চলতি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি, অক্টোবরে বর্ষা বিদায়
নিখিল মানখিন ॥ আগস্ট মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকায় স্বাভাবিক বন্যা হতে পারে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশে সক্রিয় থাকবে। বর্তমানে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল রয়েছে। আজ রবিবারও দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে আগামী দুই দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের ধারা হ্রাস পেতে পারে। দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর। শনিবারও দেশের অধিকাংশ জেলায় মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হয়। দেশের সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল ৪টি নদীর পানি। শনিবার আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। আজ রবিবার ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়াগায় অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে উড়িষ্যা ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। বর্তমানে সাগর উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মোঃ শাহ আলম জানান, আগস্টে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে ১ থেকে ২টি মৌসুমী নিম্নচাপ। ঢাকা বিভাগে ৩১০ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৫৫৬, সিলেটে ৪৫৬, রাজশাহীতে ২৭৩, রংপুরে ৩৭১, খুলনায় ২৯৮ ও বরিশাল বিভাগে ৪৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। এভাবে আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই দুই মাসেই বঙ্গোপসাগরে ২টি করে মৌসুমী নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আর অক্টোবর মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। তিনি আরও জানান, গত জুলাই মাসে কোন লঘুচাপ বা নিম্নচাপ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম না করায় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) দেশের ওপর কম সক্রিয় বা দুর্বল থাকার কারণে সারাদেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে মাসের প্রথম ও তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে দেশের অনেক স্থানে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হয়। জুলাই মাসে উত্তর বঙ্গোপসাগরে চারটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী রিপন কর্মকার জানান, সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা এবং মেঘনা নদীসহ ঢাকা শহরসংলগ্ন নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। শনিবার তিস্তা নদী ডালিয়ায় ২০ সেন্টিমিটার, সুরমা নদী কানাইঘাটে ৩ সেন্টিমিটার ও সুনামগঞ্জে ৪৩ সেন্টিমিটার এবং কংশ নদী জারিয়া-জাঞ্জাইলে ৫০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পর্যবেক্ষণাধীন ৮৩টি পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে শনিবার ৬৩টির পানি বৃদ্ধি এবং ১৭টির পানি হ্রাস পায়।
আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে উড়িষ্যা ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। বর্তমানে সাগর উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মোঃ শাহ আলম জানান, আগস্টে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে ১ থেকে ২টি মৌসুমী নিম্নচাপ। ঢাকা বিভাগে ৩১০ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৫৫৬, সিলেটে ৪৫৬, রাজশাহীতে ২৭৩, রংপুরে ৩৭১, খুলনায় ২৯৮ ও বরিশাল বিভাগে ৪৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। এভাবে আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই দুই মাসেই বঙ্গোপসাগরে ২টি করে মৌসুমী নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আর অক্টোবর মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। তিনি আরও জানান, গত জুলাই মাসে কোন লঘুচাপ বা নিম্নচাপ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম না করায় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) দেশের ওপর কম সক্রিয় বা দুর্বল থাকার কারণে সারাদেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে মাসের প্রথম ও তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে দেশের অনেক স্থানে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হয়। জুলাই মাসে উত্তর বঙ্গোপসাগরে চারটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী রিপন কর্মকার জানান, সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা এবং মেঘনা নদীসহ ঢাকা শহরসংলগ্ন নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। শনিবার তিস্তা নদী ডালিয়ায় ২০ সেন্টিমিটার, সুরমা নদী কানাইঘাটে ৩ সেন্টিমিটার ও সুনামগঞ্জে ৪৩ সেন্টিমিটার এবং কংশ নদী জারিয়া-জাঞ্জাইলে ৫০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পর্যবেক্ষণাধীন ৮৩টি পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে শনিবার ৬৩টির পানি বৃদ্ধি এবং ১৭টির পানি হ্রাস পায়।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html
No comments:
Post a Comment