Tuesday, August 19, 2014

কনসালটিং ফার্ম পিডব্লিউসিকে আড়াই কোটি ডলার জরিমানা যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের ফার্মকে জরিমানা করা বিরল ঘটনা

কনসালটিং ফার্ম পিডব্লিউসিকে আড়াই কোটি ডলার জরিমানা
যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের ফার্মকে জরিমানা করা বিরল ঘটনা
প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস (পিডব্লিউসি) বৃহৎ কনসালটিং ফার্ম হিসেবে ওয়াল স্ট্রিটে সুুনামের সঙ্গেই ব্যবসা করছিল। বিশ্বের বৃহৎ ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ কাগজপত্র পক্ষপাতহীন দৃষ্টি নিয়ে দেখাশোনার মাধ্যমে এটি যেন হয়ে উঠেছিল একটি ছায়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস।
ফার্মটি যেসব ব্যাংকের হিসাবপত্র তদারক করত তারাই কনসালটিং ফার্মটির কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বেতন পরিশোধ করত। এখন এটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সন্দেহভাজন দৃষ্টিতে পড়ে গেছে। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এবং কিছু গোপন নথি ঘাঁটাঘাঁটি করে জানা গেছে, ফার্মটির কিছু অসাধু প্রবণতা তদন্তে এখন নিউইয়র্ক রাজ্যের আর্থিক তদন্তকারী দল মাঠে নামছে। ব্যাংক অব টোকিও মিৎসুবিশি ইউএফজের মতো বৃহৎ ঋণপ্রদানকারী ব্যাংকের রিপোর্ট ও সাক্ষাতকার থেকে পাওয়া তথ্য কনসালটিং ফার্মটির একটি অস্বচ্ছ দিক তুলে ধরেছে। নিউইয়র্কের আর্থিক নিয়ন্ত্রক বেঞ্জামিন লস্কি ওয়াটারহাউস কুপারসকে আড়াই কোটি ডলার জরিমানা করতে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে ফার্মটির একটি কনসালটিং ইউনিটকে ওই আর্থিক নিয়ন্ত্রকের অধীন ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আগামী দুই বছর কাজ করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একটি কনসালটিং ফার্মের কাছ থেকে যে পরিমাণ সততা ও নিষ্ঠা কামনা করা হয় ওয়াটারহাউস কুপারসের মধ্যে তার ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে ফার্মটি কোন আইন ভঙ্গ করেনি। জরিমানা বাবদ ধার্য অর্থ এবং রেগুলেটরি কনসালটিং ইউনিটটিকে দু’বছর কাজ করিয়ে বসিয়ে রাখতেও সম্মত হয়েছে ওয়াটারহাউস কুপারস। ফার্মটির বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তার জন্য প্রধানত দায়ী ব্যাংক অব টোকিও মিৎসুবিশির সঙ্গে এর লেনদেনের বিষয়টি। ফার্মটি এমন সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এর অর্থ প্রবাহ চালনার চেষ্টা করেছে যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে কালো তালিকাভুক্ত। এর একটি বিবরণ নিউইয়র্ক টাইমসের কাছে হস্তগত হয়েছে। ইরান বা অন্য কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপিত দেশের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হচ্ছে কিনা, বিষয়টি যাচাই করার জন্য ব্যাংক অব টোকিও মিৎসুবিশি ২০০৭ সালে ওয়াটারহাউস কুপারসকে ভাড়া করেছিল। ফার্মটির এ সম্পর্কিত প্রথম রিপোর্টের খসড়ার একটি কপি নিউইয়র্ক টাইমস দেখতে পেয়েছে। ফার্মটিও স্বীকার করেছে রিপোর্টটি সুষ্ঠুভাবে প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতা একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করেছে। এ কারণে রিপোর্টে ব্যাংকটির ইরানী ক্লায়েন্টদের নাম বাদ দেয়া হয়নি।
খসড়া রিপোর্টটি চূড়ান্ত করার সময় কনসালটিং ফার্মটি দুটো প্যারা বাদ দেয়। এই প্যারা দুটো কিভাবে বাদ দেয়া হয় তার কোন ব্যাখ্যা ফার্মটি দেয়নি। ফার্মের এ্যাডভাইজরি সার্ভিস প্র্যাক্টিসের প্রধান মাইক এভারসন বলেছেন, তাদের রিপোর্টে বিস্তারিত ও যথাযথ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ছয় বছরের বেশি সময় আগে ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা নিয়ে রিপোর্টের সত্যতা সংশয়ের মুখে পড়ে না বলে তিনি মনে করেন। মার্কিন আর্থিক নিয়ন্ত্রকরা অনেকদিন ধরেই কনসালটিং ফার্মগুলোর আর্থিক অনিয়ম নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাননি কিংবা এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখারও তাগিদ অনুভব করেনি। ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস

No comments:

Post a Comment