Saturday, August 23, 2014

>> শারদীয় দূর্গাপূজা কি জাতীয় উৎসব ও জাতিয় সংহতার প্রতিক , না তাহার বিপরীত ?


>> শারদীয় দূর্গাপূজা কি জাতীয় উৎসব ও জাতিয় সংহতার প্রতিক , না তাহার বিপরীত ?
'অকাল বোধন ' বা শারদীয় দূর্গাপূজা ব্যাপারটা বাল্মীকি রামায়ণে নাই ৷ ইহা নিছক বাঙ্গালী কবি কৃত্তিবাস ওঝা'র কল্পনা প্রসুত গল্প বা কাব্য বিশেষ ৷ অবশ্য বাল্মীকির মূল রামায়ণ-টাই কল্পনার ব্যাপার ৷ আর সেই কথাই মহাকবি বাল্মীকি তাঁর মহাকাব্যের মুখবন্ধে স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছেন যে -রাম জন্মের ৬০ হাজার বৎসর আগে রামায়ন লেখা হয়েছে ৷ (এ বিষয়ে বিশিষ্ট ভাষাবিদ্ প্রখ্যাত পন্ডিত ডঃ সুকুমার সেন তাঁহার ' ভারতীয় আর্য সাহিত্যে ইতিহাস ' পুস্তকে বিশেষ আলোচনা করিয়াছেন ৷ সে বিশয়ে অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তিগন ঐ পুস্তকের বিশ্লেষন গুলি অনুধাবন করিলে বিশেষ উপকৃত হইবেন ৷ )
বাংলায় প্রথম শারদীয় দূর্গাপূজা আরম্ভ হয় ১৫ শতকের শেষ ভাগে নদীয়া জেলার তাহিরপুরের জমিদার রাজা কংসনারায়ণ খান মহাশয়ের রাজবাটিতে ৷ নদীয়ার ফুলিয়ার কবি কৃত্তিবাস ওঝা সেই রাজা কংসনারায়ণ খানের সভাপন্ডিত ছিলেন ৷ নিজের প্রতি-পত্তি জাহির করবার জন্য রাজা কংসনারায়ণ প্রাচিন কালের দিগ্বিজয়ী সম্রাটদের মত " অশ্বমেধ " যজ্ঞ করিবার বাসনা করেন ৷ কিন্তু তাঁহার কুলপুরোহিত রমেশচন্দ্র শাস্ত্র মহাশয় বলেন যে এই যুগে ' অশ্বমেধ ' যজ্ঞ সম্ভব নয় ৷ তবে সভা পন্ডিত কৃত্তিবাস ওঝা মহাশয়ের সহিত সলাপরামর্শ করিয়া পুরোহিত রমেশ শাস্ত্রী মহাশয় রাজাকে বুঝাইলেন যে কলিযুগে অকালবোধন ' শারদীয় দূর্গাপূজা ' করিলে অশ্বমেধ যজ্ঞের সমতুল্য রাজ-খ্যাতি প্রচারিত হইবে ৷ রাজা কংসনারায়ণ খান তাই করিয়াছিলেন ৷ সেই হইতে এদেশের বৃত্তবান জমিদার ও প্রতিপত্তিশালী সামন্ত গন নিজেদের দম্ভ প্রকাশের জন্যই শারদীয় দূর্গাপূজা করিয়া চলিয়াছেন ৷ তাহাতে সাধারন গরীব প্রজাদের কোনরূপ স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন ছিল না এবং এখনও নাই ৷
বর্তমানে ব্রাহ্মণবাদী পন্ডিত ও নেতারা প্রচার করিতেছেন যে -শারদীয় দূর্গোৎসব একটি জাতিয় উৎসব এবং জাতিয় সংহতির প্রতিক ৷ কিন্ত তাঁহারা বঙ্গ-ভঙ্গ ও ভারত ভাগের কারন ও হৃদয় বিদারক কাহিনীগুলি এই কয়দিনে কি করিয়া ভুলিয়া গেলেন ? সমগ্র বাংলায় ৬০% মানুষ মুসলমান বলিয়াইত বঙ্গ ভঙ্গ হইয়া বাংলাদেশ গড়িয়াজে ৷ প্রকৃত মুসলমান কেহকি দূর্গাপূজাকে জাতিয় উৎসব ভাবিতে পারেন ? বঙ্কিমচন্দের ' বন্দেমাতরম্ ' কে জাতিয় সংঙ্গীত হিসাবে গ্রহন করিতে সারা দেশের মুসলমানগন তীব্র ঘৃনা প্রকাশ করিয়াছেন ৷ তাহাতে ' তং হি দূর্গা দশপ্রহরণধারিণী ' কথা থাকায় ৷ তাই ঐ গানের কেবল প্রথম স্টা্যাঞ্জাটাই এখন 'জাতিয় সঙ্গীত ' হিসাবে গাওয়া হয় ৷ঐ ; আনন্দমঠে ' সারা দেশের মুসলমান সম্প্রদায়কে অত্যন্তনোংরা ভাষায় ঘৃণা প্রকাশ করিয়া জঘন্য গালাগালি করিয়াছেন ৷ তাহাতে কি জাতীয় সংহতি ঐক্য গড়িয়াছে , না জাতি ধ্বংশ হইয়াছে ? ঋষি বঙ্কিমচন্দের মত এত বড় মাপের জাতিয় নেতা ওরকম জঘন্য ভাবে মুসলমান বিদ্বেষ প্রকাশ করিলে অজ্ঞ জনসাধারনের মনে তাহার প্রতিকৃয়া কি হয় এখন সবাই তাহা বুঝিতে পারিতেছেন ৷ এদেশের মুসলমানরাতো আর আরব-ইরান থেকে আসে নাই ৷ সবাই একদিন ছিল নিম্ন বর্নের অস্পৃশ্য হিন্দুই ৷ ঐ বঙ্কিমচন্দ্রের মত কট্টর ব্রাহ্মণ্যবাদী নেতাদের দ্বারা সমাজ , রাষ্ট্রে সর্বত ভাবে অবহেলিত ও উৎপীড়িত হইয়া তাহারা ক্ষোভে দুঃখে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছেন ৷ তাই এ রাজ্যে হিন্দুর সংখ্যা কমিয়াছে এবং মুসলমান বাড়িয়াছে ফলে দেশভাগ হইয়াছে ৷সুতরাং দূর্গোৎসব কোন মতেই বাংলার জাতীয় উৎসব নয় ৷বাংলার বাহিরে ভারতের কোথাও এই উৎসব ব্যাপক ভাবে হয় না ৷ তাই দূর্গপূজা ভারতবাসীর জাতীয় উৎসব নয় ৷ জাতীয় সংহতির প্রতিকও নয় ৷
সবাই জানেন দূর্গাপূজা , অতি ব্যয়বহুল উৎসব ৷ দেশের এক একটি পূজা মন্ডপে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়িত হয় ৷ রাজা কংসনারায়ণ খানের দূর্গাপূজায় নাকি সাড়ে আট লক্ষ টাকা ব্যয়িত হয়েছিল ৷ আজি হতে প্রায় ৬ শত বৎসর পূর্বে সেই সাড়ে আট (৮) লক্ষ টাকা বর্তমান কালের হিসাবে কয়েক কোটি বা কয়েক শত কোটি টাকার সমান ৷ আর এই পূজা একবার আরম্ভ করিলে তা বন্ধ করা যায় না ৷ তাই পর পর কয়েক বছর অতিব্যয় বহুল এই দূর্গাপূজা করিয়া রাজা কংসনারায়ণের বংশ একেবারে ঋণ গ্রস্ত হইয়াই পরিপুর্ণ রূপে ধ্বংশ হইয়া গিয়াছে ৷ কোথায় যে তাঁর রাজত্ব (জমিদারী ) ছিল সেই কথাটাও আজ সকলে ভুলিয়া গিয়াছে ৷ সেই তাহিরপুর রাজ্যের চিহ্ন কোথাও নাই ৷ দূর্গতিনাশিণী কাহাকেও দূর্গতি হইতে রক্ষা করিতে পারে নাই ৷ আমা ব্যাক্তিগত আভিগ্যতার থেকে বলছি -' আমি আজ পর্যন্ত যত লোকের বাড়িতে দূর্গাপূজা হইতে দেখিয়াছি তাঁহাদের কহই নিঃস্ব হইতে বাকি নাই ৷ কি বাংলাদেশ কিংবা ভারতে ৷ যদি কাহারো যানাথাকে -কেউ দূর্গাপূজা করিয়া লাখপতি বা কোটিপতি হইয়াছন তবে দয়াকরে জানাবেন ৷
এক একটা বংশ ধ্বংশ করিতে করিতে শারদীয় দূর্গাপূজা ক্রমে সমগ্র জাতিকে ধ্বংস করিতে চলিয়াছে ৷ প্রত্যেকটি বারোয়ারী পূজায় যে অকল্পনিয় অর্থব্যয় হয় , তাহা দিয়া সারাদেশে আনেক রাস্তাঘাট , স্কুল কলেজ , দাতব্য চিকিৎসালয় প্রভৃতি বেসরকারী উদ্যোগে গড়িয়া তোলা যায় ৷ অর্থনৈতিক দিক হইতে অনুন্নত দেশে আর ঐ রকম বয় বহুল কোন উৎসব করা উচিত নয় ৷ এই সহজ সত্যটি দেশের সুস্থ চিন্তাবিদ নাগরিকগন ও দেশের নেতাগন কবে বুঝিবেন ? নেতাদের তো ছেড়ে দিন ,তাঁদের ভোট ব্যাংক নষ্ট হয়ে যায় ,তাই তারা বুঝেও বুঝবেন না ৷
অপব্যয়ের আরো বড় নজির হইতেছে সারাদেশে ঐ সময় কর্ম দিবস তথা কর্মংস্কৃতির নিদারুন অবনতি ৷ দেশে রাজনৈতিক কারনে একদিন কর্মবিরতি বা ধর্মঘট করিলে ধর্মঘটের বিরোধী নেতারা উচ্চস্বরে চিৎকার করেন দেশের কত ক্ষতি হইয়া গেল -সেই ধর্মঘটের ফলে ৷ আর পূজা উপলক্ষে কতদিন ধরিয়া সারাদেশে কর্মবিরতি ঘটে তাহার হিসাব কেহ কেন করেন না ৷
তদুপরি যাবতীয় পূজা ( দূর্গাপূজা , কালীপূজা , লক্ষীপূজা, জগধাত্রী পূজা ) প্রভৃতি উপলক্ষে যে ভয়াবহ " পরিবেষদুষন " হয় তাহাতে শুধু বর্তমান কালেরর নয় , ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পক্ষেও অকল্পনয় ক্ষতিকর -বিষাক্ত পরিবেশ গড়িয়া উঠিতেছে ৷
প্রথমত -' শব্দদূষণ '-পূজা উপলক্ষে বেশ কয়েকদিন ধরিয়া পূজা মন্ডপে ও পারিপার্শিক এলাকায় অতি উচ্চ শব্দ মাইক ও ডি-জে এর আওয়াজে সকলের ' শ্রবণ যন্ত্র ' ভয়াবহ ভাবে উৎপিড়িত হইয়া অকালে দল বঁধিয়া বধিরতার পথে চলিয়াছে শারাদেশ ৷ বিশেষতঃ শহরাঞ্চলে , তাই বধিরত্বের সংখ্যা ক্রমেই বাড়িয়া চলিয়াছে ৷ অসুস্থ ব্যক্তির পক্ষে ডিজে ও মাইকের আওয়াজ সত্যই মারাত্মক ৷শিশুদের পক্ষেও ঐ ভয়াবহ শব্দদূশন আতিব ক্ষতিকর ৷
তাহার পর পূজা উপলক্ষে যে বিভিন্ন ধরনের ' আতসবাজি ' পোড়ানো হয় তাহাতে মারাত্মক ভাবে 'বায়ুদূষন ' হইয়া থাকে ৷ উহার তাৎক্ষনিক বিষক্রিয়া সমগ্র বায়ুমন্ডলে ছড়াইয়া পড়ে ৷ জনসাধরনের জীবনে তাহা ' স্থায়ী বিষ ' হিসাবে ক্ষতি করিয়া চলে ৷ তার পর প্রতিমা বিসর্জনের সময় জল দূষনের ফলে মারাত্যকক্ষতিকর রং এর ফলে মানুষের নানা রকম চর্মোগের সাথে সাথে জলজ প্রানী বিলুপ্তির দোরগড়ায় এসে দাড়িয়েছে ৷
পাড়ায় পাড়ায় মস্তান ও ক্লাব এর চাঁদার জুলুম সকলেই কম বেশী ভোগ করিয়া থাকেন ৷
পূজা মানে ছোটদের কাছে নুতন পোশাক কিন্তু একটু গম্ভির চিন্তার সঙ্গে ভাবিয়া দেখুন দিন আনে দিন খায় সেই ব্যাক্তির মনের আবস্থা কি হইতে পারে ৷
" গরীবি হাত বান্ধে হৈয়, যো চাহে ভি তো ক্যা দেঙ্গে ?
মগর বাচ্চে সমঝতে হৈয় পাপা চাঁদ লা দেঙ্গে ৷৷
গরীবি কো মিটানেকা ওয়দা থা ইলেকসন মে ৷
পর অব লাগতা হৈয় গরিবো কো মিটা দেঙ্গে ৷৷
এবার যথাযত মনোযোগ দিয়া আন্তিক ভাবে চিন্তা করুন , অতি ব্যয়বহুল শারদীয় দূর্গোৎসব এবং অন্যান্য আড়ম্বর পূর্ণ পূজাগুলি করিয়া দেশের প্রকৃত উন্নতি এবং ঐক্য সংহতি হইতেছে - না কি দেশ সামগ্রিক ভাবে ধ্বংসের পথে অগ্রসর হইতেছে ৷
LikeLike ·  · 
  • Dr-Ananda Biswas Tarun Kanti Thakur- 
    Ku-Sangskar Birodhi "Manobata Biggani" Upadhi Dilam..
  • Nagraj Chandal এক ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হয়েছে বাংলীদের হিন্দু অংশ। আর ধর্মের নামে এই ক্ষয় রোগের মারন সংক্রমণ ছড়িয়েছে বামুনেরা। বৈষ্ণব জীবানু দিয়ে এই সংক্রমণ ছড়িয়েছিল নিমাই পণ্ডিত। চণ্ডালকে হরিভক্তি পরায়ন করে চতুর্বর্ণের খোঁয়াড়ে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। আর হরে কৃষ্ণ জপতে জপতে হিন্দু বাঙালী পতিতা পল্লীর সংস্কৃতিকে তুলে এনেছিল নিজের ঘরে। ধর্মের চোলাই গিলতে গিলতে আজ তারা ভুলে গেছে, কে তার আসল মা। তার পিতৃ পরিচয়ই বা কি?
    21 hrs · Like · 6
  • Dr-Ananda Biswas Nagraj Ami Gorbito-Apni,Tarun Babu,Saradendu Uddipon,Mahakal,Sukesh,Biswanath..
    17 hrs · Edited · Like
  • Uttam Sarkar aashole durga chhilo patita aamader mahraja mahishasur k koushal kore mere chhilo tai ora oi patitake debir aashon dilo kintu sutra rakhlo patita pallyr mati lagbe dugapujay thank you
    6 hrs · Like · 2

No comments:

Post a Comment