বন্যা
কয়েক লাখ মানুষের দুর্ভোগ চরমে
জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রবল বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি আকস্মিক বেড়ে যাওয়ায় গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ কয়েকটি এলাকার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২০ সহস্রাধিক মানুষ। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীভাঙ্গনে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৩৫০ পরিবার সর্বস্ব হারিয়েছে। জেলা শহর রক্ষা বাঁধের সাতটি পয়েন্ট ভাঙ্গনকবলিত হয়ে পড়েছে। কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার ৩৫ ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ১২ হাজার হেক্টর জমির আউশ, আমন বীজতলা ও সবজির ক্ষেত। পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে শতাধিক বাড়িঘর। নীলফামারীতে নদনদীর পানি কমতে শুরু করলেও ভাঙ্গন তীব্র হয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, আবাদী জমি আর তিস্তা নদী দুই চ্যানেলে প্রবাহিত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। বগুড়ায় যমুনার তীব্র স্রোতে সারিয়াকান্দী ও ধুনট উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একাংশ ভেঙ্গে গেছে। সারিয়াকান্দীতে বাঁধের ২৫ মিটার এবং ধুনটে বানিয়াজান স্পারের ৫০ মিটার ধসে যায়। জামালপুরের দু’টি ইউনিয়নের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাজশাহীতে পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ায় চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নগরীর নিম্নাঞ্চল। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার বাঁধ ভেঙ্গে ১৪ পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে দ্বীপের ২০ গ্রামের দুই লাখেরও বেশি মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে। চট্টগ্রামে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় বন্দরে সঙ্কেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। সঙ্কেত প্রত্যাহার করা হলেও সাগর এখনও উত্তাল রয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
গাইবান্ধার ঘাঘট নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙ্গনও তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত দু’দিনে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৩৫০টি পরিবার নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়েছে। সুন্দরগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকাগুলো হচ্ছে বেলকা ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ, পঞ্চানন, মধ্য বেলকা, পূর্ব বেলকা, রামডাকুয়া, হরিপুরের চর চরিতাবাড়ি, কানি চরিতাবাড়ি, রাঘব, গেন্দুরাম, লখিয়ারপাড়া, পাড়া সাদুয়া। এছাড়া কাপাশিয়ার ভাটি কাপাশিয়া, কাপাশিয়া, পূর্ব কাপাশিয়া, পোড়ার চর, কাজিয়ার চর, বাদামের চর, পূর্ব লাল চামার, লালচামার, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল তলিয়ে গেছে। ফুলছড়ির গজারিয়া ইউনিয়নের গলনা, ঝানঝাইর, জিয়াডাঙ্গা, কটকগাছা, বাড়ইকান্দি, নীলকুঠি, নামাপাড়া, কাতলামারি, ফুলছড়ি ইউনিয়নের গাবগাছি, সরদারের চর, পিপুলিয়া, দেলুয়াবাড়ি, ফজলুপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খাটিয়ামারি, কৃঞ্চমণি, চিকিরপটল, এরেন্ডবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিচ-ী, ধলিপাঠাধোয়া, আলগারচর, উড়িয়া ইউনিয়নের কালাসোনা, রতনপুর, কাবিলপুর, পূর্ব গুণভরি, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর, রসূলপুর, কাইয়ার হাট, কেতকির হাট এবং উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়াসহ ২৫টি গ্রাম বন্যাকবলিত। এছাড়া সদর উপজেলার ঘাগোয়া, গিদারি, খোলাহাটি, কামারজানি, কুপতলা ও মালিবাড়ি ইউনিয়নের কতিপয় এলাকা এখন বন্যা কবলিত হয়েছে। ভাঙ্গন এবং বন্যাদুর্গত মানুষ ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ত্রাণ হিসেবে ২ হাজার লোকের মাঝে প্রতিজনকে ২০ কেজি করে চাল ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়েছে।
গাইবান্ধার ঘাঘট নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙ্গনও তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত দু’দিনে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৩৫০টি পরিবার নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়েছে। সুন্দরগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকাগুলো হচ্ছে বেলকা ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ, পঞ্চানন, মধ্য বেলকা, পূর্ব বেলকা, রামডাকুয়া, হরিপুরের চর চরিতাবাড়ি, কানি চরিতাবাড়ি, রাঘব, গেন্দুরাম, লখিয়ারপাড়া, পাড়া সাদুয়া। এছাড়া কাপাশিয়ার ভাটি কাপাশিয়া, কাপাশিয়া, পূর্ব কাপাশিয়া, পোড়ার চর, কাজিয়ার চর, বাদামের চর, পূর্ব লাল চামার, লালচামার, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল তলিয়ে গেছে। ফুলছড়ির গজারিয়া ইউনিয়নের গলনা, ঝানঝাইর, জিয়াডাঙ্গা, কটকগাছা, বাড়ইকান্দি, নীলকুঠি, নামাপাড়া, কাতলামারি, ফুলছড়ি ইউনিয়নের গাবগাছি, সরদারের চর, পিপুলিয়া, দেলুয়াবাড়ি, ফজলুপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খাটিয়ামারি, কৃঞ্চমণি, চিকিরপটল, এরেন্ডবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিচ-ী, ধলিপাঠাধোয়া, আলগারচর, উড়িয়া ইউনিয়নের কালাসোনা, রতনপুর, কাবিলপুর, পূর্ব গুণভরি, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর, রসূলপুর, কাইয়ার হাট, কেতকির হাট এবং উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়াসহ ২৫টি গ্রাম বন্যাকবলিত। এছাড়া সদর উপজেলার ঘাগোয়া, গিদারি, খোলাহাটি, কামারজানি, কুপতলা ও মালিবাড়ি ইউনিয়নের কতিপয় এলাকা এখন বন্যা কবলিত হয়েছে। ভাঙ্গন এবং বন্যাদুর্গত মানুষ ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ত্রাণ হিসেবে ২ হাজার লোকের মাঝে প্রতিজনকে ২০ কেজি করে চাল ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment