Wednesday, August 20, 2014

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ॥ বিচার অনিশ্চিত! দশ বছর ধরে চলছে, দীর্ঘসূত্রতায় হতাশ ক্ষতিগ্রস্তরা

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ॥ বিচার অনিশ্চিত!
দশ বছর ধরে চলছে, দীর্ঘসূত্রতায় হতাশ ক্ষতিগ্রস্তরা
বিশেষ প্রতিনিধি॥ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কার্যক্রম চলছে দশ বছর ধরে। ২০০৪-এ ঘটেছে এই ঘটনা। এখন চলছে সাক্ষ্য গ্রহণের পালা। মামলার কার্যক্রম কবে শেষ হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। মামলার এই দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ ক্ষতিগ্রস্তরা। মামলার প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, তৎকালীন সরকারের আমলে তদন্তে দুর্বলতা এবং নানা আইনী জটিলতার কারণে দশবছর সময় লেগেছে। ন্যায় বিচার বহাল রেখে জঘন্যতম ঘটনার ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই গ্রেনেড হামলার বিচার দ্রুততম সময়ে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাও বিশেষ আদালতে হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আদালতেই দ্রুততম সময়ে মামলার বিচার কাজ শেষ করা হবে।
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্যে সমাবেশে আর্জেস গ্রেনেডের মতো সমরাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। অনেকেই সেই গ্রেনেডের স্পিøন্টার এখনও তাদের শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন। এই ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়। একটি হত্যা মামলা এবং একটি বিষ্ফোরক মামলা। তৎকালীন সরকার এই জঘন্য হামলা করে প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্রের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে। আগের অভিযোগপত্রে হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেডের উৎস, মজুদ, সরবরাহকারী, পরিকল্পনাকারীদের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল না। অধিকতর তদন্তে বেরিয়ে আসে, তৎকালীন জামায়াত-বিএনপি সরকারের নীল নক্শায় পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের নির্দেশনায় আর্জেস গ্রেনেড পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছে। তা পাকিস্তানী নাগরিক মজিদ বাটের মাধ্যমে সংগ্রহ করে সাবেক মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু ও তার ভাই মাওলানা তাইজউদ্দিন হামলাকারীদের মধ্যে বিতরণ করেছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন প্রাণ হারান। আহত হন পাঁচ শতাধিক। চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্বের অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও একটি কানের শ্রবণশক্তি হারান তিনি।
সৈয়দ রেজাউর রহমান জনকন্ঠকে বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারকাজ শেষ করতে চায় সরকার। তবে আসামি পক্ষ অহেতুক সময়ক্ষেপনের জন্যে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে আনছেন। সাক্ষীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে বার বার তারিখ ফেলতে হয়। মামলার দীর্ঘসূত্রিতার ব্যাপারে সরকারপক্ষেও প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, কেবলমাত্র মাজেদ বাটের স্ত্রী কাকনের সাক্ষ্য নিতে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের বিরোধিতার কারণে ৯৯ কার্যদিবস ব্যয় হয়েছে। মুফতি হান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬৮, আবদুর রউফের জন্য ১০ কার্যদিবস ব্যয় হয়েছে। এ জন্যই মামলার বিচারিক কাজে সময় লাগছে।
ওাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ২০০৯ সালে আদালত মামলার বর্ধিত তদন্তের আদেশ দেন। ২০০৯ সালের ১৩ আগস্ট তদন্ত শুরু করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দ। পরপর ১৩ দফা সময় বাড়িয়ে ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেয়ার মধ্য দিয়ে ভয়ঙ্কর গ্রেনেড হামলার তদন্ত শেষ হয়। প্রথম অভিযোগপত্রে ৬৯ ধরনের আলামত জব্ধ দেখানো হয়েছিল। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুসহ ৪৯১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এর মধ্যে ৯৭ জনের সাক্ষ্য জেরা শেষ হয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিশেষ এজলাসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার চলছে। অতিরিক্ত সাক্ষী এবং আসামিদের অন্য মামলায় বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাওয়ার কারণে ২১ আগস্ট মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলছিল ধীরগতিতে। বিচারকাজের অগ্রগতি ধীর বলে বিচারের প্রতীক্ষায় থাকা আহত ও নিহতদের পরিবারের স্বজনদের মাঝে চরম হতাশা রয়েছে স্বীকার করে সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, এ মামলায় যারা আসামি তারা সারা দেশে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি। এ কারণে দেশের অন্যান্য আদালতেও আসামিদের নেয়া হয়। ফলে ২১ আগস্ট হামলার বিচারিক ট্রাইব্যুনালের পক্ষে টানা বিচারকাজ চালানো সম্ভব হয়নি। জঙ্গী নেতা মুফতি হান্নানসহ তার সহযোগীরা ১৭ আগস্টের বোমা হামলাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত। সেই মামলায় তাদের বিভিন্ন আদালতে হাজির করা হয়।
আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। আবদুস সালাম পিন্টু নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা হামলা মামলার আসামি। চট্টগ্রামের দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার কারণে এতদিন লুৎফুজ্জামান বাবরকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হত। এ মামলায় রায় ঘোষণা হবার কারণে বাবরকে আর চট্টগ্রামে যেতে হবে না। এ মামলায় তিনি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি। এ ছাড়া আসামি পক্ষেরও মামলার বিচার বিলম্বিত করার একটা প্রবণতা রয়েছে। তবে মামলা-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাকি সাক্ষীদের মধ্যে মামলা প্রমাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বর্তমান ও সাবেক এমপি-মন্ত্রীসহ আরও ২৫ থেকে ৩০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হতে পারে।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি জানান, মামলার অন্যতম আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু এবং হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি হান্নান, আবু তাহের, তাজউদ্দিন, মাজেদ বাটসহ জঙ্গী নেতাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে। মামলার আসামি পক্ষের এক আইনজীবী অভিযোগ করে বলেন, সরকার তড়িঘড়ি করে বিচারকাজ শেষ করতে চায়। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, আগে সপ্তাহে এক দিন আদালতে এ মামলার বিচারকাজ হত, তা এখন সপ্তাহে তিন দিন করা হয়েছে। ২১ আগস্টেও নারকীয় হামলার তদন্ত করতে গিয়ে সাত বছর ধরে ঘুরপাক খেতে হয়েছে পুলিশকে। মহাজোট সরকার আমলে সিআইডির সম্পূরক অভিযোগপত্রে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট স্মরণকালের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। অভিযোগপত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ নতুন করে ৩০ জনকে আসামি করা হয়। নতুন করে ৩০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করায় এ মামলার আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২। ২০০৮ সালের ১১ জুন দেয়া প্রথম চার্জশীটে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি হান্নান, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ৫২ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২৫ জন আসামি কারাগারে আটক আছেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক এমপি কাজী মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন আসামি রয়েছেন পলাতক। অন্যদিকে লে. কমান্ডার (অব) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মোঃ আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স্ চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান, এএসপি আবদুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন। গ্রেনেড হামলার পর মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী পৃৃথক তিনটি মামলা করেন।
সূত্র জানায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তিন দফা তদন্ত হয়। ছয়বার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। প্রথম তদন্ত হয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে, কিন্তু কোন প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। বরং মামলাটিকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য জমজমাট ‘জজমিয়া’ নাটক সাজানো হয়। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে নতুন তদন্তে সিআইডির এএসপি ফজলুল কবীর ২০০৮ সালের ১১ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেই অভিযোগপত্রে মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করা হলেও গ্রেনেডের উৎস ও মদদদাতাদের শনাক্ত করা হয়নি। ২০১২ সালের ১৯ মার্চ তারেক রহমান, হারিছ, মুজাহিদসহ জোট সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতা এবং বেশ কয়েকজন জঙ্গী নেতা-কর্মীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জঙ্গী নেতা মুফতি হান্নান ও জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। হামলাকারী দলের অন্যতম সদস্য জঙ্গী মাজেদ বাট ওরফে ইউসুফ বাট কাশ্মীর ভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন হিযবুল মুজাহেদিনের সক্রিয় সদস্য। তাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই পাঠিয়েছে এমন তথ্য পেয়েছেন বলে জানালেন ২১ আগস্ট মামলার প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান। তিনি বলেন, কাশ্মীরভিত্তিক সংগঠন হিযবুল মুজাহেদিন এর জঙ্গীদের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে আদালতে তথ্য দিয়েছেন মাজেদ বাট এর সাবেক স্ত্রী নাহিদ লায়লা কাকন। এই মামলার ৫২ জন অভিযুক্তের ব্যাপারে আদালতে জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন কাকন। তিনি আসামি পক্ষের ব্যাপক হয়রানির মুখে পড়েন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ কৌঁসুলি।
কাশ্মীরভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা ও জৈশ-ই- মোহাম্মদের জঙ্গীদের অধিকাংশই পাকিস্তানের নাগরিক। তবে দীর্ঘদিন থেকে তাদের নেতৃস্থানীয় একটি অংশ বাংলাদেশে এসে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে জঙ্গীবাদে। আফগানিস্তান ও কাশ্মীর ফ্রন্টের মুজাহিদীন যোদ্ধা এই জঙ্গীরা উন্নত প্রযুক্তির অত্যাধুনিক অস্ত্র পরিচালনা, গ্রেনেড-বোমা তৈরি ও হামলায় বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও পারদর্শী। মাজেদ বাটের সাবেক স্ত্রী কাকন তার সাক্ষাতে আদালতে বলেছেন, ২০০৩ সালের ৩ অক্টোবর হুজি এবং হিযবুল মুজাহেদিন এর জঙ্গীদের সামনেই তাদের বিয়ে হয়েছে। সেইদিনই মাজেদ বাট তাকে ঢাকায় এনে একটি বাসা ভাড়া নেয়, যেখানে হুজি এবং হিযবুল মুজাহেদিন এর জঙ্গীরা আসা-যাওয়া করতো এবং রাতে থাকতো। এমনকি হুজি আমীর মুফতি হান্নান এবং মওলানা তাইজউদ্দিনও মাজেদ বাটের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতো সেই বাড়িতে। নিয়মিত অনেক পাকিস্তানী নাগরিক সেই বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। একদিন তাদের কর্মকা- এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে মাজেদ বাটকে তার তৎকালীন স্ত্রী নাহিদ লায়লা কাকন জানতে চায়। কোন জবাব দেয়নি মাজেদ বাট। বরং মাওলানা তাইজউদ্দিন পাকিস্তান থেকে গ্রেনেড এবং বোমা বারুদ এনে সেই বাড়িতে রাখতো। তখন কাকন জানতে পারে মাজেদ বাট পাকিস্তানে গিয়ে একমাস থেকে এসেছে। সৈয়দ রেজাউর রহমান জানান, বিষ্ফোরক মামলায় ৩৯জন এবং হত্যা মামলায় ২২ জনসহ মোট ৯৭ জনের সাক্ষ্য জেরা শেষ হয়েছে। কয়েক জনের জেরা এখনো বাকি।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html

No comments:

Post a Comment