বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ঘোষণা দিতে পারতাম
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ২০ আগস্ট, ২০১৪
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আমাকে স্বৈরাচার বলা হয়। একক সিদ্ধান্ত নিলে মানুষ স্বৈরাচার হয়ে যায়। আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন একক সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক উন্নয়ন করেছি। শুধু একটি বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। একক সিদ্ধান্ত নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ঘোষণা করতে পারতাম। কিন্তু সবার সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ঘোষণা করতে পারিনি। যদি করতাম তাহলে আজ বঙ্গবন্ধুর নামের পাশে আমার নাম লেখা থাকত। মঙ্গলবার বনানীর কার্যালয়ে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এরশাদ এ সময় নৌকা মার্কার পরিবর্তে তার দলের নির্বাচনী প্রতীক লাঙ্গলে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নৌকা বাদ দিন একবার, অন্তত লাঙ্গলে ভোট দিয়ে দেখুন। আমাকে অন্তত একবার সুযোগ করে দিন। জীবনের আর বেশিদিন বাকি নেই, কিছু একটা করে যেতে চাই। হিন্দু সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, আপনারা আমার কারণে দুর্গাকল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পান। তাই প্লিজ, দুর্গার কাছে প্রার্থনা করবেন, এরশাদ সাহেবকে তিনি যেন একটু আশীর্বাদ করেন। আপনারা আমার কারণে জন্মাষ্টমীর ছুটি পেয়েছেন। এ ছুটি আগে ছিল না। দুর্গা পূজার সময় আপনারা একদিন ছুটি পান। এটাও অন্যায়। ঈদে মুসলমানরা তিনদিন ছুটি পায়। তাই দুর্গা পূজায় তিন দিনের ছুটির ব্যাপারে আপনাদের এ প্রস্তাব নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, তিনি আমার কথা রাখবেন।
দেশে বর্তমানে সুশাসন নেই দাবি করে এরশাদ বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র কোথায়? মানুষ যদি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে না পারে তবে এ গণতন্ত্রের লাভ কী? দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, জীবনে অনেক কিছু পেয়েছেন। এবার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে অমর হয়ে থাকুন। ক্ষমতা ছাড়ার পর ১০ বছর সরকারি চাকরিতে উচ্চপদে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো লোক চাকরি পায়নি এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমার সময় আমি সব সম্প্রদায়ের লোকজনকে চাকরি দিয়েছি। আজ আপনারা নিজেদের সংখ্যালঘু বলবেন না। আমরা সবাই বাংলাদেশী। একসঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছি। এরশাদ বলেন, আমি আপনাদের নিরাপত্তার জন্য বলেছিলাম প্রতিটি থানায় হিন্দু ধর্মের অনুসারী অন্তত একজন দারোগা, ৬ জন সিপাহী এবং অন্তত একজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। কিন্তু সেটি অনুসরণ করা হয়নি। এ সময় কোনো এলাকায় মন্দির ভাঙলে সেই এলাকার সংসদ সদস্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উত্থাপন করার অঙ্গীকার করেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি আবার দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে মানুষের মুখে হাসি ফিরে আসবে। গোটা দেশের মানুষ এখন শান্তিতে নেই। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে তাদের জীবন কাটাতে হয়। সর্বত্রই চলছে দখলদারিত্ব আর লুটপাট। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হলে জাতীয় পার্টিকেই আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে হবে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু এমপি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সোমনাথ দে এবং হিন্দু নেতৃবৃন্দের মধ্যে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত জেএল ভৌমিক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা চন্দ্র শেখর হালদার, নারায়ণচন্দ্র প্রমুখ। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ববি হাজ্জাজ, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আমিন শানু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব বাহাউদ্দিন বাবুল, নুরুল ইসলাম নুরু, কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান আহমেদ সেলিম, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম দফতর সম্পাদক আবু হাসান আহমেদ জুয়েল, তরুণ বসু, শাহাদৎ কবির, কেন্দ্রীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝুটন দত্ত, রতন সরকার।
দুই নেতাকে সংবর্ধনা দেবে যুব সংহতি : জাতীয় যুব সংহতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপিকে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক এবং জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত করায় তাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। আগামী ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ সংবর্ধনা দেয়া হবে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেন, সহসভাপতি হারিছ মোঃ আবুল বাশার, মশিউর রহমান খান, আহাদ চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন হেলাল, মিয়া মোঃ আলমগীর, মোতাহের হোসেন চৌধুরী রাশেদ, ফজলুল হক ফজলু, আবু সাঈদ স্বপন, আখতারুজ্জামান খান।
- See more at: http://www.jugantor.com/last-page/2014/08/20/136942#sthash.hYP5IfHh.dpufদেশে বর্তমানে সুশাসন নেই দাবি করে এরশাদ বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র কোথায়? মানুষ যদি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে না পারে তবে এ গণতন্ত্রের লাভ কী? দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, জীবনে অনেক কিছু পেয়েছেন। এবার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে অমর হয়ে থাকুন। ক্ষমতা ছাড়ার পর ১০ বছর সরকারি চাকরিতে উচ্চপদে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো লোক চাকরি পায়নি এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমার সময় আমি সব সম্প্রদায়ের লোকজনকে চাকরি দিয়েছি। আজ আপনারা নিজেদের সংখ্যালঘু বলবেন না। আমরা সবাই বাংলাদেশী। একসঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছি। এরশাদ বলেন, আমি আপনাদের নিরাপত্তার জন্য বলেছিলাম প্রতিটি থানায় হিন্দু ধর্মের অনুসারী অন্তত একজন দারোগা, ৬ জন সিপাহী এবং অন্তত একজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। কিন্তু সেটি অনুসরণ করা হয়নি। এ সময় কোনো এলাকায় মন্দির ভাঙলে সেই এলাকার সংসদ সদস্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উত্থাপন করার অঙ্গীকার করেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি আবার দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে মানুষের মুখে হাসি ফিরে আসবে। গোটা দেশের মানুষ এখন শান্তিতে নেই। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে তাদের জীবন কাটাতে হয়। সর্বত্রই চলছে দখলদারিত্ব আর লুটপাট। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হলে জাতীয় পার্টিকেই আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে হবে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু এমপি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সোমনাথ দে এবং হিন্দু নেতৃবৃন্দের মধ্যে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত জেএল ভৌমিক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা চন্দ্র শেখর হালদার, নারায়ণচন্দ্র প্রমুখ। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ববি হাজ্জাজ, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আমিন শানু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব বাহাউদ্দিন বাবুল, নুরুল ইসলাম নুরু, কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান আহমেদ সেলিম, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম দফতর সম্পাদক আবু হাসান আহমেদ জুয়েল, তরুণ বসু, শাহাদৎ কবির, কেন্দ্রীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝুটন দত্ত, রতন সরকার।
দুই নেতাকে সংবর্ধনা দেবে যুব সংহতি : জাতীয় যুব সংহতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপিকে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক এবং জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত করায় তাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। আগামী ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ সংবর্ধনা দেয়া হবে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেন, সহসভাপতি হারিছ মোঃ আবুল বাশার, মশিউর রহমান খান, আহাদ চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন হেলাল, মিয়া মোঃ আলমগীর, মোতাহের হোসেন চৌধুরী রাশেদ, ফজলুল হক ফজলু, আবু সাঈদ স্বপন, আখতারুজ্জামান খান।
No comments:
Post a Comment