>> শারদীয় দূর্গাপূজা কি জাতীয় উৎসব ও জাতিয় সংহতার প্রতিক , না তাহার বিপরীত ?
'অকাল বোধন ' বা শারদীয় দূর্গাপূজা ব্যাপারটা বাল্মীকি রামায়ণে নাই ৷ ইহা নিছক বাঙ্গালী কবি কৃত্তিবাস ওঝা'র কল্পনা প্রসুত গল্প বা কাব্য বিশেষ ৷ অবশ্য বাল্মীকির মূল রামায়ণ-টাই কল্পনার ব্যাপার ৷ আর সেই কথাই মহাকবি বাল্মীকি তাঁর মহাকাব্যের মুখবন্ধে স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছেন যে -রাম জন্মের ৬০ হাজার বৎসর আগে রামায়ন লেখা হয়েছে ৷ (এ বিষয়ে বিশিষ্ট ভাষাবিদ্ প্রখ্যাত পন্ডিত ডঃ সুকুমার সেন তাঁহার ' ভারতীয় আর্য সাহিত্যে ইতিহাস ' পুস্তকে বিশেষ আলোচনা করিয়াছেন ৷ সে বিশয়ে অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তিগন ঐ পুস্তকের বিশ্লেষন গুলি অনুধাবন করিলে বিশেষ উপকৃত হইবেন ৷ )
বাংলায় প্রথম শারদীয় দূর্গাপূজা আরম্ভ হয় ১৫ শতকের শেষ ভাগে নদীয়া জেলার তাহিরপুরের জমিদার রাজা কংসনারায়ণ খান মহাশয়ের রাজবাটিতে ৷ নদীয়ার ফুলিয়ার কবি কৃত্তিবাস ওঝা সেই রাজা কংসনারায়ণ খানের সভাপন্ডিত ছিলেন ৷ নিজের প্রতি-পত্তি জাহির করবার জন্য রাজা কংসনারায়ণ প্রাচিন কালের দিগ্বিজয়ী সম্রাটদের মত " অশ্বমেধ " যজ্ঞ করিবার বাসনা করেন ৷ কিন্তু তাঁহার কুলপুরোহিত রমেশচন্দ্র শাস্ত্র মহাশয় বলেন যে এই যুগে ' অশ্বমেধ ' যজ্ঞ সম্ভব নয় ৷ তবে সভা পন্ডিত কৃত্তিবাস ওঝা মহাশয়ের সহিত সলাপরামর্শ করিয়া পুরোহিত রমেশ শাস্ত্রী মহাশয় রাজাকে বুঝাইলেন যে কলিযুগে অকালবোধন ' শারদীয় দূর্গাপূজা ' করিলে অশ্বমেধ যজ্ঞের সমতুল্য রাজ-খ্যাতি প্রচারিত হইবে ৷ রাজা কংসনারায়ণ খান তাই করিয়াছিলেন ৷ সেই হইতে এদেশের বৃত্তবান জমিদার ও প্রতিপত্তিশালী সামন্ত গন নিজেদের দম্ভ প্রকাশের জন্যই শারদীয় দূর্গাপূজা করিয়া চলিয়াছেন ৷ তাহাতে সাধারন গরীব প্রজাদের কোনরূপ স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন ছিল না এবং এখনও নাই ৷
বর্তমানে ব্রাহ্মণবাদী পন্ডিত ও নেতারা প্রচার করিতেছেন যে -শারদীয় দূর্গোৎসব একটি জাতিয় উৎসব এবং জাতিয় সংহতির প্রতিক ৷ কিন্ত তাঁহারা বঙ্গ-ভঙ্গ ও ভারত ভাগের কারন ও হৃদয় বিদারক কাহিনীগুলি এই কয়দিনে কি করিয়া ভুলিয়া গেলেন ? সমগ্র বাংলায় ৬০% মানুষ মুসলমান বলিয়াইত বঙ্গ ভঙ্গ হইয়া বাংলাদেশ গড়িয়াজে ৷ প্রকৃত মুসলমান কেহকি দূর্গাপূজাকে জাতিয় উৎসব ভাবিতে পারেন ? বঙ্কিমচন্দের ' বন্দেমাতরম্ ' কে জাতিয় সংঙ্গীত হিসাবে গ্রহন করিতে সারা দেশের মুসলমানগন তীব্র ঘৃনা প্রকাশ করিয়াছেন ৷ তাহাতে ' তং হি দূর্গা দশপ্রহরণধারিণী ' কথা থাকায় ৷ তাই ঐ গানের কেবল প্রথম স্টা্যাঞ্জাটাই এখন 'জাতিয় সঙ্গীত ' হিসাবে গাওয়া হয় ৷ঐ ; আনন্দমঠে ' সারা দেশের মুসলমান সম্প্রদায়কে অত্যন্তনোংরা ভাষায় ঘৃণা প্রকাশ করিয়া জঘন্য গালাগালি করিয়াছেন ৷ তাহাতে কি জাতীয় সংহতি ঐক্য গড়িয়াছে , না জাতি ধ্বংশ হইয়াছে ? ঋষি বঙ্কিমচন্দের মত এত বড় মাপের জাতিয় নেতা ওরকম জঘন্য ভাবে মুসলমান বিদ্বেষ প্রকাশ করিলে অজ্ঞ জনসাধারনের মনে তাহার প্রতিকৃয়া কি হয় এখন সবাই তাহা বুঝিতে পারিতেছেন ৷ এদেশের মুসলমানরাতো আর আরব-ইরান থেকে আসে নাই ৷ সবাই একদিন ছিল নিম্ন বর্নের অস্পৃশ্য হিন্দুই ৷ ঐ বঙ্কিমচন্দ্রের মত কট্টর ব্রাহ্মণ্যবাদী নেতাদের দ্বারা সমাজ , রাষ্ট্রে সর্বত ভাবে অবহেলিত ও উৎপীড়িত হইয়া তাহারা ক্ষোভে দুঃখে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছেন ৷ তাই এ রাজ্যে হিন্দুর সংখ্যা কমিয়াছে এবং মুসলমান বাড়িয়াছে ফলে দেশভাগ হইয়াছে ৷সুতরাং দূর্গোৎসব কোন মতেই বাংলার জাতীয় উৎসব নয় ৷বাংলার বাহিরে ভারতের কোথাও এই উৎসব ব্যাপক ভাবে হয় না ৷ তাই দূর্গপূজা ভারতবাসীর জাতীয় উৎসব নয় ৷ জাতীয় সংহতির প্রতিকও নয় ৷
সবাই জানেন দূর্গাপূজা , অতি ব্যয়বহুল উৎসব ৷ দেশের এক একটি পূজা মন্ডপে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়িত হয় ৷ রাজা কংসনারায়ণ খানের দূর্গাপূজায় নাকি সাড়ে আট লক্ষ টাকা ব্যয়িত হয়েছিল ৷ আজি হতে প্রায় ৬ শত বৎসর পূর্বে সেই সাড়ে আট (৮) লক্ষ টাকা বর্তমান কালের হিসাবে কয়েক কোটি বা কয়েক শত কোটি টাকার সমান ৷ আর এই পূজা একবার আরম্ভ করিলে তা বন্ধ করা যায় না ৷ তাই পর পর কয়েক বছর অতিব্যয় বহুল এই দূর্গাপূজা করিয়া রাজা কংসনারায়ণের বংশ একেবারে ঋণ গ্রস্ত হইয়াই পরিপুর্ণ রূপে ধ্বংশ হইয়া গিয়াছে ৷ কোথায় যে তাঁর রাজত্ব (জমিদারী ) ছিল সেই কথাটাও আজ সকলে ভুলিয়া গিয়াছে ৷ সেই তাহিরপুর রাজ্যের চিহ্ন কোথাও নাই ৷ দূর্গতিনাশিণী কাহাকেও দূর্গতি হইতে রক্ষা করিতে পারে নাই ৷ আমা ব্যাক্তিগত আভিগ্যতার থেকে বলছি -' আমি আজ পর্যন্ত যত লোকের বাড়িতে দূর্গাপূজা হইতে দেখিয়াছি তাঁহাদের কহই নিঃস্ব হইতে বাকি নাই ৷ কি বাংলাদেশ কিংবা ভারতে ৷ যদি কাহারো যানাথাকে -কেউ দূর্গাপূজা করিয়া লাখপতি বা কোটিপতি হইয়াছন তবে দয়াকরে জানাবেন ৷
এক একটা বংশ ধ্বংশ করিতে করিতে শারদীয় দূর্গাপূজা ক্রমে সমগ্র জাতিকে ধ্বংস করিতে চলিয়াছে ৷ প্রত্যেকটি বারোয়ারী পূজায় যে অকল্পনিয় অর্থব্যয় হয় , তাহা দিয়া সারাদেশে আনেক রাস্তাঘাট , স্কুল কলেজ , দাতব্য চিকিৎসালয় প্রভৃতি বেসরকারী উদ্যোগে গড়িয়া তোলা যায় ৷ অর্থনৈতিক দিক হইতে অনুন্নত দেশে আর ঐ রকম বয় বহুল কোন উৎসব করা উচিত নয় ৷ এই সহজ সত্যটি দেশের সুস্থ চিন্তাবিদ নাগরিকগন ও দেশের নেতাগন কবে বুঝিবেন ? নেতাদের তো ছেড়ে দিন ,তাঁদের ভোট ব্যাংক নষ্ট হয়ে যায় ,তাই তারা বুঝেও বুঝবেন না ৷
অপব্যয়ের আরো বড় নজির হইতেছে সারাদেশে ঐ সময় কর্ম দিবস তথা কর্মংস্কৃতির নিদারুন অবনতি ৷ দেশে রাজনৈতিক কারনে একদিন কর্মবিরতি বা ধর্মঘট করিলে ধর্মঘটের বিরোধী নেতারা উচ্চস্বরে চিৎকার করেন দেশের কত ক্ষতি হইয়া গেল -সেই ধর্মঘটের ফলে ৷ আর পূজা উপলক্ষে কতদিন ধরিয়া সারাদেশে কর্মবিরতি ঘটে তাহার হিসাব কেহ কেন করেন না ৷
তদুপরি যাবতীয় পূজা ( দূর্গাপূজা , কালীপূজা , লক্ষীপূজা, জগধাত্রী পূজা ) প্রভৃতি উপলক্ষে যে ভয়াবহ " পরিবেষদুষন " হয় তাহাতে শুধু বর্তমান কালেরর নয় , ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পক্ষেও অকল্পনয় ক্ষতিকর -বিষাক্ত পরিবেশ গড়িয়া উঠিতেছে ৷
প্রথমত -' শব্দদূষণ '-পূজা উপলক্ষে বেশ কয়েকদিন ধরিয়া পূজা মন্ডপে ও পারিপার্শিক এলাকায় অতি উচ্চ শব্দ মাইক ও ডি-জে এর আওয়াজে সকলের ' শ্রবণ যন্ত্র ' ভয়াবহ ভাবে উৎপিড়িত হইয়া অকালে দল বঁধিয়া বধিরতার পথে চলিয়াছে শারাদেশ ৷ বিশেষতঃ শহরাঞ্চলে , তাই বধিরত্বের সংখ্যা ক্রমেই বাড়িয়া চলিয়াছে ৷ অসুস্থ ব্যক্তির পক্ষে ডিজে ও মাইকের আওয়াজ সত্যই মারাত্মক ৷শিশুদের পক্ষেও ঐ ভয়াবহ শব্দদূশন আতিব ক্ষতিকর ৷
তাহার পর পূজা উপলক্ষে যে বিভিন্ন ধরনের ' আতসবাজি ' পোড়ানো হয় তাহাতে মারাত্মক ভাবে 'বায়ুদূষন ' হইয়া থাকে ৷ উহার তাৎক্ষনিক বিষক্রিয়া সমগ্র বায়ুমন্ডলে ছড়াইয়া পড়ে ৷ জনসাধরনের জীবনে তাহা ' স্থায়ী বিষ ' হিসাবে ক্ষতি করিয়া চলে ৷ তার পর প্রতিমা বিসর্জনের সময় জল দূষনের ফলে মারাত্যকক্ষতিকর রং এর ফলে মানুষের নানা রকম চর্মোগের সাথে সাথে জলজ প্রানী বিলুপ্তির দোরগড়ায় এসে দাড়িয়েছে ৷
পাড়ায় পাড়ায় মস্তান ও ক্লাব এর চাঁদার জুলুম সকলেই কম বেশী ভোগ করিয়া থাকেন ৷
পূজা মানে ছোটদের কাছে নুতন পোশাক কিন্তু একটু গম্ভির চিন্তার সঙ্গে ভাবিয়া দেখুন দিন আনে দিন খায় সেই ব্যাক্তির মনের আবস্থা কি হইতে পারে ৷
বাংলায় প্রথম শারদীয় দূর্গাপূজা আরম্ভ হয় ১৫ শতকের শেষ ভাগে নদীয়া জেলার তাহিরপুরের জমিদার রাজা কংসনারায়ণ খান মহাশয়ের রাজবাটিতে ৷ নদীয়ার ফুলিয়ার কবি কৃত্তিবাস ওঝা সেই রাজা কংসনারায়ণ খানের সভাপন্ডিত ছিলেন ৷ নিজের প্রতি-পত্তি জাহির করবার জন্য রাজা কংসনারায়ণ প্রাচিন কালের দিগ্বিজয়ী সম্রাটদের মত " অশ্বমেধ " যজ্ঞ করিবার বাসনা করেন ৷ কিন্তু তাঁহার কুলপুরোহিত রমেশচন্দ্র শাস্ত্র মহাশয় বলেন যে এই যুগে ' অশ্বমেধ ' যজ্ঞ সম্ভব নয় ৷ তবে সভা পন্ডিত কৃত্তিবাস ওঝা মহাশয়ের সহিত সলাপরামর্শ করিয়া পুরোহিত রমেশ শাস্ত্রী মহাশয় রাজাকে বুঝাইলেন যে কলিযুগে অকালবোধন ' শারদীয় দূর্গাপূজা ' করিলে অশ্বমেধ যজ্ঞের সমতুল্য রাজ-খ্যাতি প্রচারিত হইবে ৷ রাজা কংসনারায়ণ খান তাই করিয়াছিলেন ৷ সেই হইতে এদেশের বৃত্তবান জমিদার ও প্রতিপত্তিশালী সামন্ত গন নিজেদের দম্ভ প্রকাশের জন্যই শারদীয় দূর্গাপূজা করিয়া চলিয়াছেন ৷ তাহাতে সাধারন গরীব প্রজাদের কোনরূপ স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন ছিল না এবং এখনও নাই ৷
বর্তমানে ব্রাহ্মণবাদী পন্ডিত ও নেতারা প্রচার করিতেছেন যে -শারদীয় দূর্গোৎসব একটি জাতিয় উৎসব এবং জাতিয় সংহতির প্রতিক ৷ কিন্ত তাঁহারা বঙ্গ-ভঙ্গ ও ভারত ভাগের কারন ও হৃদয় বিদারক কাহিনীগুলি এই কয়দিনে কি করিয়া ভুলিয়া গেলেন ? সমগ্র বাংলায় ৬০% মানুষ মুসলমান বলিয়াইত বঙ্গ ভঙ্গ হইয়া বাংলাদেশ গড়িয়াজে ৷ প্রকৃত মুসলমান কেহকি দূর্গাপূজাকে জাতিয় উৎসব ভাবিতে পারেন ? বঙ্কিমচন্দের ' বন্দেমাতরম্ ' কে জাতিয় সংঙ্গীত হিসাবে গ্রহন করিতে সারা দেশের মুসলমানগন তীব্র ঘৃনা প্রকাশ করিয়াছেন ৷ তাহাতে ' তং হি দূর্গা দশপ্রহরণধারিণী ' কথা থাকায় ৷ তাই ঐ গানের কেবল প্রথম স্টা্যাঞ্জাটাই এখন 'জাতিয় সঙ্গীত ' হিসাবে গাওয়া হয় ৷ঐ ; আনন্দমঠে ' সারা দেশের মুসলমান সম্প্রদায়কে অত্যন্তনোংরা ভাষায় ঘৃণা প্রকাশ করিয়া জঘন্য গালাগালি করিয়াছেন ৷ তাহাতে কি জাতীয় সংহতি ঐক্য গড়িয়াছে , না জাতি ধ্বংশ হইয়াছে ? ঋষি বঙ্কিমচন্দের মত এত বড় মাপের জাতিয় নেতা ওরকম জঘন্য ভাবে মুসলমান বিদ্বেষ প্রকাশ করিলে অজ্ঞ জনসাধারনের মনে তাহার প্রতিকৃয়া কি হয় এখন সবাই তাহা বুঝিতে পারিতেছেন ৷ এদেশের মুসলমানরাতো আর আরব-ইরান থেকে আসে নাই ৷ সবাই একদিন ছিল নিম্ন বর্নের অস্পৃশ্য হিন্দুই ৷ ঐ বঙ্কিমচন্দ্রের মত কট্টর ব্রাহ্মণ্যবাদী নেতাদের দ্বারা সমাজ , রাষ্ট্রে সর্বত ভাবে অবহেলিত ও উৎপীড়িত হইয়া তাহারা ক্ষোভে দুঃখে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছেন ৷ তাই এ রাজ্যে হিন্দুর সংখ্যা কমিয়াছে এবং মুসলমান বাড়িয়াছে ফলে দেশভাগ হইয়াছে ৷সুতরাং দূর্গোৎসব কোন মতেই বাংলার জাতীয় উৎসব নয় ৷বাংলার বাহিরে ভারতের কোথাও এই উৎসব ব্যাপক ভাবে হয় না ৷ তাই দূর্গপূজা ভারতবাসীর জাতীয় উৎসব নয় ৷ জাতীয় সংহতির প্রতিকও নয় ৷
সবাই জানেন দূর্গাপূজা , অতি ব্যয়বহুল উৎসব ৷ দেশের এক একটি পূজা মন্ডপে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়িত হয় ৷ রাজা কংসনারায়ণ খানের দূর্গাপূজায় নাকি সাড়ে আট লক্ষ টাকা ব্যয়িত হয়েছিল ৷ আজি হতে প্রায় ৬ শত বৎসর পূর্বে সেই সাড়ে আট (৮) লক্ষ টাকা বর্তমান কালের হিসাবে কয়েক কোটি বা কয়েক শত কোটি টাকার সমান ৷ আর এই পূজা একবার আরম্ভ করিলে তা বন্ধ করা যায় না ৷ তাই পর পর কয়েক বছর অতিব্যয় বহুল এই দূর্গাপূজা করিয়া রাজা কংসনারায়ণের বংশ একেবারে ঋণ গ্রস্ত হইয়াই পরিপুর্ণ রূপে ধ্বংশ হইয়া গিয়াছে ৷ কোথায় যে তাঁর রাজত্ব (জমিদারী ) ছিল সেই কথাটাও আজ সকলে ভুলিয়া গিয়াছে ৷ সেই তাহিরপুর রাজ্যের চিহ্ন কোথাও নাই ৷ দূর্গতিনাশিণী কাহাকেও দূর্গতি হইতে রক্ষা করিতে পারে নাই ৷ আমা ব্যাক্তিগত আভিগ্যতার থেকে বলছি -' আমি আজ পর্যন্ত যত লোকের বাড়িতে দূর্গাপূজা হইতে দেখিয়াছি তাঁহাদের কহই নিঃস্ব হইতে বাকি নাই ৷ কি বাংলাদেশ কিংবা ভারতে ৷ যদি কাহারো যানাথাকে -কেউ দূর্গাপূজা করিয়া লাখপতি বা কোটিপতি হইয়াছন তবে দয়াকরে জানাবেন ৷
এক একটা বংশ ধ্বংশ করিতে করিতে শারদীয় দূর্গাপূজা ক্রমে সমগ্র জাতিকে ধ্বংস করিতে চলিয়াছে ৷ প্রত্যেকটি বারোয়ারী পূজায় যে অকল্পনিয় অর্থব্যয় হয় , তাহা দিয়া সারাদেশে আনেক রাস্তাঘাট , স্কুল কলেজ , দাতব্য চিকিৎসালয় প্রভৃতি বেসরকারী উদ্যোগে গড়িয়া তোলা যায় ৷ অর্থনৈতিক দিক হইতে অনুন্নত দেশে আর ঐ রকম বয় বহুল কোন উৎসব করা উচিত নয় ৷ এই সহজ সত্যটি দেশের সুস্থ চিন্তাবিদ নাগরিকগন ও দেশের নেতাগন কবে বুঝিবেন ? নেতাদের তো ছেড়ে দিন ,তাঁদের ভোট ব্যাংক নষ্ট হয়ে যায় ,তাই তারা বুঝেও বুঝবেন না ৷
অপব্যয়ের আরো বড় নজির হইতেছে সারাদেশে ঐ সময় কর্ম দিবস তথা কর্মংস্কৃতির নিদারুন অবনতি ৷ দেশে রাজনৈতিক কারনে একদিন কর্মবিরতি বা ধর্মঘট করিলে ধর্মঘটের বিরোধী নেতারা উচ্চস্বরে চিৎকার করেন দেশের কত ক্ষতি হইয়া গেল -সেই ধর্মঘটের ফলে ৷ আর পূজা উপলক্ষে কতদিন ধরিয়া সারাদেশে কর্মবিরতি ঘটে তাহার হিসাব কেহ কেন করেন না ৷
তদুপরি যাবতীয় পূজা ( দূর্গাপূজা , কালীপূজা , লক্ষীপূজা, জগধাত্রী পূজা ) প্রভৃতি উপলক্ষে যে ভয়াবহ " পরিবেষদুষন " হয় তাহাতে শুধু বর্তমান কালেরর নয় , ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পক্ষেও অকল্পনয় ক্ষতিকর -বিষাক্ত পরিবেশ গড়িয়া উঠিতেছে ৷
প্রথমত -' শব্দদূষণ '-পূজা উপলক্ষে বেশ কয়েকদিন ধরিয়া পূজা মন্ডপে ও পারিপার্শিক এলাকায় অতি উচ্চ শব্দ মাইক ও ডি-জে এর আওয়াজে সকলের ' শ্রবণ যন্ত্র ' ভয়াবহ ভাবে উৎপিড়িত হইয়া অকালে দল বঁধিয়া বধিরতার পথে চলিয়াছে শারাদেশ ৷ বিশেষতঃ শহরাঞ্চলে , তাই বধিরত্বের সংখ্যা ক্রমেই বাড়িয়া চলিয়াছে ৷ অসুস্থ ব্যক্তির পক্ষে ডিজে ও মাইকের আওয়াজ সত্যই মারাত্মক ৷শিশুদের পক্ষেও ঐ ভয়াবহ শব্দদূশন আতিব ক্ষতিকর ৷
তাহার পর পূজা উপলক্ষে যে বিভিন্ন ধরনের ' আতসবাজি ' পোড়ানো হয় তাহাতে মারাত্মক ভাবে 'বায়ুদূষন ' হইয়া থাকে ৷ উহার তাৎক্ষনিক বিষক্রিয়া সমগ্র বায়ুমন্ডলে ছড়াইয়া পড়ে ৷ জনসাধরনের জীবনে তাহা ' স্থায়ী বিষ ' হিসাবে ক্ষতি করিয়া চলে ৷ তার পর প্রতিমা বিসর্জনের সময় জল দূষনের ফলে মারাত্যকক্ষতিকর রং এর ফলে মানুষের নানা রকম চর্মোগের সাথে সাথে জলজ প্রানী বিলুপ্তির দোরগড়ায় এসে দাড়িয়েছে ৷
পাড়ায় পাড়ায় মস্তান ও ক্লাব এর চাঁদার জুলুম সকলেই কম বেশী ভোগ করিয়া থাকেন ৷
পূজা মানে ছোটদের কাছে নুতন পোশাক কিন্তু একটু গম্ভির চিন্তার সঙ্গে ভাবিয়া দেখুন দিন আনে দিন খায় সেই ব্যাক্তির মনের আবস্থা কি হইতে পারে ৷
" গরীবি হাত বান্ধে হৈয়, যো চাহে ভি তো ক্যা দেঙ্গে ?
মগর বাচ্চে সমঝতে হৈয় পাপা চাঁদ লা দেঙ্গে ৷৷
গরীবি কো মিটানেকা ওয়দা থা ইলেকসন মে ৷
পর অব লাগতা হৈয় গরিবো কো মিটা দেঙ্গে ৷৷
মগর বাচ্চে সমঝতে হৈয় পাপা চাঁদ লা দেঙ্গে ৷৷
গরীবি কো মিটানেকা ওয়দা থা ইলেকসন মে ৷
পর অব লাগতা হৈয় গরিবো কো মিটা দেঙ্গে ৷৷
এবার যথাযত মনোযোগ দিয়া আন্তিক ভাবে চিন্তা করুন , অতি ব্যয়বহুল শারদীয় দূর্গোৎসব এবং অন্যান্য আড়ম্বর পূর্ণ পূজাগুলি করিয়া দেশের প্রকৃত উন্নতি এবং ঐক্য সংহতি হইতেছে - না কি দেশ সামগ্রিক ভাবে ধ্বংসের পথে অগ্রসর হইতেছে ৷
No comments:
Post a Comment