‘অবৈধ সরকারের কোন আইন টিকবে না’
জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরতে পেরেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বলেছেন, কথায় কথায় জিয়াউর রহমানকে অপমান করে। জিয়াউর রহমানই তো স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এই দেশের মানুষকে বাঁচিয়েছেন। জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না করতেন, দেশ যদি স্বাধীন না হতো, শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরতে পারতেন না। তাই জিয়াউর রহমানের কাছে আওয়ামী লীগের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। রংপুর বিভাগীয় বিএনপিপন্থি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে গতকাল এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা হয়। খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ বলে- বিএনপি আন্দোলন করতে জানে না। আমি বলতে চাই, বিএনপি আন্দোলন করতে জানে। ’৯০ সালে বিএনপিই আন্দোলন করে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেদিন করেছিল আঁতাত। তিনি আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেন, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে খালি হাতে মাঠে নামান। আপনারাও মাঠে নামুন। আমরাও আন্দোলনের মাঠে নামবো। তখন দেখা যাবে, মানুষ কার দিকে যায়। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, আজকে ইনু-মতিয়ারা সরকারের দোস্ত হয়েছে। তখন তো মতিয়া চৌধুরী বলেছিল- শেখ মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানাবো। শেখ মুজিবকে হত্যার পর আজকের ইনুরা বলেছিল তার লাশ বঙ্গোপসাগরে ফেলা উচিত। কিন্তু তারা আজকে মন্ত্রিত্ব রক্ষার কাফফারা দিচ্ছেন, গুণগান গাইছেন। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে জিয়াউর রহমান বাধা দিয়েছিলেন- এমন অভিযোগের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনা সব মিথ্যা বলেছেন। জিয়াউর রহমানই ভারতে লোক পাঠিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। শুধু আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া সেদিন তাদের সব সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। দেয়া হয়েছে তখনকার সময়ে ৩৩ কোটি টাকা- আজকের হিসাবে যার মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ৩৫০০ কোটি টাকা। অবৈধ সরকারের কোন আইন টিকবে না মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে একের পর এক আইন করছে। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে সম্প্রচার নীতিমালা করেছে। বিচার বিভাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে তারা এখন বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা অবৈধ সংসদের হাতে দিতে চলেছে। তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, এই অবৈধ সরকারের আইন করার বৈধতা নেই। ৫ ভাগ লোকও তাদের ভোট দেয়নি। তাদের কোন আইনই টিকবে না। সব অপকর্ম আড়াল করতে সম্প্রচার নীতিমালা করছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, এই অবৈধ সরকার মানুষের মুখ বন্ধ করতে চায়। কারণ তারা যে অপকর্ম করছে তা যাতে গণমাধ্যম দেখাতে ও লিখতে না পারে সেজন্যই এই নীতিমালা। অতীতে যেভাবে বাকশাল করে চারটি ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। এখনও একদলীয় শাসন প্রক্রিয়ার দিকেই তারা দেশকে নিয়ে যাচ্ছে। এসব আইন করার পরিণতি শুভ হবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করে খালেদা বলেন, নিয়তির এমন পরিণতি আসবে, আপনারা বাঁচতে পারবেন না। আইন করে কোন লাভ হবে না। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না দাবি করে তিনি বলেন, বিরোধী দলের জন্য একরকম আইন, সরকারের জন্য অন্যরকম আইন। ঢাকা সিটি করপোরেশনে নির্বাচন না দেয়ার সমালোচনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, প্রশাসক দিয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন চলছে। এজন্য ঢাকা শহর নোংরা শহরে পরিণত হয়েছে। রাস্তাঘাটগুলোর কি দুরবস্থা। সরকারের এদিকে কোন নজর নেই। উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার নজর দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা বক্তব্যের সমালোচনা করে খালেদা বলেন, শেখ হাসিনা গান পাউডার দিয়ে বাসে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ হত্যা করেছেন। লগি-বৈঠা নিয়ে আন্দোলন করে মানুষ হত্যা করেছেন। বিডিআর সদর দপ্তরে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকা-ের পেছনে তার ও তার দলের নেতাদের হাত ছিল। কিন্তু এসব হত্যাকা-ের জন্য শেখ হাসিনার বিচার হয়নি। এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য দলকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে খালেদা বলেন, আওয়ামী লীগের মতো সন্ত্রাসী আন্দোলন তাদের হবে না। আমি বলতে চাই, ঐক্যবদ্ধ হন, সংগঠনের দিকে জোর দিন। নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে, আওয়ামী লীগের সরকারের বিদায় হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে খালেদা বলেন, আপনারাই সত্যিকারের জনপ্রতিনিধি। সংসদে কোন নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। তাই সততার সঙ্গে জনগণের জন্য কাজ করুন। বৃষ্টি-বাদলা কমলে রংপুর অঞ্চলে সফরে যাওয়ার অঙ্গীকারও করেন তিনি। মতবিনিময়ে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার বিএনপি থেকে নির্বাচিত ২৪ জন চেয়ারম্যান, ১৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২৪ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অংশ নেন। এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু উপস্থিত ছিলেন।
জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরতে পেরেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বলেছেন, কথায় কথায় জিয়াউর রহমানকে অপমান করে। জিয়াউর রহমানই তো স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এই দেশের মানুষকে বাঁচিয়েছেন। জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না করতেন, দেশ যদি স্বাধীন না হতো, শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরতে পারতেন না। তাই জিয়াউর রহমানের কাছে আওয়ামী লীগের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। রংপুর বিভাগীয় বিএনপিপন্থি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে গতকাল এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা হয়। খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ বলে- বিএনপি আন্দোলন করতে জানে না। আমি বলতে চাই, বিএনপি আন্দোলন করতে জানে। ’৯০ সালে বিএনপিই আন্দোলন করে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেদিন করেছিল আঁতাত। তিনি আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেন, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে খালি হাতে মাঠে নামান। আপনারাও মাঠে নামুন। আমরাও আন্দোলনের মাঠে নামবো। তখন দেখা যাবে, মানুষ কার দিকে যায়। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, আজকে ইনু-মতিয়ারা সরকারের দোস্ত হয়েছে। তখন তো মতিয়া চৌধুরী বলেছিল- শেখ মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানাবো। শেখ মুজিবকে হত্যার পর আজকের ইনুরা বলেছিল তার লাশ বঙ্গোপসাগরে ফেলা উচিত। কিন্তু তারা আজকে মন্ত্রিত্ব রক্ষার কাফফারা দিচ্ছেন, গুণগান গাইছেন। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে জিয়াউর রহমান বাধা দিয়েছিলেন- এমন অভিযোগের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনা সব মিথ্যা বলেছেন। জিয়াউর রহমানই ভারতে লোক পাঠিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। শুধু আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া সেদিন তাদের সব সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। দেয়া হয়েছে তখনকার সময়ে ৩৩ কোটি টাকা- আজকের হিসাবে যার মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ৩৫০০ কোটি টাকা। অবৈধ সরকারের কোন আইন টিকবে না মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে একের পর এক আইন করছে। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে সম্প্রচার নীতিমালা করেছে। বিচার বিভাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে তারা এখন বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা অবৈধ সংসদের হাতে দিতে চলেছে। তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, এই অবৈধ সরকারের আইন করার বৈধতা নেই। ৫ ভাগ লোকও তাদের ভোট দেয়নি। তাদের কোন আইনই টিকবে না। সব অপকর্ম আড়াল করতে সম্প্রচার নীতিমালা করছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, এই অবৈধ সরকার মানুষের মুখ বন্ধ করতে চায়। কারণ তারা যে অপকর্ম করছে তা যাতে গণমাধ্যম দেখাতে ও লিখতে না পারে সেজন্যই এই নীতিমালা। অতীতে যেভাবে বাকশাল করে চারটি ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। এখনও একদলীয় শাসন প্রক্রিয়ার দিকেই তারা দেশকে নিয়ে যাচ্ছে। এসব আইন করার পরিণতি শুভ হবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করে খালেদা বলেন, নিয়তির এমন পরিণতি আসবে, আপনারা বাঁচতে পারবেন না। আইন করে কোন লাভ হবে না। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না দাবি করে তিনি বলেন, বিরোধী দলের জন্য একরকম আইন, সরকারের জন্য অন্যরকম আইন। ঢাকা সিটি করপোরেশনে নির্বাচন না দেয়ার সমালোচনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, প্রশাসক দিয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন চলছে। এজন্য ঢাকা শহর নোংরা শহরে পরিণত হয়েছে। রাস্তাঘাটগুলোর কি দুরবস্থা। সরকারের এদিকে কোন নজর নেই। উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার নজর দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা বক্তব্যের সমালোচনা করে খালেদা বলেন, শেখ হাসিনা গান পাউডার দিয়ে বাসে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ হত্যা করেছেন। লগি-বৈঠা নিয়ে আন্দোলন করে মানুষ হত্যা করেছেন। বিডিআর সদর দপ্তরে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকা-ের পেছনে তার ও তার দলের নেতাদের হাত ছিল। কিন্তু এসব হত্যাকা-ের জন্য শেখ হাসিনার বিচার হয়নি। এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য দলকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে খালেদা বলেন, আওয়ামী লীগের মতো সন্ত্রাসী আন্দোলন তাদের হবে না। আমি বলতে চাই, ঐক্যবদ্ধ হন, সংগঠনের দিকে জোর দিন। নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে, আওয়ামী লীগের সরকারের বিদায় হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে খালেদা বলেন, আপনারাই সত্যিকারের জনপ্রতিনিধি। সংসদে কোন নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। তাই সততার সঙ্গে জনগণের জন্য কাজ করুন। বৃষ্টি-বাদলা কমলে রংপুর অঞ্চলে সফরে যাওয়ার অঙ্গীকারও করেন তিনি। মতবিনিময়ে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার বিএনপি থেকে নির্বাচিত ২৪ জন চেয়ারম্যান, ১৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২৪ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অংশ নেন। এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment