Saturday, August 16, 2014

বৃষ্টি ও ঢলে ॥ তিস্তা উত্তাল ০ ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪ গেট খুলে দেয়া হয়েছে ০ বাইপাস দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ০ চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 0 ভোলায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী

বৃষ্টি ও ঢলে ॥ তিস্তা উত্তাল
০ ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪ গেট খুলে দেয়া হয়েছে 
০ বাইপাস দিয়ে যান চলাচল বন্ধ 
০ চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 
0 ভোলায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শনিবার সকাল হতে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পানির তোড় থেকে তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় নির্মিত ফ্লাড বাইপাস সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফ্লাড বাইবাস সড়ক সংলগ্ন ভাটির চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিং করা হয়। শুধু ভারি বর্ষণের ঢলে নয়, ভারত গজলডোবার ম্যাধ্যমে প্রায় একলাখ কিউসেক পানি ছেড়ে দেয়ায় তিস্তায় এ পরিস্থিতি বলে একটি সূত্র জানায়। টানা বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ডিএনডি বাঁধের ভেতরের পাইনাদী জুয়েল রোডটি হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু জুয়েল রোড নয়, ডিএনডি বাঁধের ভেতরের অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এতে কয়েক লাখ লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পাহাড়ী দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফ্লাড বাইবাস সড়ক সংলগ্ন ভাটির চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতেমাইকিং করা হয়। শুধু ভারি বর্ষণের ঢলে নয়, ভারত গজলডোবার ম্যাধ্যমে প্রায় একলাখ কিউসেক পানি ছেড়ে দেয়ায় তিস্তায় এ পরিস্থিতি বলে একটি সূত্র জানায়। টানা বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ডিএনডি বাঁধের ভেতরের পাইনাদী জুয়েল রোডটি হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু জুয়েল রোড নয়, ডিএনডি বাঁধের ভেতরের অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এতে কয়েক লাখ লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পাহাড়ী এলাকা থেকে ঢল নামতে শুরু করায় বিপদসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে হালদা, মাতামুহুরী এবং সাঙ্গু। উত্তর এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের কিছু নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। ফলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। টানা বর্ষণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বহু স্থানে গর্ত হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, শুরু হয়েছে যানজট। ফৌজদারহাট থেকে সীতাকু- পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। এদিকে টানা চারদিনের বর্ষণে ফটিকছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কয়েক হাজার একর রোপা আমন ও বীজতলা ডুবে গেছে। ভেঙ্গে গেছে বহু গ্রামীণ অবকাঠামো। অনেক এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর ভোলায় জোয়ারের পানিতে ৩ উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ গত কয়েক দিন ধরে জোয়ারের পানিতে ভাসছে। পানিবন্দী মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
তিস্তা ব্যারাজ সূত্রে জানা গেছে, তিন দিনের বৃষ্টি ও উজানি ঢলে তিস্তা নদী এখন উত্তাল। শুক্রবার রাত ৮টার পর হতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে ভাটিতে পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে তিস্তাপারের ভাটিতে থাকা লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান জানান, তিস্তা নদীর পানি শনিবার সকাল ৭টায় ৫৫ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানির প্রবাহ ভাটিতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় জারি করা হয়েছে রেড এ্যালার্ট। ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস সড়কটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পুনরায় নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফ্লাড বাইপাস সড়ক ও তিস্তা ব্যারাজের ওপর দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।
তিস্তা গর্জে ওঠায় নদীর বাঁ তীর ও ডান তীরের বাঁধ ঘেঁষে প্রবাহ হওয়ায় দোলাপাড়ায় বাঁধের হার্ডপয়েন্টের ৪ নম্বর স্পার বাঁধ ভাঙ্গনের মুখে। বাঁধের ১০ মিটার বিধ্বস্তসহ ওই এলাকার ১০ একর জমিও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এদিকে তিস্তার ভয়ঙ্কর ঢলের কারণে নীলফামারীর তিস্তাপারের ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার পরিবারগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তারা গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ যে যা পেরেছে তাই নিয়ে উঁচু ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
তিস্তার বানের পানির স্রোত বয়ে যাচ্ছে বাইশপুকুরচর, কিসামত ছাতনাই, চরখড়িবাড়ি, ছোটখাতা, বানপাড়া, ঝাড়শিঙ্গেশ্বর, বাঘেরচর, টাবুরচর, ভেণ্ডাবাড়ী, ছাতুনামা, হলদিবাড়ী, একতারচর, ভাষানীর চর, পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গোলমুণ্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী, কৈমারী গ্রাম।
সূত্র মতে, বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারাজ থেকে উজানের ১১০ কিলোমিটার অদূরে ভারতের গজলডোবা ব্যারাজ হতে ১ লাখ কিউসেক পানি ছেড়ে দেয়ায় বাংলাদেশের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ২০১২ সালে একই সময় বর্ষায় ভারত দেড়লাখ কিউসেক পানি ছেড়ে দিয়েছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা শুকিয়ে গিয়ে তার নাব্য হারিয়ে ফেলায় বর্ষা মৌসুমে আসা পানি প্রাকৃতিক নিয়মে সঠিকভাবে প্রত্যাহার হতে পারছে না; যার কারণে উজানি ঢল ও বর্ষার পানির কারণে তিস্তা নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। যেহেতু শনিবার সারাদিন কোন বৃষ্টি হয়নি তাই সন্ধ্যার পর হতে এই পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, ফ্লাড বাইপাসটি তিস্তা সেচ প্রকল্পের ব্যারাজটি পানির অতিরিক্ত চাপ হতে রক্ষায় নির্মাণ কৌশলের একটি অংশ। তাই ব্যারাজ রক্ষায় ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে সকল প্রস্তুতি রয়েছে। মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা করতে নিরপদ আশ্রয়ে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার সাধ্যমতো সহায়তা করবে।
ডিএনডিতে জলাবদ্ধতা ॥ কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে ডিএনডির প্রজেক্ট অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সাধারণত নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, স্কুল-কলেজ, মসজিদ- মাদ্রাসা পানিতে তলিয়ে গেছে। ময়লা-আবর্জনা ও নর্দমার সঙ্গে বৃষ্টির পানি মিশে একাকার হয়ে প্রচ- দুর্গন্ধে পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। অব্যাহত প্রবল বর্ষণে ঢাকার ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর; নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানার বহু নিচু এলাকার বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে ডিএনডির অভ্যন্তরে বসবাসরত প্রায় কয়েক লাখ লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাইনাদী কালাহাতিয়ারপাড় এলাকার নিজামের ভাড়াটিয়া বাড়ির উঠানটি পানিতে ডুবে আছে। মিজমিজি রেকমত আলী হাইস্কুল রোড ও সিআইখোলা (হাজীনগর) রোডটি পানিতে ডুবে আছে। শনিবার বেলা ২টায় ডিএনডি পাম্প হাউসে গিয়ে দেখা যায়, নিষ্কাশন খালে পানির উচ্চতা ছিল ৮ দশমিক ৫ ফুট; যা শুষ্ক মৌসুমে থাকে ৬ ফুটে।
সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল পাম্প হাউসের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ লিয়াকত আলী খান ডিএনডিতে জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে জানান, পাম্প হাউসের ১২৮ কিউসেক ক্ষমতাসম্পন্ন ৪টি পাম্পই চালু রেখেছি। তবে প্রধান নিষ্কাশন খালে পলিথিনসহ ময়লা-আর্বজনা পানির স্রোতের সঙ্গে এসে পড়ায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
চট্টগ্রামে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা ॥ মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তায় প্রবল বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। পাহাড়ী এলাকা থেকে ঢল নামতে শুরু করায় বিপদসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে হালদা, মাতামুহুরী এবং সাঙ্গু। উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের কিছু নি¤œাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দেখা দিতে পারে আকস্মিক বন্যা। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বিঘিœত হচ্ছে লাইটারিং কাজ। তবে বন্দরের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ভারি বর্ষণ হ্রাস পেয়েছে। এতে নগরীর জলাবদ্ধতা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। বৃষ্টির তীব্রতা অব্যাহত থাকলে বৃহত্তর চট্টগ্রামে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, মৌসুমী বায়ু প্রবাহের সক্রিয়তার কারণে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা আজ রবিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
ভারি বর্ষণের জলাবদ্ধতার সঙ্গে যোগ হয়েছে কর্ণফুলী নদীতে উপচেপড়া জোয়ার। জোয়ারের পানিতে এমনিতেই নিমজ্জিত আগ্রাবাদ, হালিশহর, চাক্তাই, রাজাখালি, চকবাজার ও চান্দগাঁওয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ওপর প্রবল বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা নালা-নর্দমা উপচে একেকার হয়ে যাচ্ছে। এতে নগরীর বহু স্থানে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত জলজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তীব্র যানজট ॥ ভারি বর্ষণের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বহু স্থানে রাস্তায় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহনের গতি কমে এসেছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। প্রবল বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাই পর্যন্ত বহু স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে নতুন করে যানজট লেগে আছে। ফৌজদারহাট থেকে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত অন্তত ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। এতে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের জটের সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে মহাসড়ক হয়ে ১৭টি রুটের যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলেও ঘটছে বিঘœ।
ফটিকছড়িতে বন্যার অবনতি ॥ টানা চার দিনের অবিরাম বর্ষণে চট্টগ্রামের বৃহত্তর ফটিকছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। হালদা নদীতে পাহাড়ী ঢলের পানি অব্যাহত থাকায় উপজেলার পাঁচপুকুরিয়া ও নাজিরহাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ী ঢল নেমে আসায় সমিতিরহাট, দৌলতপুর, সুয়াবিল, সুন্দরপুর, হারুয়াছড়ি, রোসাংগিরীসহ কয়েকটি ইউনিয়নে হালদার বেড়িবাঁধ ধসে গিয়ে এলাকায় পানি ঢুকছে। এছাড়া, বর্ষণ অব্যাহত এবং হালদাসহ আরও কয়েকটি নদ-নদীর পানি উপচে পড়ে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে পুকুর-দীঘিসহ কয়েক শ’ মৎস্য প্রকল্প। কয়েক হাজার একর জমির রোপা আমন ও বীজতলা ডুবে গেছে। ভেঙ্গে গেছে গ্রামীণ অবকাঠামো।
অন্যদিকে, ফটিকছড়ি সদর-কাজীরহাট, নাজিরহাট-রামগড় সেকশন-১,সমিতিরহাট-ধলই সড়ক, দৌলতপুর এবিসি সড়ক, বুড়াবিবি সড়কসহ কয়েকটি সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হাটহাজারী উপজেলার ৮ ইউনিয়নের অন্তত ৩৫ গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
ভোলায় ২ লাখ লোক পানিবন্দী ॥ টানা বৃষ্টি ও পূর্ণিমার জোর প্রভাবে উজান থেকে ধেয়ে আসা মেঘনার জোয়ারের পানিতে ভোলার ৩ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের প্রায় ২ লাখ মানুষ গত কয়েকদিন ধরে জোয়ারের পানিতে ভাসছে। সকাল- বিকেল ২ বেলা জোয়ারের পানিতে শত শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড যথাসময়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ দিয়ে গত প্রায় দেড়মাস ধরে পূর্ণিমা আর অমাবস্যার জোয়ার এলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় পানিবন্দী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক স্কুল, দু’টি আনন্দ স্কুল, একটি ডরপ স্কুল, ৪টি মসজিদ, দু’টি মন্দির জোয়ার এলেই প্লাবিত হয়। জোয়ারে এলাকার স্কুল, মাদ্রাসা পানিতে তলিয়ে যায়। গৃহপালিত গবাদিপশু নিয়ে দুর্গত এলাকার মানুষ রয়েছে চরম বিপাকে।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html

No comments:

Post a Comment