প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ও মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়ে বিতর্ক পুরাতন
কাঙাল হরিনাথের লেখা ত আছেই
মতামত পৃথক হতে পারে
তবু এই লেখাটি পোস্ট করার উদ্দেশ্য,এই অভিযোগ খন্ডনের তথ্য সংগ্রহ
লিখুন
শুধু নোবেল পাবার ইমেজ দিয়ে কি রবীন্দ্র ঠগ তার পূর্ব পুরুষের ইতিহাস মুছে দিতে পারবে?
যে ব্রিটিশদের দালালি করে রবীন্দ্রের দাদা মাদক ব্যবসা, অর্থ আত্মসাৎ এবং পতিতালয় চালিয়ে সম্পদশালী হয়েছিলো সেই একই দালালীর পথ ধরে রবীন্দ্র ঠগ নোবেল পেয়েছে।
সুতরাং ব্রিটিশ দালাল রবীন্দ্র ঠগের নামে এদেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ৯৭ ভাগ মুসলমান কখনো মেনে নেবে না
যে ব্রিটিশদের দালালি করে রবীন্দ্রের দাদা মাদক ব্যবসা, অর্থ আত্মসাৎ এবং পতিতালয় চালিয়ে সম্পদশালী হয়েছিলো সেই একই দালালীর পথ ধরে রবীন্দ্র ঠগ নোবেল পেয়েছে।
সুতরাং ব্রিটিশ দালাল রবীন্দ্র ঠগের নামে এদেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ৯৭ ভাগ মুসলমান কখনো মেনে নেবে না
-আল-হিলাল।
মুসলমানগণ উনাদের মধ্যে ফাটল ধরিয়ে বিভিন্ন দল উপদল সৃষ্টি করা ইহুদী-মুশরিকদের অনেক পুরনো ষড়যন্ত্রের একটি। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন ধর্মে, বিভিন্ন জাতিতে। আজকের ওহাবী মতবাদ, সলাফী মতবাদ, কাদিয়ানীবাদ যেমনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে অনুপ্রবেশ করেছে, তেমনি হিন্দু সংস্কারের মধ্যেও সৃষ্টি করা হয়েছে নানা জাতের দল, উপদল। তবে হিন্দু সংস্কারের মধ্যে নানা বিভক্তির জন্য হিন্দুরা নিজেরাই বেশী দায়ী। তবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা পরিকল্পিতভাবে এই উপমহাদেশে হিন্দুদের মধ্যে রাজা রাম মোহনের ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নয়া এক বিভক্তির সৃষ্টি করে । রাজা রাম মোহন রাম মোহন ব্রিটিশদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে কেরানী হিসেবে চাকুরীরত ছিল। ‘রাজা’ উপাধী ব্রিটিশদের দেয়া। এটা বলার অপেক্ষাই রাখে না যে ব্রিটিশদের পরিপূর্ণ অনুগত না থাকলে কখনোই কোনো উপাধী পাওয়া সম্ভব ছিল না। পক্ষান্তরে এটাও সত্য, নিকৃষ্ট শ্রেণীর লোকগুলোই ছিল ইংরেজ বেনিয়াদের অনুগত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর যে অংশে রাম মোহন দায়িত্ব পালন করতো তারা আফিম ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত ছিল। রাম মোহন বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করলে সে চাকুরীচ্যুত হয়। মুর্শিদাবাদের এপিলেট কোর্টের রেজিস্টার থমাস উড ফোরড রাম মোহনকে বরখাস্ত করে। উল্লেখ্য, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর রথ চাইল্ডদের (ইহুদী) উল্লেখযোগ্য ব্যবসা ছিল আফিমের। এরা ভারতের মালওয়া এবং বাংলাদেশের রংপুরে আফিম চাষ করে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করতো। ব্রিটিশরা হিন্দুদের খৃস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার কাজে চেষ্টা করলেও প্রথম দিকে তারা তেমন সাফল্য অর্জন করেনি। পরে রাম মোহনকে দিয়ে হিন্দু ধাঁচের একটি ধর্ম ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা করার পর সহজেই হিন্দুরা সেই ধর্মে দীক্ষিত হওয়া শুরু করে। এর পর থেকে খৃস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হবার পথও উন্মুক্ত হয়। উইকিপিডিয়াতে উল্লেখ রয়েছে- Ram Mohan Roy acted as a political agitator and agent. while being employed by the East India Company and simultaneously pursuing his vocation as a Pandit. From 1803 to 1815, Rammohan served in the East India Company's "Writing Service", commencing as private clerk "munshi" to Thomas Woodforde, Registrar of the Appellate Court at Murshidabad. দ্বারাকানাথ ঠগ রবীন্দ্র ঠগের দাদা দ্বারাকানাথ, রাম মোহন ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষা নেবার পর ব্রাহ্ম সমাজের দায়িত্ব গ্রহণ করে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য রাম মোহনের ধর্মে দীক্ষার বিষয়টি ছিল লোক দেখানো, রাম মোহন ছিল দ্বারাকানাথের ড্রাগ ব্যবসার গুরু। মূলত সেও একইভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ২৪ পরগণার আফিম সাব ষ্টেশনে ব্রিটিশ কালেক্টর Trevor Plowden এর দায়িত্বে সেরেস্তাদার হিসেবে চাকুরী নেয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর কাজ করার সময় প্রচুর পরিমাণ চুরি করে সম্পদ জমা করে। মিঃ ট্রেভর এর কাছে ধরা পড়ার আগেই সে নিজের একটি কোম্পানী খুলে বসে। দ্বারাকানাথ সে সময়কার ড্রাগ ব্যবসায়ী রুস্তমজী কাওয়াজীর সাথে প্রতিযোগিতা শুরু করে। তার আফিম ব্যবসার ক্ষেত্র ছিল বাংলাদেশ, অসম অঞ্চল। দ্বারাকানাথকে বলা হত বাংলার রথ চাইল্ড বা বাংলার অপিয়াম রাজা বা কালো রাজপুত্র। ভারতের আরও একটি পরিবার আফিম ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল সেটি হচ্ছে বিড়লা পরিবার। ঘান্সাইয়াম দাস বিড়লার আফিম রেকর্ডেও দ্বারাকানাথ ঠগের আফিম ব্যবসার রেকর্ড পাওয়া যাবে। ঘান্সাইয়াম দাস বিড়লার নিজের জাহাজ ছিলনা ফলে সে দ্বারাকানাথের এস এস এরিয়েল, এস এস মাভিস দুটি জাহাজ ব্যবহার করতো। দ্বারাকানাথের জাহাজ দুটি হুগলী নদী হয়ে চালনা, চট্টগ্রাম দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতো বিনিময়ে সে কমিশন পেতো। ভারতের আফিম চীনে বিক্রি হত, চীন প্রতিবাদ করলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ভারতীয় কয়েকটি কোম্পানীকে দায়িত্ব দেয় তখন দ্বারাকানাথ ব্যবসা শুরু করে। উইকিপিডিয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ QUOTE - Dwarkanath Tagore was the best corporate minded entrepreneur of his contemporary age. He helped found the first Anglo-Indian Managing Agency industrial organizations that ran jute mills, coal mines, tea plantations, etc.) Carr, Tagore and Company. Carr, Tagore and Company was one of those Indian private companies engaged in the opium trade with China. Production of opium was in India and it was sold in China. When the Chinese protested, the East India company transferred the opium trade to the proxy of certain selected Indian companies, of which this was one.- UNQUOTE একজন হেসিয়ান আর্মি অফিসার, লিওপোল্ড ভন অরলিচ তার ঞৎধাবষং রহ ওহফরধ বইটিতে লিখে দ্বারাকানাথ একজন নিষ্ঠুর জমিদার ছিল। লিওপোল্ড ভন অরলিচই প্রথম বর্ণনা করে যে দ্বারাকানাথের ৩৮টি পতিতালয় ছিল সোনাগাছিসহ। জানা যায়, সে তার পতিতালয়ে ১২ বছরের শিশুদেরও ব্যবহার করতো (নাউযুবিল্লাহ)। তার সকল অপকর্মের কারণে দ্বারাকানাথ একজন সমাজচ্যুত ব্যক্তিতে পরিণত হয়। এটিও তার ধর্মান্তরিত হবার একটি কারণ বলে অনেকে মনে করেন। দ্বারাকানাথই প্রথম ২১ মার্চ ১৮৩৮ সালে ভারতে ফ্রি মেসন সোসাইটি তৈরি করে। রাম মোহন এবং দ্বারাকানাথ ঠগ দুজনেরই মৃত্যু ইংল্যান্ডে রাম মোহন এবং দ্বারাকানাথ ঠগের আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত পাওয়া যায়নি। দ্বারাকানাথ তার অর্থ বিনিয়োগ করে বেহরামপুর, পান্দুয়া, কালিগ্রাম এবং শাহজাদপুরে। সে নিজেকে ঋণ খেলাপী ঘোষণা দিলেও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর রথ চাইল্ডরা তা মেনে নেয়নি। তাদেরকে ইংল্যান্ডে আলাদাভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়। রাম মোহন মারা যায় ১৮৩৩ সালে এবং দ্বারাকানাথ মারা যায় ১৮৪৬ সালে সেইণ্ট জর্জ হোটেলে। দ্বারাকানাথের মারা যাবার দিন প্রচ- বজ্রপাত হয়েছিলো যা সে সময়ের পূর্বে আর দেখা যায়নি এবং কোন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই তাকে মাটি চাপা দেয়া হয়। রবীন্দ্র ঠগ তার দাদা প্রসঙ্গে কিছুই উল্লেখ করেনি এবং তার দাদা সম্পর্কিত সকল কাগজ পত্র ভারতে ধ্বংস করে দেয়া হয়। রবীন্দ্র ও শান্তিনিকেতন ঘান্সাইয়াম দাস বিড়লার আফিমের পয়সায় তৈরি হয় বি. আই. টি.এস. পিলানি বিশ্ববিদ্যালয়। সে সময় আফিমের অর্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছিল একটি ফ্যাশন। আফিম ব্যবসায়ী কাওয়াসজি প্রতিষ্ঠা করে এলফিন্সটন কলেজ। মাদক ব্যবসায়ী কাওয়াসজী জেহাগির তৈরি করে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়। শান্তিনিকেতনের জায়গাটি মাদক ব্যবসায়ী দ্বারাকানাথ ঠগের, যেখানে রবীন্দ্র ঠগ বিশ্ব ভারতী প্রতিষ্ঠা করে। দ্বারাকানাথ ঠগের পৌত্র রবীন্দ্র ঠগ: হারাম থেকে হারামের সৃষ্টি কেবলমাত্র পবিত্র দ্বীন ইসলাম মানুষের অতীতের সকল গুনাহখতা ক্ষমা করে দেয়। যে কোন ধর্মের মানুষ পবিত্র দ্বীন ইসলাম কবুল করলে তার পূর্ব পুরুষের ধর্ম, আচার বিধি, রীতি-নীতি কোন কিছুই তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে না। আবু জেহেল পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার চরম শত্রু হবার পরেও হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম কবুল করে হয়েছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন মানুষ। তিনি ছাহাবী মর্যাদায় মর্যাদাবান হয়ে মানুষের সর্বোচ্চ আদর্শের, সকল মৌলিক গুণের এক অনন্য মানুষ হয়েছিলেন। কিন্তু রবীন্দ্র ঠগ তার দাদার নয়া ধর্ম ব্রাহ্ম সমাজকে গ্রহণ করেছিল এবং তার দাদার অসৎ অর্থে চালিত জমিদারী ব্যবস্থারই দেখাশুনা করতো। শুধু তাই নয়, তার দাদার অসৎ চরিত্রের সকল দিক দিয়েই রবীন্দ্র ঠগ ছিল পরিপূর্ণ। পূর্বে মাদক ব্যবসায়ীরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতো তাদের বাণিজ্যিক সুবিধা আদায়ের জন্য। সেখানে বিভিন্ন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সন্তান-সন্ততিরা পড়াশুনা করতো ফলে মাদক ব্যবসায়ীরা এর মাধ্যমে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতো। রবীন্দ্রের নোবেল ইমেজ বিক্রি করে এদেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সাম্রাজ্যবাদীদের এক গভীর ষড়যন্ত্র পূর্বের মত দেশ দখলের কৌশল এখন বদলেছে। সাম্রাজ্যবাদীরা একটি দেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সে দেশেই তাদের তাবেদার সৃষ্টি করে। রবীন্দ্রের নোবেল ইমেজ বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদীরা এদেশকে তাদের তাবেদার সৃষ্টির সূতিকাগার বানাতে চায়। পূর্বে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতো নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে আর বর্তমানে বাংলাদেশে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে এদেশে তাদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে। তাদের আক্রমণ হবে আমাদের ধর্মের বিরুদ্ধে, অর্থনীতির বিরুদ্ধে, সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান কখনো একজন নীতিভ্রষ্ট, চরিত্রহীন মানুষ যার পূর্বপুরুষ ছিল সম্পূর্ণ নৈতিকতা বিবর্জিত, তার নামে এদেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা মেনে নিবে না। |
No comments:
Post a Comment