মায়া সভ্যতার নতুন দু’টি শহর আবিষ্কার
নৃবিজ্ঞানীরা মেক্সিকোর জঙ্গলে মায়া সভ্যতার দুটি প্রাচীন শহর আবিষ্কার করেছেন। এই শহর দুটির খোঁজ পাওয়া গেছে মেক্সিকোর ক্যাম্পেচির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইয়ুকেটান বদ্বীপের কেন্দ্রস্থলে। দ্য রিসার্চ সেন্টার অব দ্য স্লোভেনিয়ান একাডেমি অব সায়েন্স এ্যান্ড আর্টসের একদল গবেষক এই শহর দুটির খোঁজ পান। এই দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন আইভান স্প্রাজেক। ২০১৩ সালে স্লোভেনিয়ান নৃবিজ্ঞানীরা চাকটুন নামে বড় এক মেক্সিকান শহর আবিষ্কার করেছিলেন। আর এবার তাঁরা আবিষ্কার করলেন তার থেকে দশ কিলোমিটার দূরের এই দুটি শহর। একটির নাম লাগুনিটা ও অন্যটির নাম টামচেন।
এই শহর দুটি গহীন জঙ্গলের মাঝে বড় বড় গাছপালায় আচ্ছাদিত ছিল। উড়োজাহাজের মাধ্যমে এই শহর দুটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব ৬০০-১০০০ অব্দের টার্মিনাল ক্লাসিক পিরিয়ডের রিওবেক এবং চিনেজ অঞ্চলের স্থাপত্যশৈলীর ধরন এখানে খুঁজে পাওয়া গেছে। নতুন আবিষ্কৃত দুটি শহরের মধ্যে একটি শহরের অসাধারণ কিছু নির্দশন পাওয়া গেছে। বিশেষ করে প্রবেশদ্বারে পাথরে তৈরি দৈত্যের হাঁ করা মুখের বিষয়টি। এই সাইটটি আমেরিকান নৃবিজ্ঞানী এরিক ভন ইইউ পরিদর্শন করেছিলেন। তাঁর অপ্রকাশিত কিছু ড্রয়িংয়ে এই রকম পাথরের তৈরি নির্দশন আছে। সে যাই হোক, শহরটির প্রকৃত অবস্থান ভন ইইউ তাঁর ড্রয়িংয়ে দেখিয়েছিলেন লাগুনিটা হিসেবে। তাঁর আঁকা নির্দেশনা অনুযায়ী এতদিন পর নৃবিজ্ঞানীরা শহরটির খোঁজ পেতে সক্ষম হন। এই শহরটিকে লাগুনিটা হিসেবেই এখন ডাকা হচ্ছে।
শহরের প্রবেশদ্বারে দৈত্যর মুখের এই ধরনটি দক্ষিণের স্থাপত্যশৈলীর এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এই প্রবেশদ্বার নির্দেশ করে ঐ শহরটি সমৃদ্ধ ছিল। তবে পৌরাণিক ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসী ছিল ঐ শহরের লোকজন। গবেষকরা ঐ শহরে প্রাসাদতুল্য অনেক দালান-কোঠার সন্ধান পেয়েছেন। চারটি প্লাজারও সন্ধান পাওয়া গেছে। শহরে একটি বল কোর্ট এবং পঁয়ষট্টি ফুট উঁচু একটি মন্দিরের পিরামিডের সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়াও দশটি বড় পাথরের চাঙ এবং তিনটি বেদি পাওয়া গেছে যেগুলোতে হায়ারোগ্লেফিক খোদাই করা আছে। ইপিগ্রাফার অক্টাভিয়ো এসপারাজা প্রাথমিকভাবে একটি হায়ারোগ্লেফিক থেকে সময় কাল বের করেন। তাতে খোদাই করা ছিল খ্রিস্টপূর্ব ৭১১ অব্দ। কিন্তু রাজা এবং রানীর নাম পাওয়া যায়নি। কারণ হায়ারোগ্লেফিকের বাদবাকি অংশ মুছে গেছে। হায়ারোগ্লেফিক দেখে এসপারাজা ধারণা করছেন ঐ স্থান থেকে দশ কিলোমিটার উত্তরে চাকটুন শহরের সঙ্গে সর্ম্পকযুক্ত ছিল।
অন্য শহরটিকে ডাকা হচ্ছে টামচেন হিসেবে । এই শহরে ত্রিশটির বেশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখার চেম্বার পাওয়া গেছে। লাগুনিটার মতো এই শহরেও বড় বড় প্লাজা আর দালান-কোঠার নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই শহরটির ধরনও অনেকটা লাগুনিটার মতো।
নতুন আবিষ্কৃত এই শহর দুটি মায়া সভ্যতার বৈচিত্র্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন জাগিয়ে তুলেছে।
-ডিসকভারি নিউজ অবলম্বনে মোঃ আরিফুর রহমান
এই শহর দুটি গহীন জঙ্গলের মাঝে বড় বড় গাছপালায় আচ্ছাদিত ছিল। উড়োজাহাজের মাধ্যমে এই শহর দুটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব ৬০০-১০০০ অব্দের টার্মিনাল ক্লাসিক পিরিয়ডের রিওবেক এবং চিনেজ অঞ্চলের স্থাপত্যশৈলীর ধরন এখানে খুঁজে পাওয়া গেছে। নতুন আবিষ্কৃত দুটি শহরের মধ্যে একটি শহরের অসাধারণ কিছু নির্দশন পাওয়া গেছে। বিশেষ করে প্রবেশদ্বারে পাথরে তৈরি দৈত্যের হাঁ করা মুখের বিষয়টি। এই সাইটটি আমেরিকান নৃবিজ্ঞানী এরিক ভন ইইউ পরিদর্শন করেছিলেন। তাঁর অপ্রকাশিত কিছু ড্রয়িংয়ে এই রকম পাথরের তৈরি নির্দশন আছে। সে যাই হোক, শহরটির প্রকৃত অবস্থান ভন ইইউ তাঁর ড্রয়িংয়ে দেখিয়েছিলেন লাগুনিটা হিসেবে। তাঁর আঁকা নির্দেশনা অনুযায়ী এতদিন পর নৃবিজ্ঞানীরা শহরটির খোঁজ পেতে সক্ষম হন। এই শহরটিকে লাগুনিটা হিসেবেই এখন ডাকা হচ্ছে।
শহরের প্রবেশদ্বারে দৈত্যর মুখের এই ধরনটি দক্ষিণের স্থাপত্যশৈলীর এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এই প্রবেশদ্বার নির্দেশ করে ঐ শহরটি সমৃদ্ধ ছিল। তবে পৌরাণিক ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসী ছিল ঐ শহরের লোকজন। গবেষকরা ঐ শহরে প্রাসাদতুল্য অনেক দালান-কোঠার সন্ধান পেয়েছেন। চারটি প্লাজারও সন্ধান পাওয়া গেছে। শহরে একটি বল কোর্ট এবং পঁয়ষট্টি ফুট উঁচু একটি মন্দিরের পিরামিডের সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়াও দশটি বড় পাথরের চাঙ এবং তিনটি বেদি পাওয়া গেছে যেগুলোতে হায়ারোগ্লেফিক খোদাই করা আছে। ইপিগ্রাফার অক্টাভিয়ো এসপারাজা প্রাথমিকভাবে একটি হায়ারোগ্লেফিক থেকে সময় কাল বের করেন। তাতে খোদাই করা ছিল খ্রিস্টপূর্ব ৭১১ অব্দ। কিন্তু রাজা এবং রানীর নাম পাওয়া যায়নি। কারণ হায়ারোগ্লেফিকের বাদবাকি অংশ মুছে গেছে। হায়ারোগ্লেফিক দেখে এসপারাজা ধারণা করছেন ঐ স্থান থেকে দশ কিলোমিটার উত্তরে চাকটুন শহরের সঙ্গে সর্ম্পকযুক্ত ছিল।
অন্য শহরটিকে ডাকা হচ্ছে টামচেন হিসেবে । এই শহরে ত্রিশটির বেশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখার চেম্বার পাওয়া গেছে। লাগুনিটার মতো এই শহরেও বড় বড় প্লাজা আর দালান-কোঠার নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই শহরটির ধরনও অনেকটা লাগুনিটার মতো।
নতুন আবিষ্কৃত এই শহর দুটি মায়া সভ্যতার বৈচিত্র্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন জাগিয়ে তুলেছে।
-ডিসকভারি নিউজ অবলম্বনে মোঃ আরিফুর রহমান
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html
No comments:
Post a Comment