Tuesday, August 19, 2014

মোদি কি আরেক নতুন ভারতের রূপকার হতে পারবেন?

মোদি কি আরেক নতুন ভারতের রূপকার হতে পারবেন?
আবদুল গাফ্্ফার চৌধুরী
গত ১৫ আগস্ট ভারতের ৬৭তম স্বাধীনতা দিবসে দিল্লীর লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ভাষণ দিয়েছেন, সংবাদপত্রে তা পাঠ করে শুধু বিস্মিত হওয়া নয়, চমকিত হয়েছি। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের প্রথম দিনটিতে লালকেল্লা থেকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু যে উদ্দীপনাপূর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন, তারপর দেশটির আর কোন প্রধানমন্ত্রী এ রকম তাৎপর্যপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক বলে চিহ্নিত হওয়ার যোগ্য ভাষণ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। নেহরু ভারতের নবজাগরণের উদ্বোধন করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদি ষাট বছরের বেশি সময় পর সেই ভারতকে দিলেন নবরূপায়ণের বাণী। যার তাৎপর্য আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার গভীরে গিয়ে ঘা দেবে। বর্তমান মোদি সরকারের কথা ও কাজে মিল থাকলে তা ভারতকে এক নবরূপান্তরের পথে বিরাটভাবে এগিয়ে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির নিজেরও রূপান্তর ঘটেছে বলে মনে হয়। তিনি এখন আর গুজরাটের বিতর্কিত মুখ্যমন্ত্রী নন। তিনি এখন গণতান্ত্রিক ভারতের নবরূপকার হিসেবে দেখা দিয়েছেন। এটা যদি তাঁর প্রকৃত রূপান্তর হয়ে থাকে তাহলে ভারতের জন্য মোদি-যুগ একটি বিরাট সম্ভাবনাপূর্ণ যুগ বলে চিহ্নিত হতে পারে। গত ১৫ আগস্ট শুক্রবার মোদি ভারতের স্বাধীনতা দিবসে যে শুধু ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছেন তা নয়, তিনি একটি ঐতিহাসিক দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি লালকেল্লায় ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পাগড়ি পরিধান করে এসেছিলেন। লন্ডনের ‘গার্ডিয়ান’ পত্রিকা সেই পাগড়ি পরিহিত মোদির বহুবর্ণ ছবি বিরাটভাবে প্রকাশ করেছে।
পাগড়ি মাথায় চাপিয়েছিলেন ভারতের সাবেক কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংও। সেটা ছিল শিখদের ধর্মীয় পাগড়ি। কিন্তু মোদি যে পাগড়ি পরেছেন, তা ধর্মীয় পাগড়ি নয়। এটিকে প্রাচীন ভারতের পাগড়ি বলা চলে। আবার দিল্লীর প্রথম মোগল সম্রাট বাবরের পাগড়ির সঙ্গে প্রাচীন ভারতীয় পাগড়ির সমন্বিত পাগড়িও বলা যায়। ইংরেজরা দিল্লীর সিংহাসন থেকে মোগলদের হটিয়ে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠার পর এই রাজপাগড়ি তাদের ভারতীয় সেপাইদের মাথায় পরিয়ে দেন। এটাকে করা হয় সেপাইদের শিরস্ত্রাণ।
এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গান্ধী নেতৃত্বে পরিচালিত অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের অন্যতম নেতা মওলানা মোহাম্মদ আলী জওহরলালের কংগ্রেসের এক অধিবেশনে বলেছিলেন, ‘ব্রিটিশ সরকার ইচ্ছা করে ভারতের মোগল সম্রাটদের অবমাননা করার জন্য তাদের পাগড়ি ভারতের সেপাইদের মাথায় পরিয়েছে। সেপাইদের এই শিরস্ত্রাণ অবিলম্বে পরিবর্তনের দাবি জানাই। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর আমরা যদি ব্রিটিশ ক্রাউন বা রাজমুকুট আমাদের অফিস-আদালতের চাপরাশি ও দারোয়ানদের শিরস্ত্রাণ করি তাহলে সেটা কেমন হবে?’
বাবরের পাগড়ি নিয়ে মওলানা মোহাম্মদ আলীর তখনকার এই উক্তি ছিল বিতর্কমূলক। সিপাই, চাপরাশি ও দারোয়ানদের মাথায় পাগড়ি চাপালে তাতে ভারতের সম্রাটদের পাগড়ির অবমাননা করা হয় এই শ্রেণীবৈষম্যমূলক উক্তি তখনও অনেকে মেনে নিতে পারেননি। সে যাই হোক, ভারতের এ যুগের প্রধানমন্ত্রী নব্যভারতের প্রতীক হিসেবে প্রাচীন ভারতীয় পাগড়ি মাথায় পরিধান করে দিল্লীর মোগল সম্রাটদেরও পাগড়ির অবমাননা ঘুচিয়েছেন, এটা হয়ত অনেকেই মনে করবেন। বিজেপির একদল নেতা বাবরী মসজিদ ভেঙ্গেছিলেন আর সেই দলেরই প্রধানমন্ত্রী বাবরের পাগড়ি না হোক, তার অনুরূপ পাগড়ি পরিধান করেছেন এবং তা স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দানের সময়। এটার তাৎপর্যও কম নয়।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে দেয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের সবটা সংবাদপত্রে পাঠ করে আমার মনে হয়েছে এটা কোন সনাতনপন্থী রাজনীতিক বা প্রধানমন্ত্রীর গৎবাঁধা ভাষণ নয়। এটা একজন মডার্ন ‘স্টেটসম্যান’ বা আধুনিক রাষ্ট্রনায়কের ভাষণ। তিনি অতীত নিয়ে গর্ব এবং ভবিষ্যত নিয়ে বাগাড়ম্বর করেননি। সরাসরি বর্তমানে এসেছেন এবং ভারতের বর্তমান সমস্যাগুলো বিনা দ্বিধায় চিহ্নিত করে তা সমাধানের কথা বলেছেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি হিন্দুত্ববাদী নয়, আধুনিক। তিনি লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে পূর্বে তৈরি করা কোন লিখিত ভাষণ দেননি। হিন্দীতে এক ঘণ্টা ধরে সরাসরি জনগণের উদ্দেশে কথা বলেছেন।
মোদি তাঁর ভাষণে ভারতের লজ্জাকর সমস্যাগুলো ছোট করে দেখবার বা আড়াল করার চেষ্টা করেননি। সরাসরি নারী-ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের কথায় এসেছেন এবং স্পষ্ট বলেছেন, যৌন সহিংসতা সারা ভারতের লজ্জা। এ জন্য তিনি ধর্ষিত নারীদের ওপর দোষ চাপাননি। দায়ী করেছেন ছেলেদের এবং তাদের পিতামাতাদের। বলেছেন, পিতামাতা তাদের মেয়েদের ওপর চোখ রাখেন। কিন্তু ছেলেদের ওপর চোখ রাখেন না কেন? তাদের গতিবিধির সন্ধান রাখেন না কেন? ভারতে জেন্ডার রিলেটেড ইস্যুগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে এই প্রথম একজন প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে দেখা গেল।
মোদি বলেছেন, ‘ভারতে নরনারীর মধ্যে যে সংখ্যাবৈষম্য (হাজার পুরুষে ৯৪০ জন নারী) দেখা দিয়েছে সেজন্য তো সৃষ্টিকর্তা দায়ী নন। এ জন্য দায়ী নারীভ্রƒণ হত্যা। যার ফলে সমাজে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁরা যেন গর্ভাশয়ে নারীভ্রƒণ হত্যা বন্ধ করেন। এভাবে নারী ধর্ষণ থেকে ভ্রƒণহত্যা পর্যন্ত সমস্যাকে ভারতের একটি বড় জাতীয় সমস্যা হিসেবে তুলে ধরে আর কোন প্রধানমন্ত্রী আগে সাহসের সঙ্গে কথা বলেছেন কি? এটা তো কোন ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তির কথা নয়; একজন আধুনিক সমাজবিজ্ঞানীর মতো কথা। ২০১২ সালে দিল্লীর একটি বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায় সারা ভারতে তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। তারপর আরও নৃশংস নারী ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটতে থাকে। গত মে মাসে দু’জন বালিকার মৃতদেহ গাছে ঝুলতে দেখা যায়। তারা বাড়িতে শৌচাগার না থাকায় মাঠে ছুটেছিল। তারা গণধর্ষণের শিকার হয়।
মোদি স্বীকার করেছেন, দেশের অর্ধেক জনসংখ্যার জন্যই শৌচাগারের কোন ব্যবস্থা নেই। তিনি ধিক্কারের সুরে বলেছেন, ‘আমাদের মা ও বোনদের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য আমরা কি শৌচাগারের ব্যবস্থাটুকুও করতে পারি না?’ তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী চার বছরের মধ্যে প্রত্যেকটি ভারতীয় গৃহে শৌচাগার থাকবে এবং পাবলিক স্কুলে মেয়েদের জন্য স্বতন্ত্র শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হবে।
নারীধর্ষণ সম্পর্কে সামাজিক চেতনায় যে গুরুত্বহীনতা, মোদি তা পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়েছেন এবং এ সম্পর্কে পুলিশী ব্যবস্থা ও আইন সংস্কারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন। তাঁর এক ঘণ্টার ভাষণে কোন রাজনৈতিক সমস্যাই তেমন গুরুত্ব পায়নি। কোন রাজনৈতিক সমস্যাকে ফেনিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলে তিনি দেশবাসীর মনে উত্তেজনা সৃষ্টি করে বাহবা পেতে চাননি। বরং সামাজিক সমস্যাগুলোকে বড় করে তুলে ধরে সে সম্পর্কে সাদামাটা কথা বলতে দ্বিধা করেননি। এজন্যই প্রধানমন্ত্রী মোদির স্বাধীনতা দিবসের ভাষণকে একজন পলিটিশিয়ানের ভাষণ বলে মনে হয়নি; মনে হয়েছে একজন স্টেটসম্যানের ভাষণ। যে ভাষণে উঠে এসেছে ভারতের উন্নয়নের পরিপন্থী বহু যুগের সামাজিক সমস্যাগুলো। যে সমস্যাগুলো শুধু ভারতের নয়, সারা উপমহাদেশের দেশগুলোর সমস্যা। একজন ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন অতীতমুখী রাজনৈতিক নেতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নয়, একজন আধুনিক সমাজবিজ্ঞানীর দৃষ্টি নিয়ে সমস্যাগুলো তিনি দেখেছেন। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেয়া উপমহাদেশে সম্ভবত এই প্রথম।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে দারিদ্র্য দূর করার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে আরও তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। মাওবাদী সন্ত্রাসী দমন করা, আমলাতন্ত্রের সংস্কার এবং সোভিয়েত-স্টাইল সেন্ট্রাল ইকোনমিক প্লানিংয়ের প্রচলিত ব্যবস্থার অবসান ঘটানো। মাওবাদী সন্ত্রাস দূর করার ব্যাপারে অতীতের কংগ্রেসী ও অকংগ্রেসী সরকারগুলো সফল হতে পারেনি। মোদি সরকার আগামী চার বছরে তা কিভাবে বন্ধ করার আশা করেন সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তিনি সহিংস উপায়ে, না শান্তিপূর্ণ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যাটির সমাধান চাইবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ব্রিটেনের সাবেক লেবার প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার যেমন দীর্ঘকালের আইরিশ সন্ত্রাস শান্তি বৈঠকের মাধ্যমে বন্ধ করে কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, মোদি সেই পথে মাওবাদী সন্ত্রাস থেকে ভারতকে মুক্ত করতে পারলে একজন সফল শান্তিবাদী হিসেবেও ইতিহাসে নিজের নাম রেখে যাবেন।
বুরোক্রেসি বা আমলাতন্ত্রের ভিত্তি সেই ব্রিটিশ আমল থেকে ভারতে এত সুপ্রোথিত যে, এর সংস্কার মোদি সরকারের পক্ষেও করা দুরূহ হবে। তবে নিজের বর্তমান ক্যারিশমা এবং পার্লামেন্টে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে একমাত্র তাঁর পক্ষেই ভারতের দীর্ঘকালের আমলাতন্ত্রের অচলায়তন ভাঙ্গার কাজে হাত দেয়া সম্ভব। তবে সরকারী প্রশাসন সংস্কারের নামে তিনি যদি প্রশাসন দলীয়করণের কাজে হাত না দেন তাহলেই মাত্র তাঁর সংস্কার পরিকল্পনা সফল হতে পারে। অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রের রূপান্তরের যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে প্রশাসন দলীয়করণের দিকে তিনি ঝুঁকতে চাইবেন না বরং কলোনিয়াল যুগের আমলাতন্ত্রের সংস্কার এবং তাকে আধুনিক ও গতিশীল করে তোলার ওপরই জোর দেবেন। একদল রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের এ ধারণা সঠিক হলে ভারতের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে বাধাস্বরূপ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অনেক দূর হবে।
সোভিয়েত-ধরনের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়নের রীতি-রেওয়াজ ভারতে আগের মতো এখনও কি চালু আছে? বিজেপির গত বাজপেয়ী সরকারের আমলেই মুক্ত বাজার অর্থনীতির দিকে ভারত ঝুঁকে পড়ে। পরবর্তী মনমোহন সরকার তা অব্যাহত রাখেন। টিকে থাকার মধ্যে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয়ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যবস্থাটুকু এখনও আছে। মুক্ত বাজার অর্থনীতি বা গ্লোবাল ক্যাপিটালিজমের সাম্প্রতিক ক্রাইসিসের সময়েও দেখা গেছে এই ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ব্রিটেনের সাবেক লেবার দলীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী মুক্ত বাজারে সরকারের হস্তক্ষেপ (নিয়ন্ত্রণ) ও কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা আমেরিকা এবং ইউরোপেও প্রয়োজন হয়েছিল।
মোদি যদি সত্যই ভারতকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে চান এবং মুক্ত বাজারের নিয়ন্ত্রণহীন গ্রাস থেকে ভারতের অর্থনীতিকে মুক্ত রেখে তার ভারসাম্য রক্ষা করতে চান, তাহলে বর্তমানের শিথিল কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার ব্যবস্থা থেকে তাঁর সরে আসা কি উচিত হবে? অবশ্য তিনি যদি ভারতের বিগ বিজনেস ও কর্পোরেট হাউসগুলোকে খুশি রেখে চলতে চান, তা ভিন্ন কথা। তাতে ভারতকে দারিদ্র্যমুক্ত করার যে প্রতিশ্রুতি তিনি স্বাধীনতা দিবসের বাণীতে দিয়েছেন, তার বাস্তবায়ন সহজ হবে না।
সে যাই হোক, প্রধানমন্ত্রী মোদি এক নতুন ভারতের ছবি এঁকেছেন তাঁর এবারের স্বাধীনতা দিবসের বাণীতে। যে ভাষণে জনগণের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর ওপর জোর দেয়া হয়েছে এবং রাজনৈতিক সমস্যার চেয়ে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলো গুরুত্ব পেয়েছে। এটা বহুকাল পর ভারতের আরেকটি দিক পরিবর্তন। অবশ্য এই পরিবর্তনের নায়ক নরেন্দ্র মোদি।
এখন দেখার রইল ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রীর কথা ও কাজের মধ্যে কতটা মিল। যদি তাঁর সরকারের কথা ও কাজে এই মিল ঘটে, তাহলে রূপান্তরিত ভারত আবার নতুন শক্তিতে নতুনভাবে মাথা তুলবে। হয়ত ভারতে নেহরু যুগের মতো একটি মোদি যুগও ইতিহাসে স্থান পেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্ষমতায় বসেই তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে মৈত্রীর হাত প্রসারিত করেছেন। এই হাত প্রসারিত করেছেন বাংলাদেশের দিকেও। তাঁর নতুন ভারত গড়ার অঙ্গীকার আন্তরিক হলে সারা উপমহাদেশই তাঁর দ্বারা উপকৃত হবে।

লন্ডন, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট-২০১৪।
http://allbanglanewspapers.com/janakantha/

No comments:

Post a Comment