কাঁকড়া ধরতে এসে স্ত্রী-র সামনে স্বামীর ঘাড় কামড়ে নিয়ে গেল বাঘ
গৌতম চক্রবর্তী: স্ত্রী-র চোখের সামনেই স্বামীকে বাঘে ধরল৷ সুন্দরবনের আধারমানিক জঙ্গলের ঘটনা৷ কাঁকড়া শিকারি দম্পতি আপন মনে জঙ্গলের ধারে কাঁকড়া ধরছিলেন৷ আচমকাই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে মহারাজ৷ পেছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁকড়া শিকারি সম্তোষ মণ্ডলের ওপর৷ স্ত্রী মিনতি মণ্ডল সামনেই ছিলেন৷ মহারাজের তর্জনে-গর্জনে ভয়ে জবুথবু হয়ে যান মিনতি৷ স্বামী সম্তোষকে বাঁচানোর কোনও সুযোগ পাননি৷ চোখের সামনে অসহায় দর্শকের মতো দেখেন স্বামীর ঘাড় কামড়ে শার্দূল মহারাজ টানতে টানতে বনের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে৷ চিৎকার করে কান্নায় ভেঙে পড়েন মিনতি৷ তাঁর কান্নার আওয়াজে নৌকোর মাঝি ছুটে আসেন৷ ঘটনা শুনে নৌকো নিয়ে ফিরে আসেন গ্রামে৷ হইচই পড়ে যায় এলাকায়৷ বন দপ্তরে খবর দেওয়া হয়৷ বনকর্মীরা সম্তোষের খোঁজে আধারমানিক জঙ্গলে গেছেন৷ তবে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ বন দপ্তর সূত্রে খবর, গোসাবার বিন্দুখালি গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার সকালে কাঁকড়া শিকার করতে বেরিয়েছিলেন সম্তোষ (৫৪) এবং তাঁর স্ত্রী মিনতি মণ্ডল৷ ছোট ডিঙি নৌকো নিয়ে মাঝি-সহ তাঁরা ৩ জনে আধারমানিক জঙ্গলের ধারে যান৷ সেখানেই চলছিল কাঁকড়া ধরার কাজ৷ বিকেলের দিকে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে শার্দূল মহারাজ৷ সম্তোষের ওপর হামলা চালায়৷ শিকারকে নিয়ে নির্বিঘ্নে বনে চলে যায়৷ শুক্রবার দুপুরে মাঝি ও মিনতি গ্রামে ফিরে আসেন৷ কয়েকদিনের মধ্যেই সুন্দরবনে পরপর কয়েকজন কাঁকড়া শিকারি বাঘের পেটে গেলেন৷ এমন ঘটনায় বন দপ্তরের কর্মীরা চিম্তায়৷ কী কারণে এমন ঘটনা ঘটছে তা অনুসন্ধান করতে শুরু করেছেন বনকর্মীরা৷
গৌতম চক্রবর্তী: স্ত্রী-র চোখের সামনেই স্বামীকে বাঘে ধরল৷ সুন্দরবনের আধারমানিক জঙ্গলের ঘটনা৷ কাঁকড়া শিকারি দম্পতি আপন মনে জঙ্গলের ধারে কাঁকড়া ধরছিলেন৷ আচমকাই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে মহারাজ৷ পেছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁকড়া শিকারি সম্তোষ মণ্ডলের ওপর৷ স্ত্রী মিনতি মণ্ডল সামনেই ছিলেন৷ মহারাজের তর্জনে-গর্জনে ভয়ে জবুথবু হয়ে যান মিনতি৷ স্বামী সম্তোষকে বাঁচানোর কোনও সুযোগ পাননি৷ চোখের সামনে অসহায় দর্শকের মতো দেখেন স্বামীর ঘাড় কামড়ে শার্দূল মহারাজ টানতে টানতে বনের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে৷ চিৎকার করে কান্নায় ভেঙে পড়েন মিনতি৷ তাঁর কান্নার আওয়াজে নৌকোর মাঝি ছুটে আসেন৷ ঘটনা শুনে নৌকো নিয়ে ফিরে আসেন গ্রামে৷ হইচই পড়ে যায় এলাকায়৷ বন দপ্তরে খবর দেওয়া হয়৷ বনকর্মীরা সম্তোষের খোঁজে আধারমানিক জঙ্গলে গেছেন৷ তবে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ বন দপ্তর সূত্রে খবর, গোসাবার বিন্দুখালি গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার সকালে কাঁকড়া শিকার করতে বেরিয়েছিলেন সম্তোষ (৫৪) এবং তাঁর স্ত্রী মিনতি মণ্ডল৷ ছোট ডিঙি নৌকো নিয়ে মাঝি-সহ তাঁরা ৩ জনে আধারমানিক জঙ্গলের ধারে যান৷ সেখানেই চলছিল কাঁকড়া ধরার কাজ৷ বিকেলের দিকে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে শার্দূল মহারাজ৷ সম্তোষের ওপর হামলা চালায়৷ শিকারকে নিয়ে নির্বিঘ্নে বনে চলে যায়৷ শুক্রবার দুপুরে মাঝি ও মিনতি গ্রামে ফিরে আসেন৷ কয়েকদিনের মধ্যেই সুন্দরবনে পরপর কয়েকজন কাঁকড়া শিকারি বাঘের পেটে গেলেন৷ এমন ঘটনায় বন দপ্তরের কর্মীরা চিম্তায়৷ কী কারণে এমন ঘটনা ঘটছে তা অনুসন্ধান করতে শুরু করেছেন বনকর্মীরা৷
No comments:
Post a Comment