আইসিসের ৯০ টার্গেট ধ্বংস
মসুল বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নেয়াকে স্বাগত জানালেন ওবামা, অভিযান চলবে
ইরাকে জিহাদি গ্রুপ ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এ্যান্ড সিরিয়া (আইসিস)-এর প্রভাব খর্ব করতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তৎপরতা অব্যাহত আছে। গত তিনদিনে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসের অবস্থান লক্ষ্য করে ৩৫ বার বিমান আক্রমণ চালিয়েছে, এতে তাদের ৯০টি টার্গেট ধ্বংস হয়ে গেছে বলে সোমবার পেন্টাগন জানিয়েছে। খবর এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের।
কুর্দি যোদ্ধারা মার্কিন বাহিনীর সহায়তায় আইসিসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। আইসিসের কাছ থেকে মসুল বাধের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেয়াকে সোমবার স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে বাগদাদকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, অতি দ্রুত একটি সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করতে হবে। অন্যথায় হারিয়ে যেতে পারে অর্জন। আইসিসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ সহসা শেষ হচ্ছে না বলে ওবামা ইঙ্গিত দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই লড়াই দেখিয়ে দিয়েছে যে, আইসিসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে যুদ্ধ করার সক্ষমতা ইরাকী ও কুর্দি বাহিনীর রয়েছে। ওবামা বিশেষ করে সাহসিকতার জন্য কুর্দি বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। এ মাসের ৮ তারিখ আইসিসের অবস্থানগুলো টার্গেট করে সামরিক আক্রমণ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর গত কয়েকদিনে আক্রমণ জোরদার করা হয়েছে। আইসিস যোদ্ধারা ইরাকের উত্তরাঞ্চলে মসুলের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে, এ খবর প্রকাশের পর জিহাদি গ্রুপটির বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণিত করে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের মুখপাত্র রিয়ার এ্যাডমিরাল জন কিরবি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যান ও সরঞ্জামাদিসহ আমরা জঙ্গীদের ৯০টির বেশি টার্গেট ধ্বংস করে দিয়েছি। উত্তরের বাঁধের নিয়ন্ত্রণ এখন ইরাকী বাহিনীর হাতে, তারা এখন যাতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার সম্প্রসারণ ঘটাতে পারে সেজন্য আমরা তাদের সহায়তা করছি।’ এর আগে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র সোমবারই এককভাবে আইসিসের বিভিন্ন অবস্থান নিশানা করে অন্তত ১৫ বার বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে আটটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হওয়াসহ আইসিসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় কুর্দি যোদ্ধারা এখন সেখানে আইসিসের বিরুদ্ধে লড়ছে। আইসিসকে হটাতে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে আরও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল। ইয়াজিদি জাতিগোষ্ঠী যেসব লোক আইসিসের চাপের মুখে সিনজার পাহাড়ে আশ্রয় নিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল তাদের সেই বন্দীদশা থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করতেই বিমান আক্রমণ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। আকাশ থেকে বিমান আক্রমণ করছে যুক্তরাষ্ট্র আর ভূমিতে আইসিসের সঙ্গে প্রতিরোধ যুদ্ধে লিপ্ত আছে কুর্দি যোদ্ধারা।
আলকায়েদার দলছুট এই জিহাদি গ্রুপটি অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ অব্যাহত রাখলে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে। এ বিষয়ে তারা একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেছে। গ্রুপটি দুই মাস আগে ইরাক ও সিরিয়ার বড় অংশ জুড়ে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। সিরিয়ায় গ্রুপটির শক্ত অবস্থান যে রাকা প্রদেশে সেখানেও বিমান আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কুর্দি পেশমের্গা বাহিনীর সেনা কর্মকর্তা সরদার কামাল যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘প্রথম দিকে আইসিস দ্রুত অগ্রাভিযানের মুুখে আমাদের হতচকিত করে দিয়েছিল, কিন্তু এখন আমরা তাদের কৌশল বুঝে গেছি। তাই তাদের পক্ষে সামরিকভাবে সুবিধা করার কোন সুযোগ নাই।’
কুর্দি যোদ্ধারা মার্কিন বাহিনীর সহায়তায় আইসিসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। আইসিসের কাছ থেকে মসুল বাধের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেয়াকে সোমবার স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে বাগদাদকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, অতি দ্রুত একটি সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করতে হবে। অন্যথায় হারিয়ে যেতে পারে অর্জন। আইসিসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ সহসা শেষ হচ্ছে না বলে ওবামা ইঙ্গিত দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই লড়াই দেখিয়ে দিয়েছে যে, আইসিসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে যুদ্ধ করার সক্ষমতা ইরাকী ও কুর্দি বাহিনীর রয়েছে। ওবামা বিশেষ করে সাহসিকতার জন্য কুর্দি বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। এ মাসের ৮ তারিখ আইসিসের অবস্থানগুলো টার্গেট করে সামরিক আক্রমণ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর গত কয়েকদিনে আক্রমণ জোরদার করা হয়েছে। আইসিস যোদ্ধারা ইরাকের উত্তরাঞ্চলে মসুলের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে, এ খবর প্রকাশের পর জিহাদি গ্রুপটির বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণিত করে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের মুখপাত্র রিয়ার এ্যাডমিরাল জন কিরবি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যান ও সরঞ্জামাদিসহ আমরা জঙ্গীদের ৯০টির বেশি টার্গেট ধ্বংস করে দিয়েছি। উত্তরের বাঁধের নিয়ন্ত্রণ এখন ইরাকী বাহিনীর হাতে, তারা এখন যাতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার সম্প্রসারণ ঘটাতে পারে সেজন্য আমরা তাদের সহায়তা করছি।’ এর আগে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র সোমবারই এককভাবে আইসিসের বিভিন্ন অবস্থান নিশানা করে অন্তত ১৫ বার বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে আটটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হওয়াসহ আইসিসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় কুর্দি যোদ্ধারা এখন সেখানে আইসিসের বিরুদ্ধে লড়ছে। আইসিসকে হটাতে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে আরও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল। ইয়াজিদি জাতিগোষ্ঠী যেসব লোক আইসিসের চাপের মুখে সিনজার পাহাড়ে আশ্রয় নিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল তাদের সেই বন্দীদশা থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করতেই বিমান আক্রমণ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। আকাশ থেকে বিমান আক্রমণ করছে যুক্তরাষ্ট্র আর ভূমিতে আইসিসের সঙ্গে প্রতিরোধ যুদ্ধে লিপ্ত আছে কুর্দি যোদ্ধারা।
আলকায়েদার দলছুট এই জিহাদি গ্রুপটি অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ অব্যাহত রাখলে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে। এ বিষয়ে তারা একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেছে। গ্রুপটি দুই মাস আগে ইরাক ও সিরিয়ার বড় অংশ জুড়ে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। সিরিয়ায় গ্রুপটির শক্ত অবস্থান যে রাকা প্রদেশে সেখানেও বিমান আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কুর্দি পেশমের্গা বাহিনীর সেনা কর্মকর্তা সরদার কামাল যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘প্রথম দিকে আইসিস দ্রুত অগ্রাভিযানের মুুখে আমাদের হতচকিত করে দিয়েছিল, কিন্তু এখন আমরা তাদের কৌশল বুঝে গেছি। তাই তাদের পক্ষে সামরিকভাবে সুবিধা করার কোন সুযোগ নাই।’
No comments:
Post a Comment