বিপদসীমার উর্ধে ৭ নদী
জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ উজানের ঢল ও প্রবল বর্ষণের ফলে দেশের অধিকাংশ নদনদীর পানি বেড়েছে। বড় সাত নদীর নয়টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় জেলার ৩৫টি ইউনিয়নের দেড় লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে তলিয়ে গেছে ১২ হাজার হেক্টর জমির আউশ, আমন, বীজতলা ও শাকসবজির ক্ষেত। রাজারহাটে তিস্তার ভাঙ্গনে ৫০ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ডাংরাহাট বাজারের কাছে ৬নং ক্রস বাঁধটি মাথায় প্রায় ১৪ মিটার নদীতে ধসে গেছে। গাইবান্ধার ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ২৪ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার আরও ১০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ফলে প্রায় ২১ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সাঘাটার মুন্সিরহাটের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বিপদসীমার ৬০ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৭ ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৪ পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে যে কোন সময় বাঁধটি ধসে বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানিতে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপদসীমার ৫ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে যমুনা তীরবর্তী ৫ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যমুনার অনেক জায়গায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বাঘাবাড়ি পয়েন্টে আত্রাই নদী বিপদসীমার ৩৬ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জে সুরমা নদী ৩৫ সেমি এবং কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৫ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে হাওড়াঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। তিনদিনের প্রবল বর্ষণে নেত্রকোনায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কমপক্ষে এক হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন তলিয়ে গেছে। জামালপুরে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ২৭ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৫০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর রোপা আমন, বীজতলা ও সবজি তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ফরিদপুরে আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙ্গনে শতাধিক পরিবারের ভিটেবাড়ি এবং ফসলের ক্ষেত বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে ঢাকার দোহার উপজেলার কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। দোহার-নবাবগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধসহ বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বড় স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে। টাঙ্গাইলের এলাসিন ঘাট পয়েন্টে ধলেশ্বরী নদী বিপদসীমার ১১২ সেমি এবং জারিয়া জাঞ্জাইলে কংস নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ৬৭ সেমি ওপর দিয়ে। খবর স্টাফ রিপোর্টার এবং নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতার।
কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৮ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলা নদীর ফেরিঘাট পয়েন্টে ১০ সেমি ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ১১ সেমি হ্রাস পেয়েছে। অপরদিকে নুনখাওয়া পয়েন্টে দুধকুমর নদীর পানি ৮ সেমি বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজারহাটে তিস্তার ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিদ্যানন্দ ইউপির মন্দির, পাড়ামৌলা এলাকায় ৫০টি পরিবারের বসতভিটা হারিয়ে নিস্ব হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে এক কিলোমিটার বাঁধ, কয়েক একর ফসলী জমি, মৎস্য খামার, গাছপালা। এ ছাড়া ডাংরারহাট বাজার সংলগ্ন ৬নং ক্রস বাঁধটির মাথায় প্রায় ১৪ মিটার নদীতে ধসে গেছে।
গাইবান্ধার ১০ গ্রাম বন্যাকবলিত ॥ ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তিস্তার পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ২৪ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে মঙ্গলবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার আরও নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। সাঘাটার মুন্সিহাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে গেছে। বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মুন্সিরহাট ও উত্তরসাথালিয়া গ্রামের শত শত পরিবার মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়েছে এবং আমন ফসল তলিয়ে গেছে। ফুলছড়ি বাজার, কাতলামারি, উত্তর উড়িয়া, কাবিলপুর সাঘাটা উপজেলার চিনিরপটল, হলদিয়া, কানাইপাড়া বাঁধ গাইবান্ধা শহর সংলগ্ন খোলাহাটি ইউনিয়নের দশানি এলাকায় ঘাঘট নদীর শহর রক্ষাবাঁধের ২০০ ফিট এলাকা এখন মারাত্মক হুমকির মুখে।
সারিয়াকান্দির বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ ॥ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি আরও বেড়ে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৬০ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। মঙ্গলবার সকালে চন্দনবাইশা ডাকবাংলোর কাছে আশ্রয় নেয়া মিজানুর রহমান ও সুমি আক্তারের ৮ মাসের শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। উপজেলার ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ॥ প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। প্রতিদিন পানি বাড়াতে যমুনার তীরবর্তী ৫টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়ে বিপদসীমার ৫ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই-একদিন পানি আরও বাড়তে পারে বলে পাউবো নিশ্চিত করেছে।
নেত্রকোনায় ৪২ ঘর বিলীন ॥ তিনদিনের টানা প্রবল বৃষ্টিতে জেলার সদর, আটপাড়া, মোহনগঞ্জ ও মদন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার অন্তত ১ হাজার হেক্টর রোপা আমন জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। সবেমাত্র এসব জমি রোপণ করা হয়েছিল।
জামালপুরে অবনতি ॥ জামালপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ৪১ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৭ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার এক সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৮ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলা নদীর ফেরিঘাট পয়েন্টে ১০ সেমি ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ১১ সেমি হ্রাস পেয়েছে। অপরদিকে নুনখাওয়া পয়েন্টে দুধকুমর নদীর পানি ৮ সেমি বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজারহাটে তিস্তার ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিদ্যানন্দ ইউপির মন্দির, পাড়ামৌলা এলাকায় ৫০টি পরিবারের বসতভিটা হারিয়ে নিস্ব হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে এক কিলোমিটার বাঁধ, কয়েক একর ফসলী জমি, মৎস্য খামার, গাছপালা। এ ছাড়া ডাংরারহাট বাজার সংলগ্ন ৬নং ক্রস বাঁধটির মাথায় প্রায় ১৪ মিটার নদীতে ধসে গেছে।
গাইবান্ধার ১০ গ্রাম বন্যাকবলিত ॥ ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তিস্তার পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ২৪ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে মঙ্গলবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার আরও নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। সাঘাটার মুন্সিহাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে গেছে। বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মুন্সিরহাট ও উত্তরসাথালিয়া গ্রামের শত শত পরিবার মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়েছে এবং আমন ফসল তলিয়ে গেছে। ফুলছড়ি বাজার, কাতলামারি, উত্তর উড়িয়া, কাবিলপুর সাঘাটা উপজেলার চিনিরপটল, হলদিয়া, কানাইপাড়া বাঁধ গাইবান্ধা শহর সংলগ্ন খোলাহাটি ইউনিয়নের দশানি এলাকায় ঘাঘট নদীর শহর রক্ষাবাঁধের ২০০ ফিট এলাকা এখন মারাত্মক হুমকির মুখে।
সারিয়াকান্দির বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ ॥ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি আরও বেড়ে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৬০ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। মঙ্গলবার সকালে চন্দনবাইশা ডাকবাংলোর কাছে আশ্রয় নেয়া মিজানুর রহমান ও সুমি আক্তারের ৮ মাসের শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। উপজেলার ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ॥ প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। প্রতিদিন পানি বাড়াতে যমুনার তীরবর্তী ৫টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়ে বিপদসীমার ৫ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই-একদিন পানি আরও বাড়তে পারে বলে পাউবো নিশ্চিত করেছে।
নেত্রকোনায় ৪২ ঘর বিলীন ॥ তিনদিনের টানা প্রবল বৃষ্টিতে জেলার সদর, আটপাড়া, মোহনগঞ্জ ও মদন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার অন্তত ১ হাজার হেক্টর রোপা আমন জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। সবেমাত্র এসব জমি রোপণ করা হয়েছিল।
জামালপুরে অবনতি ॥ জামালপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ৪১ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৭ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার এক সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment