শাহবাগে সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রকৌশলী নিহত
লেনদেন ও পূর্ব শত্রুতার জের
বিশেষ প্রতিনিধি
রাজধানীর শাহবাগে যুবলীগের হামলায় গিয়াসউদ্দিন রাজু ( ২৫) নামে এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন তার ছোট ভাই বাবু । বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেট সংলগ্ন মেডিসিন মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আলম নামে এক যুবলীগ ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে। নিহত রাজু একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। হত্যার কারণ সম্পর্কে স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছে, টাকার লেনদেন ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের বড় ভাই জয়নাল আবেদীন বলেন, রাজুর স্ত্রী রুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিত্সাধীন। তাকে দেখার জন্য রাজু ও বাবুসহ আমরা রাতে হাসপাতালে যাই। পরে রাত ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তারা চা খেতে আজিজ সুপার মার্কেট সংলগ্ন মেডিসিন মার্কেটের সামনের একটি দোকানে বসে। এ সময় ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সাইফুল, তার সহযোগী আক্তার, জুয়েল, রুমেল, আলমগীরসহ ১০/১২ জন তাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা রাজুর মাথা ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। বাবুর পিঠে গুলি করে। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে।
তিনি বলেন, উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় আহত রাজু ও বাবুকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি ঘটলে রাজুকে ভর্তি করা হয় হাতিরপুলের ব্রাইট হাসপাতালে। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুরে রাজু মারা যায়।
হত্যার কারণ সম্পর্কে জয়নাল আবেদীন বলেন, যুবলীগ নেতা আক্তারের সহযোগী রুবেলের কাছে রাজু ৩৫ হাজার টাকা পেত। ওই টাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দু'পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মেডিসিন মার্কেটের সামনে আমার ভাইদের উপর হামলা চালানো হয়।
শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, টাকা লেনদেন ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আলম নামে এক যুবলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রাজুদের বাসা রাজধানীর ৭৩/১ সেন্ট্রাল রোড। বাবার নাম সাব্বির আহমেদ। এর আগে তারা থাকতেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্টাফ কোয়ার্টারে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে রাজু ছিলেন দ্বিতীয়। তিন মাস আগে তিনি বিয়ে করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার চান্দনাইল থানার হালদা
রাজধানীর শাহবাগে যুবলীগের হামলায় গিয়াসউদ্দিন রাজু ( ২৫) নামে এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন তার ছোট ভাই বাবু । বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেট সংলগ্ন মেডিসিন মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আলম নামে এক যুবলীগ ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে। নিহত রাজু একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। হত্যার কারণ সম্পর্কে স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছে, টাকার লেনদেন ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের বড় ভাই জয়নাল আবেদীন বলেন, রাজুর স্ত্রী রুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিত্সাধীন। তাকে দেখার জন্য রাজু ও বাবুসহ আমরা রাতে হাসপাতালে যাই। পরে রাত ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তারা চা খেতে আজিজ সুপার মার্কেট সংলগ্ন মেডিসিন মার্কেটের সামনের একটি দোকানে বসে। এ সময় ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সাইফুল, তার সহযোগী আক্তার, জুয়েল, রুমেল, আলমগীরসহ ১০/১২ জন তাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা রাজুর মাথা ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। বাবুর পিঠে গুলি করে। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে।
তিনি বলেন, উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় আহত রাজু ও বাবুকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি ঘটলে রাজুকে ভর্তি করা হয় হাতিরপুলের ব্রাইট হাসপাতালে। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুরে রাজু মারা যায়।
হত্যার কারণ সম্পর্কে জয়নাল আবেদীন বলেন, যুবলীগ নেতা আক্তারের সহযোগী রুবেলের কাছে রাজু ৩৫ হাজার টাকা পেত। ওই টাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দু'পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মেডিসিন মার্কেটের সামনে আমার ভাইদের উপর হামলা চালানো হয়।
শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, টাকা লেনদেন ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আলম নামে এক যুবলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রাজুদের বাসা রাজধানীর ৭৩/১ সেন্ট্রাল রোড। বাবার নাম সাব্বির আহমেদ। এর আগে তারা থাকতেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্টাফ কোয়ার্টারে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে রাজু ছিলেন দ্বিতীয়। তিন মাস আগে তিনি বিয়ে করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার চান্দনাইল থানার হালদা
No comments:
Post a Comment