দাঙ্গাকবলিত শহরটিতে যেতে পারেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল
ফার্গুসনে বিক্ষোভ অব্যাহত
হোয়াইট হাউজের যুক্ততা আরো বাড়ানো হয়েছে
আল জাজিরা ও বিবিসি
ফার্গুসনে সোমবারের বিক্ষোভ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ থাকলেও তা ছিল উত্তেজনাময়। বিক্ষোভকারীরা কয়েক ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ করার পর সন্ধ্যার দিকে প্লাস্টিক হ্যান্ডকাফ নিয়ে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। এরপর তারা কাঁদুনে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি'র প্রতিবেদনে পুলিশ কমপক্ষে একজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে। ফার্গুসন থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক জানান, পুলিশি অ্যাকশনের পর বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী ঘটনাস্থল থেকে সরে গেছে। তিনি আরো বলেন, 'রবিবার যা ঘটেছে সেই তুলানায় এটা নিশ্চিতভাবে কিছুই না'। এরই মধ্যে সেন্ট লুইস শহরতলীতে গত শনিবার থেকে জারি করা রাত্রিকালীন কার্ফ্যু প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং পুলিশকে সহায়তা করতে সেখানে কার্ফ্যু জারির পাশাপাশি ন্যাশনাল গার্ড তলব করেছিলেন মিসৌরির গভর্নর জে নিক্সন।
এদিকে, ফার্গুসনের পরিস্থিতি শান্ত করতে হোয়াইট হাউজের যুক্ততা আরো বাড়ানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্থানীয় অধিবাসীদের 'একে অন্যের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা' করার আহবান জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি ব্রাউন হত্যার তদন্তের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য আজ বুধবার মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারের দাঙ্গাকবলিত এলাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
৯ আগস্ট ফার্গুসনের একটি সড়কে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে মাইকেল ব্রাউন (১৮) নামের ওই নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নিহত হন। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গ অধিবাসীরা ফুঁসে ওঠে। এর পর থেকে ব্যাপক বিক্ষোভ চলতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ সহিংস হয়ে ওঠে ও দোকানপাটে লুটপাট চালায়। গত শুক্রবার ফার্গুসনের পুলিশ প্রধান ব্রাউনকে গুলি করা পুলিশ কর্মকর্তার নাম এবং সিসিটিভিতে ধারণ করা একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করেন। ভিডিও চিত্রে দেখানো হয়, এক দোকানিকে ভয় দেখিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে এক প্যাকেট সিগারেট ছিনিয়ে নেয় ব্রাউন। পুলিশের দাবি, এর কিছুক্ষণ পরই 'ডাকাত' সন্দেহে তাকে গুলি করা হয়।
তবে ব্রাউনের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই ভিডিওচিত্রটির প্রকাশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আইনবহির্ভূত এই হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দেয়ার জন্যই ভিডিওচিত্রটি প্রকাশ করেছে পুলিশ। নিউইয়র্ক টাইমস-এর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ব্রাউনকে অন্তত ছয়টি গুলি করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি তার মাথায় লাগে। অন্য চারটি বিদ্ধ হয় ডান হাতে। প্রাথমিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। খবরে আরও বলা হয়েছে, সবকটি গুলিই ব্রাউনকে সামনে থেকে ছোঁড়া হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment