে ছোড়া একাধিক রকেট ইসরায়েলের বীরসেবা ও নেতিভট এলাকায় আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলও গাজায় ‘সন্ত্রাসীদের’ আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
মিশরের রাজধানী কায়রোয় চলা শান্তি আলোচনায় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কিংবা সমঝোতার কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারেনি দুই দেশের প্রতিনিধিরা। তবে মেয়াদ শেষে হয়ে আসা যু্দ্ধবিরতি মঙ্গলবারও অব্যাহত রাখার পক্ষে একমত হয়েছিল তারা।
কিন্তু প্রতিশ্রুত সময়সীমা শেষ হওয়ার সাত ঘণ্টা আগেই যুদ্ধে ফিরে যায় দুই পক্ষ। তবে রকেট হামলা চালানোর বিষয়ে হামাসের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত ৮ জুলাই থেকে গাজায় হামাস বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এক মাসেরও বেশি সময়ের অভিযানে দুই হাজার ৮০ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। নিহতদের মধ্যে কয়েকশ নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রয়েছেন বলে গণমাধ্যমগুলোর খবরে এসেছে।
কায়রোর আলোচনায় হামাসের প্রধান শর্ত হচ্ছে গাজা থেকে আট বছরের অবরোধ প্রত্যাহার। ফিলিস্তিনের প্রধান রাজনৈতিক দল ফাতাহ নেতারাও গাজা থেকে মিশর ও ইসরায়েলের অবরোধ প্রত্যাহারের দাবির সঙ্গে একাট্টা রয়েছেন।
ওই দাবি উপেক্ষিত হলে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে রকেট হামলা অব্যাহত রাখা হবে বলে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডের পক্ষ থেকে বার বার ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।
গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি যুক্তিযুক্ত বলে স্বীকার করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে একই সঙ্গে আক্রান্ত হলে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার্থে সামরিক তৎপরতা চালানোর অধিকারেও নিজের সম্মতির কথা জানান ওবামা।
গাজায় হামাসের সামরিক কাজে ব্যবহৃত সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করতেই সেখানে সেনা অভিযান চলছে বলে জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কায়রোর আলোচনায়ও হামাস ও ফিলিস্তিনের অন্যান্য সশস্ত্র দলগুলোকে নিরস্ত্র করার শর্ত দেয় ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা।
আলোচনা ফলশূন্য
হামাসের মুখপাত্র ফাওজি বারহোম বলেন, “নেতানিয়াহু যদি কায়রোর আলোচনার ভাষা না বুঝে থাকেন, তবে তাকে কীভাবে বোঝাতে হবে সেটা আমাদের জানা আছে।”
হামাস নেতার ওই ভাষাকে সেখানকার আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ওদিকে, কায়রোয় অবস্থানকারী ইসরায়েল প্রতিনিধিদেরকেও পরোক্ষ আলোচনা থামিয়ে দিয়ে দেশে ফিরে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা বলেন, “পূর্ণ অস্ত্রবিরতি নিয়েই কায়রোতে আলোচনা চলছিল।”
সর্বশেষ সহিংসতার খবর বের হওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহ এর নেতা আজেম আল আহমেদ রয়টার্সকে বলেন, “কায়রোর শান্তি আলোচনায় কোনো একটি বিষয়েও সামান্যতম আগ্রগতি হয়নি। দুই পক্ষেই বড় ধরনের ফারাক রয়ে গেছে।”
No comments:
Post a Comment